নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কথা বলি..... বর্তমানের- কথা বলি ভবিষ্যতের.......

মাই নেম ইজ রেজাউল ইসলাম। এন্ড আই অ্যাম নট এ রাজাকার !!!

মোঃ রেজাউল ইসলাম

আমি নতুন সর্বদা----

মোঃ রেজাউল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

গাজা যুদ্ধ ইসরাইলের অনেক স্বপ্ন চুরমার করে দিয়েছে

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ২:১৬

গাজা যুদ্ধে ইসরাইলের ক্ষতি অতি সামান্য বলেই দেখা যাচ্ছে। ফিলিস্তিনিদের নিহত যেখানে দুই হাজার ২০০’র বেশি, সেখানে ইসরাইলের প্রাণহানি মাত্র ৭২ জন। প্রায় পুরো গাজা যেখানে ধুলায় মিশে গেছে, সেখানে ইসরাইলের তেমন কিছুই হয়নি। তাই তারা দাবি করতে পারে, ‘আমরাই যুদ্ধে জিতেছি।’

তবে এটা কিন্তু মুদ্রার এক দিক। ইসরাইলি সেনাবাহিনী (আইডিএফ) দাবি করেছে, ৫০ দিনের যুদ্ধে তাদের ৯ বিলিয়ন শেকেল (২.৬ বিলিয়ন ডলার) ব্যয় হয়েছে। অর্থাৎ প্রতিদিন যুদ্ধে তাদের খরচ করতে হয়েছে ৫০ মিলিয়ন ডলার। ‘অপারেশন ডিফেন্সিফ এজ’ নামের এই যুদ্ধের ক্ষতি পুরোপুরিভাবে মেটাতে হলে তাদের প্রতিরক্ষা বাজেট হতে হবে রেকর্ড ৭২ বিলিয়ন শেকেল (২০ বিলিয়ন ডলারের বেশি), পুরো বাজেটের ১৮ শতাংশ বেশি, ৩০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।

মিডলইস্টআই-এর এক নিবন্ধে বলা হয়, অনেক বছর ধরেই ইসরাইলে প্রতিরক্ষা বাজেট অতি স্পর্শকাতর বিষয়। এ নিয়ে কেউ কথা বলতে সাহস পায় না। কিন্তু তবুও গত তিন বছর ধরে পণ্যমূল্য বাড়ার প্রতিবাদে তেল আবিবে বিক্ষোভের সময় বিষয়টি পরোক্ষভাবে হলেও আলোচনায় এসেছে। সামাজিক সুবিধাগুলো আরো ভালোভাবে পাওয়ার জন্য হাজার হাজার ইসরাইলি রাজপথে নেমে এসেছে। তারা বলতে শুরু করেছে, অরগানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ওইসিডি) সদস্য দেশগুলোর থেকে ইসরাইলের পেছনে পড়ে থাকার প্রধান কারণ হলো তাদের প্রতিরক্ষা খাতের বোঝা।

এর মধ্যেই সামরিক কর্মকর্তাদের জন্য বিশেষ কিছু সুবিধা দেয়া নিয়ে প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমান অর্থমন্ত্রী ইয়ার ল্যাপিড প্রতিরক্ষা বাজেট কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েই ভোটে জিতেছিলেন। লোকজন স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিল, এবার তাদের সুদিন আসছে।

কিন্তু গাজা যুদ্ধ তাদের এসব স্বপ্ন ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে। গত সপ্তাহে ইসরাইলি সরকার ঘোষণা করেছে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ছাড়া সব মন্ত্রণালয়ের বাজেট ২ শতাংশ ছাঁটাই করা হবে। এর মানে সামাজিক সেবাগুলো আরো সঙ্কুচিত হওয়া। সেনাবাহিনী ২০১৫ সালের বাজেটের জন্য বর্তমানের ৯ বিলিয়ন শেকেল বরাদ্দের বাইরে আরো ১১ বিলিয়ন শেকেল দাবি করছে। গাজা যুদ্ধ তাদেরকে বড় ধরনের অর্থনৈতিক সমস্যায় ফেলে দিয়েছে।

মাত্র কয়েক মাস আগে দারিদ্র্য কমিয়ে আনার জন্য গঠিত একটি কমিশন সামাজিক খাতে ৬.৯ বিলিয়ন শেকেল (২ বিলিয়ন ডলার) বরাদ্দ বাড়ানোর সুপারিশ করেছিল। কিন্তু এখন ইসরাইল এই সুপারিশ ছুড়ে ফেলে দিচ্ছে। এর মানে হলো ইসরাইলের গরিব লোকেরা, বিশেষ করে আরব ও উগ্র অর্থোডক্স ইহুদিরা, গরিবই থাকবে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পরিবহনের মতো সেবা খাতগুলো মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

সামরিক ব্যয় বাড়াতে গিয়ে নেতানিয়াহু সরকার ঘাটতি বাড়াবে নাকি নতুন নতুন কর আরোপ করবে, সেটা বড় প্রশ্ন হিসেবে দেখা দিয়েছে। আর তা কেবল অর্থনৈতিক সমস্যা বিবেচিত হচ্ছে না, রাজনৈতিক সঙ্কট হিসেবেও দেখা দি য়েছে। ইতোমধ্যেই জনমত সরকারের বিপক্ষে চলে গেছে।





মোহাম্মদ হাসান শরীফ

নয়া দিগন্ত

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ ভোর ৪:৫৮

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: অন্যায় ঠিকে থাকতে পারে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.