নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অনুভূতি গাঁথার সাধনায় মগ্ন।

চঞ্চল হরিণী

এই পৃথিবীর বাইরে কোথাও গিয়ে যদি কিছু লিখা যেতো ; এই অসহ্য মনোবৈকল্য দূর হতো। হে ভাবনা, দয়া করে একটু থামো। আমাকে কিছুটা মুক্তি দাও। আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে তোমার অবিরাম পদচারণায়। বিচ্ছেদে যাও তুমি। ফুলে ওঠো পিঙ্গল বিভ্রম বেশে। আমাকে মৃত্যু দাও নয়তো চিৎকার করে ওঠার অপরিসীম ক্ষমতা দাও। আমি ক্লান্ত এই অমানিশায়। শান্তির খোঁজে মৃত্যুদূতের পরোয়া করিনা, পরোয়ানা জারি করো। গভীর, গভীর, গভীর। বোহেমিয়ান মন অভ্যস্ত জীবনের শিকল ভেঙ্গে ফেলো।

চঞ্চল হরিণী › বিস্তারিত পোস্টঃ

এক সুকান্ত যুবক

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০২





তাঁকে নিয়ে সৃষ্টিগুলো অন্যরকম।
খুব বিকেলে ঝড়ো হাওয়ার মাতম যেমন
উড়ে চলা মেঘ বালিকার ব্যস্ত সমন,
তাঁকে ঘিরে সৃষ্টিগুলো ঠিক সেরকম।

অদ্ভুতুড়ে হাওয়ায় ফোঁটা
কুসুমরঙ্গা জুঁই চামেলি,
তাঁর মনেরই দ্বিত্ব আভায়
নেচে চলে খামখেয়ালী।

যখন সুকুমারদের সুখের সভায়
উচ্চহাস্যে গর্জন,
তখন সে নগরে হেঁটে বেড়ায় করতে
ন্যায় এর অর্জন।

তাঁকে নিয়ে ভাবনাগুলো অন্যরকম।
টগবগিয়ে ছুটতে থাকা ঘোড়ায় যেমন
দুই পায়েতে আটকে থাকে শক্ত খড়ম,
তাঁকে ঘিরে ভাবনাগুলো ঠিক সেরকম।

যখন তাঁকে প্রশ্ন করি, এই যে করিস হামলা,
তোঁর বুঝিরে নেইকো ভয় ধরবে বড় আমলা?
জবাবে সে দারুণ হাসে,
ঠোঁটের ফাঁকে একটু কাশে।
আমলা আমি চিনিনা, চাই গামলা ভরা ভাত।
ফিরুক আমার নকশী গাঁয়ের ধান, পাট আর তাঁত।



মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০০

বই এর পাগল বলেছেন: অনেক ভাল লাগল

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৫

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: ধন্যবাদ, বই পাগল। কবিতা পাঠে ও মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ব্লগে আমন্ত্রণ রইলো।

২| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৪৫

ঋতো আহমেদ বলেছেন: বাহ! বেশ দারুণ অন্তমিলের কবিতা । ভাল লাগল ।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:১৫

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: মাত্রই আপনার কবিতায় মন্তব্য করে এসে দেখি, আপনি আমার এখানে করেছেন। ভালো লাগলো বিষয়টা। অন্ত্যমিলের প্রশংসার জন্য ধন্যবাদ। আমার নিজের কাছে যদিও বক্তব্যটা বেশি ভালো লাগে। ভালো থাকবেন, ঋতো।

৩| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:২৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: চঞ্চল হরিণী ,



মনে কিছু না নিলে বলি , খাপছাড়া ।
কবিতায় এই "তুই" টি কে তা পরিস্কার নয় ।
তাছাড়া এই লাইনদু'টি --
সুকুমারদের সুখের সভায় উচ্চহাস্যে গর্জন,
তুই নগরে হেঁটে বেড়াস করতে ন্যায়ের অর্জন।

কবিতার তুই এর সাথে লাইনগুলোর সম্পর্ক ঠিক বুঝলুম না । গর্জনের সাথে "অর্জন" মেলাতে গিয়ে অহেতুক "ন্যায়" শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে ।
আর, গাঁয়ের ধান, পাট আর তাঁত ; এদের সাথে "তুই"কে মেলাতে পারছিনে ।

