নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Our sweetest songs are those that tell of saddest thought (Shelly).

রূপক বিধৌত সাধু

মন রে, কৃষিকাজ জানো না; এমন মানবজমিন রইলো পতিত আবাদ করলে ফলত সোনা! রামপ্রসাদ সেন ([email protected])

রূপক বিধৌত সাধু › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভারত ভাগ নিয়ে একটি নিরপেক্ষ পর্যালোচনা

১৫ ই জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৪

১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে ভারত ভাগ হয়। হিন্দু মুসলিম আলাদা দুটি জাতি। তারা একসাথে থাকতে পারবে না; এই ছিল মূলকথা। আমরা যারা প্রগতিশীলতায় বিশ্বাসী, তারা এই তত্তটাকে মানতে পারি না। ভারত ভেঙে পাকিস্তান সৃষ্টি করা কেন জরুরি ছিল; সে সম্পর্কে আলোচনা করা যাক।

১৭৫৭ সালের ২৩ জুন পলাশীর প্রান্তরে নবাব সিরাজের পরাজয়ের পর ইংরেজরা বাংলা সহ ভারতের কয়েকটা রাজ্য দখল করে নেয়। ১৮৫৭ সালের মধ্যে পুরো ভারত দখল করে ফেলে। মুসলিমরা ইংরেজদের প্রতি ক্ষুব্ধ ছিল। কারণ, তাদের হাত থেকেই ক্ষমতা কেড়ে নেয়া হয়েছিল। মুসলিমরা ইংরেজদের ভাষা, সংস্কৃতি বর্জন করেছিল। এ জন্য তারা চাকরি বাকরি সহ সকল ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়েছিল।

পক্ষান্তরে হিন্দুরা ইংরেজদের গ্রহণ করেছিল (সব হিন্দু নয়)। সঙ্গত কারণেই সকল ক্ষেত্রে তারা অগ্রাধিকার পেত।

এ দেশে একপ্রকার হিন্দু জমিদার শ্রেণি তৈরি হয়, যারা মুসলিম প্রজাদের অত্যাচার করত। মুসলিমদের তারা বহিরাগত ভাবত। এটা সত্য যে আরবরা যখন এ দেশে আসে, এখানকার জনগোষ্ঠী হিন্দু ছিল। জোরপূর্বক অনেক লোককে ধর্মান্তরিত করা হয়। যারা প্রতিবাদ করেছিল তাদের হত্যা করা হয়। কেউ কেউ বলেন, অস্ত্রের জোরে এখানে ধর্ম কায়েম করা হয়।

বখতিয়ার খিলজি থেকে শুরু করে তুর্কীরা, পাঠানরা, আরবরা এখানকার ধন সম্পদ লুট করে নিয়ে যায়। এক সুলতান মাহমুদ ১৭ বার ভারত আক্রমণ করেন। নাদির শাহ ময়ূর সিংহাসন লুট করে নিয়ে যান। এছাড়া বিভিন্ন কারণে মুসলিমদের ওপর হিন্দুদের ক্ষোভ ছিল।

এখানে আরেকটা বিষয় বলা প্রয়োজন- তৎকালীন সমাজে বর্ণবৈষম্য প্রকট ছিল। এক হিন্দু অন্য হিন্দুকে দেখতে পারত না। ইসলাম ধর্মে জাত পাত বৈষম্য ছিল না বলে নিচু স্তরের হিন্দুরা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে।

সে যাই হোক। মুসলিমরা হিন্দুদের দাসে পরিণত হয়। যদিও পরবর্তীতে স্যার সৈয়দ আহমদ, সৈয়দ আমীর আলী, নওয়াব আবদুল লতিফ, নবাব সলিমুল্লাহ প্রমুখ ব্যক্তিদের আপ্রাণ চেষ্টায় পরিস্থিতির বেশ অগ্রগতি হয়েছিল।

ইংরেজরা হিন্দুদের বিভিন্ন সুবিধা দিত নিজেদের স্বার্থেই। বিনিময়ে কিছু গ্রহণ করত না। হিন্দুদের আত্ম-সম্মানে লাগল। তারা বুঝল, এরা আপন নয়। পরবর্তীতে হিন্দু -মুসলিম একজোট হয়ে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে নামল। আমরা সকলেই তিতুমীরের আন্দোলন, ফকির আন্দোলন, ফরায়েজী আন্দোলন, নীল বিদ্রোহ, খিলাফত আন্দোলন, অসহযোগ আন্দোলন সম্পর্কে অবগত। এগুলো ছিল স্বাধীনতা আন্দোলনের সশস্ত্র অভিযান। যদিও বেশির ভাগ আন্দোলন ব্যর্থ হয়েছিল।

এই উপমহাদেশে সাম্প্রদায়িকতা সবসময় ছিল। বিশেষত বৃটিশরা একে তীব্র করে তুলে। রাজনৈতিক নেতারা হিন্দু-মুসলিম সম্পর্ক উন্নয়নে জোর দেন নি। তাঁদের দাবি ছিল ব্রিটিশ তাড়াও, স্বরাজ আনো। একদিন স্বরাজ ঠিকই এসেছিল; কিন্তু ভারত মাতা তখন দুই ভাগে বিভক্ত। তাঁরা যদি হিন্দু-মুসলিম সম্পর্ক উন্নয়নে জোর দিতেন, তাহলে হয়ত দাঙ্গা হতো না, ভারত ভাগ করার প্রয়োজন হতো না।

