নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার যত কথা' মনের কথা-রফিকুল কাদের

সব ভাল কথাই ভাল নয়...........

কে এম রফিকুল কাদের

আমি দিক্ষণা বাতায়ন খুলে রাখি, বাধ ভাঙা মুক্ত বাতাসের অনুপ্রেবেশ ............

কে এম রফিকুল কাদের › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেশের মুষ্ঠিমেয় কিছু মানুষ ধর্ম অনুরাগী, তাহলে অন্যরা কি অমুসলমান?

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:০৪



আজ সারাদেশে ধর্মভিত্তিক দলগুলো বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দিয়েছে। আর ব্লগারদের নাস্তিক হিসেবে উল্লেখ করে এই কর্মসূচী ঘোষনা করে। গত ৫ই ফেব্রুয়ারী থেকে শাহবাগ প্রজন্ম চত্ত্বরে একাত্ব হওয়া শিক্ষিত ও কুসংস্কার মুক্ত বিভিন্ন ধর্ম আর শ্রেনী পেশার মানুষ ব্লগারদের যে আন্দোলনে সমর্থন দিয়েছেন। তা একটি গুরুতর অন্যায়, পাপ আর মানবতা বিরোধী চক্রের বিরুদ্ধে।



এদেশের মাটিতে বাস করেও স্বাধীনতা বিরোধী চক্রের নির্লজ্জ কর্মকান্ড দেশের আপামর জনসাধরণকে বিস্মিত করে। আমাদের রাজনৈতিক পরিমন্ডলে ধর্মের দোহাই দিয়ে দেশের অনেক ধর্মভীরু মানুষকে করেছে দূর্বল। আর এই দূর্বলতার সুযোগ নিয়ে তারা রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গাড়ীতে পতাকা টানিয়ে ঘুরে বেরিয়েছে। আমরা আদৌ কি উপলব্ধি করতে পারছি তারা ধর্ম বলতে কি বুঝাতে চাচ্ছেন।



তারা কি জানেন না যে ৭১ এ যা ঘটেছে তা ধর্মের বাধা নিষেধ ছাড়িয়ে গেছে। নিরিহ মানুষকে হত্যা আর ধর্ষনের মধ্য আলবদর, আলসামস্, আর রাজাকারা তাহলে কোন ধর্ম পালন করেছে। আজো ওরা থামেনি ধর্মের দোহাই দিয়ে মসজিদ থেকে শুরু করে রাজনৈতিক কর্মকান্ড। অথচ একটি মসজিদ থেকে বেরিয়ে মুষ্ঠিমেয় কিছু লোক টুপি পরে মিছিল বের করে, আর মসজিদ ভর্তি বাকী লোকগুলো কি অমুসলিম?



জামায়াত-শিবির আর যুদ্ধাপরাধের কারখানার কর্মী তবে কাদের বিপথগামী করছে। আমাদের বিদায় হজ্জ্বের ভাষনে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) স্পষ্ট বলে গেছেন- সবাই যার যার ধর্ম পালন করেতে পারবে। তাহলে নাস্তিকবলে যখন অন্য আর একজন মুসলমান ভাইকে গালি দেয়, তখন তারা কোন ধর্মের অনুসারী বলতে পারি।



আমাদের ইসলাম হচ্ছে শান্তির ধর্ম। ইসলামের মূল স্লোগান হচ্ছে শান্তি। আর জামাত-শিবির-রাজাকাররা ককটেল-বোমা বিস্ফোরন করে যখন দেশে শান্তি বিনষ্ট করে, তখন তারা কোন ধর্মকে অনুসরণ করে। জিহাদের দিন শেষ হয়ে গেছে। অন্ধকারে রাজনীতি কারার সময় ফুরিয়ে গেছে। একটি জাতি যখন শিক্ষিত হয় তখন তার ভেতর গোড়ামি থাকে না। আর পাশাপাশি ধর্মিয় অনুশাসনগুলোও সে পালন করে। তার কর্ম-সংসার-ধর্মের মাঝে বেচে থাকতে চায়। ধর্মিয় অনুশাসন মানুষের মাঝে বিকিরন করে সুস্থ জীবন যাপনে দেশ যখন এগিয়ে চলে তখন তারা কিসের জেহাদ ঘোষনা করেন।



একটি কলঙ্ক মুক্ত বাংলাদেশ হতে হলে যুদ্ধাপরাধীর বিচার নিশ্চিত করতে হবে। সেই কাদের মোল্লা যে কিনা কোর্ট থেকে রায় নিয়ে বেরিয়ে আসার পর ভি চিহ্ন দেখিয়ে জাতীকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে। ওদের অপরাধ দিনের পর দিন বেড়েই চলছে। কোন অপরাধ ক্ষমাযোগ্য নয়। আর তাদের তাবেদার হিসেবে যারা কাজ করছে- সেই দলগুলোর বিপথগামী চরিত্র আর ভূমিকা আমাদের মতো শান্তিপ্রিয় ধর্ম অনুসারী মুসলিম সমাজকে অবাক করে।



দেশে বুদ্ধিবৃত্তিক রাজনৈতিক চর্চা কমে আসছে। আর সুযোগ নিচ্ছে ধর্মের দোহাই দিয়ে রাজনৈতিক ভাবে শক্তিশালি হওয়া কিছু দল। তাদেরকে প্রতিহত করা সময়ের দাবি।



আজ শাহবাগের ব্লগার আন্দোলন শুধুমাত্র একটি সামাজিক আন্দোলন নয়। এখানে লুকিয়ে আছে রাজনৈতিক আশা-আকাঙ্খা। অর্থাৎ রাজনীতি যা দিতে পারেনি, এই ডিজিটালাইজ্ড তরুগোষ্ঠি তা করিয়ে দেখাচ্ছে। আমাদের দেশেযুদ্ধাপরাধীর সর্ব্বোচ্চ বিচার পাশ কাটিয়ে রাজনীতি পরিপূর্ণ হতে পারেনি। আমি মনে করি রাজনৈতিক অপূর্ণতা এই সুশীল ব্লগাররা পরিপূর্ণ করতে যাচ্ছেন।



আমি দেশের আপমর ধর্মীয় জনগোষ্ঠিকে অনুরোধ করব, আমাদের ইসলামের শান্তি আর আদর্শ যাতে বিনষ্ট না করতে পারে ইসলামী নামধারী অপশক্তিগুলো। আমাদের সবার সজাগ থাকতে হবে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.