নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শান্তির জন্য যুদ্ধ

হাল ছেরো না! দিন শেষ হয়ে যায়নি।

যাযাবরমন

যাযাবরমন › বিস্তারিত পোস্টঃ

কোয়ান্টাম মেথডের খতমে কোরআন আখেরি দোয়া ২০১৫-এ গুরুজী বলেনঃ কোরআন মানুষকে ধ্যান জ্ঞান ও কর্মে উদ্বুদ্ধ করে

০৭ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:০০

তিনি বলেন, জীবনের সবচেয়ে বড় ফরজ হচ্ছে কোরআন জানা। আর কোরআন জানার জন্য চাই মুক্ত মন। কারণ মুক্ত বিশ্বাস মানুষকে মুক্তি দেয়, আর গোঁড়ামি মানুষকে শৄঙ্খলিত করে। কোনকিছু সত্যিকার ভাবে বুঝতে হলে চাই গভীর ধ্যানে নিমগ্ন হওয়া। কোরআন নাজিলের প্রথম সময়ে অধিকাংশ সাহাবী নিরক্ষর ছিলেন। কিন্তু আন্তরিক আগ্রহ তাদেরকে কোরআনের জ্ঞানে জ্ঞানী করেছে।

তিনি বলেন, কোরআন হচ্ছে সুখি জীবনের ম্যানুয়াল, মানুষকে ধ্যান জ্ঞান ও কর্মে উৎসাহিত করে। দিয়েছে এক সুখি সফল প্রাচুর্যময় জীবনের সন্ধান। নবীজী সাঃ ও সাহাবীদের জীবনই তার প্রমান। যখন তাঁরা কোরআনের শিক্ষাকে জীবনে ধারণ করলেন, তখন পৃথিবী জয় করলেন। আর উত্তর প্রজন্মে কোরআন থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়ায় তাঁরা অধপাতে নিমজ্জিত হলেন।

তিনি আরও বলেন, কোরআনের জ্ঞান অর্জন করুন। যে কোরআনের জ্ঞান অর্জন করে আল্লাহ-তায়ালা তাকে দুঃখ থেকে রক্ষা করেন। কারণ সবচেয়ে বড় জ্ঞান হচ্ছে সুন্দর জীবনযাপনের জ্ঞান, কোরআনে তাই রয়েছে। জীবনে যত ধরনের সমস্যা রয়েছে তার সমাধান রয়েছে কোরআনে। এ কারনে কোরআনের জ্ঞান সবসময়ই প্রাসঙ্গিক ও সর্বজনীন, সব ধর্মের সকল স্তরের মানুষের জন্য উন্মুক্ত। আর মায়ের ভাষায় পাঠ করলেই আমরা তা ভালভাবে বুঝতে ও অনুধাবন করতে পারব। আমাদের জীবনও ধ্যান জ্ঞান ও কর্মে সমৄদ্ধ হবে।

কোরআন মানুষের নৈতিক শক্তি জাগ্রত করে। আর নৈতিক শক্তি মানুষকে সতকর্মপরায়ন বা পরহেজগার করে।
আল্লাহ-প্রেম মানুষের আত্মিক শক্তি জাগ্রত করে। আত্মিক-শক্তি/আল্লাহ-প্রেম মানুষকে অমর করে।

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:১৬

বাবু>বাবুয়া>বাবুই বলেছেন: "কোরআন মানুষকে ধ্যান জ্ঞান ও কর্মে উদ্বুদ্ধ করে" এটা গুরুজীর বলার আপেক্ষা রাখে। প্রত্যেক ঈমানদার মুসলিম তা জানে এবং মানে।

গুরুজীর যা বলেন না তা নিম্নরুপ

কোয়ান্টাম দাসত্বের মায়াজাল – প্রো-মাস্টার কোর্স (বায়াত)

