নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিশ্চয় বিভক্তি ভেঙ্গে বিশ্বাসের বিন্যাস দেশপ্রেম কে বিন্যস্ত করবে নগরের আনাচে কানাচে।গুমোট বাতাসে শীতের ক্লান্তি বসন্তের জানান দেবেই।

স্বর যন্ত্র

প্রজ্জলনের অনির্বাণ অগ্নিশিখা আমি, শুধু সাদা আগুন, পুড়লে ফোসকা পড়েনা, ধোঁয়াও ওড়েনা..তাই নৈতিকতার স্বপক্ষে ফিরে যাই বারে বারে।

স্বর যন্ত্র › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফেব্রুয়ারীর ২১ তারিখ......

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:৫৭

ভাষা শহীদদের দুর্দান্ত সাহস,আন্দোলন,প্রচণ্ড আত্মত্যাগ ও বাঙ্গালীর প্রতি ভালবাসার ফসল আজকের এই মহান ২১ শে ফেব্রুয়ারী।এই দিনটি বাঙ্গালীর জন্য শোকের ও সন্মানের।তাই এই দিনটি নিয়ে কিছু লিখার সাহস হয়না কখনই।আমার জন্ম ও বেড়ে ওঠা খুলনা শহরে, এই শহর আমার খুব প্রিয় শহর,আমি যখন বুঝতে শিখেছি,তখন থেকেই দেখতাম ২১ শে ফেব্রুয়ারীতে মানুষের শ্রদ্ধা কতটা তীব্র।যখন স্কুল এ যাওয়া শুরু করলাম,তখন থেকেই কারও না কারও সাথে খুলনার হাদিস পার্কের শহীদ মিনারে ফুল দিতে যেতাম।তখন থেকে খুব অবাক হয়ে দেখতাম ২১ শে ফেব্রুয়ারী’র দিন খুব সকাল বেলা সারা শহরের মানুষের ঢল নামত খুলনার রাস্তায়, আমিও যেতাম তাদের সাথে।তারচেয়ে অবাক করা ব্যাপার হল এতো এতো মানুষ রাস্তায়, তাদের একজনের পায়ে কোন জুতা কিংবা স্যান্ডেল নেই, সবাই খালি পায়ে।যদি কেউ ভুলক্রমে জুতা পায়ে রাস্তায় হাটতো তাহলে সবাই এমন দৃষ্টিতে তার দিকে তাকাত, মনে হতো ঐ মানুষটি অনেক বড় কোন অপরাধ করে ফেলেছে।তার অর্থ এই নয় যে অন্য সবাই তাকে গালমন্দ বা বকাঝকা করে নাজেহাল করতো,যারা অপেক্ষাকৃত বয়সে অগ্রজ তারা খুব সুন্দর করে ঐ মানুষটিকে বুঝিয়ে বলতেন যে এই দিনে আমরা কেউ জুতা পায়ে রাস্তায় নামিনা কারন আমরা শহীদ দের সন্মান জানাতে চাই।সেই ব্যাক্তিও নিজের ভুল শুধরে নিতেন।কি অদ্ভুত সহনশীল জীবন যাপন ছিল মানুষের।অথচ আজ ভীষণ কষ্ট লাগে যখন দেখি মানুষ আলোচনা করে শহীদ বেদীর কোথায় জুতা পায়ে যাওয়া যাবে আর কোথায় যাবেনা।আরেকটা ব্যাপার খুব আহত করে আমাকে, সেটা হল বাঙ্গালীর উৎসবের প্রতি লোভ আর তা প্রকাশের আদিখ্যেতা দেখে,কখন কোথায় কোন উপলক্ষকে উসবে পরিনত করতে হবে তা বিবেচনা না করে ২১ ফেব্রুয়ারী রাত ১২ টা এক মিনিটে শহীদ মিনারের সামনে গিয়ে সেলফী দিয়ে হ্যাপি ২১ শে ফেব্রুয়ারী বলে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়া, কিংবা ২৬ শে মার্চ কে সানন্দে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানানো কতটা হীনকর ও অজ্ঞতার প্রমান তা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখেনা।এখন সব উপলক্ষকে কেন্দ্র করে পোশাকের পরিকল্পনা করা হয় , নিজকে সাজানোর প্রতিযোগিতায় মানুষের ঢল নামে পার্লার কিংবা স্যালুনে।নিজেকে appealing করে উপস্থাপন করার জন্য কাড়ি কাড়ি টাকা ঢালতে দ্বিধা বোধ করেনা অনেকেই।আমি বুঝিনা কিসের appeal এটা? শরীরের?সমাজের?রুচির?নাকি অজ্ঞতার?যারই থাক একটা কথা সগর্বে জানান দিতে চাই আপনাদের, সমাজের অপ্রয়োজনীয় অংশীদার আপনারা, আপনাদের এই appeal আমাদের মনকে উদ্বেলিত করেনা মোটেও, আমরা ভীষণ বিচলিত আপনাদের রুচি, জ্ঞ্যান ও সমাজ উন্নয়নের অংশীদারিত্তের ধরনে।খুব কষ্ট হয় আপনাদের বজ্র আঁটুনির ফস্কা গেরো দেখে। ইশ...... সমাজের মানুষগুলো যদি একটিবার আপনাদের কে সামাজিক মানুষ ভাবতে পারতো!!!!!

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.