নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কথা বলি..... বর্তমানের- কথা বলি ভবিষ্যতের.......

মাই নেম ইজ রেজাউল ইসলাম। এন্ড আই অ্যাম নট এ রাজাকার !!!

মোঃ রেজাউল ইসলাম

আমি নতুন সর্বদা----

মোঃ রেজাউল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

শেখ কামালকে নিয়ে যত বিতর্ক। // সে কি সত্যই ব্যাংক ডাকাত ??

০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:০৩





"শেখ কামাল ভবিষ্যতে বঙ্গবন্ধুর রাজনীতির উত্তরাধিকার গ্রহণ করতে পারেন- এই সম্ভাবনা থেকে চক্রান্তকারীর দল রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে যোগ দেওয়ার আগেই তাঁরও চরিত্র হননের অভিযান শুরু করে। ব্যাংক ডাকাতিতে জড়িত হয়ে শেখ কামালের গুলিবিদ্ধ হওয়ার গল্প এই চরিত্র হনন অভিযানেরই একটি অংশ ছিল।

আসল ঘটনাটি ছিল, বঙ্গবন্ধুর সরকারের আমলে জাসদের একটি হঠকারী অংশ এবং তখনকার চীনপন্থী কিছু স্প্লিন্টার্স সন্ত্রাসী গ্রুপ দেশের চারদিকে, এমনকি রাজধানী শহরেও সন্ত্রাস ছড়িয়ে বেড়াচ্ছিল। সে রাতে গুজব রটেছিল, সন্ত্রাসীরা ঢাকার মতিঝিল এলাকায় তৎপরতা চালাবে। খবরটি জেনে শেখ কামাল তাঁর কয়েকজন সহকর্মীসহ মতিঝিল এলাকায় টহল দিতে গিয়েছিলেন। পুলিশও বেরিয়েছিল সন্ত্রাসীদের দমনের জন্য। রাতের অন্ধকারে কামালের গাড়িকেই সন্ত্রাসীদের গাড়ি ভেবে পুলিশ গুলি চালায়। তাতে শেখ কামাল গুরুতর আহত হন। চিকিৎসকরা প্রাণপণ চেষ্টা করে তাঁর জীবন রক্ষা করেন।" আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী, //শেখ কামাল আজ যদি বেঁচে থাকতেন...// (কালের কণ্ঠ )05 August 2014

--------------------------------------------------------------

***

তাহলে এটা জানা গেল যে, ঘটনা একটা ঘটেছে এবং কামাল গুরুতর আহতও হয়েছিল। তা এই যে ''শেখ কামাল তাঁর কয়েকজন সহকর্মীসহ মতিঝিল এলাকায় টহল দিতে গিয়েছিলেন'', কেন ওনাকেই যেতে হল !! আর গেলেন তো পুলিশ বা রক্ষী বাহিনীকে inform না করে গেলেন কেন?? এই সব প্রশ্ন তো উঠবেই।

আমিও সত্য জানতে চাই। কিভাবে যে জানি !!

===============================

শেখ কামালকে নিয়ে অনেকেই অনেক কিছু বলে। তার কিছু কিছু এখানে তুলে ধরব। কোন incorrect information থাকলে জানাবেন। এই সব তথ্য Social media এবং Blog থেকে নেয়া। কাজেই, কেউ কেউ রাজনৈতিক বিদ্বেষ থেকেও এ ধরনের তথ্য দিতে পারে।

১। ... ".. আমি (ড:) কামালের বসার ঘরে ঢুকে শেখ সাহেবের পাশেই সোফায় বসলাম। তিনি আগে থেকেই অনেক কথা বলছিলেন। তাঁকে কিছুটা উত্তেজিতও মনে হচ্ছিলো। কালো গাউন পরা উকিলদের বিরুদ্ধে তিনি অনেক কিছু বলছিলেন। কারণ ঐ দিন ঢাকা হাইকোর্টের দেড়শো-দুশো উকিলের এক বিবৃতি শেখ সাহেবের জ্যোষ্ঠ পুত্র শেখ কামাল কর্তৃক মাহমুদ আলীকে অপহরণ এবং আবাহনী ক্লাবে আটক রাখার বিরুদ্ধে সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছিল। শেখ কামালের এই অপহরণের বিরুদ্ধে তখন শুধু উকিলরাই নয়, অনেক মহল থেকে জোর প্রতিবাদ ও সমালোচনা হয়েছিল॥" - বদরুদ্দীন উমর / আমার জীবন (তৃতীয় খন্ড)

