নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রুদ্র রাফি

কিছু ই জানি না

রুদ্র রাফি › বিস্তারিত পোস্টঃ

তাহারা বাবা (অনু গল্প)

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১৮

#





রুদ্র রাস্তা দিয়ে আসছে সিগারেট টানতে টানতে। মেজাজসেই রকম খারাপ। আজ আম্মু ঢাকা থেকে আসছে। মানে রুদ্রর যন্ত্রনাদায়ক অসহ্য জীবন আবার শুরু। প্রতিটা মুহুর্তে কথার বিষ ছোঁড়াছুড়ি নোংরা ভাবে। ঘরের দরজায় হরতাল নয় পুরো অবরোধ। অসহ্য।

এমন অনেক কিছুই ভাবতে ভাবতে অন্যমনস্ক হয়ে হাঁটছিল। হঠাৎ বুঝলো ওর পিছন পিছন গলিতে কেউ একজন আসছে। সে ফোনে কথা বলছে। নিতান্ত চোরের মত তার কিছু ফোনালাপ শুনে ফেললো। যদিও এটা উচিৎ নয় তবুও শুনতে পেরে রুদ্র আনন্দিত। ফোনালাপটা ছিলো এমন



*কি কেমন আছো।

-............

*ও খাওয়া দাওয়া করছো

-.....................

*শোনো এই কয়দিন স্কুলে একটু সাবধানে যেও আর মা কে (মেয়েকে) বুবুর কাছে রেখে যেও ।বুবুকে বলো আরো কিছুদিন থাকতে।

-........................

*মা কি করে । বাবাকে খুজছে না। (এই প্রশ্নটা করার সময় লোকটার চেহারায় যে অনুভূতিটা ভেসে ছিলো সেটা রুদ্র অবাক হয়ে দেখছিল ,কিসের যেন প্রত্যাশায়, কিসের যেন আকুলতায় লোকটার চোখ জ্বলজ্বল করছিল । )

-....................

*কি কথা বলবে।দাও। মা আম্মু।! মামনী আমার। মাগো কি করো তুমি।

-..............

*মা, বাবাতো এখনো খাইনি। বাবা খেতে যাচ্ছি। এখন রাখি।

-...............

*মা মাত্র চারমাশ হলো। আরো দুই মাস পর চলে আসব। তুমি মার সাথে যেন একদম ঝগড়া করো না। আর মা যখন স্কুলে যায় তখন বুবুমার (ফুপির) সাথে খেলো।

-।.....................

*হুমমম। বাবা আসার সময় ওই চারটা পুতুলের প্যাক নিয়ে আসব। মা এখন রাখি ।



রুদ্র তাড়াতাড়ি হেঁটে বাসায় চলে আসল । হয়তবা লোকটাকে কিছু কথা জিজ্ঞাসা কররা যেত তবে মন খারাপ হয়ে যাায় পাছে তাই জানতে চাওয়া হয় নি। কাকতালীয় ভাবে আজ রুদ্রর বাবাও বাসায় এসেছে আর রুদ্রর জন্য ঠিক চারটা শার্ট নিয়ে আসছে। ভীসন সুন্দর। বাবাগুলো এতো ভালো কেন।



আসলে একজন মেয়ে জন্মানোর সময় ই মা হওয়ার কিছুটা বা পুরোপুরি যোগ্যতা নিয়ে আসে। আর একজন বাবা।

হ্যাঁ একজন বাবা তার সন্তানের কাছে বাবা হয়ে নিজেকে প্রকাশ করে নিজের নিরন্তর বাবা হ্ওয়ার প্রচেষ্টায়। সে জন্ম থেকে বাবা হওয়ার অভ্যাস নিয়ে আসে না । সে বাবা হয় বাবা হওয়ার জন্য।



তারা ভালোবাসে ভালোবাসার চেষ্টায়। তারা ভালোবাসে নতুন করে নিজের প্রচেষ্টায়। রুদ্রর ভীসন বলতে মন চাইছে বাবা ভীসন ভালোবাসি তোমাকে । কিন্তু জানে সেটা বাবাকে বলা লাগবে না । কারণ বাবা রুদ্রকে বুঝে ঠিক রুদ্রের চাইতেও ভীসন ভালো করে।



মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.