নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অনুভূতি গাঁথার সাধনায় মগ্ন।

চঞ্চল হরিণী

এই পৃথিবীর বাইরে কোথাও গিয়ে যদি কিছু লিখা যেতো ; এই অসহ্য মনোবৈকল্য দূর হতো। হে ভাবনা, দয়া করে একটু থামো। আমাকে কিছুটা মুক্তি দাও। আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে তোমার অবিরাম পদচারণায়। বিচ্ছেদে যাও তুমি। ফুলে ওঠো পিঙ্গল বিভ্রম বেশে। আমাকে মৃত্যু দাও নয়তো চিৎকার করে ওঠার অপরিসীম ক্ষমতা দাও। আমি ক্লান্ত এই অমানিশায়। শান্তির খোঁজে মৃত্যুদূতের পরোয়া করিনা, পরোয়ানা জারি করো। গভীর, গভীর, গভীর। বোহেমিয়ান মন অভ্যস্ত জীবনের শিকল ভেঙ্গে ফেলো।

চঞ্চল হরিণী › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি দুঃস্বপ্ন

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ২:২৬



( ) থেকে এমন একটা কাজ পেয়েছি যে শেখ হাসিনাকে একদম খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ হচ্ছে। তাঁর ঘরের বারান্দাতেই থাকছি এবং শেখ হাসিনাকে ক্যাজুয়াল পোষাকেও দেখতে পেলাম। আমাকে নতুন দেখে হাসিনা একজনকে ডেকে আমার ব্যাপারে কিছু জিজ্ঞেস করলেন। আমার দিকে তাকিয়ে বলাতে একটু দূর থেকেও আমি তা বুঝতে পারলাম। এক বন্ধু আমাকে ফোন করলো। সে কথা থামাচ্ছেই না। বেশ অনেকক্ষণ কথা বলে ফোন কেটে দিয়ে একটু পরে আবার ফোন দিলো। একে তো এমন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় কাজ করছি নতুন, আমাকে এমনিতেই দেখে রাখছে সেখানে বারবার ফোন আসাতে আমার দিক থেকে আর চোখই সরাচ্ছে না লোকটা। কাজ শেষ হোল, কোন একটা অফিস ঘরে আছি। জানালা দিয়ে দেখলাম বেশ কিছু সাদা শার্ট প্যান্ট পরা কলেজ ছাত্রের লাশ রাস্তায়।ওরা অভিনয় করছে না সত্যি বুঝতে পারলাম না।সত্যি হলে ভাবছি এই ছেলেরা কতটা আন্তরিক যে এভাবে অকাতরে প্রাণ দিতে চলে আসে ! যে লোকটা আমাদের কয়েকজনকে পারিশ্রমিক দিলেন তাকে চিনিনা। এতো কম দেয়াতে আমি বলে উঠলাম, এতো কম কেন? আগে তো আমরা আরও বেশি পেয়েছি। লোকটা তাচ্ছিল্যের হাসি দিলো। অন্যরা আমার চেয়েও একদিন করে কম পেলো। একটি মেয়ে বলে উঠলো, আমি মিথ্যে কথা বলছি। সে অন্য একটা দিনে কাজের কথা বললো যেদিন ওরা এরকম কম পেয়েছে। আমি বললাম, আমি ওই কাজের সময় ছিলাম না। আমি প্রথম যখন আসি তখন বিজ্ঞান ভিত্তিক একটা কাজ এখানের তৎকালীন বড় ভাই আমাকে দিয়েছিলেন, সেই কাজে আমি অনেক বেশি পেয়েছিলাম। এরপর যতবার কাজ পেয়েছি এর চেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পেয়েছি। সেই ভাই পাশ থেকে হ্যাঁ সূচক মাথা নাড়লেন।