নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিশ্চয় বিভক্তি ভেঙ্গে বিশ্বাসের বিন্যাস দেশপ্রেম কে বিন্যস্ত করবে নগরের আনাচে কানাচে।গুমোট বাতাসে শীতের ক্লান্তি বসন্তের জানান দেবেই।

স্বর যন্ত্র

প্রজ্জলনের অনির্বাণ অগ্নিশিখা আমি, শুধু সাদা আগুন, পুড়লে ফোসকা পড়েনা, ধোঁয়াও ওড়েনা..তাই নৈতিকতার স্বপক্ষে ফিরে যাই বারে বারে।

স্বর যন্ত্র › বিস্তারিত পোস্টঃ

সব বর্ণই সুবর্ণ, শুধু কষ্টের বর্ণ নীল......

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১:৪৩

দেবী,
ভাবতে পারো ঠিক এই মুহূর্তে কোথাও বৃষ্টি হছছে?কোনও বিশাল শূন্যতার মাঝে নিজেকে উজাড় করা বৃষ্টি...রাত্রির দি-প্রহরের,মধ্য দুপুরের,কিংবা শেষ রাতের রিমঝিম রিমঝিম বৃষ্টি?আমি জানি আমার এই নিরুত্তাপ উন্মাদনার উন্মত্তাটুকু ভাবলেশ ছাড়াই উচ্ছ্বসিত হবে তোমার বোধিস্বত্বার জানালায় অনবরত......হয়তো বিষণ্ণতার বেড়াজালে,অস্থিরতার বিথার স্বেচ্ছায় উপড়ে কখনই বলা হবেনা......এসো,স্পর্শ কর,করতলে ছোঁয়াও তোমার ঠোঁট,খুঁজে পাবে গভীর জলতল......কোনও বিষণ্ণতার আবডালে নয়,কোনও আবেগের দ্বীপে বিচ্ছিন্ন হয়ে নয়......তবুও তোমার মিশ্রিত উপহাসের অনুরণনগুলির কাছে মাথা নুয়ে,দু হাত জোড় করে বলছি...ঠিক এই মুহূর্তে আমার স্বপ্ন জড়ানো দুটি চোখে শ্রাবণের অঝোর ধাঁরা......বিশ্বাস করো দেবী আমি কাঁদছি.........একজন সপ্নচারিনীকে ভালবেসে আমি কাঁদছি......

চেয়ে দেখো,নোনা জলের ক্ষারত্তে আমার দু চোখের কোনে আজ ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে।আচ্ছা তুমিই বল,আর কতবার গাড় আঁধারের কাছে স্বচ্ছ চন্দ্রিমার সুখ পেতে চাইবো?বিপন্ন বাসনাকে কত আর উৎসবের আয়োজনে অরন্নের গান শোনাবো?মাঝে মাঝে মনে হয়,কোনও হিমশীতল জীবন জোসনায় আমায় মুখোমুখি রেখে যদি তুমি জীবনের কথা সুধাতে?তাহলে আমি তোমায় কল্পনার প্রসাধনে সাজিয়ে দিতাম......অন্ধকারের সুতোর ওপারে যতই রঙের অহমিকা থাকনা কেন,আমি শত ক্রোশ ঘাশফুল মাড়িয়ে জোছনার আলোয় অন্তত তিনটি চন্দ্রমল্লিকা এনেই দিতাম......লাজ রাঙা দুটি চোখে তুমি যখন অন্যমনস্ক হয়ে বেদনার তাপ পোহাতে,তখন নির্লিপ্ত সূর্যের টিপ কপালে পরিয়ে এক ঝাঁক জোনাকি পোকায় তোমার আঁচল সাজাতাম......পৃথিবীর সবটুকু অবসন্নতার অবলুপ্তিতে তুমি যখন এক অজানা বিস্ময়ে আমার অপলক চোখের দিকে তাকিয়ে ফাগুনের অন্বেষীতা......মনে রেখো ঠিক তখনই রংধনুর রঙে কাজল একে তোমার চোখের পুজারী হতাম আমি.........

তোমার কাছে শীতার্ত কষ্টের মাঝে উষ্ণতা ভিক্ষা চাইবোনা,তুমি শুধু রাত্রির দি-প্রহরে আমার প্রত্যয়ী চোখের পরতে দু’মুঠো ঘুম এনে দাও.....কথা দিলাম চলতি দশকের প্রবাহে তোমার বিদেহী চোখের দিকে তাকিয়ে শিশির সন্ধ্যা পাড়ি দেবো হিমেল বাতাসে...
আমায় তুমি কাঁদিয়োনা দেবি,কাঁদিয়োনা......আমি অবরুদ্ধ বাতাসে জীবন কেটে কেটে পথ চলেছি.......বুনো চিল যুগলের যে নির্লজ্জ আলীঙ্গন......হোক সে পোড়ো প্রাসাদ কিংবা আদী বট শাখায়,ভাঙ্গা কোনও কার্নিশে পড়ন্ত কোনও শীতের দুপুর কি বিকেল?সেখানে নেই কোনও ছলনার আশ্রয়,নেই কোনও কপট প্রাচুর্যও......শীতের কুয়াশা ভেদ করা রোদ্দুরের অকৃত্রিম ভালবাসার মাখামাখি সেখানে......সেই আলিঙ্গনের সবটুকু জুড়ে থাকে শীতের কুয়াশা ভেঙ্গে আসা সকালের প্রথম সূর্যালোকের মতো এক বুক বিভোর ভালবাসা...ডানা ঝাপটানো গাংচিল এর ভালোবাসায় ভর করে আমার এই ভালবাসার জন্ম........

তুমি শুধু আরেকটিবার ফিরে এসো এই চৌচালা স্বপ্ন শহরে,এখানে আজও মাঝরাতে অঝোরে শিলাবৃষ্টি হয়,শীতের ভোরে সাদা জাফরানি শিউলি ফুল তোমার পায়ে চলা পথে শিশিরের সাথে অনায়াসে আলিঙ্গন করে শুধু একটিবার তোমার নূপুরের শব্দ শুনবে বলে...মেঘডাকা শ্রাবণে ভালোবাসার ঢল নামে স্বচ্ছ সীসায় তুমি তোমার প্রতিবিম্বের ছবি আঁকবে বলে......
তবুও বলে দিলাম......তোমার ক্রন্দসীকে বলে দিয়ো......
যদি যন্ত্রণার পদধ্বনি শুনতে পেয়ে কোন বন্ধুকে কাছে না পাও,
যদি নীলাকাশ কালো হতেই দু’চোখে অঝোরে বৃষ্টি এসে যায়,
যদি ভাঙনের শব্দ শুনে স্বপ্নগুলো সব এলোমেলো হয়...
তবে প্রলয়ের দিনে,বৈশাখী শ্রাবণে,উপলব্ধি করো আমায়.........

.........স্বর যন্ত্র

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.