নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শান্তির জন্য যুদ্ধ

হাল ছেরো না! দিন শেষ হয়ে যায়নি।

যাযাবরমন

যাযাবরমন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আইএস কাফেরদের বিষয়ে সচেতন হোন।

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৫১

ইসলাম শান্তির ধর্ম। ইসলামের আরেক নাম ভালবাসা। আমাদের সার্বক্ষণিক সঙ্গী “শয়তান” আমাদেরকে অনেক যুক্তি দেখাতে পারে, বাস্তবতা হচ্ছে ইসলাম ধর্ম তলোয়ারের শক্তি দিয়ে প্রতিষ্ঠিত বা বিস্তৃত হয় নাই, ভালবাসা দিয়েই ইসলাম ধর্ম আসন গেরেছে।
তায়েফবাসীদের পাথরের আঘাতে মুহাম্মদ(সাঃ) এর জুতা পর্যন্ত রক্তে ভিজেগিয়েছিলো, এর জবাবে রাসুলুল্লাহ(সাঃ) তেয়েফবাসীদের জন্য শান্তির দোয়া করেছেন। যে বুড়ী তাঁর পথে কাঁটা দিয়ে রাখতো, তিনি সেই বুড়ীর অসুখে সেবা করেছেন। যে মক্কাবাসী তাঁর সাথীদের দুই পা দুই উটের সাথে বেঁধে টানাদিয়ে মাঝখান থেকে ছিরেফেলতো, তাদেরকে যুদ্ধলব্ধ দাস হিসাবে পাওয়ার পর নবীজী(সাঃ) তাদের সাথে নিজের ভাইয়ের মত আচরণ করার নির্দেশ দিয়েছেন। যে মক্কাবাসী তাঁকে বাচার জন্য ঘাস-পাতা খেতে বাধ্য করেছিলো, যারা নবীজীর হত্যাকাণ্ড নিশ্চিত করেছিলো, যাদের হাত থেকে শুধু প্রান বাচানোর জন্য নবীজী(সাঃ) ও তাঁর সাথীরা গোপনে মক্কা থাকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন; এমনকি মক্কা থেকে পালিয়ে যাওয়ার পরও যে মক্কাবাসীরা নবীজী(সাঃ) ও তাঁর সাথীদের ধংস করার সর্বাত্মক চেষ্টা করেছে। মক্কা বিজয়ের পর নবীজী(সাঃ) সেইসব অমানুষদের সবাইকেই ক্ষমা করে দিয়েছেন। শুধু তাই না, ঐসব অমানুষদের নেতার ছেলেকে গভর্নর বানিয়েছেন।
মিশর বিজয়ের পর মুসলমানরা পিরামিড-স্ফিংস ভাঙ্গেনাই, বা বামিয়ানের বুদ্ধ মূর্তির গায়ে মুসলিম বিজয়ীরা হাত দেয় নাই। ৪০০ বছর শাষন করার পরও ভারত হিন্দুপ্রধান দেশ। মুসলিম শাসকরা জোর খাটালে ভারত থেকে স্পেন পর্যন্ত একজন মানুষও অমুসলিম থাকতো না।
মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ও তাঁর সাহাবি-অনুসারিরা সব সময়ই কঠোরতা, সন্ত্রাস, ঘৃণা-হত্যা ও জোর-জুলুমের বিরুদ্ধে ছিলেন। তাঁদের মূলনীতি ছিলো “ভালবাসা”। আর এটাই ইসলাম ধর্ম।
এর পর আনেক মানুষ এসেছে, যাদের মূলনীতি ঘৃণা। তারা ইসলাম ধর্মের নাম নিয়ে শুধু ক্ষমতা পাওয়ার জন্য কঠোরতা, সন্ত্রাস, ঘৃণা-হত্যা ও জোর-জুলুম করেছে। এদের মুখে যাই থাকুক মূলনীতি ছিল সন্ত্রাস ও ঘৃণা। আর মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ও তাঁর সাহাবি-অনুসারিদের মূলনীতি ছিল ভালোবাসা ও ক্ষমা।
এখন যার মূলনীতি রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ও তাঁর সাহাবিদের ঠিক বিপরীত তারা কিভাবে মুসলমান হয়?

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:১৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: খুব সুন্দর করে সহজ কথায় সত্যটুকু তুলে ধরেছেন।

ইদানিং আরেকটা গ্রুপ বেরিয়েছে- খেয়াল করেছেন কিনা? তারা কলেমার প্রথম অংশে জোর দেয়- মুহাম্মদ রাসুলাল্লাহ অংশটা বরেনা ঐটা নাকি শিরক!!!!(নাউজুবিল্লাহ)
যেখানে কলেমা পূর্ন না হলে বিশ্বাসই পূর্ন হয় না। তার নব আবিস্কার করেচে আর।রাহর নামের সাতৈ মুহাম্মদ সা: এর নাম মিলিয়ে পড়লে নাকি শিরক হয়!
কতটা বিভ্রান্ত মূর্খ এবং পথভ্রস্ট তারা! কালকে আইএসের পতাকায় খেয়াল করলাম কলেমার শুধূ প্রথম অংশ!!!!!!!!!!!!!!!!!