এরকম সমালোচনার জন্যে ক্ষমাপ্রার্থী ।

আরও ভাবুন । আরও লিখুন । তাড়াহুড়োর দরকার নেই । অন্তমিল করতেই হবে এমন কথাও নেই ।
শুভেচ্ছান্তে ।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৪৩

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: আহমেদ জী এস ভাই, মনে অবশ্যই নিয়েছি, কিন্তু সেটা ভালো লাগা। কারণ আমার বেশ কয়েকটি লেখার পরে আপনি এসেছেন, আপনার মন্তব্যের প্রত্যাশা করছিলাম। আচ্ছা এবার আসি কবিতার কোথায়। “ তুই” যে একজন ব্যক্তি সেটি তো স্পষ্ট। ধরে নিতে পারেন আমার একজন বন্ধু অথবা ঘনিষ্ঠ কেউ যাকে “তুই” সম্বোধন করা যায়। উপর থেকে আসি, এমন একজন ব্যক্তি যাকে নিয়ে আমার ভাবনাগুলো আর সবার চেয়ে আলাদা হয়, গড়পড়তা মেলে না। তাকে নিয়ে সৃষ্টিগুলো মানে তার দ্বারা ঘটা ঘটনাগুলো ঝড়ো হাওয়ায় মত হয়। ফলে তাকে নিয়ে কিছু লিখলে বা বলতে গেলে সেই সৃষ্টিগুলোও ব্যস্ত সমন হয়ে যায়। তাঁর মনের যে দ্বিত্ব ভাব মানে দ্বৈত প্রবৃত্তি তাতে তাকে খামখেয়ালী মনে হয়। এবার আপনার উদ্ধৃতির বাক্য “সুকুমারদের সুখের সভায় উচ্চহাস্যে গর্জন,
তুই নগরে হেঁটে বেড়াস করতে ন্যায়ের অর্জন ”। তাঁর বয়সী সুকুমাররা যখন নানা খোশ গল্পে মেতে থাকে তখন সে সারা শহরে অন্যায়ের প্রতিবাদে ব্যস্ত থাকে। এখানে একদমই অহেতুক নয়, খুবই প্রাসঙ্গিকভাবে ন্যায় শব্দটা আমি বসিয়েছি। তখন ভাবনা আসে, সে যেন শক্ত পায়ে মানে দৃঢ় মনোবলে ঘোড়ার মত টগবগ করে ছুটে চলেছে। বন্ধু হিসেবে তাঁকে যখন প্রশ্ন করি, এসব করতে কি তাঁর ভয় লাগেনা? তখন সে বুক ফোলানো চিত্তে জবাব দেয়, সে তাঁর খাবার অধিকার বোঝে, মানুষের অধিকার বোঝে। হারিয়ে যাওয়া পেশার কারণে দারিদ্র্যে পড়া গ্রাম বাংলার মানুষের জীবনে সেসব পেশা এবং ঐতিহ্য ফিরিয়ে এনে তাঁদের মুখে হাসি ফোটানোটা তাঁর চাওয়া, সেই আশাবাদ ব্যক্ত করে সে। বিপ্লবী চেতনার এক মানুষকে নিয়ে এই লেখা। কতটুকু বুঝাতে
পেরেছি বা বুঝতে পেরেছেন জানিনা, তবে না ভেবে লেখাটা লিখিনি। আর তাড়াহুড়ো বলছেন হয়তো ব্লগের হিসেবে। হ্যাঁ ব্লগে পোস্ট দিতে তাড়াহুড়ো হতে পারে, তবে লেখাটা অনেক আগের। অবশ্যই অন্তমিল করতে হবে এমন কোন কথা কোথাও নেই, মোটেই নেই। এটা আমার একটা ভালোলাগা বা বলতে পারেন ভাবনাগুলো এভাবে চলে আসে আমার। লিখতেও স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি তাই চালিয়ে যাই। আপনিতো দেখেছেনই, আপনার মন্তব্য করা আমার আগের লেখাগুলো অন্তমিলের ছিলো না। এতবড় প্রতি মন্তব্য লিখতে একটু হাঁপিয়েছি তবু আপনাকে বলছি বলেই ভালো লাগছে। অনেক ধন্যবাদ জানবেন। শুভেচ্ছা।

