নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রিহাব

রিহাব › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্রষ্টা ছাড়া সৃষ্টি!

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৫২

মানুষ স্বভাবগতভাবেই ধার্মিক, সে ধর্ম ছাড়া স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারেনা। যেমন সে স্বভাবগতভাবেই সামাজিক, সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে একাকী বসবাস করতে পারেনা, সামাজিকতা ও ধার্মিকতা মানুষের স্বভাবজাত ব্যাপার।
এজন্য যারা ঈমানের দৌলত ও দৃঢ়বিশ্বাসের শীতলতা থেকে বঞ্চিত, তাদের জীবনের প্রকৃত কোন তৃপ্তি ও স্বাদ নেই। তারা আনন্দ ও আয়েশের সকল উপকরণের মাঝে জীবনযাপন করেও প্রশান্তির দেখা পায় না।
আল্লাহর প্রতি ঈমান না থাকলে তার অনিবার্য পরিণাম দাড়ায়, সঙ্কীর্ণ ও বিষাদময় জীবন। ঈমানহীন আত্মা সদাসন্ত্রস্ত, হীন ও দূর্বল থাকে, সে আত্মায় থাকেনা কোন স্থিরতা ও প্রশান্তি। আর সেই দুঃসহ ও বিষাদের জীবন থেকে রেহাই পেতে বহু মানুষ আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।
আল্লাহ তা'আলা বলেন: ‘আপনি বলে দিন- তাকিয়ে দেখ যা কিছু আছে মহাকাশমণ্ডলীতে ও পৃথিবীতে’। [সূরা: ইউনুস, আয়াত: ১০১]
যে ব্যক্তি আসমানের দিকে তাকাবে, আসমানের নিপুণ সৃষ্টি, আসমানের সৌন্দর্য-বৈচিত্র্য এবং তার সুউচ্চতা ও শক্তির প্রতি লক্ষ্য করবে, সে তার মধ্য দিয়ে আল্লাহ তাআলার অসীম শক্তি ও ক্ষমতাই দেখতে পাবে।
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন: ‘ তারা কি তাদের উপরে আসমানের দিকে তাকায় না, কিভাবে আমি তা বানিয়েছি এবং তা সুশোভিত করেছি? আর তাতে কোনো ফাটল নেই। আর আমি যমীনকে বিস্তৃত করেছি, তাতে পর্বতমালা স্থাপন করেছি এবং তাতে প্রত্যেক প্রকারের সুদৃশ্য উদ্ভিদ উদ্গত করেছি আল্লাহ অভিমুখী প্রতিটি বান্দার জন্য জ্ঞান ও উপদেশ হিসেবে’ (সূরা কাফ: ৬-৮)।
প্রথম আমেরিকান মহাকাশচারী জন গ্লেন বলেন: “এ ধরনের সৃষ্টি দেখেও তুমি আল্লাহর উপর ঈমান আনবে না এটা অসম্ভব! এ সৃষ্টি তো আমার ঈমানকে আরো মজবুত করেছে। আমি এ চিত্রের আরো কিছু বিবরণ চাই।”
আল্লাহ তা'আলা বলেন: “অতঃপর তুমি বার বার তাকিয়ে দেখ-তোমার দৃষ্টি ব্যর্থ ও পরিশ্রান্ত হয়ে তোমার দিকে ফিরে আসবে” ﴾ সূরা: মূলক, আয়াত: ৪ ﴿
একদা এক গ্রাম্য বেদুঈনকে বলা হয়েছিলো কিভাবে তুমি তোমার প্রতিপালককে চিনলে? তখন তিনি বললেন-পদচিহ্ন অতিক্রমকারীর প্রমাণ বহন করে, উটের মল উষ্ট্রীর অস্তিত্বের প্রমাণ বহন করে। তাহলে সুউচ্চ আসমান, সুপ্রসস্ত জমিন এবং উত্তাল সমুদ্র কেন সর্বশ্রোতা এবং সর্বদর্শীর অস্তিত্বের প্রমাণ করবে না?
কাউকে যদি বলা হয়, একটি বিশাল অট্টালিকা বা একটি রাজপ্রাসাদ নিজে নিজেই সৃষ্টি হয়েছে, তাহলে কেউ নিশ্চয় এটা বিশ্বাস করবেন না। যদি কেউ বলে, দেখ, এই দালানটি হঠাৎ নিজের থেকে তৈরি হয়ে গেল, সবাই তাকে পাগল বলবে। তাহলে বলুন, এ বিশ্ব চরাচর, এই যে সুউচ্চ আকাশ আর সুবিস্তৃত যমীন, এই ঊর্ধ্বজগত আর নিম্নজগত কীভাবে একজন স্রষ্টা ছাড়া সৃষ্টি হতে পারে? কোনো বানানেওয়ালা ছাড়া আকস্মিকভাবে অস্তিত্ব লাভ করতে পারে? নিশ্চয় এসবের একজন স্রষ্টা আছেন। একজন অসীম ক্ষমতাবান নিয়ন্ত্রক আছেন।
'আল্লাহর প্রতি ঈমান' এর অর্থ হলো, এমর্মে দৃঢ় বিশ্বাস করা যে,- আল্লাহই সবকিছুর প্রতিপালক, মালিক ও স্রষ্টা এবং সালাত, সিয়াম, দু'আ, আশা, ভয়, বিনয় ও নম্রতাসহ অপরাপর সকল ইবাদাতের একক হকদার কেবল তিনিই এবং তিনিই পূর্ণতার সব গুন-বৈশিষ্ট্যে পরিপূর্ণ ও যাবতীয় ত্রুটি ও অপূর্ণতা হতে পবিত্র।
উৎসঃ https://www.with-allah.com/bn

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:২৮

মাহিরাহি বলেছেন: আল্লাহ আমাদের ঈমানের সাথে মৃত্যু দিন।

২| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৪৯

শৈবাল আহম্মেদ বলেছেন: ধন্যবাদ, আপনার কথাগুলো পড়ে মনে হল-আল্লাহ মানুষের মতো বুদ্ধি ও জ্ঞান সম্পন্ন কোন আবিস্কার।

মহাকাশচারী জন গ্লেন এর কথায় যে মহৎ কাজটা আপনার মজবুদ হয়েছে বলে মনে করছেন। তো তার সম্পর্কে তথ্য নিয়ে দেখেন যে সে নামাজ পড়ে কিনা। কেননা নামাজ বেহেস্তের চাবি সেটা নিশ্চই সে মানবে ও করবে।
আর যদি নামাজ না পড়ে তাহলে সে বলতে চেয়েছে যে- এই পৃথিবীর বা ইউনিভার্স ওমনি হতে পারেনা-কেউ নিশ্চই সৃষ্টি করেছে। কিন্তু তাই বলে এই নয় যে সেটা কোন না কোন ধর্ম সৃষ্টিকারী মানুষের সৃষ্টিকরা সৃষ্টিকর্তার কথা বলেছেন। তিনি এবং আরো অনেকেই বিশ্বাস করেন যে এই ইউনিভার্স নিশ্চই কেউ না কেউ সৃষ্টি করেছেন কিন্তু তার সাথে কোন মানুষের কথোপকথোন বা যোগাযোগ হয়না। যেমন তাল গাছ এবং মানুষের সাথে কখনও কথোপকথোন সম্ভব নয়।

৩| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট।
আপনি কি রিহাবে চাকরি করেন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.