মেয়েটি রেজিস্টার খাতা বের করলো। আমি বললাম দেখো, জুলাই ০৭। পরক্ষনেই বললাম ২০০৭ না ২০১০। মেয়েটি রেজিস্টারের দিকে তাকিয়ে বাঁকা হাসলো। হেসে আমাকে দেখালো তাদের ওই কাজের সময় আমি এখানে ছিলাম। আমি বললাম, আমি থাকলেও ওই কাজ আমি করিনি, এই কাজ সম্পর্কে আমি কিছু জানিনা, তোমরা কোথায় করেছো, কবে করেছো, কি পেয়েছো।আমি তো শুধু আমার কাজের পারিশ্রমিকের কথাই বলবো। এরপর মেয়েটি আর কিছু বললো না। অন্যরা বললো,আর টাকা পেলেই বা কি হবে সব তো এই লোকটাকে দিয়ে যেতে হবে। নিষ্ঠুর চেহারার খোঁড়া এক লোকের কাছে সবাই টাকা দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে। আমি দিতে রাজি হলাম না।সাথে সাথে শাবলের মত ভারী অস্ত্র নিয়ে লোকটার সাথে আমার লড়াই বেঁধে গেলো। তখন জায়গাটা রাস্তার উপর এবং আধো অন্ধকার। খোঁড়া হওয়াতে লোকটাকে আমি দ্রুত বসিয়ে দিতে পারলাম। শাবল দিয়ে বুকের উপর আড় করে কয়েকবার চাপ দিলাম কিন্তু মারিনি। লোকটা শান্ত হয়ে যাওয়াতে আমি সরে এলাম আর সাথে সাথেই লোকটা আবার শুরু করলো। সে তার নিচে থাকা একের পর এক ধারালো দা, বটি আমার দিকে ছুড়ে দিচ্ছে। আমি চিৎকার করে দৌড়ে বাইরে গেলাম। লোকটা বাইরেও দাঁড়িয়ে আছে খোঁড়া পা নিয়ে। আমি সোজা না গিয়ে অন্য লোকের আড়ালে আস্তে করে সে উঠোন পেরিয়েই ছুটলাম। দৌড়াচ্ছি তো দৌড়াচ্ছি।একটা চমৎকার সুরে আল্লাহু আল্লাহু বলা তালের সাথে আমি দৌড়াচ্ছি। দৌড়াতে দৌড়াতে একটা ঘরে গিয়ে ঢুকলাম।পাশের ঘরে বসা বয়স্ক মানুষটা আমায় দেখলেন।একটু পরে ওই খোঁড়া লোকটার পরিচিত তিনজন এই বাসায় আসলেন। আমি বয়স্ক লোকটাকে হাতের ইশারায় আমার কথা বলতে মানা করলাম।উনি বললেন না। কিন্তু লোক তিনজন একাই এঘরে ঢুকে গেলেন এবং আমাকে দেখলেন। দেখেও তারা না দেখার ভান করলেন।ঠিক এসময় খোঁড়া লোকটা এই ঘরের দরোজা দিয়ে ঢুকলো। কিন্তু ওই তিনজন লোক এবং বয়স্ক লোকটি হাউকাউ করে কথা বলার ছলে আমাকে তাঁদের আড়ালে নিয়ে পাশের ঘরে চলে আসতে দিলেন।দেখলাম বয়স্ক লোকটি এবার আমার বাবা হয়ে গেলেন। বাবা সাদা টুপি, কালো গেঞ্জি এবং লুঙ্গি পরিহিত। আমাকে দরোজা দিয়ে পালিয়ে যেতে সাহায্য করছেন এবং দ্রুত আযানের জন্য কামনা করছেন।কারণ আযান দিলেই খোঁড়া লোকটি নামাজ পড়তে বসবে এবং হুট করে এঘরে এসে আমাকে দেখে ফেলতে পারবে না। আল্লাহু আল্লাহু করে আবার দারুণ মধুর সুরে সুনির্দিষ্ট একটি তালে কেউ বলতে শুরু করলো এবং সেই তালে আমি দৌড়াতে লাগলাম। দৌড়াতে দৌড়াতে একটা মফস্বল শহরের নিরাপদ আবাসিক রাস্তায় চলে এলাম যেখানে পথের ধারে বাড়ির বৌ,ঝিরা দাঁড়িয়ে বসে গল্প করছিলো।

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:২৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


শেখ হাসিনাকে স্বপ্নে দেখেছেন? কিছু ছোট বাচ্ছাকে ভালো কিছু খাওয়ায়ে দেন, মাথার উপর থেকে শনির দশা কেটে যাক!