ইসলামিক বিবেচনায় কিছু বলার যোগ্যতা আমার নেই। কিন্তু সাধারন হিসেব নিকেশে একটি সেবা মুলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কোয়ান্টাম কতটুকু সততা ও স্বচ্ছতা নিয়ে কাজ করছে তা একটু বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করতে পারি।

কোয়ান্টামের আয় –

কোর্স – গ্রেজুয়েশান কোর্স – ৩৭০ টা ব্যাচ।
শেষ ১০০ ব্যাচ এ প্রতিব্যাচ এ গড়ে ১০০০ জন হলে ৯০০০ হাজার টাকা করে মোট আয় ১০০x১০০০x৯০০০ = ৯০০,০০০,০০০ (নব্বই কোটি টাকা)
আর আগের ১০০ ব্যাচ এ গড়ে ৬০০ জন করে হলে ৬০০০ টাকা করে মোট আয় ১০০x৬০০x৬০০০ = ৩৬ কোটি টাকা।
বাকি প্রথম দিকের ১৭০ ব্যাচ এ গড়ে ২০০ জন করে ৪০০০ টাকা করে মোট আয় ১৭০x২০০x৪০০০ = ১৩,৬০,০০,০০০
আর ৩৭০ টি ব্যাচ এ যারা কোর্স রিপিট করেছেন এদের কাছ থেকে আনুমানিক ১০ কোটি ধরলাম।

মোট আয় = ১৪৯,৬০,০০,০০০ টাকা অর্থাৎ প্রায় ১৫০ কোটি টাকা।

প্রো-মাস্টার কোর্স – আনুমানিক ৮০০০ জন ৩০০০ টাকা করে = ২ কোটি ৪০ লাখ।

প্রথমায়ন, শিক্ষার্থী কোর্স, ব্যায়াম কোর্স, সাইকি কোর্স, হার্ট কোর্স, আইসিটি ইত্যাদি থেকে আনুমানিক ১৫ কোটি টাকা।

ম্যাটির ব্যাংক = গত ১১ বছরে গড়ে ৬ কোটি টাকা হিসেবে ৬৬ কোটি। গত বছর হয়েছে ১৪ কোটি টাকা।

যাকাত – গত ১৪ বছরে গড়ে ১ কোটি টাকা হিসেবে ১৪ কোটি টাকা। গত বছর হয়েছে ৫ কোটি টাকা।

হিলিং থেকে দিনে ২০ হাজার টাকা করে গত ২১ বছরে আনুমানিক ১০০ কোটি টাকার মত হওয়ার কথা।

অনুদান – আনুমানিক গত ২১ বছরে কমপক্ষে ৫০ কোটি টাকা। এইটি আর অনেক বেশি হতে পারে।

ব্লাড ব্যাংক – ১২ কোটি টাকা।

বিভিন্ন ওয়ার্কশপ এবং সাপ্তাহিক, মাসিক এবং বাৎসরিক প্রোগ্রাম গুলো থেকে আরও ২০ কোটি টাকা।

প্রকাশনা – প্রকাশনা থেকে আয় আনুমানিক ৫০ কোটি টাকা। কিন্তু আয় আরও অনেক বেশি হতে পারে। কারন গত ২১ বছরে প্রতি বছরে কোটি কোটি টাকার বই এবং অন্যান্য প্রকাশনা বিক্রি হচ্ছে।

সব মিলিয়ে আনুমানিক সর্ব মোট আয় – ৩৭৯ কোটি ৪০ লাখ।

খরচের খাত –

স্কুল – স্কুল প্রতিষ্ঠা এবং অবকাঠামো উন্নয়নে সর্ব উচ্চ ৭ কোটি (বাস্তবে আরও অনেক কম হবে)। জমি গুলো নাম মাত্র দামে কেনা।

