নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন অসুস্থ,ছন্নছাড়া ও বিকারগ্রস্ত প্রেমিক!

রিয়াজ হান্নান

So I believe, someday I will be happy.

রিয়াজ হান্নান › বিস্তারিত পোস্টঃ

সুইসাইড!

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:১১


এই নিয়ে ঢাবির সুইসাইডের সংখ্যা দাঁড়ালো আটে। মানুষ এমনি এমনি সুইসাইড করেনা। যখন সে মনে করে যে তার সব কিছুই শেষ,হতাশায় ভোগে ইত্যাদি কারণে নিরাশ হয়ে সুইসাইড করে ফেলে।

এদের একটা ধারণা হল,তিলে তিলে কষ্ট পাওয়ার চেয়ে একেবারে মরে যাওয়াই ভালো। হ্যা,এই ব্যাপার‍টাকে আমিও ভালোভাবে উপলব্ধি করি। তিলে তিলে কষ্ট পাওয়া যে কি জিনিস সেটা যে কেউ বুঝবেনা।

কেভিন নাম্বার ১০৩২ এ প্রায় ছয়দিন ধরে কষ্ট পেয়েছিলাম,প্রচণ্ড যন্ত্রণার মধ্যা দিয়ে রাত দিন পার করেছি,চিৎকারের শব্দে কতবার অজ্ঞান হয়েছি জানা নেই। প্রায় দেড়মাস হাসপাতাল জীবনে যত ডাক্তার এসেছিলো দেখতে,যত আত্মীয়স্বজন,বন্ধুবান্ধব এসেছিলো দেখতে তাদেরকে ধরে শুধু বলেছিলাম,আমাকে মেরে ফেলো,না হয় একেবারে বাঁচিয়ে নাও। কষ্ট আর সহ্য হচ্ছেনা।

আমরা জানি শারীরিক কষ্টের চেয়েও মানসিক কষ্ট হল মারাত্মক। দেহের মৃত্যুর আগে মনের মৃত্যু ঘটে,আজ অব্দি কেউ শারীরিক কষ্টের জন্য সুইসাইড করেছে কিনা জানিনা,তবে মানসিক কষ্টের জন্য সুইসাইড করে।

আমরা তাতক্ষণিক জ্ঞান হারিয়ে ফেলি,আমাদের মস্তিষ্ক অসাড় হয়ে যায়,মাথায় একটা ব্যাপার ঘুরপাক খায় যে,এত অবহেলা,এত কষ্ট লাভ কি এসবের? এর চেয়ে মরে যাওয়াই ভালো। এরপর লাশগুলোকে সিলিং ফ্যান থেকে নামানো হয়,বিছানায় পয়জনের বোতলে হাত।

আমাদের সামনে অনেক রকমের পথ থাকে,আমরা দেখতে পাইনা। মস্তিষ্ককে শুধু সুইসাইড এর ব্যাপারে সচল রেখে দিই। অবশ্য আমরা ইচ্ছে করে করিনা,আমাদের বুদ্ধি লোপ পায়,আমরা কেমন জানি হয়ে উঠি,তারপর ঝুলে পড়ি। এরপর আমাদের নিয়ে অনেক কান্নাকাটি,আলোচনা সমালোচনা,আমাদের জন্য সব কিছুই তখন উজাড় করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়। অথচ আমরা যখন আলোর দুনিয়ায় থাকা অবস্থায় কত অবহেলা।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:২৬

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ধর্ম কর্ম করলে জীবন এত হতাশার মধ্যে যাওয়ার কথা না। আমরা যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে তাল গোল পাকিয়ে ফেলি। অবশ্য পারিপার্শ্বিক অবস্থাও অনেক সময় মানসিক ভোগান্তির কারণ। আর বর্তমান প্রেম শুধু টাইম পাস হওয়ার পরও অনেকে এটাকে সিরিয়াসলি ধরে নেয়। চাকুরি করতে হবে অবশ্যই অফিসে। অন্য চাকুরি না। এসব মাইন্ড সেটআপ না বদলালে তরুণ সমাজ আরো হতাশায় পড়বে...

২| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৩২

স্বপ্নীল ফিরোজ বলেছেন: আপনা‌কে অ‌নেক অ‌নেক ধন্যবাদ। ভা‌লো থাকুন সব সময়। সুন্দ‌রের প্রত্যাশায়।

৩| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৫৫

জাহিদ হাসান বলেছেন: একদিন এই উগান্ডা ছেড়ে চলে যাবো বহুদূরে !

৪| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৪১

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: মানুষের আত্মহত্যার একটা কারন হল নিজের উপর থেকে বিশ্বাস হাড়িয়ে ফেলা৷ আর শুধু কাজের উপর প্রভাবিত হয়ে যখন মানুষ বেশি বস্তুবাদী হয়ে যায়৷ তখন ভাবে হায় আমার তো কিছু হবেনা। এরা সব কিছুতেই প্রমান চায়। চোখে দেখে প্রমান। এর জন্য সব হাটিয়ে মানসিক বল শক্তি হারিয়ে। আত্মহত্যা করে।।

৫| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:০৩

রাজীব নুর বলেছেন: এই পোষ্ট টি গতকাল রাতেই পরেছি এবং মন্তব্য করেছি। এখন এসে দেখি আমার মন্তব্য নাই।
ব্যাপারটা কি?

৬| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:০৩

রাজীব নুর বলেছেন: এই পোষ্ট টি গতকাল রাতেই পরেছি এবং মন্তব্য করেছি। এখন এসে দেখি আমার মন্তব্য নাই।
ব্যাপারটা কি?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.