নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাদের আলেমদের কাছে কি রাসুল (সা.) -এর চেয়ে মুয়াবিয়া দামি হয়ে গেল? যে আমরা রাসুল (সা.) -এর '১ সা' এর বদলে মুয়াবিয়ার '১/২(আধা) সা' নিয়মে সাদকাতুল ফিতর আদায় করছি! মুহাম্মদ রাসুুলাল্লাহ (সা.)-এর সময় জব, কিশমিশ, পনির ও খেজুর এই ৪ টি ভিন্ন দামের খাদ্য দ্রব্য সমান এক সা (৩ কেজি ২৫৬ গ্রাম ) দিয়ে সাদকাতুল ফিতর আদায় করা হত। ৪/৫ জন খলিফ আতিক্রম হয়ে যাওয়ার পর খলিফা মুয়াবিয়া কিভাবে আধা সা গম-কে এক সা জব, কিশমিশ, পনির বা খেজুর সমান করলেন? আর সকল আলেম কিভাবে তা মেনে নিলো? বর্তমানে গমের দাম এদের মধ্যে সবচেয়ে কম হওয়ার পরও কেন এখনও আমরা আধা সা গম এর দামে সাদকাতুল ফিতর দিচ্ছি?
কী: ঈদুল ফিতরের দিন সকালে ৫২ ভরি রূপার মূল্যের বেশি সম্পদের মালিকদের পক্ষ থেকে ১ জন দরিদ্র ব্যক্তিকে ২ বেলা খাবারের ব্যবস্থা করাকে সাদকাতুল ফিতর বলা হয়।
কেন: ঈদের আনন্দ সবার মাঝে ছরিয়ে দেয়ার জন্য, যাতে ঈদের দিন কোন দরিদ্র ব্যক্তিকে রিজিকের সন্ধানে বের হতে না হয়।
কিভাবে: হজরত আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বলেন, আমাদের সময় ঈদের দিন এক সা (৩ কেজি ২৫৬ গ্রাম ) খাদ্য দ্বারা সাদকা আদায় করতাম। আর তখন আমাদের খাদ্য ছিল জব, কিশমিশ, পনির ও খেজুর।[সহিহ বোখারি]
আমাদের অভ্যাস: রাসুল (সা.)-এর যুগে আরবে গমের ফলন ভালো ছিল না বিধায় আলোচিত চারটি পণ্য দ্বারাই ফিতরা আদায় করা হতো। এরপর খলিফা মুয়াবিয়ার যুগে গমের ফলন বেড়ে যাওয়ায় গমকে আলোচিত চারটি পণ্যের সঙ্গে সংযোজন করেন। তখন গমের দাম বাকি চারটি পণ্যের তুলনায় বেশি ছিলো। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর বলেন, 'নবীজি (সা.) এক সা খেজুর বা এক সা জব দিয়ে ফিতরা আদায় করার আদেশ দিয়েছেন। পরবর্তী সময় লোকজন দুই মুদ গমকে (আধা সা) এগুলোর সমতুল্য মনে করে এবং আদায় করে। [বোখারি]
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সুবিধাবাদী আর রাজণৈতিক অংক ঢুকে গিয়েই মনে হয় এইসব!!! নইলে কি আর এসব ঘটে???
ক্ষমতা আর লোভে আহলে বাইয়াতের বিরোধীতায় এতটাই কঠোর হয়ে যায়- কোরআন এবং সুন্নাহকে পদদলিত করে- সেই পাপীষ্টরা!
আর এখানেতো এক সা কে আধা সা বানিয়েছে!!!!
তবে আরও মজবুত করতে হাদীস সমুহের লিংক যুক্ত করে দিন। মানুষ আরও মুক্তভাবে ভাবতে শিখুক। তথ্যের অবাধ প্রবাহই জ্ঞানকে জাগরিত করতে পারে।