৪| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: চঞ্চল হরিণী ,



দীর্ঘ প্রতিমন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ । "তুই” যে একজন ব্যক্তি সেটি বুঝতে কষ্ট হয়নি ।
অস্পষ্টতা এসেছে , যখন কিছু শব্দের ঘাটতি পড়েছে । যেমন বলেছেন---
সুকুমারদের সুখের সভায় উচ্চহাস্যে গর্জন,
এই লাইনটি পূর্বাপর সম্পর্কে স্পষ্ট ধারনা দেয়না । যেমন আপনি প্রতিমন্তব্যে বলেছেন - "তাঁর বয়সী সুকুমাররা যখন নানা খোশ গল্পে মেতে থাকে ...." । তেমনি এখানে " যখন সুকুমারদের সুখের সভায় উচ্চহাস্যে গর্জন" লেখা হলে পরে বোঝা যেত "তুমি"র র অবস্থান । অর্থাৎ এই ঘটনার সাথে “ তুমি”র সম্পর্ক নেই ।“যখন” শব্দটি বসালেই উক্ত স্তবকটির পুরো অর্থ পরিস্কার হয়ে উঠতো ।
এবং পরের বাক্যটি --
" তুই নগরে হেঁটে বেড়াস করতে ন্যায়ের অর্জন। " এখানে "ন্যায়ের অর্জন" মানে ন্যায়ের মাধ্যমে যা পাওয়া গেছে বা অর্জিত হয়েছে বোঝায় ।অন্য কথায় , ন্যায় নিজে যা অর্জন করেছে তা বোঝায় । সেক্ষেত্রে পুরো বাক্যটি খাপছাড়া মনে হয় । এখানে "তুই নগরে হেঁটে বেড়াস করতে ন্যায় অর্জন।" যদি হতো তবে প্রতিমন্তব্যে আপনার বলা , " তখন সে সারা শহরে অন্যায়ের প্রতিবাদে ব্যস্ত থাকে।" বাক্যটির যথার্থতা মিলতো । অর্থাৎ “তুই”ন্যায় অর্জনে বা বাস্তবায়নে নেমেছে বোঝা যেতো।
সব মিলিয়ে এমনটা হলে খাপছাড়া হতোনা মনে হয় --
“যখন সুকুমারদের সুখের সভায় উচ্চহাস্যে গর্জন
তুই নগরে হেঁটে বেড়াস করতে ন্যায় অর্জন।"

আমিও আপনাকে ঠিক বোঝাতে পারলুম কিনা বুঝতে পারছিনে।

হা…হা…হা এটুকুতেই হাপিয়ে উঠলেন !

জেনে ভালো লাগলো আমার মন্তব্যের প্রত্যাশা করেন বলে । আমিও তেমনি পছন্দের সহব্লগারদের আপন বলেই মনে করি । তাদের লেখার সমালোচনা করি, আমার যেমন যেমন মনে হয় তেমন করে ; যদি প্রয়োজন মনে করি ।
আপনি তাকে সুন্দর মনে গ্রহন করেছেন দেখে ভালো লাগলো ।
শুভেচ্ছান্তে । ভালো থাকুন ।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১:৪২

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: সুকুমারদের সুখের সভায় উচ্চহাস্যে গর্জন,
তুই নগরে হেঁটে বেড়াস করতে ন্যায়ের অর্জন।


“সারা জাহানে চলছে এক নিদয় নিঠুর খেলা,
চোখ বুজে মুই ক্যামনে থাকি যায় যে কালবেলা”।

