নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন অসুস্থ,ছন্নছাড়া ও বিকারগ্রস্ত প্রেমিক!

রিয়াজ হান্নান

So I believe, someday I will be happy.

রিয়াজ হান্নান › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পঃ- লাশকাটা ঘর (পঞ্চম পর্ব এবং গল্পের সমাপ্তি)

২৬ শে মে, ২০১৭ রাত ১০:১০

গল্পঃ- লাশকাটা ঘর (পঞ্চম পর্ব এবং গল্পের সমাপ্তি)

- তো এখন কি করছেন? মানে কোন কাজ?

- কিছু করছিনা,তবে একটা খাবার হোটেলে কাজ করি শেষ রাতে,যে হোটেলে এক প্লেট ভাত দশ টাকা, ডাল ফ্রি। শেষ রাতে হোটেল পরিষ্কার করে সারাদিনের চা নাস্তা সিগারেট খরচ হলেই চলে,দুপুর বেলা হোটেলে ফ্রি তে খেতে দেয়। মন্দ না, চলে যাচ্ছে তো যাওয়ার মত করে।

আমি থেমে গেলাম,এতক্ষন ধরে উনার কথা শুনে নিজেকে এক মুহূর্তের জন্য রফিক বানিয়ে দিতে ইচ্ছে করতেছে খুব করে। আমি কখনো কারো কথা মন দিয়ে শুনেছি কিনা জানিনা,তবে রফিক চাচার সব কথাগুলো যেন আমার হৃদপিণ্ডে টাচ করে গেছে।

চাচাকে নিয়ে একটা টং এ বসলাম। চা বিস্কুট খেলাম,সিগারেট টানলাম দুজনে। বেশ আরাম করেই খেয়ে গেলো। মনে হল এতক্ষন সে আমাকে রূপকার প্রেমের সফল গল্প শুনিয়েছে,যে গল্পে কোন দুঃখ নেই।

মানুষ কষ্ট পেতে পেতে সহ্য করার ক্ষমতা দখল করে নেয়। কেউ পারে কেউ হাল ছেড়ে দিয়ে সিলিং ফ্যানে ঝুলে পড়ে।

রফিক চাচা এই স্কুলের বারান্দায় রোজ নিয়ম করে বাঁশির সুর তুলে আর চোখের জল ছেড়ে নিজেকে পরেরদিনের জন্য প্রস্তুত করে। যে কোন কিছুর জন্য প্রস্তুতি নেয়া ভালো, এতে সাকসেস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যদিও আজ পর্যন্ত কোন রকম কোন কাজের জন্য প্রস্তুতি নিইনি আমি তাই বোধহয় এখনো ভবঘুরে হয়ে ছুটতে থাকি।

চাচাকে বুকে জড়িয়ে ধরেছিলাম কতক্ষণ ঠিক জানিনা,তবে ছাড়তে মন চায়নি। সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত প্রায় নয়টা বেজে গেলো। বাসায় পৌছোতে অর্ধেক রাস্তায় বৃষ্টি ছুঁয়ে গেলো আমাকে। সাধারণত বৃষ্টি আমার ভালো লাগেনা। কিন্তু আজকে বৃষ্টিতে ভিজতে ভালোই লাগতেছে। পুরো পথ বৃষ্টিতে ভিজেই এসেছি।

দরজায় দাঁড়িয়ে আম্মুর কাছ থেকে গামছা দিয়ে কোন রকমে ভেজা শরীর মুছে রুমে গেলাম। জানালায় আরো একটা খয়েরী কাগজ জমা। নাহ আজকে নিশ্চয় এ্যনিলা কিছু লিখেছে। না হয় এই সময়ে জানালায় কাগজ থাকার কথা না। তড়িঘড়ি করে কাগজ খুলে পড়তে শুরু করলামঃ-

" আমি জানি বৃষ্টি তোমার একদম পছন্দ না,কিন্তু কেন জানি মনে হল আজকে বৃষ্টিতে ভিজেছো তুমি। আয়নায় নিজেকে একবার দেখে নিও সময় হলে। আমি বৃষ্টির সময় সাতবার আয়নার সামনে গিয়েছি আর যতবার দাঁড়িয়েছি ততবারই নিজের বদলে তোমাকে দেখেছি। আমার সাথে এর আগে এমন কখনো হয়নি। যাই হোক হঠাৎ করে বৃষ্টিতে ভিজেছো অসুখ হতে পারে মেডিসিন রেখো সাথে। খাওয়াদাওয়া করে একটা ঘুম দাও,শান্তির ঘুম। যে ঘুমের স্বপ্নে আমি তোমার মাথায় হাত বুলিয়ে দেব আর রূপকার গল্প শোনাবো।

হো হো করে হেসে ফেললাম। মেয়েটা এমন কেন? কিভাবে বুঝতে পারে আমাকে? কোথায় যাই কি করি তা যেন কিভাবে সে টের পেয়ে যায়। খাওয়াদাওয়া শেষ করে ঘুমিয়ে পড়লাম। ঘুমালে মানুষ লাশ হয়ে যায়। আমি ও লাশ হয়ে গেলাম,এ্যনিলা আসবে একটুপর,মাথায় হাত বুলাবে আর রূপকার গল্প শোনাবে।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে মে, ২০১৭ দুপুর ১২:২৮

ওমর আল হাসান বলেছেন: vlo lagcey vai... thank u....

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.