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:২১

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: আসলেই তাই করতে হবে ভাই, নইলে স্বপ্নের ভয়ে ঘুমাতেই পারবো না। :|| :P

২| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:৩৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: একটু চিন্তা করে হিসাব করে দেখবেন একটু এই স্বপ্নটা দেখতে আপনার কতক্ষন সময় লেগেছে , অর্থাৎ কত সময় নিয়ে এই স্বপ্নটা দেখেছেন ।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১:০১

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: সেটা তো ভাই বলতে পারবো না। খুব অল্প সময়ে দেখা দৃশ্যও লিখতে গেলে অনেক বড় হয়ে যায়। খুব দ্রুতই পুরোটা ঘটেছিলো এইটুকু মনে আছে। এবং ঘুম ভাঙ্গার সাথে সাথে লিখেছি। আমার স্বপ্ন লেখার অভ্যাসটা অনেক পুরনো। অনেক বছর আগে মিসির আলীর একটা গল্পে পড়েছিলাম, তিনি একজনকে নির্দেশ দিচ্ছেন মাথার পাশে একটা ডায়েরি রাখার জন্য এবং কোন স্বপ্ন দেখে ঘুম ভেঙ্গে গেলেই সেটা লিখে ফেলতে। সেই থেকে আমার শুরু হয়েছিলো। একসময় নিয়মিত লিখলেও এখন মাঝেমাঝে লিখি।

৩| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:২৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: চঞ্চল হরিণী ,




স্বপ্নেরা ওরকমই হয় । চঞ্চল হরিণীর মতো তিড়িং বিড়িং করে এখান থেকে ওখানে যায় । আগামাথা যার খুঁজে পাওয়া ভার ।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১:১৮

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: হাহা ঠিকই বলেছেন, স্বপ্নেরা তিড়িং বিড়িং করে স্থান, দৃশ্য, চরিত্র সব পাল্টে ফেলে। আমার স্বপ্ন লেখার অভ্যাসে এমন অনেক হাবিজাবি ঘটনা আছে। কিন্তু স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির চর্চা আর নিজের মজা লাগার জন্য আমি এসব লিখি। নিশ্চয়ই শুধু নিজের জন্যই এসব লেখা। তবে এই স্বপ্নটা খুবই অন্যরকম ছিলো বলেই আমার কাউকে দেখাতে ইচ্ছে হয়েছিলো। আপনারা এসে পড়েছেন, আমার ভালো লেগেছে। তবে বিরক্ত হলে দুঃখিত আহমেদ ভাই। একটা ধারাবাহিকতা কিন্তু আছে এই স্বপ্নের ঘটনাগুলো ঘটার। নিজে একটা আগামাথা বের করে পরের পোস্টে দিয়েছি। এরকম আরও কিছু সিম্বোলিক স্বপ্ন আছে।

অফটপিক:- সুযোগ পেয়ে বলে ফেলি, আমার ধান, পাট আর তাঁত কবিতাটায় আপনার মন্তব্যের পর আমি অনেক ভেবেছি। ভেবে দেখলাম শিরোনামটা আসলেই কবিতার মূল বক্তব্যের সঙ্গে যথাযথ হয়নি, অনেকেই ধন্দে পড়তে পারে। তাই শিরোনাম পরিবর্তন করেছি এবং ভেতরেও সামান্য কিছু পরিবর্তন করেছি আপনার মন্তব্যের প্রেক্ষিতেই। আর সিজোফ্রেনিক জীবন লেখাটায়ও একটা নতুন বাক্য যোগ করেছি। যদি একবার দেখতেন অনেক অনেক ভালো লাগতো এবং কৃতজ্ঞ হতাম।

৪| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:৪২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রতি মন্তব্যের জন্য । আপনার এই স্বপ্ন দেখার গল্প পরে বিষয়টি নিয়ে একটু চর্চা করতে ছিলাম । চর্চাকালে যা দেখতে পাই তা নিন্মরূপ
The length of a dream can vary; they may last for a few seconds, or approximately 20–30 minutes. People are more likely to remember the dream if they are awakened during the rapid-eye movement (REM) phase. The average person has three to five dreams per night, and some may have up to seven; however, most dreams are immediately or quickly forgotten. Dreams tend to last longer as the night progresses. During a full eight-hour night sleep, most dreams occur in the typical two hours of REM.