গত ১১ বছরে গড়ে ৪০০ জন শিক্ষার্থীর জনপতি মাসিক খরচ ২ হাজার টাকা হিসেবে মাসে মোট খরচ ৮ লাখ ১২ = ৯৬ লাখ, ১১ বছরে মোট = ১০ কোটি ৫৬ লাখ। কিন্তু মজার ব্যাপার হচ্ছে প্রতিটি বাচ্চাদের পিছনে ২-৩ জন আত্মিক মা-বাবা আছেন যারা বাচ্চাদের এই খরচ চালিয়ে যান। অর্থাৎ কোয়ান্টামের মুল ফান্ড থেকে কোন খরচ এদের জন্য করা হয়না বরং ২-৩ জন আত্মিক মা-বাবা থাকায় টাকা আরও উদ্বৃত্ত থেকে যায়। অর্থাৎ মাটির ব্যাঙ্কের দান দিয়ে যে স্কুল চালনা হয় তা সত্য নয়।

আরও কার্যক্রমের মধ্যে আছে ১২ এতিম মেয়ে শিশুর ভরন পোষণ এবং , মাতৃ মঙ্গল কার্যক্রমে ৮০০ নারীকে সেবা দান যা খুব বেশী হলে ৩০ লাখ খরচ ধরলাম।

ব্লাড ব্যাংক ; প্রতিষ্ঠা করতে ধরে নিলাম আনুমানিক ৩ কোটি টাকা খরচ হয়। যা রক্ত বিক্রির (কোয়ান্টামের ভাষায় নুন্যতম প্রসেসিং ফি) পয়সা দিয়ে অনেক আগেই উঠে এসেছে। আর গড়ে মাসে সাড়ে ছয় হাজার ব্যাগ থেকে ৫০০ ব্যাগ যদি বিনা মুল্যে বিতরণ করা হয়ে থাকে তবে ৬০০০ ব্যাগ থেকে যে আয় হয় দিয়ে ছয় মাসে প্রতি জেলায় একটি করে ব্লাড ব্যাঙ্ক করা যায়।
যাকাত – কোয়ান্টামের যাকাত দেওয়ার নিয়ম হচ্ছে যা দেওয়া হবে তা ফেরত দিতে হবে। অর্থ ১০ হাজার টাকায় গরু কিনে দিলে তা যদি বড় করে ২০ হাজার টাকা বিক্রি করা হয় তবে মুল লগ্নি ১০ হাজার কোয়ান্টামকে ফেরত দিতে হবে। প্রায় ক্ষুদ্র ঋণের মত। অর্থাৎ কোয়ান্টামের টাকা কোয়ান্টামেই রয়ে যায়। গত বছর কোয়ান্টাম যাকাত সংগ্রহ করেছে ৫ কোটি টাকার উপরে। আর বাংলাদেশের কয়টি পরিবার বলতে পারবে তারা কোয়ান্টাম থেকে যাকাত পেয়েছে! প্রতি বছর একটি ছবি ছাপা হয় কোয়ান্টাম প্রকাশনায় যে একটি সেলাই মেশিন আর একটি ইজি বাইকের ছবি দিয়ে যে শত শত পরিবারকে কোয়ান্টাম যাকাত দিচ্ছে। অথচ কোয়ান্টাম সদস্যরা নিজের পাড়া পড়শি ও নিকট আত্মীয়কে যাকাত না দিয়ে গুরুর নির্দেশে কোয়ান্টামে যাকাত দেন যার যাকাত দান প্রক্রিয়া মোটেই ইসলাম সম্মত নয়। আরও একটি প্রশ্ন উঠে কোয়ান্টাম কি যাকাত নিতে পারে? এই পর্যন্ত কোয়ান্টাম অসংখ্য কোয়ান্টাম সদস্যদের জিজ্ঞেস করেছি যে তাদের পরিচিত বা এলাকার কেউ কোয়ান্টামের কাছ থেকে যাকাত পেয়েছে কিনা। সবার উত্তর নেতি বাচক। অথচ রমজানের সময় গুরু বার বার তাড়না দিয়ে সদস্যদের মধ্যে অসুস্থ প্রতিযোগিতার সৃষ্টি করেন কে কত বেশী যাকাত আদায় করে আনতে পারেন পরিচিত জনদের কাছ থেকে।
নলকুপ স্থাপন – বলা হয়ে থাকে এই পর্যন্ত প্রায় ১৮৪ টি নলকূপ স্থাপন করা হয়েছে কোয়ান্টামের পক্ষ থেকে। এই সংখ্যা যাচাইয়ের বিষয়। কিন্তু এই ১৮৪ টি নলকূপ স্থাপন করতে কত খরচ হবে? ২০ লাখ টাকা বা ৩০ লাখ টাকা, এর বেশী কি?
কর্মচারীর বেতন ; কোয়ান্টামের প্রায় ৯৫% কর্মচারী মুলত স্বেচ্ছাসেবী। বেতন ভুক্ত যারা আছেন তাদের বেতন তুলনামূলক ভাবে অনান্য প্রতিষ্ঠান থেকে এতই নগণ্য যে অবাক হতে হয়।
খতনা কার্যক্রম এবং দাফন কার্যক্রম – এই গুলো মুলত যে স্থানে আয়জন করা হয় ঐখানের স্থানীয় সদস্যরাই খরচ বহন করে থাকেন। অর্থাৎ কোয়ান্টামের কেন্দ্রীয় অফিস থেকে কোন টাকা আসেনা। ঔষধ বাবদ সারা বছরে ১ লাখ টাকার বেশী খরচ হওয়ার কথা না।
অফিস রেন্ট – কোয়ান্টামের কেন্দ্রীয় অফিস এবং সারা বাংলাদেশে কয়েকটি শাখা ছাড়া দেশ জুড়ে যত শাখা প্রি-সেল আছে এই গুলোর অফিস ভাড়া মুলত ঐ শাখা প্রি-সেলের স্থানীয় সদস্যরাই বহন করেন। সেই সাথে শাখা প্রি সেল গুলোতে যত রকম প্রোগ্রাম হয় তার সব টুকুই ঐ শাখা প্রি-সেলের স্থানীয় সদস্যরাই বহন করেন। কোয়ান্টামের কেন্দ্রীয় অফিস থেকে কোন টাকা খরচ হয়না।

