নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কথা বলি..... বর্তমানের- কথা বলি ভবিষ্যতের.......

মাই নেম ইজ রেজাউল ইসলাম। এন্ড আই অ্যাম নট এ রাজাকার !!!

মোঃ রেজাউল ইসলাম

আমি নতুন সর্বদা----

মোঃ রেজাউল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

ওয়ার্ল্ড জাস্টিস প্রজেক্টের ২০১৪ সালের প্রতিবেদন: কোথায় যাচ্ছে বাংলাদেশ !! ( খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন)

২৬ শে জুলাই, ২০১৪ ভোর ৫:২০

-বিল গেটস ও ডেসমন্ড টুটুদের আশীর্বাদধন্য ওয়াশিংটনভিত্তিক ওয়ার্ল্ড জাস্টিস প্রজেক্টের ২০১৪ সালের প্রতিবেদনটির আদ্যোপান্ত না পড়লে বুঝতেই পারতাম না কোথায় যাচ্ছে বাংলাদেশ।

-আইনের শাসনের সূচকে বাংলাদেশ বিশ্বের ৯৯টি দেশের মধ্যে ৯২তম অবস্থানে নেমে এসেছে।

-অনেকে ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের বৈধতার প্রশ্নেই বুঁদ। কিছু লোক কিছু দেশের সমর্থন পেয়ে এবং বিরোধী দলকে ধরাশায়ী রাখতে পেরেই আনন্দে আটখানা। তাঁরা যত সহজে ক্ষমতাসীন দলের কিংবা মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তির শাসন বোঝেন, তত সহজে কিংবা আদৌ আইনের শাসনের সূচকে বাংলাদেশকে বুঝতে চান না। কিন্তু অন্ধ হলেই প্রলয় বন্ধ হয় না।

-রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দমনের নিরিখে নয়, ওই সূচক তৈরিতে দেখা হয়েছে সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি, উন্মুক্ত সরকার, মৌলিক অধিকার, আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা, আইন ও নিয়মকানুনের কার্যকারিতা, দেওয়ানি বিচার এবং ফৌজদারি বিচারব্যবস্থা।

১। সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহারঃ ৯৯টি দেশের মধ্যে এই ফ্যাক্টরে বাংলাদেশের র্যাঙ্কিং ৮০। তবে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের চেয়েও এক্ষেত্রে আমরা খারাপ, সেটা মানতে কষ্ট হচ্ছে। এ–ও ঠিক, বেসিক ব্যাংকে লুটপাট হয়েছে তো কী হয়েছে, চেয়ারম্যান কি পদত্যাগ করেননি? সাবাস অর্থমন্ত্রী, সাবাস!

২। দুর্নীতিঃ বাংলাদেশ নিচ থেকে পঞ্চম হতে পেরেছে। নির্বাহী বিভাগ, বিচার বিভাগ, সামরিক বাহিনী ও পুলিশ এবং পার্লামেন্ট কী করে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত, তা তারা বিবেচনায় নিয়েছে।

৩। উন্মুক্ত সরকারঃ ৮৫তম অবস্থানে,

চীন ও নাইজেরিয়ার, এমনকি নেপালও বাংলাদেশের চেয়ে ভাল অবস্থানে।

৪। চতুর্থ ফ্যাক্টর মৌলিক অধিকার।ঃ ৮৭তম অবস্থানে

বিবেচ্য হয়েছে জীবনের অধিকার, ব্যক্তির নিরাপত্তা, ডিউ প্রসেস, অভিযুক্তের অধিকার, বাকস্বাধীনতা, ব্যক্তির গোপনীয়তায় হস্তক্ষেপ, সমাবেশের স্বাধীনতা ও মৌলিক শ্রম অধিকার সুরক্ষা।

বাংলাদেশের তার চেয়ে এগিয়ে মালয়েশিয়া, কেনিয়া, ক্যামেরুন, তানজানিয়া, ফিলিপাইন। ভারত দশমিক ৫৪ পেয়ে ৬৩। আর শ্রীলঙ্কা দশমিক ৫৬ পেয়ে ভারতের চেয়ে সাত ধাপ ওপরে।

৫। পঞ্চম ফ্যাক্টর আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তাঃ ৭৬তম অবস্থানে

অপহরণ, চাঁদাবাজি, রাজনৈতিক সহিংসতা, সন্ত্রাস, রাজনৈিতক অস্থিশীলতাকে একটি বিশেষ বিবেচনায় মূল্যায়ন করা হয়েছে। এসবকে কী করে ব্যক্তি বা গোষ্ঠী তার ক্ষোভ নিরসন বা প্রতিকারের উপায় হিসেবে ব্যবহার করেছে, সেটা বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে এই সমীক্ষায়। পুলিশ ও ফৌজদারি বিচারব্যবস্থার প্রতি আস্থা হারানো বাংলাদেশ কী করে সামাল দিচ্ছে, সেটাই এতে ফুটে উঠছে। কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন কিংবা সম্পত্তি দখল বা অন্য যেকোনো ধরনের বিরোধ মেটাতে মানুষ পারতপক্ষে পুলিশ বা আদালতে ছোটে না।

মিয়ানমার দশমিক ৭২ পেয়ে ৬০ আর কামড়ে দিয়ে আলোচিত তারকা সুয়ারেজের উরুগুয়েও ৬৪তম, কমিউনিস্ট চীন ২৯তম আর দশমিক ৮৭ পেয়ে মালয়েশিয়া শীর্ষ ১২-তে পৌঁছে গেছে।