কবিতায় যদি পুরো অর্থ বলে দেয়া হয়, তাহলে তো সেটি সাধারণ বাক্য হয়ে যায়। ব্যাখ্যাকারি শব্দ খুব আবশ্যিক এবং নান্দনিক না হলে কবিতায় সেগুলো মেদ মনে হয়। আপনি যে বাক্যগুলোর কথা বললেন, সেখানে “যখন” দিলে পরের বাক্যে “তখন” দিতে হতো, না দিলে মনে হবে পরের বাক্যেও যখনের সময়টা বিদ্যমান, কারণ বাক্য দুটিই এরকম। শেষ স্তবকে ‘যখন’ দিয়ে একটি বাক্য আছে, কিন্তু সেখানে পরের বাক্যে ‘তখন’ বলতে হয়নি কারণ সেই বাক্য সেটি দাবী করেনি।তাহলে “যখন তখন” দিলে পরিষ্কারই বোঝা যেতো, কিন্তু সেটি কবিতার মেদ হতো। অস্পষ্টতার কথা বললেন, এবার এখানে আসে পাঠকের ভাবার প্রশ্ন। একবার, দুবার কি তিনবার পড়ে সামান্য ভাবলে, কিছুক্ষণ ভাবলেই সেটি বুঝে যাওয়ার কথা। উপরে দুটি বাক্য লিখেছি, এখানে “যখন তখন” না লিখেও পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে কি বোঝানো হয়েছে। বলতে পারেন, এটা পরিষ্কার, আমারটা পরিষ্কার নয়।আসলে এমন অনুভূতির সঙ্গে আমরা এতো বেশি পরিচিত যে, সেক্ষেত্রে বাক্যটা পড়লে দ্বিতীয়বার আর ভাবতেই হয় না। কিন্তু কম পরিচিত বা ভিন্ন কোন কথা বুঝতে হলে কিছুটা ভাবতে হয় বৈকি। আর ন্যায়ের কথা বলবো, অভিধানে ন্যায় অর্থ সুবিচার, সত্য ইত্যাদি দেয়া আছে। আমরা কি বলিনা, সত্যের জয় হবে। এর মানে কিন্তু এই যে, সত্যের জয় অর্জন হবেই। অর্জন বলতে ইতিবাচক জয়ই বোঝায়। সুতরাং বিশেষ্য পদ হিসেবে আমি লিখতেই পারি, ন্যায়ের অর্জন করতে। হ্যাঁ, ন্যায় অর্জন দিলেও বাক্যটা সুন্দর হয়। কিন্তু এই স্তবকের ছন্দটা হোল দুলাইন করে অক্ষরবৃত্ত। সেজন্য র বিভক্তিটা এখানে রাখতে হয়।
পরিশেষে আপনাকে অনেক বেশি ধন্যবাদ না দিয়ে পারছি না, কারণ নিজের লেখার এভাবে ব্যাখ্যা আগে কখনো করা হয়নি, কেউ জানতেই চায়নি।সহব্লগার হিসেবে আমাকে আপন মনে করছেন দেখে কতটা যে ভালো লাগলো, বলে বোঝাতে পারবো না। এভাবেই ভালো মন্দ, ভুল ত্রুটি ধরিয়ে দিয়ে আপনাকে পাশে পাওয়ার প্রত্যাশা অনেক বেড়ে গেলো। অনেক বেশি ভালো থাকুন, জী এস ভাই। শুভকামনা অফুরন্ত।

৫| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ ভোর ৫:২৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধান , পাট আর তাঁত । কোনটির কথা আগে বলব, কবিতার কথা না ছবি, মন্তব্য লিখার সময় এ কথা ভাবতে ভাবতে অন্যদের করা মন্তব্যগুলির উপর দিয়ে একটু একটু করে নীচে নামছিলাম, তখন চোখ ক্ষনিকের তরে আটকে যায় আহমেদ জি এস ভাই এর মন্তব্য এবং আপনার প্রতি উত্তরে । মন্ত্র মুগ্ধের মত দুজনের মন্তব্য ও প্রতিউত্তর পড়ছিলাম । একটি কবিতার মুল্যায়ান দেখে অভিভুত হলাম , শিখা হল অনেক কিছুই । তাই কবিতাটি নিয়ে আর বলার তেমন কিছু নেই । তবে ভাল লাগার সবগুলি ক্ষেত্রই আছে কবিতায় । শ্রদ্ধেয় আহমেদ ভাই তুলে ধরেছেন তার বিজ্ঞতায়, আর আপনিও দিয়েছেন যথাযথ ব্যখ্যা বিশ্লেষন, যা পাঠে আমাদের জানা হল কবিতা কিভাবে হয় মুল্যায়ন । যাহোক, আমি কাঠখোট্টা মানুষ, কবিতা তেমন বুঝিনা যদিও মাঝে মধ্যে লিখি দু এক খানা, যা দেখায় কবিতার মতন, কিন্তু আমি নিজেও তাকে কবিতা বলিনা , মনে যখন আসে কিছু ভাবনা তখন কথার পিঠে কথা জুরে দিয়ে কবিতার মত দেখা যায় এমন একটা কিছু খাড়া করে ছেড়ে দিই সামুর পাতায় । শুনেছি আজকাল কবিতার কত রকম ফের , ধরতে পারে যেমন খুশী তেমন তার রূপ । তাই যেন তেন লিখে কবিতার মত হলেই অানন্দে হই আত্ম হারা, মনে হল কবিতার মত একটা কিছু লিখেছি বলে, বিশ্বাস না হলে লিংকে ক্লিক করে দেখে অাসতে পারেন আমার লিখা একটি কবিতার জন্ম কথায় ।