২। “আমি কোন গুরুত্বপূর্ণ মানুষ ছিলাম না। আমি শুধু লিখতাম এবং কথা বলতাম, সব সময়ে অসংকোচে কথা বলতাম। আমি রাতে থাকব কোথায়, পরের বেলা খাবার জোটাব কি করে তারও কোন নিশ্চয়তা ছিল না। তবু বিপদে পড়ে গেলাম। কি করে যে প্রচার হয়ে গেছে যে আমি শিক্ষক-সাংবাদিকদের যোগ না দেয়ার জন্য প্রচার কার্য চালাচ্ছি। এই খবরটা শেখ সাহেবের বড় ছেলে শেখ কামালের কানে যথারীতি পৌঁছায়। শুনতে পেলাম তিনি আমাকে শাস্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন। আমার অবস্থা হল ফাঁদে ধরা পশুর মত। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন কোন বন্ধু-বান্ধবের বাসায় গিয়ে একটা নিষ্ঠুর অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হই। একজন তো বলেই দিলেন, ভাই আমরা বউ ছেলে নিয়ে বসবাস করি। তোমাকে বাসায় বসতে দিতে পারব না। তোমার নামে নানা গুজব। তোমার সঙ্গে সম্পর্ক আছে জানলে বিপদে পড়তে পারি।

আমি চৌদ্দই আগস্ট সন্ধেবেলার কথা বলছি। একজন ভগ্নিস্থানীয়া হাউজ টিউটরের বাসায় গিয়ে হাজির হই। আমার বিশ্বাস ছিল তাঁর কিছু উপকার করেছি। আমি খাইনি এবং কিনে খাওয়ার পয়সা নেই। লাজশরমের মাথা খেয়ে তাঁকে কিছু খাবার দিতে বলি। মহিলা পলিথিনের ব্যাগে কিছু মোয়া দিয়ে বললেন, ছফা ভাই, এগুলো পথে হাঁটতে হাঁটতে আপনি খেয়ে নেবেন। আপনাকে বসতে দিতে পারব না।

তাঁর বাসার বাইরে এসে কি ধরনের বিপদে পড়েছি পরিস্থিতিটা আঁচ করতে চেষ্টা করলাম। বলতে ভুলে গেছি কার্জন হলে না কোথায় দুটো বোমা ফুটেছে। আমার নিশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল। সে সময়ে আমার বন্ধু অরুণ মৈত্র আমার সঙ্গে ছিলেন। অরুণ ‘ইস্টল্যান্ড’ নামে একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থাতে কাজ করতেন। অরুণের সঙ্গে হেঁটে হেঁটে বলাকা বিল্ডিংয়ের কাছাকাছি আসি। অরুণ আমাকে বললেন, সময়টা আপনার জন্য অনুকূল নয়। আপনি কোন নিরাপদ জায়গায় চলে যান। পরামর্শটা দিয়ে অরুণ বাসায় চলে গেলেন।

উদ্দেশ্যহীনভাবে আমি বলাকা বিল্ডিংয়ের পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলাম। ওমা কিছু দূর যেতেই দেখি একখানা খোলা জিপে সাঙ্গপাঙ্গসহ শেখ কামাল। একজন দীর্ঘদেহী যুবক কামালের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলল, দেখ কামাল ভাই, আহমদ ছফা যাচ্ছে। কামাল নির্দেশ দিলেন, হারামজাদাকে ধরে নিয়ে আয়। আমি প্রাণভয়ে দৌড়ে নিউ মার্কেটের কাঁচা বাজারের ভেতর ঢুকে পড়ি। যদি কোনদিন স্মৃতিকথা লিখতে হয়, এই পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি বিশদ করে বর্ণনা করব।”। (ছফা, খ. ৭, পৃ, ১৪১) ..ছফামৃত,নূরুল আনোয়ার।