০৮ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:০৪

যাযাবরমন বলেছেন: কোনদিন কোন হুজুর/মওলানাকে বলতে শুনেছেন যে কাজ/চাকরি/জীবিকার সন্ধান করা ওয়াজিব? নাকি কোনদিন কোন হুজুর/মওলানাকে কাজ/চাকরি খুজতে দেখেছেন?

২| ০৭ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:৩৬

যাযাবরমন বলেছেন: জনাব বাবু<বাবুয়া<বাবুই,
আমি কোয়ান্টামে চাকরি করলে হিসাব ভালভাবে দিতে পারতাম। তারপরও আমার জানা মতে উত্তরগুলো ধারাবাহিক ভাবে দোয়ার চেষ্টা করছি।
১- "কোরআন মানুষকে ধ্যান জ্ঞান ও কর্মে উদ্বুদ্ধ করে" এটা গুরুজীর বলার আপেক্ষা রাখে। প্রত্যেক ঈমানদার মুসলিম তা জানে এবং মানে। উত্তর:- কোনদিন কোন হুজুর/মওলানাকে বলতে শুনেছেন যে কাজ/চাকরি/জীবিকার সন্ধান করা ওয়াজিব? নাকি কোনদিন কোন হুজুর/মওলানাকে কাজ/চাকরি খুজতে দেখেছেন?
২- কোয়ান্টাম দাসত্বের মায়াজাল। উত্তর:- যে দাসত্বের মায়াজাল কারও শারিরিক, মানসিক ও আত্মীক অবস্থার উন্নতি ঘটায় তা বন্ধনহীন উচ্ছন্যতার চেয়ে ভাল নয় কি?

