নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুস্বাস্থ্যই পৃথিবী

সুস্বাস্থ্য জনগণের মৌলিক অধিকার

ডাঃ নূর রিফফাত আরা

সুস্বাস্থ্য জনগণের মৌলিক অধিকার

ডাঃ নূর রিফফাত আরা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঋতু পরিবর্তনের সময় শিশুর সর্দি-কাশি।।

০৬ ই জুন, ২০১৪ রাত ৯:২৯

কয়েক দিন থেকে আপনার ছোট্ট শিশুটির সর্দি-কাশি, গায়ে হালকা জ্বর। ভাবছেন, নিউমোনিয়া। এখনই চিকিৎ সকের কাছে নিতে হবে। কেননা, পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত অল্পতেই ঠান্ডা লেগে যায় শিশুদের। বিশেষ করে ঋতু পরিবর্তনের সময়।



পরিবেশগত কারণে,গাড়ির ধোঁয়া আর ধুলাবালুর কারণে এবং যেসব বাড়িতে ধূমপান করা হয়, সেখানে ধোঁয়ার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় আক্রান্ত হতে পারে আপনার আদরের সোনামণি। মায়ের বুকের দুধ খায়নি, অপুষ্টিতে ভুগছে, এমন শিশুদের ঠান্ডা লাগার প্রবণতা বেশি।



ঠান্ডা লাগলে কী করবেন?



শিশুর বয়স ছয় মাসের কম হলে, তাকে বারবার বুকের দুধ খাওয়ান। আর যদি বয়স হয় ছয় মাসের বেশি, তাহলে অল্প অল্প করে পানি, তরল ও নরম খাবার বারবার খাওয়াবেন। তখন একটু লেবু-র সরবত, আদা-র রস, তুলসীপাতার রস কিংবা মধু খাওয়াতে পারেন। শিশুকে ঘরে তৈরি করা খাবার দিন, বাইরের কোনো কাশির ওষুধ দেবেন না।

সঙ্গে জ্বর ১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি হয়, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ খাওয়াতে হবে। শিশুকে উষ্ণ রাখতে চেষ্টা করুন। কুসুম গরম পানি দিয়ে শরীর মুছে দিন। সর্দির কারণে নাক বন্ধ হয়ে গেলে বা নাক দিয়ে শব্দও হলেও খুব চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। এ ক্ষেত্রে নরম কাপড় দিয়ে নাকটা পরিষ্কার করে দিন।।





নিউমোনিয়ার লক্ষণ



ঠান্ডা লাগার সাধারণ লক্ষণগুলোর সঙ্গে শিশু দ্রুত, ঘন ঘন শ্বাস নেয় এবং বুকের পাঁজর ভেতরের দিকে ঢুকে যায়। তাই ঠান্ডা লাগলে শিশুর বুকের দিকে খেয়াল রাখুন। এ ছাড়া শিশু নিস্তেজ হয়ে পড়ে, খাওয়া বন্ধ করে দেয়, জ্বরের সঙ্গে খিঁচুনি থাকে, অতিরিক্ত কাশির কারণে ঘুমাতে পারে না অথবা শিশু যা খায়, তার সবই বমি করে দেয়। তাহলে হাসপাতালে নিয়ে যান অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:৫৭

কানা দাজ্জাল বলেছেন: ম্যাডাম, যেহেতু আপনি ড: আপনাকে একটা প্রশ্ন করি। আচ্ছা বাচ্চাকে কত বছর পর্যন্ত বুকের দুধ খাওয়ানো যুক্তিসঙ্গত যদিও ২ বছরের পর থেকে বাচ্চা আর মায়ের বুকে দুধ তেমন পায় না। তেমন পায়না বলার চেয়ে বলা উচিৎ পায় না। কিন্তু অনেক মাকে দেখি বুকে দুধ না থাকে সত্তেও বাচ্চাকে দুধপান করানোর চেষ্টা করেন। এতে কি হিতে বিপরীত হচ্ছে না? কারন ওই সময় বাচ্চাকে বুকের দুধ পানের চেষ্টা না করে যদি অন্যকিছু অথবা ফিডারের দুধ পানের চেষ্টা করা হয়, তাহলে বাচ্চাটা কি ভরা পেটে ঘুমাতে পারত না? মায়েদের এই অযৌক্তি মমতার আমি কোন মানে খুজে পাই না। আপনারা কি পান? বাচ্চার জন্য কোনটা ভাল?
এই ব্যাপারটা নিয়ে বড় বিপদে আছি। বুঝিয়ে বলে একটু সাহায্য করবেন কি? কারন এই অযৌক্তিক প্রচেষ্টার কারনে আমি দিনকে দিন বাচ্চাটার স্বাস্থহানী ঘটতে দেখছি।

২| ০৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:২৫

ডাঃ নূর রিফফাত আরা বলেছেন: কানা দাজ্জাল, ৬ মাস পর্যন্ত শিশুকে শুধুমাত্র মায়ের বুকের দুধ দিতে হবে, এক ফোঁটা পানিও না। ৬ মাস পর থেকে বুকের দুধের পাশাপাশি স্বাভাবিক খাবার দিতে হবে। ২ বছর পর বুকের দুধ শিশুর সুস্বাস্থ্যের জন্য যথেষ্ট নয়। তাই এটা দিয়ে তার ছোট্ট পেটটা ভরানো ঠিক হবে না। শিশুর সুস্বাস্থ্য ও মানসিক বিকাশের জন্য তাকে সুষম খাবার দিন।

৩| ২০ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ২:৫৭

কানা দাজ্জাল বলেছেন: ধন্যবাদ ড:

৪| ৩১ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৫৬

নয়ন িজয়াউল বলেছেন: আমার বাচ্চার বয়স ৯ মাস ১৫ দিন। গত দু দিন ধরে সকালে প্রচন্ড কাশি। আর সারাদিন প্রতি ঘন্টায় দু একটা কাশি দেয়। সন্ধায় কিছুটা বেশি। পিয়াজ গরম করে রস বের করে এবং তুলশি পাতার রস খাওয়াচ্ছি। কাশ অনেক কমে গেছে ২য় দিনে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে বুকে অনেক কফ জমে আছে এবং কাশি দিলে কফ মুখে চলে আসে এবং আবার গিলে ফেলে।
বুকে কোন গড়গড় শব্দ করে না।এবং শ্বাসপ্রশাস স্বাভাবিক।
-----পিয়াজ রস এবং তুলশিপাতা বাচ্চাদের কোন সমস্যা হবে কিনা?
.......এ গুলো খাওয়ালে যদি কাশ কমে যায় তাইলে কফ দুর হবে কি? না অন্য কোন ব্যবস্থা নিতে হবে?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.