নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কথা বলি..... বর্তমানের- কথা বলি ভবিষ্যতের.......

মাই নেম ইজ রেজাউল ইসলাম। এন্ড আই অ্যাম নট এ রাজাকার !!!

মোঃ রেজাউল ইসলাম

আমি নতুন সর্বদা----

মোঃ রেজাউল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আসলে কি ? //বদরুদ্দীন উমর//

১৯ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:৫১

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের যুদ্ধকে মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতা যুদ্ধ দুই নামেই আখ্যায়িত করা হয়। একই যুদ্ধকে এ দুই ভিন্ন নামে আখ্যায়িত করার মধ্যে যুক্তি আছে। এ যুদ্ধ জনগণের চেতনার দিক থেকে ছিল মুক্তিযুদ্ধ। কিন্তু আওয়ামী লীগ ও তার নেতৃত্বাধীন পূর্ব পাকিস্তানি মধ্যবিত্তের চেতনার দিক থেকে সেটা ছিল শুধুই স্বাধীনতা যুদ্ধ। এই পরম সত্যকে অস্বীকার করলে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর যে ঘটনাবহুল পথ বাংলাদেশ অতিক্রম করে এসেছে এবং যে অবস্থায় এ দেশ এখন উপনীত হয়েছে তার কোনো ব্যাখ্যা দেয়া সম্ভব নয়।



১৯৭১ সালে যুদ্ধে পাকিস্তানের পরাজয়ের পর ১৬ ডিসেম্বর ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় সামরিক কমান্ডের কাছে পূর্ব পাকিস্তানে অবস্থিত পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর আত্মসমর্পণের পর দুই পক্ষের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিল। সেই চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার সময় বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনীর সর্বাধিনায়ক জেনারেল ওসমানী উপস্থিত ছিলেন না। সেই চুক্তিতে বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনীর পক্ষে কেউ স্বাক্ষর করেননি।



চুক্তি স্বাক্ষরের সময় বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনীর উপ-প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল আবদুল করিম খোন্দকার উপস্থিত থাকলেও তার কোনো ভূমিকা সেখানে ছিল না। স্বাক্ষরকারী দুই দেশের কমান্ডিং অফিসার জগজিৎ সিং অরোরা ও জেনারেল নিয়াজী চেয়ারে বসে চুক্তি স্বাক্ষর করার সময় তিনি পেছনের সারিতে একজন অবলোকনকারী হিসেবে দাঁড়িয়ে ছিলেন। চুক্তি স্বাক্ষরের যে ছবিটি বহুল প্রচারিত, তার দিকে তাকালেই এ দৃশ্য যে কোনো লোকের চোখে পড়বে। এক হিসেবে বলা চলে, এই ছবিটির মধ্যে ১৯৭১ সালের যুদ্ধের চরিত্র প্রতিফলিত হয়েছিল।

এতে বিস্মিত হওয়ার কিছু ছিল না। কারণ ১৯৭১ সালের যুদ্ধের কোনো প্রস্তুতি আওয়ামী লীগের ছিল না। কোনো দেশের স্বাধীনতার লক্ষ্য নির্দেশ, কর্মসূচি ও প্রস্তুতি কোনো ছেলেখেলা নয়। তিনি যত বড় নেতাই হোন, ব্যক্তির সমাবেশ বক্তৃতার আকস্মিক ঘোষণা সুস্পষ্ট লক্ষ্য নির্দেশ, কর্মসূচি ও প্রস্তুতির বিকল্প হতে পারে না। এ কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করা প্রয়োজন, আওয়ামী লীগ ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের যত বড় দাবিদার হোক, বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রশ্ন নিয়ে তাদের কেন্দ্রীয় কমিটিতে কোনো আলোচনা ও প্রস্তাব গৃহীত হয়নি। তৎকালীন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের অন্য কারও মুখে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা তো দূরের কথা, জনগণের উদ্দেশে তাদের কোনো বক্তব্যের মধ্যেও পাওয়া যায়নি। তাদের ৭ মার্চের রেসকোর্স ময়দান জনসভার পর ১৫ মার্চ প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া ঢাকায় আসার পর শেখ মুজিবুর রহমানসহ আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব তার সঙ্গে বসে আলোচনা চালাতে থাকেন পাকিস্তান রাষ্ট্রের কাঠামোর মধ্যে পাকিস্তানের দুই অংশের ক্ষমতা ভাগাভাগির বিষয়ে। ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে বসে তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা নিয়ে আলোচনা করেছিলেন, এটা কোনো উন্মাদের পক্ষেও বলা সম্ভব নয়।



এভাবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় কাঠামোর মধ্যে ক্ষমতা ভাগাভাগির সম্ভাবনা মাথায় রেখে আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব যখন ইয়াহিয়ার সঙ্গে আলোচনায় নিযুক্ত ছিলেন, তখন ইয়াহিয়া-ভুট্টোর নেতৃত্বে পাকিস্তান সরকার ও সেনাবাহিনী গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার কোনো পরোয়া না করে এদেশের জনগণের ওপর এক সর্বাত্মক সামরিক আক্রমণের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছিল। দেশের প্রকৃত সংকট এবং পাকিস্তান সরকার ও সেনাবাহিনীর এই প্রস্তুতি বিষয়ে বিজ্ঞ আওয়ামী লীগ নেতৃত্বের কোনো ধারণা ছিল না। এজন্য শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তারা একটা সমঝোতায় বিশ্বাসী ছিলেন। এ বিষয়ে বিমান বাহিনীর একে খন্দকারসহ দুই-একজন সামরিক ও বেসামরিক ব্যক্তি আক্রমণের জন্য পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর প্রস্তুতির বিষয়ে তাদের সতর্ক করলেও তারা তাতে কর্ণপাত করেননি। স্বাধীনতা ও স্বাধীনতা যুদ্ধের পরিবর্তে সমঝোতার সম্ভাবনার বিষয়টিই তাদের সমগ্র চিন্তাকে আচ্ছন্ন করে রেখেছিল। এসব কোনো বানানো কথা নয়। তৎকালীন সব ঐতিহাসিক দলিলের মধ্যেই এর প্রমাণ ছড়িয়ে আছে।

বেঈমান প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া ২৪ মার্চ পর্যন্ত বিশ্বাসপ্রবণ আওয়ামী লীগ নেতৃত্বকে সাফল্যের সঙ্গে ধাপ্পা দিয়ে ২৫ মার্চ আমাদের জনগণের ওপর এক সর্বাত্মক সামরিক হামলা শুরু করে। সেই হামলার মুখে একেবারে প্রস্তুতিবিহীন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বের রাজনৈতিক নেতৃত্ব ভেঙে পড়ে। যুদ্ধের কোনো প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা না থাকায় তারা এমনভাবে ছত্রভঙ্গ হয় যে, আক্রমণের মুখে নিজেদের দেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে থাকাও তাদের পক্ষে আর সম্ভব ছিল না। দেশের সেই সংকটজনক অবস্থায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনী শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করে পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেয়। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের সমগ্র নেতৃত্ব ও কর্মী মুহূর্তমাত্র বিলম্ব না করে আক্রান্ত জনগণকে ফেলে দিয়ে দেশ ছেড়ে ভারতে গিয়ে সেখানে আশ্রয় নেন। বিশ্বের ইতিহাসে কোনো দেশে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় এ ধরনের ঘটনার কোনো উদাহরণ নেই।

ভারতে গিয়ে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বের প্রথম কাজ হল ব্যাকুল হয়ে ভারত সরকারের কাছে আশ্রয় প্রার্থনা এবং বাংলাদেশ স্বাধীন করার জন্য তাদের কাছে আকুল আবেদন করা।