৩| ০৭ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:৫৪

যাযাবরমন বলেছেন: ৩- ৩৭০ টি ব্যাচ এ মোট আয় = ১৪৯,৬০,০০,০০০ টাকা অর্থাৎ প্রায় ১৫০ কোটি টাকা। উত্তর:- বর্তমানে কোর্স ফি ৯৫০০ টাকা। ৪ দিনে ৪২ ঘন্টা কোর্সের বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অনেক টাকা। এখন প্রত্যেক জিনিসেরই নিজস্ব ফেস ভেলু আছে। তামা আর সোনা কাছাকাছি দেখালেও ২ টির দামের পার্থক্য অনেক। রাস্তার প্রাইভেট কার দেখে কি কখনও প্রশ্ন করেন এর দাম লাখ লাখ টাকা কেন, হাজার টাকায় রিক্সা পাওয়া যায়।
একইভাবে কোয়ান্টাম যে কোর্স করায় তার অনুরুপ কোর্সের মুল্য অন্নান্য দেশে কত? ভারতে একই কিন্ত এর প্রায় অর্ধেক কন্টেনটের কোর্সের ফি ৭০,০০০ টাকা। সেই তুলনায় কোয়ান্টামের কোর্স ফি কম নয় কি? আর কোয়ান্টাম দিচ্ছে লাইফ টাইম ফ্রি সাপোর্ট।

৪| ০৭ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:১৯

যাযাবরমন বলেছেন: ৪- আপনি অনেকগুলো আয়ের খাত বলেছেন, যার অনেকগুলোই আমিও জানতাম না। কিন্তু খরচের খাতে বললেন শুধু -
স্কুল – স্কুল প্রতিষ্ঠা এবং অবকাঠামো উন্নয়ন - সর্ব উচ্চ ৭ কোটি
শিক্ষার্থীর জনপতি মাসিক খরচ - ২ হাজার টাকা
১২ এতিম মেয়ে শিশুর ভরন পোষণ
ব্লাড ব্যাংক ; প্রতিষ্ঠা - আনুমানিক ৩ কোটি
উত্তর:- যেই কথাগুলো আপনি বলেন নাই-
স্কুল অবকাঠামো উন্নয়ন সবসময়ই চলছে, কারন প্রাইমারী স্কুল থেকে আরম্ভ হয়ে এখন আবাসিক কলেজ হচ্ছে, ইনসাআল্লাহ সামনে ইউনিভারসিটি হবে। এজন্য কত খরচ হয় তা আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না।
শিক্ষার্থীর জনপতি মাসিক খরচ - ২ হাজার টাকা!! আপনি কোন খরচের কথা বলছেন? খাবারের নাকি থাকা ও পোষাকের, নাকি ৪০০ জন ৪ বছরের বাচ্চার সবধরনের কাজ ও দেখাশোনার জন্য শিক্ষক ছারাও যে ৮০০ জন আয়া-বুয়া লাগে তাদের কথা বলছেন? কোয়ান্টামে বাচ্চাদের যে খাবার দেয়া হয় আপনি তা ৪০০০ টাকাতেও ম্যানেজ করতে পাবেন না।

ব্লাড ব্যাংক ; প্রতিষ্ঠা - আনুমানিক ৩ কোটি: এখনকার পরিচালনা, ডাক্তার ও কর্মী খরচ, ৫ টি ব্লাড টেস্টের খরচ, তারপর ট্রান্সফিউশন সেটের দাম কে দেবে? আপনাকে মনে রাখতে হবে কোয়ান্টাম কোন সরকারী/বেসরকারী সাহায্য নেয় না। এখনকার পরিচালনা, ডাক্তার ও কর্মী খরচ বাদ দিলাম। ৫ টি ব্লাড টেস্টের খরচ, আর ট্রান্সফিউশন সেটের দাম বাবদ ৮০০ টাকা কি বেশি হয়ে যায়? আর গরিব রোগীরা ডাক্তারের থেকে লিখিয়া আনলে ৮০০ টাকাও নেয়া হয় না।

এরপর কোয়ান্টামের শত-শত আউটলেট ও রিসার্চ এর খরচ কে দেবে?