সুত্র : Empson, J. (2002). Sleep and dreaming (3rd ed.)., New York: Palgrave/St. Martin's Press

তাই মনে হল আপনার সাথে একটু মিলিয়ে দেখি আপনার এই স্বপ্ন দেখতে কতক্ষন লেগেছে এর বেশী কিছু নয় । গবেষনার ন্বার্থে কারণটা তখন খুলে বলা হয় নাই ।
শুভেচ্ছা রইল

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৩১

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: খুব ভালো হোল। আপনার গবেষণার ফলে আমিও জানতে পারলাম অনেক কিছু। অনেক ছোট থাকতে কেউ একজন বলেছিল, মানুষ নাকি যে কোন স্বপ্ন দেখে মাত্র তিন সেকেন্ড। যত বড় আর যত ঘটনাই ঘটুক সেই স্বপ্নের দৈর্ঘ্য তিন সেকেন্ড ! এতো দ্রুত এতো কিছু কিভাবে দেখে তা ভেবে খুব আশ্চর্য হলেও মেনে নিয়েছিলাম কারণ তখন খুবই ছোট ছিলাম। বড় হয়ে মনে আবার খটকা এলেও বিষয়টা নিয়ে আর ঘাটাঘাটি করা হয়নি উদাসীনতায়। আজ আপনার কাছ থেকে জেনে গেলাম। শুভেচ্ছা রইলো অফুরন্ত।

৫| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৪৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ প্রতি উত্তরের জন্য ।

শুভেচ্ছা রইল ।

৬| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:২০

রাকু হাসান বলেছেন:

কতবার চেক করেছি ,দেখছি উত্তর নাই , :-< এখন তো পাইছি ;)

দেখলে খুব অবাক করার মত । বোনের সাথে একটি জিনিস মিলে গেল খুব কল্পনাও করিনি ;) । যাক তুমি পোস্ট দিয়ে রাখছিলে । তাই অনেক টা ভাল হয়েছে ।
আচ্ছা তোমার কি এমন হয় ,ধরো কোন স্বপ্ন দেখলে ,সেটা কিছূ পর কোন না কোন ঘটনার সাথে মিলে গেল । পুুরো টা না মিললেও যোগসূত্র থাকে । এমন টা হইছে কোন সময় । বা তোমার হয়তো সামনে দিন খারাপ যাবে মানে কোন একটা হতে পারে ,নিজের বা কাছে জনদের তখন স্বপ্নে কিছূ দেখতে পাও .. :|| .......
হুম সব মনে আছে । .. বই ব্যাপারে বেশ ভাল কথা বললে ,অন্য পোস্টে বলছি বইয়ের ব্যাপারে । :-B

০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১:০২

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: না, এমন হয়নি কখনো। কিংবা হলেও সচেতনভাবে খেয়াল নেই। আর অনেক সময় দুঃস্বপ্ন দেখে আম্মুকে বলেছি, আম্মু সবসময় বলেছেন, যা দেখেছো ভালো দেখেছো। কোন খারাপ সংবাদের আশঙ্কা করলেও ঘটেছে কিনা সেভাবে ঠিক মনে নেই। কিন্তু আমার বাবার ক্ষেত্রে ঘটে। অনেকবার এমন হয়েছে যে বাবা খারাপ কোন স্বপ্ন দেখে খুব চিন্তিত হয়েছেন এবং সত্যিই খারাপ কিছু ঘটেছে। তোমার সাথে কি এমন কিছু হয় নাকি ? :||

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.