নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একশ’টা বই পড়ার চেয়ে একটা বই বুঝা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।মলাটবদ্ধ অক্ষর-সমষ্টিমাত্রই বই নয়।বই হচ্ছে সেই বৈধ প্রতারক, যামানুষের বর্তমান মুহূর্তকে অস্বীকার করে।

রাশেদ রাহাত

ঈশ্বর মানুষ সৃষ্টি করেছেন এটা কাহিনী; সত্য হলো, মানুষই ঈশ্বরের স্রষ্টা।

রাশেদ রাহাত › বিস্তারিত পোস্টঃ

মক্কা-মদিনার নামে রচিত সব আজগুবি গল্প। এবং এক শ্রেণীর কুলাঙ্গার নিজেদের বিবেককে ও ধর্মকে ক্রমধর্ষনের ইতিহাস।

২১ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ২:১৭

প্রথমেই নমুনা গল্পটি পড়ে নেইঃ
একটি নিউজ পাওয়া গিয়েছে। মদিনা শরীফের ১ লক্ষ হাজী স্বপ্ন দেখেছেন। রাসুল সঃ এসে তাদের বলেছেন "আমার উম্মতদের বলো "তারা যেনো কোরআন পড়ে আর নামাজে তাগিদ দেয়। এটাও বলেছেন "আমার যে উম্মত এই বার্তাটি ২০জনের কাছে পৌছিয়ে দিবেন ৩ দিনের মধ্যে তাদের মনের যে কোন বাসনা পূরন করা হবে। এবং যে উম্মত এটি বিশ্বাস করবেনা। তারা আগামি তিন দিনের মধ্যে একটি খুব খারাপ সংবাদ পাবে।
নিজেকে নিরাপদ রাখতে এই সংবাদটি দ্রুত শেয়ার করুন।
---
এখন কি ভাবছেন ……? কপি পেস্ট করে সেই মনের বাসনা পূরনের চেষ্টা করবেন...? নাকি এভয়েড করে নিজের পায়ে কুড়াল মারবেন...?
এমন আরো কয়েক ধরনের গল্প প্রচলিত আছে পুরো ফেসবুক জগতে। একেকটার স্বাধ একেক রকম। কোনটার স্বাধ একটু ভিন্ন মাত্রার। কিছু গল্প পড়ে আপনি দিক হারিয়ে শুধু Share বাটন ই দেখবেন। আর এর মাধ্যমেই আপনার বিবেককে আর ধর্মকে ধর্ষনের শুরু করলেন।

কিছুদিন আগে হিন্দুদের দেবতা মা কালি কে নিয়ে এমন একটি নিউজ দেখেছিলাম। একটি ফটোতে মা কালির পটো দিয়ে নিচে শেয়ারের কথা বলা আছে। এবং শেয়ার না করলে আপনার কি পরিমান ক্ষতি হতে পারে তা খুব সুন্দর কবে বলা আছে।
সাক্ষীঃ সুলতান ভাই।

আগে ছোট্র বেলা দেখতাম অনেকে A 4 সাইজ কাগজে এরকম লিখে প্রচার করতো এবং তা না করলে বিপদ আসবে বলে অন্যকে দিয়ে প্রচার করানো হত কিন্তু এখন ডিজিটালের মাধ্যমে হচ্ছে। ইন্টারনেটের সুবাদে বিনা পয়সায় বটম টিপে এসব করা হচ্ছে।

কেউ যদি ছোট বেলার সেই কবরের সাপে প্যাচানো পটো দেখে থাকেন। তাহলে আসুন মনে করিয়ে দেই। ওই A4 কাগজে বলা ছিলো "রাসূল সঃ বলেছেন…" দূনিয়াতে পাপ কর্ম অনেক বেড়ে গেছে। দূষ্টদের দমন করতে রাসূল সঃ আবার দুনিয়াতে আসবেন।"
কোন মুসলিম যদি এটা বিশ্বাস করতে শুরু করে যে "কেয়ামতের আগে রাসূল দুনিয়াতে আবার আসছেন। তাহলেই তার চিন্তা ভাবনা সরাসরি কোরআনের বিরুদ্ধে চলে যায়। কেননা, আমরা জানি কেয়ামতের পূর্বে দুইজন আসবেন। "একজন ইমাম মাহাদি ও ঈসা নবী" আর আরেকটা হলো দাজ্জাল। (যদিও দাজ্জাল নিয়ে হিজবুত তাওহীদের লেখা বই "দাজ্জাল" এ ভিন্নমত পোষন করা হয়েছে।"