শান্তির ধর্ম ইসলামকে হত্যা বিভৎসা, হানাহানি দিয়ে তারা সাম্রাজ্যবাদীদের ইসলামকে করংকিত করার মিশনই বাস্তবায়িত করতেছে। তাদের ধ্বংস হোক। সত্যিকারের প্রেমময়, শান্তির ধর্ম ইসলাম সুপ্রতিষ্ঠিত হোক।

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:১৬

যাযাবরমন বলেছেন: আইএস কাফের, এর বেশি কিছু বলার নাই।
আজাজিল শয়তান আল্লাহ-তায়ালার আদেশে মানুষ্কে সেজদা করতে রাজি হয়নাই বলে তাকে কাফের ঘোষণা করা হয়েছে। এখন যারা ইসলামের মূলনীতি ও মুহাম্মদ(সাঃ) -কে মানে না তারা কত বড় কাফের?

২| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩১

দরবেশমুসাফির বলেছেন: শান্তির ধর্ম ইসলামকে হত্যা বিভৎসা, হানাহানি দিয়ে তারা সাম্রাজ্যবাদীদের ইসলামকে করংকিত করার মিশনই বাস্তবায়িত করতেছে। তাদের ধ্বংস হোক। সত্যিকারের প্রেমময়, শান্তির ধর্ম ইসলাম সুপ্রতিষ্ঠিত হোক।