৫| ০৮ ই জুলাই, ২০১৫ ভোর ৪:১০

কোলড বলেছেন: Surprised to see these touts/frauds still find business in Bangladesh. I meant these quantum/yogi foundation but then I shouldn't expected more form people who are into pir/murid/dewanbagi etc.

০৮ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:১৮

যাযাবরমন বলেছেন: @ কোলড, আপনি এই কথা কেন বললেন?
গুরুজী তার ১৯৮১ থেকে ১৯৯৩ পর্যন্ত ১২ বছর রিসার্চ করে যে কোর্স দার করিয়েছেন, প্রচার করে লোক জমা করেছেন, তারপর অডিটোরিয়াম ভাড়া করে ৪ দিনে ৪২ ঘন্টা ধরে লেকচার দিয়ে মানুষের মনোজাগতিক জট ছারিয়ে তাদের জীবনের সর্বোচ্চ সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচনের চেষ্টা করেছেন। আর বিনিময়ে শত-শত গবেষক ও কাউন্সিলর নিয়ে রিসার্চ চালিয়ে যাওয়ার জন্য সম্ভাব্য সর্বনিম্ন কোর্স ফি নিচ্ছেন এই জন্য?
ফ্রি করালে নিশ্চই এই কথা বলতেন না?

টিএম ৪ দিনে প্রথম দিন ১-২ ঘন্টা আর বাকি ৩ দিন ১ -১.৫ ঘন্টার জন্য বর্তমানে কনসেশনে প্রায় ১৯,০০০ টাকা নিচ্ছে।
আর কোয়ান্টাম শুধু মেডিটাশন কোর্স করায় না, দেশের মানব সম্পদ উন্নয়নেও বিভিন্ন ভাবে কাজ করছে।
তারপরও কোয়ান্টামের সকল আয়-ব্যায়ের হিসাব এনবিআর-কে দিতে হয়।

৬| ০৮ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:৩৩

যাযাবরমন বলেছেন: ৫- যাকাত:- কোয়ান্টামে যারা যাকাত দেয়, কোয়ান্টাম তাদের পুরো টাকার রিসিট দেয়। তারপর যাকাত দাতার পছন্দ মত যাকাত দয়ার জন্য অর্ধেক টাকা যাকাত দাতাকেই ফেরত দেয়।
কোয়ানতাম যাকাত ফান্ডের উদ্দেশ্য মানুষকে সাবলম্বী করা, টাকা বিলানো নয়। কোয়ান্টাম যাদের যাকাতের টাকা দেয়, তাদের সবসময় মনিটরিং করে যেন তারা টাকাটা নষ্ট করতে না পারে, সাবলম্বী হয়। এবং বছর শেষে যাকাতের টাকার নয় বরং লাভের ৫০% কোয়ান্টাম আবার রিফান্ড করে, যাতে অন্য আরেক জনকে সাবলম্বী করা যায়।

৭| ১৩ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:০৮

নতুন বলেছেন: মাটির ব্যাংকে টাকা, সদগা হিলিং, সেফা পানি, যাকাতের টাকা ,

এই গুলি যে ভন্ডামী এটা বোঝার জন্যতো বেশি চিন্তা করা লাগেনা।

দান করলে মানুষের জন্য প্রাথনা করলে রোগ ভাল হয়, সেফা পানি আর পানিপড়া/ফু দেওয়ার মাঝে পাথক কতটুকু?

