নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Our sweetest songs are those that tell of saddest thought (Shelly).

রূপক বিধৌত সাধু

মন রে, কৃষিকাজ জানো না; এমন মানবজমিন রইলো পতিত আবাদ করলে ফলত সোনা! রামপ্রসাদ সেন ([email protected])

রূপক বিধৌত সাধু › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভুলো মনের অদ্ভুত কিছু খেয়াল

১২ ই অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৫:২৭

কথিত আছে মহান বিজ্ঞানী আলবার্ট আইন্সটাইন ছোটোবেলায় একবার বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিলেন। ওনার বাবা তো রেগে আগুন।আগুন লাগানোর কারণ জানতে চাওয়া হলে ওনি বলেন ওনি দেখতে চাচ্ছিলেন কেমনে আগুন জ্বলে।
তখন ভালুকায় থাকতাম। রুমে যে ময়লা হতো, যেমন কাগজ, লিচুর খোসা, চিপস বা বিস্কুটের প্যাকেট; সে গুলো ঘরের এককোণায় রেখে দিতাম। তারপর সুযোগ বুঝে আগুন ধরাতাম। ঘরে আগুন ধরার ঝুঁকি ছিল, তবু কেন ধরাতাম কে জানে!
এখনও যখন পথে হাঁটি, কাগজ বা কোনো প্যাকেট দেখলে মনে হয় দেয়াশলাই থাকলে আগুন ধরাতাম।

বোর্ডিং এ থাকি তখন। একজন আমার কাছে একটা চাবি দিয়ে কোথাও গেল। এসে দেখে আমি নেই। তারপর সে বাড়ি চলে গেল।
আমি কয়েক ক্রোশ হেঁটে তার বাড়িতে গিয়ে চাবি দিয়ে এলাম। অথচ চাবিটা তেমন জরুরি ছিল না। আমরা যে রুমে থাকতাম, চাবিটা সে রুমেরই। ওটা গণরুমের মতো। কেউ না কেউ থাকতই।
বিকেলে সে এলে চাবিটা তখন দিলেও চলত।

চিপস খাচ্ছিলাম। শেষ হলে প্যাকেটটা কোথায় ফেলব ভাবছিলাম। ময়লা হবে যেমন তারচেয়ে বেশি ভাবছিলাম প্যাকেটটাকে একা কেমনে ফেলে রাখি!
তারপর প্যাকেটটাকে পকেটে নিয়ে বাসার ডাস্টবিনে ফেললাম।
এখনও পথে-ঘাটে যখন চলি, কোন প্যাকেট এলে আরও অনেক ময়লা একত্রে আছে এমন জায়গায় ফেলি।

আম পাড়তে আম গাছে উঠেছি। একটা ডালে একটা থোকায় নজর গেল। সেখানে দুটো আম। একটা কাঁচা, একটা পাকা। পাকাটা ছিঁড়তে গিয়ে কাঁচাটার জন্য মায়া হলো। আহা বেচারা এতিমের মতো পড়ে আছে!
তারপর দুটোই তুললাম।

ট্রেনে চড়ে কোথাও যাচ্ছিলেন আলবার্ট আইন্সটাইন। টিকিট চেকার ওনার টিকিট চাইল। ওনি শার্ট-কোর্ট সব তন্ন তন্ন করে খুঁজেও টিকিট পেলেন না। টিকিট চেকার বলল, "অসুবিধে নেই। আপনাকে আমরা চিনি। টিকিট খুঁজতে হবে না।"
কিছুক্ষণ পর টিকিট চেকার এসে দেখলেন আইন্সটাইন সিটের নিচে উপুড় হয়ে কিছু খুঁজছেন।
"কী খুঁজেন?"
"টিকিট?"
"আপনাকে না বললাম টিকিট দেখাতে হবে না?"
আইন্সটাইন অপ্রস্তুত হয়ে বললেন, "আসলে ওখানে আমার বাসার ঠিকানা লেখা আছে (যদিও অনেকে বলে টেলিফোন নাম্বারের কথা বলেছিলেন ওনি)।"

এক সহপাঠীর বাসায় প্রায়ই যাই। কিন্তু সমস্যা হলো প্রতিবারই বাসায় গিয়ে ফোন দিতে হয়। বাসার নাম্বার মনে থাকে না আমার।
এই সমস্যার জন্য চাকরিজীবনেও বহু ঝামেলা পোহাতে হয়েছে। এক জায়গায় প্রতিদিনই যাই অথচ রুম নাম্বার ভুলে যাই। কী বিব্রতকর অবস্থা!