যাহোক কানায় চিনে চোখ, আমি চিনতে চেষ্টা করি কবিতার কনটেন্ট , কবিতা ও কবিতার সাথে ছবি কি কথা বলে । এই টুকু জানি, কবিতার ভাষা থাকে অনেক সময় রূপক , পাঠক নীজের মনের অনুভুতি মিশিয়ে নীজেই তাকে নীজের মত করে নীজের মনভুমে দেয় ঠাই, বুঝে নেয় নীজের মত করে কি আছে তাতে । প্রথমেই চেষ্টা থাকে আমার কবিতার শিরোনামের সাথে কবিতার ভাব ও মর্মার্থ অনুধাবনের । শিরোনামের বিষয়টির মধ্যে সাবজেক্ট ও প্রেডিকেড থাকে নিহিত এটাই মনে বাজে বিশেষ করে । একে মুল ধরেই কবিতার মুল ভাবার্থ অনুধাবনে একটু একটু করে আগাই , একটি কবিতা বুঝতে আমার অনেক সময় লেগে যায়, অনেক সময় ঘন্টার পর ঘন্টা , যেমন কবিতায় কিছু শব্দ থাকে তাকে আলোচ্য কবিতায় কেন কি কারণে হয়েছে করা প্রয়োগ তা বুঝার জন্য সংস্লিস্ট কিছু লিটারেচার রিভিউ কিংবা নীজের স্মৃতি শক্তিকে আমার করতে হয় প্রয়োগ ।

এখানে এই কবিতাটি পাঠের অাগেই প্রথম ছবিটিই আমার দৃস্টি কারে । কেননা প্লথম বিবেচনাতেই দেখতে পাই ছবিটির সাথে কবিতার শেষ লাইনে বলা নকশী গাঁয়ের ধান, পাট আর তাঁত এর সাথে মিল রয়েছে । ছবিটা হয়েছে প্রাসঙ্গীক , যা এ ব্লগের অনেক লিখাতেই মিলানো ভার । তার পরেও কথা হল, এই ছবির সাথে ধান পাট কৃষক তাঁতী আর তাঁতের রয়েছে নারির সম্পর্ক । প্লথম ছবির নকশী কাথার শিল্প কর্মটিও চমতকার । এই ছবিটি স্মৃতিকে নিয়ে যায় অনেক দুরে , মনে পরে ১৯৯৪ এ বাংলাদেশে কানাডিয়ান হাই কমিশনারের পত্নী মাওরিন গ্রামীন মহিলাদের নকশীক্থায় মুন্ধ হয়ে তার সহায়তায় স্কীল ডেভেলপমেন্ট ফর উইমেন নামে একটি এনজিও সংগঠনে করেছিলেন আর্থিক সহায়তা । তার সহায়তায় প্রথম ছবিটির মত এরকম নজর কারা আরো ৪০ টির মত ছবি দিয়ে করেছিলেন একটি প্রকাশনা । সে প্রকাশিত বই এর দুএকটি এখনো থাকলেও খাকতে পারে দেশের খ্যতিমান কোন একটি এনজিও প্রতিষ্ঠানে । আপনার এ ছবিটি নিয়ে অনেকক্ষন তাকিয়ে ছিলাম, আর ভাবতে ছিলাম ঐ ছবিগুলি নিয়ে সে সময় যে প্রকল্প প্রস্তাবনা করে দিয়েছিলাম তার সুত্র ধরে হাজার গ্রমীন মহিলাদের কর্মসংস্থান ও আয়ের সুযোগ গিয়েছিল বেড়ে ।