৩।

(Click This Link) Salam Khandaker শেখ কামাল সম্পর্কে এক কমেন্টে বলেন, '' if you want to find out the truth about SHEKH KAMAL. Go to C.I.D (I don't know what they call this department now) department and pull out all 1972 to 1975 bank robbery case status and take those home and study. Also, go to "SHAVAR" and talk to old politician people(EMU MAMA,1972MP, GAURA VAI FAMILLY,PANNA VAI FAMILLY ETC, JAGODISH DADA ETC). My father was in C.I.D DEPARTMENT and you will find some of the case under his supervised. If you want to know his(father) name. Please don't hesitate to ask me but please don't be sweet talker and try to cover up the truth. I don't hate SHEKH KAMAL but when I try to love him because of some of his good work, I CANT."

উপরের কথা গুলোর সারমর্ম করলে দ্বারায়, সালমান সাহেবের বাবা সে সময় একজন CID কর্মকর্তা ছিলেন। এবং তিনি সম্ভবত শেখ কামাল সম্পর্কে কিছু তথ্য জানেন। সালমান সাহেব আরও বলেন, সত্য জানতে আমদের উচিৎ সে সময়ের সাভারের কিছু MP এবং কিছু পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা। তার বক্ত্যব্যে মনে হয়, তিনি ব্যাক্তিগত বা পারিবারিক সুত্রে প্রাপ্য তথ্য থেকে শেখ কামালের 'evil nature' সম্পর্কে খুবই ওয়াকিবহাল।

৪। সাংবাদিক গোলাম মুর্তজা তার facebook পেজে অবশ্য এই ব্যাক ডাকাতিকে 'মিথ' এবং 'অপপ্রচার' বলেই তথ্য পেয়েছেন বলে জানান।

Golam Mortoza, (4 August at 21:49)

----------------------------------------------

শেখ কামাল এবং ব্যাংক ডাকাতি প্রসঙ্গ (গোলাম মোর্তোজা)

''......দেশের মানুষের বড় একটি অংশের কাছে শেখ কামালের পরিচিতি, তিনি ব্যাংক ডাকাতি করেছিলেন।

সরকার যে কাজগুলো ঠিক করে না, আমরা সব সময়ই তার সমালোচনা করি। তীব্র সমালোচনা করি। যা সরকার, সরকার সমর্থকরা কখনোই ভালো ভাবে দেখেন না। বেতার, টেলিভিশনের সাম্প্রতিক নীতিমালা, যা মন্ত্রীসভা অনুমোদন করলো, তার সমালোচনা করে ইতিমধ্যে লিখেছি, বলেছি। বলা, লেখা অব্যাহত থাকবে।

কিন্তু যা সত্যি নয়, যার কোনো তথ্য প্রমাণ ভিত্তি নেই, সেই সব বিষয়ের ক্ষেত্রে সত্যটা বলা নৈতিক কর্তব্য মনে করি।

শেখ কামাল মুক্তিযোদ্ধা,মুক্তিযুদ্ধের নয় মাস জেনারেল ওসমানীর সঙ্গে কাজ করেছেন ৷ স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন,নানা জটিলতা নিরসনে তার গরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল ৷ এসব তথ্য তেমন একটা প্রচারে আসে না,তাই জনমানুষ ভালোভাবে তা জানেনও না ৷ শেখ কামাল আবাহনী ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা,বাংলাদেশে আধুনিক ফুটবল চিন্তার প্রবর্তক,প্রথম বিদেশী কোচ উইলিয়াম বিল হার্টকে আবাহনীতে নিয়ে আসা,আবাহনীর গতিময় ফুটবল-তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন...তার আংশিক জানি ৷