গুরুজী যেহেতু আপনার মটিভেসনের গুরু তাই তার সমস্যা আপনার চোখে পরবে না সেটাই সাভাবিক।

মেডিটেসন অবশ্যই খুবই ভাল জিনিস... আমিও আমার মতন করে মেডিটেসন করে থাকি।

কিন্তু একটা জিনিস একটু খুজে দেখবেন কি??? সদগা হিলিং, সেফা পানি, মাটির ব্যাংকে টাকা দিলে মনোবাসনা পূন হয় এমন কিছু কি দুনিয়ার অন্য কোন মেডিটেসন সেন্টারে আছে কিনা???

নাই। কারন উন্নত দেশে এ ধান্দাবাজী চলবেনা ।তাই তারা সুধুই মেডিটেসনই শেখাইয়া টাকা নেয়।

১৭ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৬

যাযাবরমন বলেছেন: সদগা হিলিং, সেফা পানি, মাটির ব্যাংকে টাকা দিলে মনোবাসনা পূন হয় এমন কিছু কি দুনিয়ার অন্য কোন মেডিটেসন সেন্টারে নাই, কারন কোয়ান্টাম মেথড আসলে একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান।
কোয়ান্টাম মেথডের ১ম উদ্দেশ্য আল্লাহ/ঈশ্বর। পানিপড়া/ফু যে কেউ দিলেই কাজ হয় না, মানসিক যোগ্যতা লাগে। মেডিটেশন হচ্ছে মানুষের মনকে ঈশ্বরের সাধনার উপযুক্ত করার প্রথম ধাপ।

৮| ১৩ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:১০

নতুন বলেছেন: কোয়ান্টাম মেথড < মেডিটেসনের সাথে আধুনিক শব্দ যোগ করে আধুনিক প্রতারনা?
http://www.somewhereinblog.net/blog/neoblog/29715045

৯| ১৭ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:৫৫

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: সদগা হিলিং, সেফা পানি, মাটির ব্যাংকে টাকা দিলে মনোবাসনা পূন হয় এমন কিছু কি দুনিয়ার অন্য কোন মেডিটেসন সেন্টারে নাই, কারন কোয়ান্টাম মেথড আসলে একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান।
কোয়ান্টাম মেথডের ১ম উদ্দেশ্য আল্লাহ/ঈশ্বর। পানিপড়া/ফু যে কেউ দিলেই কাজ হয় না, মানসিক যোগ্যতা লাগে। মেডিটেশন হচ্ছে মানুষের মনকে ঈশ্বরের সাধনার উপযুক্ত করার প্রথম ধাপ।



মেডিটেসনের ইতিহাস অনেক পুরানো। এটাকেই আপনার গুরুজী জারগন+ইসলামীকরন করে কুসংস্কার মিশিয়ে সবাইকে খাওয়াচ্ছেন।

পানিপড়া/ফু যে কেউ দিলেই কাজ হয় না, মানসিক যোগ্যতা লাগে।
যাক আপনি বিশ্বাস করেন যে পানিপড়ায় কাজ হয়??? :| :| :| :| :| :|

১৮ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৩:৩৪

যাযাবরমন বলেছেন: যখন প্রমান হাতে থাকে তখন বিশ্বাস করার দরকার হয় না।
২ জন খুব নামকরা বিজ্ঞানীর ১ টা ঘটনা আছে, আমি ২ জনের নামই ভুলে গেছি, ঘটনাটি এমন-
১ জন বিজ্ঞানির দরজায় ঘোড়ার নাল ঝোলানো দেখে আরেকজন বিজ্ঞানী বললেন তুমি এইসব কুসংস্কার বিশ্বাস কর? জবাবে ১ম জন বললেন "না আমি বিশ্বাস করি না, তবে শুনেছি বিশ্বাস না করলেও নাকি কাজ হয়"।