এবার কবিতাটি নিয়ে দুটো কথা না বললেই নয় , নীচের স্তবকটি পাঠের সময় উপরের ২ নম্বরে দেয়া পাটের ছবিটাই মানষপটে উঠে আসে । কবিতার ছন্দমিল মিলানো আমার কর্ম নয়, এমন দু:সাহসও নেই আমার, আমি মাটি ও মানুষকেই চিনতে চাই, তাই এই স্তবকের কথাগুলুকে পাট আর খেটে খাওয়া মানুষ পাটের কিষান কিষানীর সাথেই মিলাই ।

অদ্ভুতুড়ে হাওয়ায় ফোঁটা কুসুমরঙ্গা জুঁই-চামেলী,
তোর মনেরই দ্বিত্ব আভায় নেচে চলে খামখেয়ালী।
সুকুমারদের সুখের সভায় উচ্চহাস্যে গর্জন,
তুই নগরে হেঁটে বেড়াস করতে ন্যায়ের অর্জন।

মনে হল পাটকে নিয়ে আসলেই কত দ্বিত্ব খেলা চলে । কিষান তার হারভাঙ্গা পরিশ্রম করে মাথায় করে পাট নিয়ে হাটে গিয়ে পায়না ন্যয্য দাম । মাথার ঘাম পায়ে ফেলে উৎপন্ন এক মন পাট বেচে দিতে পারেনা হাটে উঠা এক গেজী গরুর মাংশের কিংবা কিষানীর জন্য তাঁতে বোনা একটি মোটা শাড়ীর দাম । কৃষি ও ভোগ্য পন্যের দাম নিয়ে চলে কত খামখেয়ালী । মনে হল কবিতায় কথাগুলি রূপকের আড়ালে উঠে এসেছে কি দারুন ভাবে । শুধু কি তাই, এই স্তবকেরই পরের দুই লাইনে মনে হল উঠে এসেছে আরো গুঢ় কথা সুকুমারদের সুখের সভায় উচ্চহাস্যে গর্জন এ প্রসঙ্গে বলা যায় প্রফেশনাল জীবনে দেখেছি উচ্চ পর্যায়ের কৌলিন্যের সভায় পাটকে নিয়ে কত গর্জন গর্জন যার উদাহরণ হল আদমজী জুট মিল বন্ধ । এ নিয়ে কত আন্দোলন হল নগরে নগরে , তার পরেও জুট মিল বন্ধ করে তার জনবল ও দরিদ্র শ্রমিকদেরকে যেন তেন ভাবে দেয়া হল সোনালী করমর্দন দিয়ে বিদায়, তাদের ন্যয্য প্রাপ্তি তথা ন্যয় অর্জনের জন্য হা হুতাশ এখনো পাওয়া যাবে ডেমরা ও খালিষপুরের পাট কল অঞ্চল ও রাজধানীর বিজেএমসির হিসাব শাখার বরান্দাতে, যেখানে হেটে হেটে এখনো ছাটাইকৃত কতেক জনবল তাদের ন্যয্য প্রাপ্তির জন্য মাথা কুটে । কবি কি বুঝতে পারে একটি কবিতা পাঠককে নিয়ে যায় নীজ ভা্বনায় কত দুরে ও গভীরে ।
ধান অার তাঁত নিয়ে আর বেশী কথা বলা হলোনা, হয়ত এতক্ষনে বিরোক্তি ধরে গেছে এত লম্বা মন্তব্য পাঠে । যদিও কবিতাটি পাঠে মনের মধ্যে ধারনা এসেছিল এদেরকে নিয়েও কবিতার সাথে ভাবনাগুলোর কিছুটা মিল দিব একসাথে । সাহসে কুলালো না আর , কি বলতে কি বলে ফেলি , কবি হয়ে যেতে পারেন বেজার । :)