বাসায় তালা দিয়ে বের হয়েছি। অনেকদূর যাওয়ার পর মনে হলো তালা দেইনি। আমি নিশ্চিত তালা দেইনি। কিন্তু তালা দেওয়া ছাড়া তো বের হওয়ার কথা না।
বাসায় গিয়ে দেখি তালা দেওয়াই আছে।

কোচিং করাই। সকালে গিয়ে নিজেই তালা খুলে শাটার তুলি। একদিন হঠাৎ তালা খুলছিল না। একজনকে দিয়ে ভাঙালাম। বাসায় গিয়ে দেখি আসল চাবিটা রেখে গেছি। খুব অবাক লাগল এটা ভেবে যে এক বছর ধরে যে চাবি দিয়ে তালা খুলেছি সেটা কেমনে ভুলে গেলাম!
তালার ওপর যে জুলুম করা হয়েছে; এটা মনে করে অনুশোচনা হতে লাগল।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৫:৩৭

সোনাগাজী বলেছেন:


আপনার 'সাধারণ স্বাভাবিক আচরেণের' লেভেলটা একটু কম হওয়ার সম্ভাবনা।

১২ ই অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৫:৩৮

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: হতে পারে।

২| ১২ ই অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৫:৪৪

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: এরকম ভুল সবাই করে। ব্লগার মিরোরডডল একবার এরকম চাবি নিয়ে ভুল করেছিলেন।

১২ ই অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০০

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: হ্যাঁ। অনেকেরই হরহামেশা মনের ভুল হয়ে যায়।

৩| ১২ ই অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৫

কিশোর মাইনু বলেছেন: আইনস্টাইনের গল্পটা আমি অবশ্য অন্যরকম শুনেছি। উনার জবাব নাকি ছিল এরকম- " আরে টিকিট ছাড়া কীভাবে জানব আমি কোথায় যাচ্ছিলাম?"

চোখে চশমা নিয়ে চশমা খোজা, মোবাইলের টর্চ দিয়ে মোবাইল খোজা, আরও কতশত কাহিনী যে প্রতিনিয়ত ঘটে যাচ্ছে আমার জীবনে। ঢাকার লালমাটিয়া মসজিদের ওখানে প্রতিদিন ই যেতাম আড্ডা মারতে। তবু ও প্রথম অনেক মাস ধরে ম্যাপ লাগত যেতে। আমার বন্ধুদের এত গালি খেতাম।

১২ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:২২

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আইনস্টাইনের গল্পটা আমি অবশ্য অন্যরকম শুনেছি। উনার জবাব নাকি ছিল এরকম- " আরে টিকিট ছাড়া কীভাবে জানব আমি কোথায় যাচ্ছিলাম?"
আমিও এমনও শুনেছিলাম। কোনটা সত্যি কে জানে!

চোখে চশমা নিয়ে চশমা খোজা, মোবাইলের টর্চ দিয়ে মোবাইল খোজা, আরও কতশত কাহিনী যে প্রতিনিয়ত ঘটে যাচ্ছে আমার জীবনে। ঢাকার লালমাটিয়া মসজিদের ওখানে প্রতিদিন ই যেতাম আড্ডা মারতে। তবু ও প্রথম অনেক মাস ধরে ম্যাপ লাগত যেতে। আমার বন্ধুদের এত গালি খেতাম। চশমা, কলম নিয়ে এমন বিড়ম্বনা আমারও হয়।

৪| ১২ ই অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমারও ছোটবেলায় আগুন ধরানোর অভ্যাস ছিল। দিয়াশলাইয়ের কাঠি নিয়ে ঘুরতাম। সামনে যা পেতাম তাই পোড়াতাম। তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ার সময় একবার বাসার একটা বিছানার তোষকে কিভাবে যেন আগুন ধরিয়ে দিয়েছিলাম। কেউ দেখার আগেই অনেক কষ্টে আগুন নেভাতে পেড়েছিলাম। এক দিকে পানি ঢালি তো আরেক কোণা থেকে ধুয়া উড়তে থাকে। অবশ্য কেউ বোঝার আগেই নিভাতে পেড়েছিলাম।