শেখ কামাল সম্পর্কে জনমানুষ বিশদভাবে জানেন,তিনি ব্যাংক ডাকাতি করেছেন ৷ মেজর ডালিমের বউকে উত্তক্ত করেছেন,তুলে নিয়ে গেছেন ইত্যাদি ৷ বিশেষ করে ব্যাংক ডাকাতির বিষয়টি মানুষ শুধু জানেন না,বিশ্বাসও করেন ৷ মুক্তিযোদ্ধা ,সম্পাদক শাহাদত চৌধুরীর সঙ্গে বিচিত্রায় কাজ করার সুবাদে বিভিন্ন সময়ে শেখ কামালের অনেক বন্ধুর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলার সুযোগ হয়েছে ৷ কথা বলার সুযোগ হয়েছে এমন অনেকের সঙ্গে,যারা তার বন্ধু নন-কিন্তু শেখ কামালকে চিনতেন,জানতেন খুব ভালো করে ৷ এদের অনেকে এখনও জীবীত,দূ'একজন বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ৷ মন্ত্রীও ছিলেন ,ছিলেন শেখ কামালের ঘনিষ্ট বন্ধু।

সবারই পরিস্কার বক্তব্য,ব্যাংক ডাকাতির মত কোনো কাজ শেখ কামাল করেন নি ৷

তাহলে এত বড় একটি দায় তার উপর চাপানো হলো কেন ?

সাংবাদিক অঘোর মন্ডল বিষয়টি নিয়ে বেশ কিছু কাজ করেছেন ৷ কাজ করেছেন ক্রীড়া সাংবাদিকে জাহিদ রহমান।

কোথাও শেখ কামালের ব্যাংক ডাকাতির তথ্যের সত্যতা পাওয়া যায় না ৷ শেখ কামালের জীবীত বন্ধুরা এবিষয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলেন না ! জনমানুষের বিশ্বাসে পরিনত হওয়া ভুল ভাঙ্গানোর ক্ষেত্রে তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা প্রত্যাশিত ছিল ৷ তারা সেই দায়ীত্ব পালন করেন নি,করছেন না ৷

আমি মনে করি দোষ-গুণ মেলানো একজন মানুষই ছিলেন শেখ কামাল ৷ নির্মোহ মূল্যায়নে তার দোষ,আচরনগত ত্রুটি স৷মনে আসলে সেটা খারাপ কিছু নয় ৷ কিন্তু তিনি যে কাজ করেন নি,সেই ব্যাংক ডাকাতির দায় তার ওপর চাপানো-নির্মম অন্যায় ৷ শুধুমাত্র রাজনৈতিক সুবিধা নেয়ার জন্য,এতটা অন্যায় একজন মুক্তিযোদ্ধার সঙ্গে করা ঠিক না বলে আমি বিশ্বাস করি ৷"

৫।

(একজন ব্লগার এই লেখাটি লিখেছেন। সত্যতা আমি জানি না। আপনারা বলেন বিষয়টা সত্যতা কতটুকু। Click This Link)

১৯৭৪ সালের এক বিকেল। মিতু নিউমার্কেট গেল শপিং করতে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাত্র অনার্স শেষ করেছে। বয়স ২৩/২৪। অসাধারন সুন্দরী। বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। মিতুর বাবা ৪৭ সালে ভারত থেকে বাংলাদেশে মাইগ্রেট করেন। খুব ধনী পরিবার। শিপিং বিজনেস। জুট এক্সপোর্ট তাদের মেইন বিজনেস। একজন সত্যিকার বাংলাদেশি। স্বাধীনতা চাইতেন মন থেকেই। সেই সময় আওয়ামী লীগকে ২ কোটি টাকা ডোনেটও করেন।

মিতুর দিকে দৃষ্টি পড়ে শেখ কামালের। শেখ কামাল তখন পরিচিত ছিল 'কিং কোবরা' হিসেবে। rape was very common factor for him। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি রুম বরাদ্ধ ছিল শুধু এই কাজের জন্য। মেয়েরা বাধ্য হত সেই রুমে ঢুকতে। কে চায় মারা যেতে ? কে চায় তার পরিবারকে ধংস হতে দেখতে? শেখ কামালের একটি গ্যাং ছিল এই কাজের জন্য। সেই সময় এই গ্যাং ফেমাস ছিল। তাদের ফান করার স্হান ছিল আবাহনী ক্লাব। কারা ছিল গ্যাং এ ? বর্তমানের বেক্সিমকো গ্রুপের মালিক সালমান এফ রহমান, এসপি মাহবুব ছিল এই গ্যাং এর কী পারসন। মাহবুব মুন্সিগন্জের and he was the head of killer force.