ধন্যবাদ সাথে শুভেচ্ছা রইল সুন্দর কবিতাটির জন্য ।


০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:২৭

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: আপনার মনযোগী মন্তব্য মানেই বিশেষ কিছু। নিজের মত করে বোঝা অনেক কথামালা দিয়ে সাজানো, অনেক তথ্যে সমৃদ্ধ এবং খুব আন্তরিক। ভালো লাগে ভাই এমন মন্তব্য পেলে। ঠিক বলেছেন, মনে যা কিছু আসে লিখে যাই। আমারও কবিতা বলতে অস্বস্তি লাগে, তবে যখন কোন আলোচনা করতে হয় তখন বাধ্য হয়েই প্যাটার্নের কারণে কবিতা বলে কথা বলতে হয়। কবিতা হলো কিনা তা কে যে বোঝে...! যাক, আমার এই লেখাটা বেশ কয়েকমাস আগের। গত পরশু আপনার লেখাটা পড়েই আমার এটার কথা মনে পড়ে যায়। সেখানে লিখেছিলেন পাট নিয়ে কোন রসালো কবিতা লেখা হয়নি। আমার এটা রসালো নয় কিন্তু বিষয় সংশ্লিষ্ট। তবে এই জন্য কিন্তু আমি দেইনি। আমার এই লেখায় এমন একজন মানুষের কথা আছে; যে নিরন্তর ভয়-ডরহীন ছুটে চলেছে ঝড়ের মত অন্যায়ের প্রতিবাদে এবং এদেশের হারানো সোনালী শস্য ও হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার প্রত্যয়ে। হুবহু না মিললেও আপনার বর্তমান শ্রমসাধ্য এসব গবেষণা, লেখা এবং সময় ক্ষেপন এই রকম চরিত্রের এক মানুষের কথাই বলে। তাই পোস্টের সময় উল্লেখ না করলেও এখন বলছি, এই কবিতাটি ব্লগে আপনাকে উৎসর্গ করা। ভালো থাকবেন সবসময়, শুভকামনা অনাবিল।

৬| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সুললিত প্রতিউত্তরের জন্য । আমরা সকলে মিলে চেষ্টা কর এ দেশের নব প্রজন্মকে কৃষি ভিত্তিক কাজ ও শিল্প কর্মে আরো বেশি মাত্রায় জড়িত করতে পারলে আমাদের দেশ পৌঁছে যাবে কাংখীত লক্ষে সময়ের অনেক আগেই । খুশি হলাম কবিতাটিকে উৎসর্গ করার কথা শুনে । কৃতজ্ঞতা জানবেন । মেস্তা পাটের উপর করা আপনার সুন্দর মন্তব্যের প্রতি উত্তরটা দেখে আসতে পারেন ।
শুভেচ্ছা রইল ।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৩৭

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: শ্রদ্ধা রইলো আপনার প্রতি।

৭| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৩৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: চঞ্চল হরিণী ,




ভালো লাগলো আপনি আমার কথা রেখেছেন দেখে । এটাই হলো পারষ্পারিক ভাবনার মিশেলে ব্লগীয় হৃদ্যতা । এটা ব্লগকে সুস্থ্য রাখবে । লেখার মানকে উন্নত করবে ।
ব্লগের "দৃষ্টি আকর্ষন" এ আমার যে লেখাটি রয়েছে সেখানেও আমি অমন কথা বলেছি । বলেছি, ব্লগের জন্যে লিখতে পারাটা তেমন কঠিন কিছু নয় , কঠিন হলো লেখক কি বোঝাতে চাইছেন তা ।

আবারো বলি , আমাকে যে সম্মানটুকু দিয়েছেন তাতে কৃতজ্ঞ ।
ভালো থাকুন । শুভেচ্ছান্তে ।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৪০

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: আমারও অনেক ভালো লেগেছে কাজটা করে আর আপনি পুনরায় এসে দেখে মন্তব্য করাতে সম্মানিত বোধ করলাম। ভালো থাকুন সবসময় আপনিও।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.