ছোট বেলায় আমাদের বাসায় রবীন্দ্রনাথের একটা মাটির মূর্তি ছিল। আমি দরজার কোণায় লুকিয়ে সেই মূর্তি কামড়ে খেতাম। এই স্মৃতি অবশ্য আমার মনে নাই। আমি আমার ফুফুদের কাছ থেকে শুনেছি। এটা নিয়ে আমাকে বড় হওয়ার পর ওনারা খেপাতেন। আমি ছোটবেলায় হাঁটা শিখেছি অনেক দেরীতে। সাধারণত বাচ্চারা ৯ মাস থেক ১২/১৪ মাসে হাঁটা শিখে। আমার মধ্যে দেড় বছর পর্যন্ত হাটার কোন লক্ষণ দেখা যায়নি। কিন্তু একদিন নাকি আমার ফুফু আমার হাত ধরে বাসার সামনের খালি জায়গায় হাটছিলেন আর আমি হঠাৎ নিজে হেটে বাড়ির ভিতর চলে যাই।

মনোবিদরা বলে থাকেন যে চর্চার মাধ্যমে স্মরণ শক্তি বাড়ানো যায়। কিছু পদ্ধতি আছে যেগুলি চর্চা করলে স্মরণশক্তি বৃদ্ধি পায়।

১২ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:২৭

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আমারও ছোটবেলায় আগুন ধরানোর অভ্যাস ছিল। দিয়াশলাইয়ের কাঠি নিয়ে ঘুরতাম। সামনে যা পেতাম তাই পোড়াতাম। তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ার সময় একবার বাসার একটা বিছানার তোষকে কিভাবে যেন আগুন ধরিয়ে দিয়েছিলাম। কেউ দেখার আগেই অনেক কষ্টে আগুন নেভাতে পেড়েছিলাম। এক দিকে পানি ঢালি তো আরেক কোণা থেকে ধুয়া উড়তে থাকে। অবশ্য কেউ বোঝার আগেই নিভাতে পেড়েছিলাম।
দেখা যাচ্ছে আপনি আরও এক কাঠি সরেস ছিলেন।

ছোট বেলায় আমাদের বাসায় রবীন্দ্রনাথের একটা মাটির মূর্তি ছিল। আমি দরজার কোণায় লুকিয়ে সেই মূর্তি কামড়ে খেতাম। এই স্মৃতি অবশ্য আমার মনে নাই। আমি আমার ফুফুদের কাছ থেকে শুনেছি। এটা নিয়ে আমাকে বড় হওয়ার পর ওনারা খেপাতেন। আমি ছোটবেলায় হাঁটা শিখেছি অনেক দেরীতে। সাধারণত বাচ্চারা ৯ মাস থেক ১২/১৪ মাসে হাঁটা শিখে। আমার মধ্যে দেড় বছর পর্যন্ত হাটার কোন লক্ষণ দেখা যায়নি। কিন্তু একদিন নাকি আমার ফুফু আমার হাত ধরে বাসার সামনের খালি জায়গায় হাটছিলেন আর আমি হঠাৎ নিজে হেটে বাড়ির ভিতর চলে যাই।
আইন্সটাইন না কি ৪ বছর পর্যন্ত কথা বলেননি। হঠাৎ একদিন খাবার টেবিলে বলে উঠলেন, ইট'স সো হট। সবাই অবাক। জিগ্যেস করল, এতদিন কথা বলোনি কেন?
ওনি বললেন, এতদিন সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল।

৫| ১২ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:২০

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: এক ঝাক শুভকামনা রইলো, সব মানুষ ও প্রাণী কম বেশি সাইকোপেডিয়ায় ভুগে।

১২ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:২৯

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: সব মানুষ ও প্রাণী কম বেশি সাইকোপেডিয়ায় ভুগে। এটা ঠিক।

৬| ১২ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৫২

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:

বাসায় তালা দেয়া নিয়ে আপনার মত আমারও মাঝে মধ্যে হয় এমন।

১২ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:২৯

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ভাবনার জগতে থাকলে মনে হয় এটা বেশিই হয়।

৭| ১২ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:০৮

কামাল৮০ বলেছেন: মাঝে মাঝে আমি চশমা চোখে দিয়ে সারা ঘর চশমা খুঁজি ।তখনি মনে পড়ে” আপন আঁখিরে আঁখি দেখিতে না পায়”

১২ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:১৪

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আপন আঁখিরে আঁখি দেখিতে না পায়। সত্যিই। এই বিড়ম্বনায় আমিও পড়ি।

৮| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:১১

মোগল সম্রাট বলেছেন:
এগুলো প্রায় সবার জন্যই কমন।

১৩ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:৫২

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: হুঁ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.