নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাদের হাতে দলীল প্রমান কম তারা গালি দেয় বেশী

.

রাতুলবিডি৪

বলার কিছু নাই

রাতুলবিডি৪ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশের সবচেয়ে উচু সাত পাহাড়ের সাতকাহন : সর্বোচ্চ চুড়া সাকাহাফং বা মদক তং ।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৮:১১



বই পত্র আর ম্যাপে এর নাম মদক তং । ট্রেকাররা ডাকে সাকাহাফং নামে । বাংলাদেশের দক্ষিণ পূর্ব সীমানায় মায়ানমার সাথে দেয়ালের মত দাড়িয়ে আছে মদক রেঞ্জ বা পাহাড়ের সারি । এই পাহাড় সারির মাঝেই আছে দেশের সবচেয় উচু উচু চুড়াগুলো।





গহীণ, দূর্গম , আর কিছুটা বিপদসংকুল হওয়াতে এতে অভিযান চালানো হয়নি বহুদিন। উপরে ছবিতে কেওক্রাডংএর কাছাকাছি একটা এলাকা ঠেকে ডেখা যাচ্ছে চুড়াটিকে। সবার থেকে উচুতে মাথা বের করে আছে । এটাকে দেখা গেলেও এর নাম পরিচয় যোগাযোগ অজ্ঞাত ছিল বৃটিশ অভিযাত্রী জিন জে ফুলেনের অভিযানের আগ পর্যন্ত । ফুলেন সাহেব বিশ্বের শতাধিক দেশের সর্বোচ্চ স্হানে অভিযান চালানো রেকর্ডধারী এক অভিযাত্রী - তার অভিযান পরিক্রমায় চলে এলেন বানলার মাটিতে, আর তারপরই দেশী অভিযাত্রীডের চোখ পরে এই চুড়ায় ।



দেশের সব কটা বড় বড় পাহাড়ের সাথেই তং/ত্ল্যাং-মুয়াল/ময়াল, ডং , ফং কিংবা হুম শব্দ গুলো জুড়ে আছে । ত + ল যুক্ত করে সামুতে আসছে না ! তাই ত্ল্যাং দেখাচ্ছে ! যুক্ত হিসেবে পড়ে নিন ।



পাহাড়ে বসবাসকারী জাতির সংখা অনেক । চাকমা - ত্রিপুরা, মগ / মারমা, মুরং/ম্রো , বোম/কুকী, খুমি - খিয়াং , আরো অনেক অনেক ।

বোম - খুমী - কুকী - খিয়াং ও আরো দুটি জাতি মোট ছয় জাতির আদি নাকি একই। তাই এদের ভাষাও প্রায় এক । এডের ভাষায় এই চুড়ার নাম ক্ল্যাংময় বা সুন্দর পাহাড়। প্রথম দুটি অভিযানে গাইড ছিল লালময় বোম। লালময় এই চুড়ার নাম রেখেছিল ক্ল্যাংময় !



চাকমা - মগ - মুরংরা এর থেকে আলাদা । আবার মগদেরই আরেক নাম মারমা । বই পত্রে লেখা মদক তং নামটা মারমা ভাষায় । মানে মদকের পাহাড়। মুরং - ম্রো একই উচ্চারণের তফাৎ খালি। স্হানীয় মুরং/ম্রো রা এই পাহাড়কে বলে বর্ডার হুম বা বর্ডারের পাহাড় ।



চাকমা আর ত্রিপুরাদের মিল অনেক, সাকাহাফং নামটা ত্রিপুরা ভাষায় যার অর্থ পূবের পাহাড় । প্রথম দিকের অভিযাত্রীরা সব ত্রিপুরা পাড়া শালুকিয়া অবস্হান করে চুড়ায় যেতো । প্রথামদিককার একটি অভিযাত্রী দল এসে এই পাহাড়ের নাম খোজ করলে জানতে পারে পাহাড়ীদের কাছে (ত্রিপুরা) এর কোন নাম নেই ! পাহাড়টা পূবদিকে তাই অভিযাত্রীরা গ্রামবাসীদেরর সাথে আলোচনা করে ঠিক করে এখন থেকে একে পুবের পাহাড় নামেই ডাকা হবে । সেই থেকে এর নাম ত্রিপুরা ভাষায় সাকাহাফং নামেই প্রচার ও প্রসার লাভ করে ।





সর্বোচ্চ চুড়া থেকে দেখা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জ-ত্লং ।





সর্বোচ্চ চুড়া থেকে দেখা তাজিং ডং অনেকটা নীচুতে দেখা যায় ।





সর্বোচ্চ চুড়া থেকে দেখা, দূরে কেওক্রাডং







সর্বোচ্চ চুড়া থেকে দেখা যায় থানচির কাছের পাহাড়গুলো , চিম্বুক রেন্জের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বিন্দু এখানেই ।



সর্বোচ্চ চুড়া থেকে দেখা যায় বিখ্যাত ডিম পাহাড়।





দক্ষিণে মদক রেন্জর সারি সারি পাহাড় ।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:০৭

চাঁদগাজী বলেছেন:

ইন্টারেস্টিং, সুন্দর ছবি।
এখনো দেখার সুযোগ পেলাম না

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:০৪

রাতুলবিডি৪ বলেছেন: ফেসবুকে অনেক গ্রুপ আছে, ট্রিপ এরেঞ্জ করে ।
ট্রাই করে দেখতে পারেন, অনেকেই বেশ হেল্পফুল ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.