নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রিহাব

রিহাব › বিস্তারিত পোস্টঃ

লায়লাতুল কদরের ফজিলত এবং এই রাত এর ইবাদত ও দোআ

২২ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৭

লায়লাতুল কদরের ফজিলত ও মর্যাদা:
১- লায়লাতুল কদরেই পবিত্র কুরআন নাযিল করা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন : (নিশ্চয় আমি এটি নাযিল করেছি ‘লাইলাতুল কদরে।) [ সূরা আল কাদ্র:১]।
২ - লায়লাতুল কদর হাজার মাস থেকেও উত্তম। আল্লাহ তাআলা বলেন: (লায়লাতুল কদর এক হাজার মাস থেকে উত্তম) [সূরা আল-কাদ্র:৩] অর্থাৎ লায়লাতুল কদরে আমল করা লায়লাতুল কদরের বাইরে এক হাজার মাস আমল করার চেয়েও উত্তম।
৩- লায়লাতুল কদরে ফেরেশতা ও জিব্রীল এর অবতরণ। আবু হুরায়রা রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,‘লায়লাতুল কদর হলো সাতাশ তারিখ অথবা ঊনত্রিশ তারিখের রাত, আর ফেরেশতাগণ এ রাতে পৃথিবীতে কঙ্করের সংখ্যা থেকেও বেশি থাকেন।’
৪ - লায়লাতুল কদর হলো শান্তির রাত। আল্লাহ তাআলা বলেন: (শান্তিময় সেই রাত, ফজরের সূচনা পর্যন্ত।)[ সূরা আল কাদ্র:৫]। অর্থাৎ লায়লাতুল কদরের পুরোটাই ভালো, এর শুরু থেকে সুবেহ সাদেক পর্যন্ত আদৌ কোনো অনুত্তম বিষয় নেই।
৫- লায়লাতুল কদর মুবারক রাত। আল্লাহ তাআলা বলেন: (নিশ্চয় আমি এটি নাযিল করেছি বরকতময় রাতে; নিশ্চয় আমি সতর্ককারী।) [ সূরা আদ-দুখান:৩]।
৬ - যে ব্যক্তি ছাওয়াবপ্রাপ্তির দৃঢ় বিশ্বাস নিয়ে ও আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় লায়লাতুল কদর যাপন করবে তার অতীতের সকল গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি ছাওয়াবপ্রাপ্তির দৃঢ় বিশ্বাস নিয়ে ও আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় লায়লাতুল কদর যাপন করল, তার অতীতের সকল গুনাহ মাফ করে দেয়া হলো।’(বর্ণনায় ইবনে খুযায়মাহ)
কি ইবাদত করবেন এই পবিত্র রাতে?
ছাওয়াবপ্রাপ্তির দৃঢ় বিশ্বাসসহ ও আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় লায়লাতুল কদর যাপন করা। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ছাওয়াবপ্রাপ্তির দৃঢ় বিশ্বাসসহ ও আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় লায়লাতুল কদর যাপন করল, তার অতীতের সকল গুনাহ মাফ করে দেয়া হলো।’(বর্ণনায় বুখারী ও মুসলিম
আয়েশা রাযি.বলেন,‘ আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল, আমি যদি লায়লাতুল কদর পাই তবে কি দুআ করব? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তুমি বলো,‘ اللهم إنك عَفُوٌّ كَرِيمٌ تُحِبُ الْعَفْوَ، فاعْفُ عَنِّي অর্থাৎ হে আল্লাহ, আপনি অতি ক্ষমাশীল ও দয়ালু, আপনি ক্ষমা করাকে পছন্দ করেন, তাই আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিন।
হে আল্লাহ! আপনি আমাদের সকল দুআ-মুনাজাত কবুল করুন। আমাদের সকল বৈধ প্রয়োজনগুলো পূরণ করে দিন। যেভাবে দুআ করলে আপনি কবুল করেন সেভাবে দুআ করার তাওফীক দান করুন। হে আল্লাহ! আপনি আমাদেরকে শূন্য হাতে ফেরত দেবেন না। হে আল্লাহ! একমাত্র আপনিই আমাদের রব, মাবুদ, আপনিই সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী, একমাত্র আপনিই ধনী আর আমরা গরীব, আপনার দয়া না হলে আমরা একটি নিঃশ্বাসও নিতে পারব না। তাই কেবল আপনার দরবারেই দুআর জন্য আমরা হাজির হই। হে আল্লাহ আপনি আমাদেরকে শূন্য হাতে ফেরত দেবেন না।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.