মিতুকে শেখ কামাল এবং তার গ্যাং তুলে নেয় নিউমার্কেট থেকে। প্রথমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, পরে আবাহনী ক্লাব। মিতু গ্যাং রেপের শিকার হয়।

এই ঘটনা শুনে শেখ মুজিবের মন্তব্য ছিল "that is why i have made BAKSAL"

ঘটনার পর মিতু এবং তার পরিবার সমস্ত বাংলাদেশিকেই ঘৃনা করতে শুরু করে। কানাডাতে চলে যায় তারা। মন্ট্রিলে আছে বর্তমানে। মিতু বিয়ে করে একজন পাকিস্হানীকে। তারা আর কখনোই বাংলাদেশে ফিরে আসেনি। কোন বাংলাদেশির সাথে যোগাযোগও রাখেনি।

শেখ মুজিব তার ছেলের বিচার করেনি। বাংলাদেশের জনগন সেই বিচার করেছে ১৫ আগষ্ট। আর সালমান এফ রহমানের বিচার করেছে আল্লাহ। তার একমাত্র মেয়ে প্রায় ৮ বছর আগে ইংল্যান্ডে পড়াশোনা করত যখন, মাতাল অবস্হায় গ্যাং রেপ হয় তারপর বাঁচতে গিয়ে ৮তলা থেকে লাফ দিয়ে মারা যায়।

উপরে শেখ কামালের একটি মাত্র ঘটনা জানা গেল। আরো কত এমন ঘটনা লোকচক্ষুর আড়ালে লুকিয়ে আছে.....!!

বিঃদ্রঃ 'মিতু' ছদ্ম নাম হিসাবে দিলাম। আসল নাম দিলে বাংলাদেশের অনেকেই চিনে ফেলবে কারন মিতু বাংলাদেশের এক বনেদী পরিবারের সন্তান। বর্তমানে তিনি বৃদ্ধা, পুত্র-কন্যা নাতি নাত্নিদের নিয়ে প্রবাসে দিন পার করছেন। কিছু সময় সোস্যাল মিডিয়াতে লেখালেখি করেন। তার সাথে আমার ইনবক্সের দীর্ঘ আলাপের আংশিক হুবুহু এবং কিছু অংশ এডিট করে দিলাম। লেখাটা তার অনুমতি সাপেক্ষে প্রকাশ করলাম।

৬। শেখ কামাল সেদিন আড্ডা দিচ্ছিলেন কয়েক বন্ধুকে নিয়ে। রাত তখন আনুমানিক ৯টা কি সাড়ে ৯টা। আজকের বেঙ্মিকো গ্রুপের অন্যতম কর্ণধার সালমান এফ রহমান যিনি কিনা শেখ কামালের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন, ফোন করলেন হঠাৎ করেই। অর্থাৎ সেই রাতে। জানালেন নতুন একটি ভঙ্ ওয়াগন কোম্পানির মাইক্রোবাস কিনেছেন। টেলিফোনের এ প্রান্তে শেখ কামাল খুশিতে লাফ দিয়ে উঠলেন এবং সালমান রহমানকে অনুরোধ করলেন গাড়িটি একটু পাঠিয়ে দেওয়ার জন্য। উদ্দেশ্য নতুন গাড়িতে চড়ে ঢাকা শহরটি একটু চক্কর দেওয়া। অনুরোধমতে গাড়িটি এলো রাত আনুমানিক ১০টার দিকে। উপস্থিত বন্ধুরা শেখ কামালকে প্রস্তাব করলেন পুরান ঢাকার চিনুর বিরিয়ানির দোকানে গিয়ে বিরিয়ানি খাওয়ানোর জন্য। যেই কথা সেই কাজ, শেখ কামাল আরও দু-তিন বন্ধুকে ফোন করলেন এবং ফোন করলেন বিএনপির মন্ত্রী টুকুও। তিনি প্রথমে অস্বীকার করলেন। কিন্তু নতুন ভঙ্ ওয়াগন গাড়িতে চড়া এবং চিনুর বিরিয়ানির লোভ সামলাতে পারলেন না। বললেন যাওয়ার সময় এলিফ্যান্ট রোডে তার বাসার সামনে থেকে তাকে তুলে নেওয়ার জন্য। রাত সাড়ে ১০টায় এলিফ্যান্ট রোড থেকে তাকে তুলে শেখ কামাল ও তার বন্ধুরা কাকরাইল, জোনাকী সিনেমার সামনের রোড দিয়ে ফকিরের পুল হয়ে গুলিস্তান এবং গুলিস্তান হয়ে বংশাল যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন। অর্থাৎ রাতের নিরিবিলি ঢাকায় নতুন গাড়িতে চড়ার আনন্দ উপভোগ। এভাবেই তারা কাকরাইল মোড় পর্যন্ত এগোলেন। বিপত্তি বাধল মোড় পার হওয়ার পরই।