আসলে পানিপড়া/ফু বড় বিষয় না, বিষয় হচ্ছে দোয়া/আকাংখা। মানুষের ব্রেন অনেক কিছুর মত ১ ধরনের রেডিও হিয়েবেও কাজ করে। যা মহাবিশ্বের মুল নিয়ন্ত্রন প্রক্রিয়ার থেকে তথ্য আদান-প্রদান করতে পারে। সঠিক যোগ্যতা সম্পন্ন ব্রেন সহজেই মহাবিশ্বের মুল নিয়ন্ত্রন প্রক্রিয়াকে তার চাওয়া জানাতে পারে। কিন্তু মানসিক যোগ্যতার ঘাটতি থাকলে অনেক সময়ই গ্রাহক ব্রেন কে আলাদা করে নক করতে হয়, যে তোমার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। পানিপড়া/ফু আসলে এই নক করার কাজ করে।

সংস্কার ও কুসংস্কার এক জিনিষ না। যেমন আগেকার দিনে আমাদের দেশে নানি-দাদিরা ছোট বাচ্চাদের পিটুলি বা চাল বাটা গোলা খাওয়াতো, যে এতে পেট ভাল থাকে। ডাক্তাররা বললেন এসব কুসংস্কার, তারপর তারা কলেরা রোগের জন্য শত শত কোটি টাকা খরচ করে যে চিকিৎসা আবিষ্কার করলেন তার নাম রাইস-সেলাইন( চাল বাটা গোলা)

আগেকার দিনে বলা হতো কোন কিছু খেলে পোরো অংশ থেকেই খেতে হবে, যেমন ডিম। ডাক্তাররা বললো এসব কুসংস্কার, ডিমের কুশুম খাওয়া জাবে না। আর সম্প্রতি পড়লাম ডাক্তাররাই বলছেন যে সপ্তাহে ৬ টি ডিম খাওয়া যাবে। আগে ডিমের কুসুম খেতে নিষেধ করে হয়েছিলো খরগোশের উপর করা পরীক্ষা থেকে। যেখানে ডিম খরগোশের খাবার না, কিনতু মানুষের খাবার।

আসলে মানুষ এইধরনের(কোয়ান্টাম ইসলামীকরন করে কুসংস্কার মিশিয়ে সবাইকে খাওয়াচ্ছে) অভিযোগ করে তাদের জানার অভাবের কারনে। আপনি নিশচই জানেন না যে পশ্চিমা বিশ্বেই এখন প্রার্থনা করাকে চিকিৎসার সহায়ক হিসেবে প্রয়োগ করা হয়।

১০| ১৭ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:২৮

মুদ্‌দাকির বলেছেন:

কন্টামের ভালো মন্দ অনেক শুনেছি। জাজ করতে চাই না। কিন্তু আমি আসলেই মেডিটেশন শিখতে চাই। এবং তা অতি শিগ্রই চাই। কেমনে কি ?

১৮ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৩:৪৯

যাযাবরমন বলেছেন: বিশ্বে মেডিটেশন করার অনেক রকম পদ্ধতি চালি আছে। তার অনেক গুলোই নেটে ফ্রিতে পাওয়া যায়।
বাংলায় আমার জানা মতে শুধু কোয়ানটাম মেথড চালু আছে। কোয়ানটাম মেথড আসলে আধুনিক কিছু মেডিটেশন পদ্ধতি ও পীর-দরবেশদের মোরাকাবার ফিউশন। ৯৫০০/= টাকা দিয়ে কোয়ান্টাম কোর্স না করেও এর সবগুলো মেডিটেশন ও সমপুর্ন কোর্স ফ্রিতে নেটে পাওয়া যায়।
বই পড়ে ও অডিও শুনে আপনি নিজে নিজেও শেখার চেষ্টা করতে পারেন।
আল কোরআন বাংলা মর্মবাণী Click This Link
কোয়ান্টামের প্রকাশনা সমুহ- http://publication.qm.org.bd/#/

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.