নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কথা বলি..... বর্তমানের- কথা বলি ভবিষ্যতের.......

মাই নেম ইজ রেজাউল ইসলাম। এন্ড আই অ্যাম নট এ রাজাকার !!!

মোঃ রেজাউল ইসলাম

আমি নতুন সর্বদা----

মোঃ রেজাউল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

কী আছে হামাস-ইসরাইল যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে?

২৮ শে আগস্ট, ২০১৪ ভোর ৫:৪৮

দীর্ঘ ৫০ দিন যুদ্ধের পর অবশেষে দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে গাজা নিয়ন্ত্রণকারী হামাস ও ইহুদিবাদী ইসরাইল। মিসর সরকারের মধ্যস্থতায় কায়রোতে হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা পরোক্ষ আলোচনার পর উভয়পক্ষ মঙ্গলবার একটি চুক্তিতে সম্মত হয়।

এতদিন গাজায় বিমানবন্দর নির্মাণ ও সমুদ্রবন্দর স্থাপনের মতো যেসব দাবিকে ইসরাইল অগ্রাহ্য করে আসছিল চুক্তিতে তাও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। দু’পক্ষের কাছে দৃশ্যত মেনে নেয়া কঠিন বিষয়ও এতে স্থান পেয়েছে। চুক্তিতে আশু পদক্ষেপ ও দীর্ঘমেয়াদী ইস্যু শিরোনামে দুটো চ্যাপ্টারে এ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।

আশু পদক্ষেপ

* হামাস ও অন্যান্য সশস্ত্র যোদ্ধারা ইসরাইলের অভ্যন্তরে রকেট ও মর্টার হামলা বন্ধ করবে।

* ইসরাইল বিমান ও স্থল অভিযানসহ সব ধরনের সামরিক হামলা বন্ধ করবে।

* গাজায় মানবিক সহায়তা ও নির্মাণ সামগ্রীসহ পণ্যপ্রবাহ নিশ্চিত করতে ইসরাইল আরো সীমান্ত ক্রসিং খুলে দেবে।

* মিসরের সাথে পৃথক চুক্তির মাধ্যমে গাজার সাথে রাফা সীমান্ত খুল দেয়া হবে।

* ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস হামাসের কাছ থেকে গাজা সীমান্ত এলাকার প্রশাসনের দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। ইসরাইল ও মিসর আশা করছে যে গাজায় অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ প্রবেশ প্রতিহত করা হবে।

* ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ আন্তর্জাতিক সমপ্রদায়ের অর্থ সহায়ায় গাজা পুনগর্ঠনে সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করবে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ।

* ইসরাইল বাফার জোনকে আরো সংকুচিত করবে। বর্তমানে ৩০০ মিটার থেকে কমিয়ে এটাকে ১০০ মিটারে নিয়ে আসা হবে। এতে গাজাবাসী সীমান্তে আরো বেশি জায়গায় কৃষি কাজ করার সুযোগ পাবেন।

* গাজা উপকূলে মাছ ধরার এলাকা বর্তমানের ৩ মাইল থেকে বাড়িয়ে ৬ মাইল করা হবে। যুদ্ধবিরতি বহাল থাকলে এটা ধীরে ধীরে আরো বাড়ানো হবে। চূড়ান্তভাবে ফিলিস্তিনিরা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ১২ মাইল পর্যন্ত এলাকায় মাছ ধরার অনুমতি পাবে।

দীর্ঘমেয়াদী ইস্যু নিয়ে আলোচনা

* হামাস চায় ইসরাইলে কারাগারে বন্দি শত শত ফিলিস্তিনির মুক্তি।

* প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসও চান বন্দি ফিলিস্তিনিদের মুক্তি।

* ইসরাইল চায় হামাস ও অন্যান্য যোদ্ধার হাতে যুদ্ধে নিহত ইসরাইলি সেনাদের দেহাবশেষ ফেরত।

* হামাস চায় আমদানি রপ্তানি সুবিধাসহ গাজায় একটি সমুদ্র বন্দর নির্মাণ করতে। ইসরাইলের নিরাপত্তা নিশ্চিত হওয়ার গ্যারান্টি পেলে এটা নিয়ে অগ্রগতি হতে পারে।

* হামাস চায় আটক তহবিলের অবমুক্ত করা যাতে তাদের ৪০ হাজার পুলিশ ও অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তার বেতন দেয়া যায়। গত বছর থেকে সরকারি স্টাফদের বেতন দিতে পারছে না হামাস।

* ফিলিস্তিনিরা চায় গাজায় নির্মিত ইয়াসির আরাফত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর চালু করতে। ১৯৯৮ সালে এটি চালু হলেও ২০০০ সালে ইসরাইলি বোমা নিক্ষেপের পর থেকে এটি বন্ধ আছে। এটি আবার পুনর্নির্মাণ করতে হবে।



সুত্রঃ আরটিএনএন/ আমার দেশ

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:৩৮

সৌভিক ঘোষাল বলেছেন: অবশেষে যুদ্ধবিরোধি চুক্তি খুবই ভালো ব্যাপার। ইসলামিক সন্ত্রাসবাদ ও ইহুদি জায়নবাদ দুটোই মাত্রাছাড়া আগ্রাসী মনোভাব দেখিয়ে এখানে নিয়মিত সমস্যা তৈরি করে। ইদানীং ইসলামে সিয়াবাদ সুন্নিবাদ এর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম চলছে ইরাক সিরিয়া জুড়ে। ইসলাম শান্তির ধর্ম। তার দুটি শাখা কেন এভাবে রক্তক্ষয়ী সংগ্রামে জড়াবে ? মার্কিন মদত কে কেউ মাথা পেতে নিলে আখেরে লাভ হবে না। সৌদি এটা বুঝতে চায় না। যাইহোক গাজায় অনেক নিরীহ মানুষের মৃত্যু ঘটেছে। কার কতটা দোষ সেই হিসেবের বাইরে গিয়ে আগামীর দিকে তাকানো উচিৎ যেন শান্তি বজায় থাকে। কিন্তু সামরিক অস্ত্রের ব্যবসা যে তাতে মার খায় আর অস্ত্র ব্যবসায়ীরা তা কেমন করে চাইবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.