....................................বীর মুক্তিযোদ্ধা এসপি মাহবুব উদ্দিন আহমদ তখন পুলিশের কয়েকটি টিম পরিচালনা করতেন। গণবাহিনী এবং নকশালদের দমন করার জন্য এসপি মাহবুবের টিমগুলোর আবার পরিচিতি হতো টিম লিডারের নামানুসারে, একটি টিমের নাম ছিল 'কিবরিয়া বাহিনী'। আমরা যে রাতের কথা বলছি সেই রাতে কাকরাইল পল্টন এলাকায় টহলের দায়িত্বে ছিল এই কিবরিয়া বাহিনী। তারা সাদা পোশাকে সশস্ত্র অবস্থায় প্রাইভেট গাড়িতে ঘুরত মূলত গণবাহিনী বা নকশালীদের ধরার জন্য। সন্দেহভাজন কাউকে দেখলেই চ্যালেঞ্জ করত এবং ক্ষেত্রবিশেষে গুলি চালাত।

শেখ কামাল ও তার বন্ধুরা যখন কাকরাইল মোড় পার হলেন তখন সামনে একটি প্রাইভেট কারে কয়েকজন সশস্ত্র লোককে দেখতে পেলেন। তারা মনে করলেন প্রাইভেট কারটি হয়তো গণবাহিনীর গুণ্ডাদের বা নকশালীদের। মাইক্রোবাসটি প্রাইভেট কারের চেয়ে উঁচু এবং উজ্জ্বল হেড লাইটের কারণে শেখ কামাল ও তার বন্ধুরা গাড়ির আরোহীদের দেখতে পাচ্ছিলেন। অন্যদিকে গাড়ির আরোহী সাদা পোশাকধারী পুলিশের কথিত কিবরিয়া বাহিনীর সদস্যরা মাইক্রোবাসের উচ্চতার কারণে ভেতরের আরোহীদের দেখতে পাচ্ছিলেন না। কাকরাইল মোড় পার হয়ে শেখ কামালদের গাড়ি যখন নাইটিঙ্গেল রেস্তোরাঁ অতিক্রম করছিল তখন তাদের তারুণ্যময় অ্যাডভেঞ্চারে পেয়ে বসল। তারা মনে করলেন সামনের গাড়িটি গণবাহিনী বা নকশালীদের। ভুলে গেলেন চিনুর বিরিয়ানির কথা। ভাবলেন কোনোমতে যদি ওই সন্ত্রাসীদের ধরা যায় তাহলে সারা দেশে হয়তো একটি ধন্য ধন্য রব পড়ে যাবে। তারা গাড়িটি ধাওয়া করলেন। রাত তখন ১১টা। অন্যদিকে প্রাইভেট কারে বসা কিবরিয়া বাহিনীর সদস্যরা মাইক্রোবাসের আরোহীদের মনে করলেন গণবাহিনীর সন্ত্রাসী। পুলিশের গাড়ি হঠাৎ মতিঝিল থানার মধ্যে ঢুকে পড়ল। তাদের অনুসরণ করে শেখ কামাল ও তার বন্ধুরাও মতিঝিল থানা কম্পাউন্ডে ঢুকে পড়লেন। এরপর পুলিশ সদস্যরা গাড়ি থেকে নেমে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে লাগলেন মাইক্রোবাসে বসা শেখ কামাল ও তার বন্ধুদের ওপর। সবাই মারাত্দক জখম হলেন কেবল বিএনপির এই নেতাটি ছাড়া। এরই মধ্যে পুলিশ বাহিনী যখন বুঝতে পারল আসল ঘটনা তখন আহতদের সঙ্গে সঙ্গে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলো।......."

