নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Our sweetest songs are those that tell of saddest thought (Shelly).

রূপক বিধৌত সাধু

মন রে, কৃষিকাজ জানো না; এমন মানবজমিন রইলো পতিত আবাদ করলে ফলত সোনা! রামপ্রসাদ সেন ([email protected])

রূপক বিধৌত সাধু › বিস্তারিত পোস্টঃ

সময়ের এক ফোঁড় অসময়ের দশ ফোঁড়

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:১৬

জয়পুরহাট থেকে সিরাজগঞ্জ যাব। রাস্তা দিয়ে হাঁটছি কিন্তু হানিফ পরিবহনের কাউন্টার পাই না। এক টং দোকানে গিয়ে জিগ্যেস করতেই দোকানদার বলল, "পেছনে ফেলে এসেছেন।"
মানে যেখান থেকে রওনা দিয়েছি তারও পেছনে কাউন্টার। আগেরদিন দেখে এসেছিলাম কিন্তু পরেরদিন গোল পাকিয়ে ফেলি।

যাহোক, জিগ্যেস করি, "সিরাজগঞ্জ যাব কেমনে?"
একজন বলল, "সামনে একটা বাজার। পাঁচ টাকা অটো ভাড়ায় চলে যান। সেখান থেকে সিরাজগঞ্জের বাস পাবেন।"

দাঁড়িয়ে আছি। পাশেই এক বৃদ্ধা এবং স্কুলগামী মেয়ে। ওদের সাথে কথা হচ্ছিল। হঠাৎ একটা গাড়ি এল। সিরাজগঞ্জ যাবে। মেয়েটা বলল, "আপনি এটাতে চলে যান।"

কী মনে করে গেলাম না। একটু পর বগুড়ার একটা গাড়ি এল। মেয়েটা উঠে গেল। বৃদ্ধাও উঠলেন।
উঠব কী উঠব না বুঝতে পারছিলাম না। সরাসরি সিরাজগঞ্জের বাস খুঁজছিলাম।

খুব আফসোস হলো শুরুর বাসটা মিস করে। কয়েক ঘন্টা অপেক্ষা করতে হলো। তারপর হানিফ পরিবহনের একটা বাস এল। ভাড়া নিল চারশো অথচ শুরুতে যে বাসটা এসেছিল, এটায় ভাড়া চেয়েছিল মাত্র দেড়শো। দুশো পঞ্চাশ টাকা গচ্ছা গেল আর এতক্ষণ ফাও অপেক্ষা করলাম। অবশ্য সিরাজগঞ্জ না নেমে এলেঙ্গা নেমেছিলাম যাতে কিছু টাকা উশুল হয় (টাকা না হয় উশুল হলো, বিরক্তি টা উশুল হবে কেমনে?)।

এলেঙ্গা নেমে চিন্তা করছি সরাসরি ভালুকা চলে যাব না কি ময়মনসিংহ হয়ে যাব। সরাসরি ভালুকা গেলে টিউশনি টা করা যাবে। দুজন শিক্ষার্থী শেষদিনের মতো পড়তে আসবে। কলেজ খুলে দেওয়ায় ওরা যে যার কলেজে চলে যাবে।
এদিকে ভার্সিটি ফ্রেন্ড রিফাতকে বলে রেখেছি ময়মনসিংহ হয়ে যাব। ওর সাথে দরকার ছিল।
কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে গেলাম। এদিকে আবার খিদেও পেয়েছে। খেতেও পারছি না। কারণ, নগদ টাকা কম। টাকা সব বিকাশে।

বাঁচতে তো হবে। কেক এবং চা খেলাম। তারপর একটা সিএনজিতে গিয়ে বসলাম। এটা ভালুকা যাবে। আমি একটু আগেই নামব। উথুরায়।

দেড় ঘন্টা বসে রইলাম। সিএনজি ভরে না, ছাড়েও না। বিরক্ত হয়ে ময়মনসিংহের একটা বাসে উঠলাম।

এদিকে বিকেল হয়ে গেছে। শিক্ষার্থীরা এসে গেছে মেসেজ করল। নেমে পড়লাম টাঙ্গাইলের ওখানে। সিএনজি নিলাম।
সিএনজি ঢুকল এক রাস্তায়। রাস্তা বন্ধ। কাজ চলছে। পেছন ফেরত এল। তারপর খানাখন্দভরা এক রাস্তা ধরে এগোতে লাগলাম। একবার নামতে হয়, একবার উঠতে হয়।

অনেক কষ্টে উথুরা বাজারে পৌঁছলাম। শিক্ষার্থীরা আমার জন্য অপেক্ষা করছিল। মনকে এটা বলে সান্ত্বনা দেওয়া গেল যে, শেষ পর্যন্ত ওদের সাথে দেখা করা গেছে।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:০৩

জুল ভার্ন বলেছেন: ভালো হোক, মন্দ হোক- সিদ্ধান্ত নিতে হবে ঝটপট।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:২২

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ঝটপট সিদ্ধান্ত টা নিতে পারলে এতক্ষণ অপেক্ষা করা লাগত না। কে জানত অন্য বাস এতক্ষণ পর আসবে!

২| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:০৯

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: তড়িৎ এবং সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে না পারলে শুধুই আক্ষেপ বাড়ে, আমিও তড়িৎ সিদ্ধান্ত নিতে পারিনা এটা একটা চরম ব্যর্থতা।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:২৩

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: মাঝেমধ্যে এমন পরিস্থিতির উদ্ভব হয় যে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে যেতে হয়।

৩| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:০২

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো অভিজ্ঞতা হলো আপনার।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:৪২

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আসলেই।

৪| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:৫৪

তানীম আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: ব্রান্ডের বাসের ভাড়া বেশি ,লোকালগুলি সময় খাবে বেশি -সেই হিসেবে প্রথম দিকের ডিসিশন ঠিক থাক ছিলো ।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:২৩

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: তা অবশ্য ঠিক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.