আমিন।

৩| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৩০

যাযাবরমন বলেছেন: Click This Link
আইএস মোসাদের সৃষ্টি

যুগান্তর ডেস্ক | প্রকাশ : ১৮ নভেম্বর ২০১৫
দুনিয়াব্যাপী ‘ইসলামী খেলাফত’ প্রতিষ্ঠার যুদ্ধের স্বঘোষিত খলিফা ও সন্ত্রাসী সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) নেতা খলিফা আবুবকর আল বাগদাদি মুসলমান নন। তিনি একজন ইহুদি। তার আসল নাম আকা ইলিয়ট শিমন। এর চেয়ে বিস্ময়কর তথ্য হচ্ছে, বিশ্বব্যাপী ‘ইসলামী শাসনব্যবস্থা’ কায়েমের আদর্শে মত্ত আইএস ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সৃষ্টি। এ জঙ্গিগোষ্ঠীর শীর্ষস্থানীয় নেতাদের প্রত্যেকেই মোসাদের কাছে প্রশিক্ষণ নিয়েছে। মোসাদের প্রশিক্ষণ পদ্ধতিতেই আইএস জঙ্গিদের ‘যুদ্ধকৌশল’ শেখানো হয়।
সুসংগঠিত এ জঙ্গিগোষ্ঠীটি ‘ইসলামিক স্টেট’ নামে আত্মপ্রকাশের আগে যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান দলের সিনিয়র সিনেটর ও ২০০৮ সালের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী জন ম্যাককেইনের সঙ্গে বেশ কয়েকবার বৈঠক করেছে। গোড়ার দিকের ওই গোপন বৈঠকগুলোতে মোসাদের বেশ কয়েকজন সদস্য ও আইএসপ্রধান বাগদাদি উপস্থিত ছিলেন। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যম ও গবেষণা প্রতিবেদন ঘেঁটে বিশ্বব্যাপী আতংক সৃষ্টি করা ইসলামিক স্টেট ও এর প্রধান খলিফা আবুবকর আল বাগদাদির পরিচয় নিয়ে এসব চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে।
মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র সাবেক কর্মকর্তা এডওয়ার্ড স্নোডেনের ফাঁস করা যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার (এনএসএ) গোপন নথিতেও এ ব্যাপারে উল্লেখ আছে বলে জানিয়েছে ‘আমেরিকান ফ্রি প্রেস’ নামের ওয়েবসাইট। সন্ত্রাসবাদের ইতিহাসে সবচেয়ে ধনী সংগঠন বলে পরিচিত আইএসের উত্থান হয় গত বছরের জুনে। ইরাক ও সিরিয়ার বিশাল অংশ দখলে নিয়ে ইসলামিক স্টেট নাম দিয়ে খেলাফত ঘোষণা করেন বাগদাদি।
প্যারিসে ভয়াবহ হামলার পর একই কথা বলেছেন কিউবার সাবেক নেতা ফিদেল ক্যাস্ত্রো ও মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ। সংবাদ সম্মেলন করে দু’জনই বলেছেন, আইএস ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসী অস্ত্র। বিশ্বব্যাপী নিজেদের আধিপত্য বিস্তার ও স্বার্থসিদ্ধির জন্য আইএস নামের এ ভয়ানক কালসাপ মাঠে নামিয়েছে তারা।
ইসলামিক স্টেট সৃষ্টির এক বছর আগে ২০১৩ সালের জুনে যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান সিনেটর জন ম্যাককেইন সিরিয়ায় আবুবকর আল বাগদাদিসহ অর্ধডজন শীর্ষ জঙ্গি নেতার সঙ্গে গোপন বৈঠক করেন। সম্প্রতি সেই বৈঠকের ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে ইউটিউবে। মার্কিন প্রচারমাধ্যম এবিসি নিউজ ও সিএনএনের একটি ভিডিও স্নাপশটে এ ছবির ব্যাপারে প্রমাণ পাওয়া গেছে।
আমেরিকান ফ্রি প্রেসের প্রতিবেদন জানায়, ইহুদি পিতা-মাতার কোলে জন্ম নেন বাগদাদি। এডওয়ার্ড স্নোডেনের ফাঁস করা তথ্যানুযায়ী, বাগদাদিকে টানা এক বছর সামরিক প্রশিক্ষণ দিয়েছে মোসাদ। একই সময়ে আরবি ভাষা ও ইসলামী শরিয়ার ওপর কোর্স করেছেন বাগদাদি। এ সময় তিনি ইব্রাহিম ইবনে আওয়াদ ইবনে ইব্রাহিম আল বদরি নাম ধারণ করেন। তবে বাগদাদির পরিচয় সম্পর্কে ছড়ানো হয়েছে- তিনি ১৯৭১ সালের ২৮ জুলাই ইরাকের সামারায় জন্মগ্রহণ করেন। বাগদাদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসলামিক স্টাডিজে মাস্টার্স ও পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। ২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ইরাক আক্রমণের সময় সামারায় একটি মসজিদে খতিবের দায়িত্ব পালন করেন বাগদাদি। পরে তিনি ‘আমিরে দায়েশ’ উপাধি গ্রহণ করেন।
এডওয়ার্ড স্নোডেন প্রকাশিত যুক্তরাষ্ট্রের গোপন দলিলের বাগদাদির তথ্য প্রথম প্রকাশ করে মধ্যপ্রাচ্যের জনপ্রিয় ইন্টারনেট রেডিও আজিয়াল ডটকম। পরবর্তী সময়ে ইরানের গোয়েন্দা সংস্থা এ তথ্যের সত্যতা স্বীকার করে। ইরানি গোয়েন্দা সংস্থার পর্যালোচনা নিয়ে এ সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় আরবি পত্রিকা ইজিপ্রেসে। যুক্তরাষ্ট্রের এবিসি নিউজ প্রচারিত একটি ভিডিওর বরাত দিয়ে সোশিও-ইকোনমিক হিস্ট্রি নামের একটি ওয়েবসাইট দাবি করেছে, মার্কিন প্রভাবশালী সিনেটর জন ম্যাককেইন আবুবকর আল বাগদাদিসহ কয়েকজন আইএস কর্মকর্তা ও সিরিয়ার বিদ্রোহী কয়েকজন নেতার সঙ্গে গোপন বৈঠক করেছেন। ২০১৩ সালের জুনে যখন এ বৈঠকটি হয়, তখন বাগদাদির মুখে লম্বা দাড়ি ছিল না। ওই বৈঠকে বাগদাদির সহযোগী আইএসের শীর্ষ সন্ত্রাসী মোহাম্মদ নূরও উপস্থিত ছিলেন। উইকিপিডিয়ায় প্রদর্শিত আবুবকর বাগদাদির ছবির সঙ্গে ওই ছবির মিল পাওয়া গেছে। মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাবশালী গণমাধ্যম আল আরাবিয়াও ওই ছবিটি প্রকাশ করেছে। সিএনএনের একটি ভিডিওতেও বাগদাদির সঙ্গে মুখোমুখি কথা বলতে দেখা যায় জন ম্যাককেইনকে। গ্লোবাল রিসার্চ নামের একটি গবেষণা ওয়েবসাইটে দাবি করা হয়েছে, ২০০৪ সাল থেকে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠে আবুবকর আল বাগদাদি। ২০০৪ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের বুস্কা কারাগারে ছিলেন তিনি। পলিটিসাইট ডটকমের তথ্যানুযায়ী, সিআইএ’র তত্ত্বাবধানেও বাগদাদি সামরিক প্রশিক্ষণ লাভ করেন। ইরাকের উম কাসর এলাকায় মার্কিন কারাগারে সিআইএ তাকে নিয়ে আসে। সেখান থেকে ২০১২ সালে জর্ডানের একটি গোপন ক্যাম্পে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের স্পেশাল ফোর্স কমান্ড বাগদাদিসহ তার সহযোগী অনেককে প্রশিক্ষণ দেয়। আইএসের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে ব্যাপক সহিংসতার মাধ্যমে ইসরাইলের ভূখণ্ড বৃদ্ধির পরিকল্পনা রয়েছে মোসাদের। আল কায়দার সাবেক শীর্ষ কমান্ডার ও ইসলামিক ডেমোক্রেটিক জিহাদ পার্টির প্রতিষ্ঠাতা নাবিল নাইম বৈরুতের টিভি চ্যানেল আল মাইদিনকে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, আল কায়দার বর্তমান নেতারা ও আইএস সিআইএ’র হয়ে কাজ করছে। এ উদ্দেশ্যে শিয়া-সুন্নি বিরোধ তারাই উসকে দিচ্ছে বলেও জানান তিনি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.