আসুন,নিজ নিজ ধর্মকে জানি। ধর্মের কুসংস্কার থেকে নিজেকে হেফাজত রাখি। অন্যকেও থাকতে সহায়তা করি।

বিঃদ্রঃ ভুল-ক্রুটি ক্ষমা সুন্দর দুষ্টিতে দেখবেন। প্রায় প্রতিদিন-ই ইমো, হোয়ার্সএপ, এবং ফেসবুকের গ্রুপ ও সরাসরি মেসেজে এই সব কর্মকান্ড দেখে নিজেকে আর নিয়ন্ত্রন করা যায় না।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:৪২

তাওহিদ হিমু বলেছেন: এসব ভিত্তিহীন বানোয়াট আজগুবি গল্পগুলো ধর্মেরই ক্ষতি করে সবার আগে। এগুলো নিম্ন রুচির পরিচায়ক। এসব ভাঁড়ামোর ফলে মূর্খদের ইমান (?) ও ধর্মভীতি বাড়লেও জ্ঞানীসমাজে ধর্মগুলো হাস্যকর বিষয়ে পরিণত হয়। যারা এগুলো প্রচার করে, ইচ্ছে হয় তাদের পেছনে কষে দু'টো লাত্থি মারি!

২| ২১ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:০৬

রাশেদ রাহাত বলেছেন: প্রপুলার পেজগুলো আছে যেকোন ভাবে লাইক বাড়ানোর তালে। এসব নিয়ে একটা পেজ ও দেখলাম না লিখতে।

৩| ২১ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:২৪

হানিফঢাকা বলেছেন: দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, ভাবতেই ভাল লাগে। সবকিছু ডিজিটাল হচ্ছে। আপনি প্রথম যে ঘটনাটা বলেছেন, আজ থেকে ২০-২৫ বছর আগে এই রকম ঘটনা কাগজে লিখে মসজিদের সামনে একজন কে বিলি করতে দেখেছিলাম। সেখানে লিখা ছিল খুব সম্ভবত এই খবরটা ১০০-২০০ ফটোকপি করে সবার মধ্যে বিলি করতে। এখন দেখি সেই একি রকম ঘটনা অনলাইনে চলে আসছে।

৪| ২১ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আসুন,নিজ নিজ ধর্মকে জানি। ধর্মের কুসংস্কার থেকে নিজেকে হেফাজত রাখি। অন্যকেও থাকতে সহায়তা করি।

+++++++++

৫| ২১ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:১৭

রাশেদ রাহাত বলেছেন: আপনি মনে হয় পুরো পোস্ট টা পড়েন নি।।।

আগে ছোট্র বেলা দেখতাম অনেকে A 4 সাইজ কাগজে এরকম লিখে প্রচার করতো এবং তা না করলে বিপদ আসবে বলে অন্যকে দিয়ে প্রচার করানো হত কিন্তু এখন ডিজিটালের মাধ্যমে হচ্ছে। ইন্টারনেটের সুবাদে বিনা পয়সায় বটম টিপে এসব করা হচ্ছে।

কেউ যদি ছোট বেলার সেই কবরের সাপে প্যাচানো পটো দেখে থাকেন। তাহলে আসুন মনে করিয়ে দেই। ওই A4 কাগজে বলা ছিলো "রাসূল সঃ বলেছেন…" দূনিয়াতে পাপ কর্ম অনেক বেড়ে গেছে। দূষ্টদের দমন করতে রাসূল সঃ আবার দুনিয়াতে আসবেন।"
কোন মুসলিম যদি এটা বিশ্বাস করতে শুরু করে যে "কেয়ামতের আগে রাসূল দুনিয়াতে আবার আসছেন। তাহলেই তার চিন্তা ভাবনা সরাসরি কোরআনের বিরুদ্ধে চলে যায়। কেননা, আমরা জানি কেয়ামতের পূর্বে দুইজন আসবেন। "একজন ইমাম মাহাদি ও ঈসা নবী" আর আরেকটা হলো দাজ্জাল। (যদিও দাজ্জাল নিয়ে হিজবুত তাওহীদের লেখা বই "দাজ্জাল" এ ভিন্নমত পোষন করা হয়েছে

৬| ২১ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:১৮

রাশেদ রাহাত বলেছেন: প্লিলইয়াসের জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.