নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কথা বলি..... বর্তমানের- কথা বলি ভবিষ্যতের.......

মাই নেম ইজ রেজাউল ইসলাম। এন্ড আই অ্যাম নট এ রাজাকার !!!

মোঃ রেজাউল ইসলাম

আমি নতুন সর্বদা----

মোঃ রেজাউল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

নায়িকা সুচিত্র সেনের পৈতৃক বাড়িঃ জামাত কি দখলদার ?

১৮ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:২৩

গত কাল থেকে কিছু পত্র পত্রিকা আর আওয়ামী পন্থী লোকজন বলে আসছে যে এটা জামাতের হাত থেকে দখল মুক্ত করা হয়েছে। আসলেই কি এটা জামাত বেআইনি ভাবে দখল করেছিল ???



বিবিসি বাংলার এ সম্পর্কিত প্রতিবেদন কিন্তু তেমনটি বলে না।



১৯৪৭ সালে, অর্থাৎ যে বছর ভারত-পাকিস্তান ভাগ, ওই বছর তার বিয়ে হয় এবং স্বামীর সঙ্গে কলকাতায় চলে যান।



১৯৬০ সালে সুচিত্রা সেনের বাবাও তার বাড়িটি জেলা প্রশাসনের কাছে ভাড়া দিয়ে পরিবার নিয়ে কলকাতায় চলে যান।



এরপর দীর্ঘদিন বাড়িটি সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কোয়ার্টার হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছিল।



১৯৮৩ সালে ইমাম গাযযালী ইন্সটিটিউট নামে একটি প্রতিষ্ঠান অর্পিত সম্পত্তি হিসেবে বাড়িটি ইজারা নেয় এবং এখানে একটি কিন্ডার গার্টেন স্কুল চালু করে।

এক পর্যায়ে প্রশাসন বাড়িটির ইজারা বাতিল করলেও ইমাম গাজ্জালি ইন্সটিটিউটের পক্ষ থেকে উচ্চ আদালতে রিট করা হয়।



সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের সম্পাদক রাম দুলাল ভৌমিক বলছেন, উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশে পাবনার জেলা প্রশাসক এই ইজারা বাতিল করেন। কিন্তু তারা হাইকোর্টে রিট করে।

ইমাম গাযযালী ইন্সটিটিউটের সেক্রেটারির দায়িত্বে আছেন পাবনা জেলা জামায়াতের আইনবিষয়ক সম্পাদক আবিদ হাসান।



মি. হাসান অবশ্য বলছেন, তারা যখন বাড়িটি লিজ নেন, তখন তারা জানতেন না যে এটি সুচিত্রা সেনের বাড়ি। সুতরাং এখন সরকার যদি বাড়িটিকে ফিরিয়ে দিতে বলে এবং এখানে সুচিত্রা সেনের নামে কোনো প্রতিষ্ঠান করতে চায়, সেক্ষেত্রে তারা সহযোগিতা করবেন।

তিনি বলে, “সরকার যদি এই মহান শিল্পীর প্রতি শ্রদ্ধা রেখে কোনো প্রতিষ্ঠান করতে চায় আমরা সহযোগিতা করব। আমরাও পাবনার মানুষ। তবে আমাদের একটা আপিল যে, আমাদের এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটা পরিচালনার জন্য সরকার যদি এর আশেপাশে একটা ব্যবস্থা করে দেয়, আমরা বাড়িটা ছেড়ে দিতে রাজি আছি।”



সুচিত্র সেনের স্মৃতিবিজড়িত এই বাড়িটি পুনরুদ্ধার করে এখানে যাতে তার নামে একটি সংগ্রহশালা করা হয়, সেই দাবিতে বিভিন্ন সময়ে মানববন্ধন, চলচ্চিত্র উৎসব ইত্যাদি কর্মসূচি পালন করেছেন স্থানীয়রা।



কোলকাতায় হাসপাতালে সুচিত্রা সেনের পরিস্থিতি নিয়ে খবর প্রকাশের সাথে সাথে সেই দাবি আবারো উঠে আসছে।

বিবিসি বাংলা



আর এখন আইনি লড়াইয়ে সরকারপক্ষ জয়ী হয়েছে। তা বাংলাদেশে সরকার জয়ী হবে এটাই তো স্বাভাবিক। বিশেষ করে যদি জামাতের নাম গন্ধও কোথাও থাকে, তবে তো কথাই নেই ! যাই হোক, আপনার অন্তর বা বিবেক কি বলে সেটা ভিন্ন প্রসঙ্গ। আইনি প্রক্রিয়াতে পূর্ববর্তী সময়ে সরকার যে লিজ দিয়েছিল, সেটা বাতিল হয়ে গেল। বিবিসি বাংলার ভাষায় -



"পাবনার জেলা প্রশাসক কাজী আশরাফ উদ্দিন বিবিসিকে বলেছেন, প্রশাসনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ইমাম গাজ্জালি ইনস্টিটিউট উচ্চ আদালতে গিয়েছিল।



আদালত ইজারা বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল রেখে প্রতিষ্ঠানটির রিট আবেদন খারিজ করে দেয়।



একইসাথে আদালত বাড়িটিকে স্থানীয় প্রশাসনের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেয়।