** ক্ষমতাসীনদের মিত্ররা প্রায়ই প্রবৃদ্ধি আর তাগড়া বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের গল্প শোনান। কিন্তু তাঁরা তুলনামূলক গল্প বলতে ভুলে গেছেন। আইনের শাসনের এই সূচক সম্পর্কে তাঁরা কিন্তু নীরব রয়েছেন।

৬। রেগুলেটরি এনফোর্সমেন্টঃ নিচের দিক থেকে নবম

আধুনিক সমাজব্যবস্থায় সরকারি বিধিনিষেধ আরোপ করা হয় এই আশায় যে জনগণের স্বার্থ ব্যক্তির স্বার্থের কাছে পরাস্ত হবে না। কিন্তু এখন এর জয়জয়কার চলছে। জাতীয় অর্থনীতির বহু খাত রয়েছে, যেখানে ব্যক্তি সমষ্টির স্বার্থকে জিম্মি করে রেখেছে। এই র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থা শোচনীয়দের দলে। এটা দেখে আমরা তাই অবাক হই না। ।

** বিএনপি ও এক-এগারোর লোকেরা আর যা-ই করুক, তারা তো আর বাংলাদেশকে জাফনা বানিয়ে যায়নি। তাহলে এত যে উন্নয়নের নহর ও উন্নয়নের নিনাদ, সেটা এই সমীক্ষায় ফুটে উঠল না কেন?

৭। দেওয়ানি বিচারঃ

একটি শক্তিশালী বিচার বিভাগ কোনো ব্যক্তির, সরকারি কিংবা রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন থেকে নাগরিককে সুরক্ষা দেবে। আওয়ামী লীগের গত শাসনকালে বিচার বিভাগ এমন ভূমিকা রেখেছে, যাতে তার স্বাধীনতার রূপ দেখে নির্বাহী বিভাগ মুগ্ধ হয়েছে। তার চোখ দেখে আমরা বুঝেছি যে তার চোখ ধাঁধিয়ে গেছে। অথচ এই সূচকে বাংলাদেশের অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে। দশমিক ৩৬ নম্বর পেয়ে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশটা গুয়াতেমালা ও পাকিস্তানের সমান্তরালে পৌঁছে গেছে। দশমিক ৩৪ পেয়ে ক্যামেরুন, বলিভিয়া ও কম্বোডিয়া একই কাতারে। আর দশমিক ৩৩ পেয়ে ভেনেজুয়েলা ৯৮তম ও দশমিক ২৭ পেয়ে আফগানিস্তান ৯৯তম অবস্থানে রয়েছে।

৮। সবশেষ ফ্যাক্টর হলো ফৌজদারি বিচারব্যবস্থাঃ আমাদের অবস্থান ৯৪

আমাদের ফৌজদারি বিচারব্যবস্থাকে বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে দেখার সুযোগ এনে দিয়েছে এই সূচক। ডব্লিউজেপির এই প্রতিবেদন বলেছে, একটি কার্যকর ফৌজদারি ব্যবস্থায় পুলিশ, প্রসিকিউটর, আইনজীবী, বিচারক এবং কারা কর্মকর্তাদের জন্য প্রযোজ্য নীতি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, তঁারা মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে অপরাধ প্রতিরোধ এবং ফৌজদারি অপরাধ মোকাবিলায় সার্মথ্যবান থাকবে। এর আগে এই ব্যবস্থায় দুর্নীতির কথা জেনেছিলাম। বাংলাদেশের অধঃপতন এখানে চরমে। অথচ এটাই আসল বিচারিক আদালত। এখানে আমাদের অবস্থান ৯৪।

আমরা এই ফ্যাক্টরে বলিভিয়া, মেক্সিকো, আফগানিস্তান ও কম্বোডিয়ার সঙ্গে আছি। এদক্ষিণ এশিয়ায় ফৌজদারি বিচারব্যবস্থার সূচকে বাংলাদেশ নিকৃষ্টতম।

=========================



***

বিবিধঃ



## প্রতিবেদন স্পষ্টতই বলেছে, ‘আইনের শাসনের বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বাংলাদেশের ঘাটতি আছে। পুলিশ ও সামরিক বাহিনীর মধ্যকার দুর্নীতিতে দেশটির র্যাঙ্কিং ৯৫।’



## সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহারে গোটা দক্ষিণ এশিয়ায় তার অবস্থান সবার নিচে।



## প্রশাসনিক এজেন্সিগুলো ও আদালত অদক্ষ এবং তারা দুর্নীতি ও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের দ্বারা প্রভাবিত।



## এই সমীক্ষায় বাংলাদেশ যেখানে সবচেয়ে ভালো করেছে, সেটা হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তায়। বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে ৭৬ !!



## সবচেয়ে উদ্বেগজনক সূচক হলো ব্যক্তিগত সমস্যা মেটাতে সহিংসতার ব্যবহার। অন্য নিম্ন আয়ের দেশগুলোর তুলনায় সম্পদের অধিকার সুরক্ষা শক্তিশালী থাকার কথা উল্লেখ করে এতে বাংলাদেশের প্রশংসাও আছে !!



(এই লেখাটি edited)



সুত্র-মিজানুর রহমান খান: সাংবাদিক৷

(প্রথম আলো)

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জুলাই, ২০১৪ ভোর ৫:৪৩

নতুন বলেছেন: ভুল তো কিছু দেখিনা... চারিদিকে তো এই ছবিই দেখাযায়///

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.