*** উপরের ঘটনার কোন reference অবশ্য লেখক দেন নি। লেখার লিঙ্কঃ Click This Link

৬। মেজর জেনারেল মইন তার “এক জেনারেলের নীরব সাক্ষ্য : স্বাধীনতার প্রথম দশক” বইতে স্বাধীনতাত্তোর অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে নানা তথ্য দেন। তিনি লিখেন, ১৯৭৩ সালের বিজয় দিবসের আগের রাতে ঢাকায় গুজব ছড়িয়ে পড়ে, সিরাজ শিকদার তার দলবল নিয়ে এসে শহরের বিভিন্নস্থানে হামলা চালাতে পারেন। এ অবস্থায় সাদা পোশাকে পুলিশ গাড়ি নিয়ে শহরজুড়ে টহল দিতে থাকে। সর্বহারা পার্টির লোকজনের খোঁজে শেখ কামালও তার বন্ধুদের নিয়ে মাইক্রোবাসে করে ধানমন্ডি এলাকায় বের হন। সিরাজ শিকদারের খোঁজে টহলরত পুলিশ মাইক্রোবাসটি দেখতে পায় এবং আতংকিত হয়ে কোনো সতর্ক সংকেত না দিয়েই গুলি চালায়। শেখ কামাল ও তার বন্ধুরা গুলিবিদ্ধ হন। গুলি শেখ কামালের কাঁধে লাগে। তাকে তখনকার পিজি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

৭। মেজর ডালিম //বাংলাদেশের ইতিহাসের না বলা সত্যকে জানুন// http://www.majordalimbubangla.com/48.html//

"

শেখ কামাল প্রধানমন্ত্রীর জেষ্ঠ পুত্র ব্যাংক ডাকাতির চেষ্টা করে

১৯৭৩ সালের শেষের দিকে দেশের আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটে। নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় অবস্থা। সেই সময় ব্যাংক ডাকাতি করতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে আহত হয় শেখ কামাল।

১৯৭৬ সালের শেষ নাগাদ দেশের আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটে। দেশে বিশৃংখলা সরকারের হাতের বাইরে চলে যায়। প্রশাসনিক দায়িত্বে নিযুক্ত লোকজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির কিচ্ছা-কাহিনী তখন প্রায় প্রতিদিনই খবরের কাগজে ছাপা হচ্ছিল। জনগণ খোলা দুর্নীতি ও লুটপাটের বিরোধিতা করছিল। দ্রব্যমূল্যের ক্রমবর্ধমান উর্দ্ধগতি দৈনন্দিন জীবন সামগ্রী সাধারণ মানুষের ধরা ছোঁয়ার বাইরে গিয়ে দাড়িয়েছিল। জীবনধারণের নুন্যতম প্রয়োজন মেটাতে জনগণের তখন নাভিশ্বাস অবস্থা। এই অবস্থায় সরকার ৬৩ কোটি টাকার নোট ছাপিয়ে বাজারে ছাড়লো। এতে মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে গেল। ঐ নৈরাজ্যিক সময়ে এক লোমহর্ষক ব্যাংক ডাকাতি সংঘঠিত হয় রাজধানী ঢাকায়। প্রকাশ্য দিবালোকে পুলিশ ধাওয়া করে ডাকাতদের। ধাওয়াকালে দু’পক্ষেই গুলি বিনিময় হয়। ৬ জন ডাকাত ধরা পড়ে। এই ৬ জনের একজন ছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবর রহমানের জেষ্ঠ পুত্র শেখ কামাল। শেখ কামালসহ কয়েকজন দুস্কৃতিকারী আহত হয় পুলিশের গুলিতে। কিন্তু পুলিশের বিবৃতিতে পরে বলা হয়, “দুস্কৃতিকারীদের ধাওয়াকালে দুর্ঘটনাক্রমে শেখ কামাল ও তার সঙ্গীরা পুলিশের গুলিতে আহত হয়।” "