এ অঞ্চলের রাজনৈতিক নেতারা যেমন এ’কে ফজলুল হক, সোহরাওয়ার্দী, মওলানা ভাষানী, আবুল হাশিম, শেখ মুজিব প্রমুখ নেতা পাকিস্তান আন্দোলনকে এখানে জনপ্রিয় করে তুলেছিলেন। মুসলমানেরা তাদের সঙ্গে ছিল। ’৪৬ এর নির্বাচনে মুসলিম লীগ এ অঞ্চলের প্রায় সবগুলো আসন জিতেছিল।

১৯৪৬ সালের ১৬ আগস্ট মুসলিমলীগ সমর্থকেরা শোভাযাত্রা বের করে। কংগ্রেস অতর্কিতে আক্রমণ করে। অনেক মুসলিম মারা পড়ে । ১৯ আগস্ট মুসলিমরা হিন্দুদের আক্রমণ করে। এবার অনেক হিন্দু মারা পড়ে। নোয়াখালী কলকাতা সহ বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে। হাজার হাজার লোক হতাহত হয়। অনেক নিরীহ হিন্দু মুসলিমদের বাঁচাতে গিয়ে মারা যায়। আবার অনেক নিরীহ মুসলিম হিন্দুদের বাঁচাতে গিয়ে মারা যায়। রক্তপাত এড়াতে তখন কংগ্রেস মুসলিম লীগের দাবি মেনে নেয়। ভারত ভাগ হয়। ১৪ আগস্ট ১৯৪৭ এ পাকিস্তানের জন্ম হয়।

লাহোর প্রস্তাবের মূল কথা ছিল মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দুটি অঞ্চল নিয়ে দুটি স্বাধীন রাষ্ট্র এবং অন্যান্য অঞ্চল নিয়ে একটা রাষ্ট্র ভারত হবে। কিন্তু নেতাগণ দুটি রাষ্ট্রে পুরো ভারতকে ভাগ করেন। পাকিস্তানের একটা অংশ (বর্তমান বাংলাদেশ) দুই হাজার কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ছিল। ভারতের মধ্য দিয়ে যেখানে আসতে যাওয়া আসা করতে হতো।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫

রাগিব নিযাম বলেছেন: (y)

০৫ ই জুন, ২০১৬ ভোর ৬:৫৩

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: শুভেচ্ছা ।

২| ০৫ ই জুন, ২০১৬ সকাল ১০:০৯

বৈশাখের আমরণ নিদাঘ বলেছেন: এত বড়ো একটা ব্যাপার নিয়ে এই অল্প লেখা? এটা পর্যালোচনা হয়নাই, কিছু তথ্য দেয়া হইছে। পোস্টের জন্য আরও কষ্ট করেন সাধু ভাই। ইতিহাস ১৯৫৭ থেকে ১৯৪৭ এ কুইকলি জাম্প করে যাবার মত বিষয় না। তাহলেই ফাকজোক থেকে যায়।

শুভকামনা রইলো। :)

০৫ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:২৯

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: লেখাটায় বহু ঘাটতি! প্রথম দিককার লেখা তো ।

৩| ০৫ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৬

শ্রাবণধারা বলেছেন: এটা আমার একটা পছন্দের টপিক । তবে নিরপেক্ষ পর্যালোচনা করাটা হয়ত খুবই কঠিন হবে এ বিষয়টায় ।

আমি একবার পাকিস্তানীদের একটা মেলায় গিয়েছিলাম । তখন নতুন এসেছি মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশে । ভারতীয়, পাকিস্তানী, মিশরীয়, ফিলিপিনো কারা কেমন জাতি কিছুটা বুঝতে আরম্ভ করেছি বা চেষ্টা করছি । তো সেই পাকিস্তানী মেলায় কাচঁ লাগানো বাহারী জামা, খুব তীব্র লাল রংয়ের ব্যাবহার, মোটা-সোটা স্বাস্থবান নারী-পুরুষ, তাদের কথাবার্তায় অনুভব করলাম যে আসলে তাদের সাথে আমাদের অন্তরে কোন মিল নেই । দেশ ভাগ করে তাদের সাথে আমাদেরকে এক রাষ্ট্রে গাথার মত উজবুকি কান্ড আর কি হতে পারে ?

পরবর্তীতে ভারতীয়দের মেলাতেও গিয়েছি বেশ কবার । তাদের দেশ বড়, সংস্কৃতি বহু । তাদের ঐ বহু সংস্কৃতির সাথে আমাদের যে খুব মেলে তা নয় । কিন্তু ভারতীয় সংস্কৃতির বৈচিত্রের মধ্যে একটা সদর্থক ইঙ্গিত আছে । তা হলো এই বৈচিত্র অনেক কিছুকেই ধারণ করতে পারে । পাকিস্তানী সমাজ যা পারে না ।

০৫ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৭

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: সুন্দর মন্তব্য করেছেন । ভবিষ্যতে এ বিষয়ে আপনার সাথে আলোচনা করার আশা রাখি

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.