এ পরিস্থিতি ভারতের জন্য সিকে ছিঁড়ে পড়ার মতো এক ব্যাপার। পাকিস্তান দ্বিখণ্ডিত করার বিষয়ে তাদের আগ্রহ ও উৎসাহের অভাব ছিল না। কিন্তু সেই সঙ্গে তাদের নেতৃত্বের ছিল রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও কৌশলগত বিচারবুদ্ধি। এজন্য পাকিস্তানের সঙ্গে যতই তাদের শত্র“তা থাকুক, হঠাৎ করে তারা এ নিয়ে কিছু করার পক্ষপাতী ছিল না। তাছাড়া পূর্ব পাকিস্তানের সেই পরিস্থিতিতে শেখ মুজিব অন্য নেতাদের মতো ভারতে না এসে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করায় এ বিষয়টিও তাদের হতভম্ব করেছিল। কাজেই বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিষয়ে শেখ মুজিবের অবস্থান নিয়েও তাদের মধ্যে সংশয় ছিল। কিন্তু পূর্ব পাকিস্তানের অভ্যন্তরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে থাকা এবং লাখ লাখ শরণার্থী ভারতে প্রবেশ করতে থাকার পর তারা বাংলাদেশ স্বাধীন করার সিদ্ধান্ত নেয় এবং তার জন্য আন্তর্জাতিক সমর্থনের ক্ষেত্রে সক্রিয় হয়। কারণ এ বিষয়ে তাদের কোনো সন্দেহ থাকেনি যে, আওয়ামী লীগের পক্ষে যুদ্ধ করে বাংলাদেশ স্বাধীন করা সম্ভব নয়। সে কাজ তাদেরই সামরিকভাবে করতে হবে। এ কারণে বাংলাদেশের দুর্বল মুক্তিবাহিনীকে কিছু অস্ত্র দিয়ে তারা সাহায্য করলেও তাদের তারা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখেছিল। এ নিয়ন্ত্রণ খুব সহজ ছিল; কারণ আশ্রয়, অর্থ, অস্ত্র ইত্যাদি দিক দিয়ে মুক্তিবাহিনী ছিল ভারত সরকারের ওপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল। এখানে ১৯৭১ সালের যুদ্ধের বিষয়ে কোনো বিস্তারিত আলোচনার সুযোগ নেই। কিন্তু একথা অবশ্যই বলা দরকার, বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনী যতই দুর্বল ও অক্ষম হোক, দেশের কৃষক, শ্রমিক ও মধ্যবিত্ত যুবকদের একটা উল্লেখযোগ্য অংশ দেশের অভ্যন্তরে এবং মুক্তিবাহিনীর অধীনে যুদ্ধরত ছিল এবং হাজারে হাজারে তারা প্রাণ দিয়েছিল।



বাংলাদেশের প্রকৃত ইতিহাস এবং এই ইতিহাস বিকৃতকরণ নিয়ে যারা সব থেকে উচ্চকণ্ঠ, তাদের মুখে জনগণের এই লড়াই এবং তাদের কথা শোনাই যায় না অথবা ক্ষেত্র বিষয়ে শোনা গেলেও তার কোনো গুরুত্ব এদের কাছে নেই। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বের গুণাগুণ এবং তাদের গৌরব কীর্তনই এদের প্রচার-প্রচারণার মুখ্য ছিল।

প্রথম দিককার কথায় ফিরে গিয়ে বলা দরকার, যেসব দেশপ্রেমিক সরাসরি যুদ্ধ করেছিলেন এবং যে জনগণের সমগ্র অংশ যুদ্ধে সর্বতোভাবে সাহায্য-সহযোগিতা করেছিল, তাদের কাছে এই যুদ্ধ শুধু স্বাধীনতা যুদ্ধ ছিল না। তা ছিল জীবনের নানা অর্থনৈতিক ও সামাজিক শৃংখল থেকে মুক্তির যুদ্ধ। স্বাধীনতা ছাড়া সে মুক্তি সম্ভব ছিল না। কাজেই স্বাধীনতা তাদের চেতনার একটা বড় অংশ অবশ্যই ছিল।