৮। Golam Mostafa not Sheikh Kamal hijacked Dalim

''Sheikh Kamal used to travel around the city in open jeep with cadres chasing his rivals but it is a mistaken idea that Sheikh Kamal hijacked Dalim. It was Golam Mostafa, Sheikh Mujib's "Kombol chor" and his goons who hijacked Dalim from Dalim's causin's wedding party. Golam Mostafa and his goons hijacked Dalim and Dalim's wife and GM wanted to take them to the rakkhi bahini headquarter in Shere Banglanager where many people were known to have lost their lives from BKSHALLI torture. On their way, the decision was changed and Dalim was taken to Mujib's Dhanmondhi house and Mujib promised the injured Dalim and his wife to punish Golam Mostafa but Mujib the founder of cadre politics in Bangladesh defying the chief of stuff Shafiullah's request asked him to dismiss Dalim and Shaharier from their jobs ending their military career. After this event, Dalim and his friends found ther career in something else, to end the one party BKSAL dictatorship and Mujib's career.

Note: Sheikh Kamal wanted to hijack Sheraj Sikder who was returning from Chittagong''.

References:

-Major Dalim’s, My self and my wife were kidnapped by Gazi Golam Mustafa-;

http://www.majordalim.com/h4p16.htm , Quoted in Abid Bahar's book Searching for Bhasani, Citizen of the world, 2010., p. 235.

- Click This Link. ; Abu Syed

Choudhury, Tajuddin in Prothom Alo Eid issue of 2005

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:১১

পাগলা বাবু যায় বলেছেন: যা রটে তা কিছু কিছু বটে....................

২| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

কলাবাগান১ বলেছেন: শেখ কামাল কে মারার পর তো তার বাড়ী হত্যাকারীদের হাতেই ছিল। সোনার মুকুট, ব্যাংক ডাকাতির ক্যাশ টাকা, নিদেন পক্ষে সুইস ব্যংকে রাখা টাকার কাগজ পত্র তো হাতে পেত ডালিম গং ......... তাহলে এগুলি প্রকাশ করেই তো শেখ পরিবারকে মাটিতে নামিয়ে আনত পারত।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৪ ভোর ৫:৫৩

মোঃ রেজাউল ইসলাম বলেছেন: আপনার কোথায় যুক্তি আছে। তবে সবাই কেন শুধু শেখ কামালের বিরুদ্ধেই কথা বলেছেন? আহমেদ ছফা, বদরুদ্দিন উমর এরা আর যাই হোক 'মৌলবাদী' বিএনপি-জামাত তো আর না।

আমার পরিচিত এক ডাক্তার আছেন যিনি উগ্র বিএনপি-জামাত বিরোধী। যিনি বলেন, ''ভোট চুরি করেও যদি আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় যায়, তবুও আমি তাদের সমর্থন করি। ইত্যাদি ইত্যাদি''

তিনি বলেন, শেখ কামাল খেলার মাঠেও কোমরে পিস্তল নিয়ে ঘুরত এবং ভয় দেখাতো।

এই সব ছোট ছোট ঘটনা কিন্তু কামালকে innocent ভাবতে দেয় না।

৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:৩৪

নিষ্‌কর্মা বলেছেন: ৩২ নং-এ তখন নতুন নতুন খোলা হয়েছে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি যাদুঘর। আমি গেলাম এক বিকেলে সেই শোকবিধুর বাড়ীটি দেখতে। দেখা শেশ করে যখন বেরিয়ে আসব, সে সময়ে চোখে পড়ল একটি আধুনিক টয়লেট। শেখ কামালের ঘর সেইটি। সেই ঘরের সামনে স্বচ্ছ কাঁচের দেওয়াল দেওয়া। সেই স্বচ্ছ কাঁচের দেওয়ালের ভেতর দিয়ে দেখা গেল টয়লেটে ঝুলানো ১৯৭৫ সালের একটি ক্যালেনডার। সেই ক্যালেনডারটি ছিল ন্যুড (উলঙ্গ)মেয়েদের। পরে শুনেছি সেই ক্যালেনডারটি দেওয়াল থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে।

এর বেশি কিছু বলাটা আমার মানায় না। কেননা উনাকে জীবিত দেখার সুযোগ আমার হয় নাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.