নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রিহাব

রিহাব › বিস্তারিত পোস্টঃ

সদকায়ে ফিতর বা ফিতরা

২১ শে জুন, ২০১৭ রাত ৮:৩৫

সদকায়ে ফিতর হলো- রমজানান্তে রোজা ভঙ্গকেন্ত্রিক রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কর্তৃক আরোপিত সদকা। যেহেতু রমজনান্তে ফিতর তথা রোজা ভঙ্গ করা হয়, তাই এ সদকাকে সদকায়ে ফিতর বলা হয়। সদকায়ে ফিতরকে ফিতরা, যাকাতুল ফিতর, সদকাতুল ফিতর ইত্যাদিও বলা হয়।
সদকায়ে ফিতরের হুকুম:
ঈদের দিন ও রাতে যে ব্যক্তি তার নিজের ও পরিবারের খাবারের অতিরিক্ত এক সা’ পরিমাণ খাদ্যের মালিক হবে তার ওপর সদকায়ে ফিতর ওয়াজিব হবে।
সদকায়ে ফিতরদাতা নিজের, তার স্ত্রীর ও যাদের ব্যয়ভার বহনের দায়িত্ব রয়েছে, তাদের সবার পক্ষ থেকে সদকায়ে ফিতর আদায় করবে।
সদকায়ে ফিতর আদায়ের সময়:
সদকায়ে ফিতর আদায়ের ফজিলতপূর্ণ সময় হলো ঈদের দিন সূর্যোদয়ের পর ও ঈদের নামাজের পূর্বে। ঈদের দু একদিন পূর্বেও সদকায়ে ফিতর আদায় করা জায়েয; কেননা সাহাবায়ে কেরাম এরূপ করেছেন। ঈদের নামাজের পর সদকায়ে ফিতর আদায় করা জায়েয নয়। এর প্রমাণ উল্লিখিত হাদীস :‘আর তিনি সদকা আদায়ের নির্দেশ দিয়েছেন মানুষ নামাজের জন্য বের হওয়ার পূর্বেই।’ ইবনে আব্বাস রাযি. থেকে বর্ণিত এক হাদীসে এসেছে,‘যে ব্যক্তি নামাজের আগে তা আদায় করে দেবে তবে তার সদকা গ্রহণযোগ্য হবে, আর যে নামাজের পর আদায় করবে তার সদকা সাধারণ দান বলে গণ্য হবে।’(বর্ণনায় আবু দাউদ)
সদকায়ে ফিতরের খাত:
যাকাতের যে আট খাত উল্লিখিত হয়েছে, সে আট খাতে সদকায়ে ফিতরও বণ্টন করা হবে।
সদকায়ে ফিতরের হিকমত:
রোজাদারকে অশ্লীল ও অহেতুক কথা থেকে পবিত্র করা। ইবনে আব্বাস রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: ‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সদকায়ে ফিতর ফরজ করেছেন রোজাদারকে অহেতুক ও অশ্লীল কথা থেকে পবিত্র করার উদ্দেশে ও মিসকীনদের খাবার দান স্বরূপ।’(বর্ণনায় বুখারী ও মুসলিম)
এটা এ কারণে যে রোজাদার ব্যক্তি অহেতুক ও বাতিল কথাবার্তা থেকে মুক্ত থাকে না। সে হিসেবে এ সদকা রোজাদারকে হারাম ও মাকরুহ কথাবার্তা, যা রোজার ছাওয়াব কমিয়ে দেয় ও রোজার পরিপূর্ণতায় বিঘ্ন ঘটায়, এ সব থেকে রোজাদারকে পবিত্র করে দেয়।
দরিদ্রদের প্রতি প্রশস্তি আনা ও ঈদের দিন তাদেরকে অভাবমুক্ত করে দেয়া যাতে অন্যের কাছে সওয়াল করতে না হয়; কেননা এতে ঈদের দিন তাদেরকে হীন ও অপদস্ত হয়ে থাকতে হয়। পক্ষান্তরে ঈদ হলো আনন্দ ও খুশির দিন। সবাই যাতে এ দিনের আনন্দে অংশ নিতে পারে সে জন্যেই সদকায়ে ফিতরের এ ব্যবস্থা।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে জুন, ২০১৭ রাত ১০:২৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দরিদ্রদের প্রতি প্রশস্তি আনা ও ঈদের দিন তাদেরকে অভাবমুক্ত করে দেয়া যাতে অন্যের কাছে সওয়াল করতে না হয়; কেননা এতে ঈদের দিন তাদেরকে হীন ও অপদস্ত হয়ে থাকতে হয়। পক্ষান্তরে ঈদ হলো আনন্দ ও খুশির দিন। সবাই যাতে এ দিনের আনন্দে অংশ নিতে পারে সে জন্যেই সদকায়ে ফিতরের এ ব্যবস্থা।

++++

২২ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৭

রিহাব বলেছেন: শোকরিয়া

২| ২২ শে জুন, ২০১৭ রাত ১২:১৬

ওমেরা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ।

২২ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৭

রিহাব বলেছেন: জাযাকাল্লাহু খাইরান

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.