সেই নির্দেশ অনুযায়ী এখন জেলা প্রশাসন বাড়িটিকে এখন তাদের দায়িত্বে নিয়েছে।



বাড়িটি নিয়ে এখন কী করা হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত সরকার নেবে বলে বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।"



অর্থাৎ জামাত সমর্থিত এই প্রতিষ্ঠান দেশের আইনি বিধিবিধান মেনেই এই লিজ নিয়েছে এবং আইনি প্রক্রিয়া মেনেই যথাযত উপায়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়। আর আদালতের রায় মেনেই এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে জায়গাটি ছেড়ে দিতে হয়। এখানে জামাতকে দখলদার বানিয়ে দেয়াটা বোধয় খুব একটা যুক্তিসঙ্গত নয়।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০০

শেখ মফিজ বলেছেন: "পাবনার জেলা প্রশাসক কাজী আশরাফ উদ্দিন বিবিসিকে বলেছেন, প্রশাসনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ইমাম গাজ্জালি ইনস্টিটিউট উচ্চ আদালতে গিয়েছিল।

তাতে কি বোঝা যায়না বাড়ীটি তাদের অবৈধ দখলে ছিল ।
বাড়ীর মালিক যদি আমাকে উঠে যেতে বলে, আর আমি যদি
আদালতে যাই(যদি আমার উদ্দেশ্য খারাপ খাকে ) তার মানে আমি জোর থাটাচ্ছি ।

১৮ ই জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

মোঃ রেজাউল ইসলাম বলেছেন: না, অবৈধ দখল হলে তো আদালত দখলদারকে শাস্তি দিত। তাদের নামে মামলা হত।

হ্যা, এটা ঠিক যে তারা আদালতে গিয়েছিল কারন, যে প্রক্রিয়ায় প্রশাসনিক সিধান্তে তাদের লিজ বাতিল করা হয়েছে তা তাদের কাছে যথাযত মনে হয় নি।

মাথায় রাখা ভাল, এই ধরনের প্রশাসনিক সিধান্ত বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সরকারের রাজনৈতিক সিধান্তের কারনেই হয়ে থাকে।
সব ক্ষেত্রে কিন্তু এমন সিধান্ত হয় না। উদাহরন, পাবনা শহরে মুক্তিযোদ্ধা জয়ন্ত রায়ের জমি দখল করে বানানো আওয়ামী লীগ অফিসটিও কিন্তু প্রশাসন বাতিল করতে পারত। তবে সেটা তারা করবে না। ক্ষমতাসীনদের অনুগত প্রশাসনের এই চরিত্র তো আর নতুন নয় !!

২| ১৮ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৮:০৪

নিষ্‌কর্মা বলেছেন: ভাই আপনাদের যুক্তির সাথে আইন এক রকমের কথা বলে না। আপনার লেখাতেই আছে
জামাত সমর্থিত এই প্রতিষ্ঠান দেশের আইনি বিধিবিধান মেনেই এই লিজ নিয়েছে এবং আইনি প্রক্রিয়া মেনেই যথাযত উপায়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়

জামাতিরা এই লিজটা জেনেশুনেই নেয় ১৯৮৭ সালে। এরপরে তারা লিজ নবায়ন করেছে। শেষ পর্যন্ত যখন জেলা প্রশাসন তাদের লিজ নবায়ন করে নাই, তখন তারা দখল না ছেড়ে উলটো জেলা প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা করে। লিজ নবায়ন না করার ক্ষমতা জেলা প্রশাসনের নাই, এই কথা এখন আশা করি বলবেন না।

জামাতিরা লিজ জোর করে নবায়ন করতে চেয়েছিল, কিন্তু তা করতে পারে নাই। সে জন্যই মামলা করা। এতো বড় সম্পত্তি তাদের হাত ছাড়া হয়ে যাবে, সেইটাই তারা মানতে পারে নাই। এমন একটা বাড়ি শিবির-প্রজনন কারখানা হিসাবে আল-বদরদের উত্তরসুরীদের হাতে থাকবে, সেইটা স্বাধীন বাঙলাদেশের কোন মানুষই মেনে নিতে পারে না। কেননা জামাতিরা বাঙলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসই করে না। তাদের ইতিহাস বাঙলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধীতার ইতিহাস। সেই ভুলের কোন ক্ষমাও তারা চায় নাই আজ পর্যন্ত।

১৮ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:৪৬

মোঃ রেজাউল ইসলাম বলেছেন: মতামতের জন্য ধন্যবাদ।
আমার দিক থেকে আমি শুধু আইনি বিষয়ে দৃষ্টিপাত করেছি।
জামাতের অতীত বা বর্তমান ইতিহাস আলোচনা, সমালোচনা বা প্রশংসা এখানে খুব একটা প্রাসঙ্গিক নয়।

আর, সরকারে যখন আওয়ামীলীগ, বিচার বিভাগ যেখানে বিপদজনকভাবে সরকারের অনুগত, সেখানে জামাতের কিই বা সাধ্য আছে যে তারা জোর করে একটা জায়গা দখল করে রাখবে !!

তবে হ্যা, বাংলাদেশে কেউই সহজে কোন দখল ছাড়ে না। উদাহরন, পাবনা শহরে মুক্তিযোদ্ধা জয়ন্ত রায়ের জমি দখল করে বানানো আওয়ামী লীগ অফিসটিও কিন্তু প্রশাসন বাতিল করতে পারত। তবে সেটা তারা করবে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.