কিন্তু তারা স্বাধীনতার যুদ্ধ করেছিল নিজেদের সামগ্রিক মুক্তির জন্য। তারা লড়ছিল খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা, নিরাপত্তাসহ মুক্তজীবনের জন্য যা কিছু প্রয়োজন তার জন্য। এটাই ছিল তাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। কিন্তু এ কথা কোনোভাবেই বলা সম্ভব নয় যে, যে আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব ভারতে বসে থেকে ভারত সরকার ও ভারতীয় সেনাবাহিনীর আশ্রয় ও পরিচালনায় থেকে তাদের মতো করে যুদ্ধ করেছিল, তাদের চেতনার সঙ্গে জনগণের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কোনো ঐক্য ছিল। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বের কারও কারও মধ্যে ব্যক্তিগতভাবে এ ধরনের কিছু বাসনা থাকলেও তার যে কোনো প্রকৃত ভূমিকা যুদ্ধ প্রক্রিয়ার মধ্যে ছিল না, এটা বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার অল্প দিনের মধ্যেই প্রমাণিত হয়েছিল। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের চেতনায় শুধু ছিল স্বাধীনতা, যে স্বাধীনতা ব্যবহার করে তারা নিজেদের শ্রেণীস্বার্থ চরিতার্থ করবে। যতই তারা মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে আদিখ্যেতা করুক, এর বাইরে তাদের চেতনার কিছু ছিল না। তাদের এই চেতনা এবং লক্ষ্য-উদ্দেশ্যের সঙ্গে ভারত সরকারের স্বার্থের কোনো দ্বন্দ্ব ছিল না। কারণ ভারত সরকারও বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এখানকার জনগণের প্রকৃত মুক্তি চায়নি। তারা চেয়েছিল এ অঞ্চলকে পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন করে এমন একটি স্বাধীন রাষ্ট্র সৃষ্টি করতে যা তাদের নিয়ন্ত্রণের অধীনে থাকবে।

বাংলাদেশ সত্য চর্চার কোনো দেশ নয়। এ হল সত্যকে মিথ্যা ও মিথ্যাকে সত্য বানানোর দেশ। এ কারণে সত্য এখানে হামলার মুখে, মিথ্যার এখানে জয়জয়কার। সত্যের হত্যা এখানে এক সাধারণ ব্যাপার। এ কারণে সত্যই বাংলাদেশে সব থেকে বড় শহীদ। বাংলাদেশের জনগণের মুক্তির পরিবর্তে যারা বাংলাদেশে স্বাধীনতা ছাড়া আর কিছু চায়নি, তারাই এখন ক্ষমতায় থেকে ইতিহাসকে বিকৃতির হাত থেকে রক্ষার জন্য বাজার গরম করছে। এক্ষেত্রে প্রকৃত ঐতিহাসিকদের কাজ হচ্ছে এই মিথ্যার মুখোশ ছিঁড়ে দেয়া, এই মিথ্যার মূর্তি চূর্ণ করা। স্বাধীন বাংলাদেশে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে উৎপাদনের সঙ্গে সম্পর্কহীন লোকজন লুটতরাজের মাধ্যমে যে নতুন শাসকশ্রেণীর ভিত্তি রচনা করেছিল, সেই শাসকশ্রেণী গত ৪২ বছর ধরে দেশ শাসন করে এসেছে। তাদের শাসনের পরিণতিই আমরা বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির মধ্যে দেখছি। এ পরিস্থিতির সমালোচনা এখন সমাজের সর্বস্তরে। এ নিয়ে আলোচনার অন্ত নেই। কিন্তু বিস্ময়ের বিষয় হল, এই পরিস্থিতি কিভাবে সৃষ্টি হল, এর ঐতিহাসিক কারণ কী, শাসকশ্রেণীর কী চরিত্রের কারণে এ অবস্থায় এসে বাংলাদেশ উপনীত হয়েছে এবং এই শাসকশ্রেণী কিভাবে গঠিত হয়েছে- এ নিয়ে কোনো উল্লেখযোগ্য আলোচনা শাসকশ্রেণীর দক্ষিণ অথবা বাম কোনো অংশের মধ্যেই নেই। শুধু তাই নয়, এই আলোচনার সূত্রপাত পর্যন্ত এদেশের শাসকশ্রেণী ও এদের সরকারের কাছে অনুমোদনযোগ্য নয়। উপরন্তু এরা তার ঘোরবিরোধী। এর থেকে বিপজ্জনক অবস্থা আর কী হতে পারে? কিন্তু এর পরিবর্তন অবশ্যই হতে হবে। সে প্রক্রিয়া যতই দুর্বল হোক, বাংলাদেশে তা জারি আছে। এ দুর্বল প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করাই বাংলাদেশের মুক্তিকামী জনগণের সব থেকে জরুরি ও গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক কর্তব্য।

===========================

বদরুদ্দীন উমর



জনগণের জন্য মুক্তিযুদ্ধ, আওয়ামী লীগের জন্য স্বাধীনতা যুদ্ধ

17 August 2014, Sunday



Source: Click This Link

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.