নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Our sweetest songs are those that tell of saddest thought (Shelly).

রূপক বিধৌত সাধু

মন রে, কৃষিকাজ জানো না; এমন মানবজমিন রইলো পতিত আবাদ করলে ফলত সোনা! রামপ্রসাদ সেন ([email protected])

রূপক বিধৌত সাধু › বিস্তারিত পোস্টঃ

পছন্দের বিষয়ে পড়ালেখা করা সম্ভব হয়নি

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৬


কথা উঠল পড়ালেখা নিয়ে। ছাত্র কেমন ছিলাম, সে প্রসঙ্গও উঠে এল। কথা যেহেতেু উঠলই, খুলে বলা যাক। আমার পড়ালেখা এক প্রত্যন্ত গ্রামে। সেখানে মানসম্মত পড়ালেখা বলতে যা বোঝায়, তা ছিল না। বললে কে কী মনে করে জানি না, সত্যিটা হলো, শিক্ষকেরা আপডেটেড ছিলেন না। কী পড়াতেন না পড়াতেন, বোধকরি নিজেরাও জানতেন না।

মালেক নামের এক শিক্ষক ছিলেন, কাউকে কোনো প্রশ্ন জিগ্যেস করলে সে মুখ বিড়বিড় করলেই হতো, ঠিক না ভুল হচ্ছে; উনি ধরতে পারতেন না। ইংলিশ যিনি পড়াতেন, ঠিকমতো রিডিং পড়তে পারতেন না। গ্রামারে নিজেই অদক্ষ ছিলেন, পড়াবেন কী? বেশি বেশি রাইটিং পার্ট দিতেন। হিসাববিজ্ঞানের শিক্ষকই ছিলেনই না। বিজ্ঞানের শিক্ষক পড়াতেন হিসাববিজ্ঞান। আমরা মিলন নামের বাইরের একজনের কাছে প্রাইভেট পড়ে নিতাম।

আমার রোল নম্বর হাইস্কুলে বেশিরভাগ সময় ৫ থাকত। নবম শ্রেণিতে একবার শুধু ৬ হয়। বলা চলে, মাঝারি মানের ছাত্র ছিলাম। ১-৩ পর্যন্ত রোল সবসময় মেয়েদেরই থাকত। মাঝেমধ্যে শিক্ষকদের মার খেলেও পরীক্ষায় ফল অত খারাপ হতো না। যদিও প্রাথমিকে তেমন ভালো করতে পারিনি। কোনো মতে পাশ করে গেছি। তবে হাইস্কুলে মোটামুটি ভালো হয়েছে।

আমাদের আর্থিক অবস্থা খুব খারাপ ছিল। তিন ভাইবোনের পড়ালেখা চালিয়ে নেওয়া আমার মা-বাবার জন্য কঠিন ছিল। যা সহযোগিতা পেয়েছি, মামারাই করেছেন। শিক্ষকগণও যেহেতু অদক্ষ ছিলেন, প্রাইভেট পড়া জরুরি ছিল। কিন্তু শিক্ষক পাব কই? যেতে হতো উপজেলা সদরে। যেহেতু আর্থিক অবস্থা খারাপ, বাসায়ই নিজে নিজে পড়তাম। বোন গণিত বুঝিয়ে দিত। ইংলিশে মোটামুটি ভালো ছিলাম।

কোচিংয়ের খোঁজ করতাম। এগুলোতে কম পয়সায় সব বিষয় পড়ানো হয়। কিন্তু আশপাশের ৪-৫ গ্রামে কোনো কোচিং ছিল না।

কলেজে উঠে প্রথম বর্ষ ভালোই যায়। নিজে নিজে সব বুঝতে পারি। কিন্তু দেখা গেল প্রাইভেট না পড়ার কারণে পরীক্ষায় নাম্বার কম আসে। হিসাববিজ্ঞান স্যার তো ইয়ার চেঞ্জ পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দিলেন। আত্মবিশ্বাস ছিল আমার, জানতাম বোর্ড পরীক্ষায় ভালো করব। মোটামুটি ফল করেছিলাম। এ প্লাস না পেলেও একটা ফল করেছিলাম, যা আমাকে ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় উপজেলায় প্রথম করেছিল।

নির্বাচনি পরীক্ষার পর কয়েকমাস কোচিং করেছিলাম ভালুকা সদরে। ক্লাস করে যতটা না উপকৃত হয়েছি, তারচেয়ে বেশি উপকৃত হয়েছি পরীক্ষা দিয়ে। নিজের ভুলগুলো ধরা পড়ত। একজন-দু'জন শিক্ষক যখন প্রশংসা করতেন, উৎসাহ পেতাম। যা পড়তে প্ররোচিত করত।

এরপর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিচ্ছিলাম। এর আগে কোচিং করি ময়মনসিংহে গিয়ে। যাহোক, সুবিধা করতে পারিনি তেমন। শেষমেশ একটা প্রত্যন্ত গ্রামের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ হয়। আগ্রহ ছিল না ভর্তি হওয়ার। কারণ, এখানে থেকে নিজের খরচ নিজে চালাতে পারব না মনে হচ্ছিল। কিন্তু কী করব? ঢাকার কোথাও তো চান্স হলো না।

পরীক্ষা দিয়েছিলাম দুই ইউনিটে। মৌখিক পরীক্ষা দিয়ে ব্যবসায় প্রশাসনের একটা বিষয় পেলাম। মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা। অন্য ইউনিটে বাংলা দিল। কী করব বুঝতে পারছিলাম না। নবম শ্রেণিতে উঠার পর ব্যবসায় শিক্ষা নিয়েছিলাম বোনের পরামর্শে। নিজে বুঝতে পারছিলাম না কী নেব। এবারও একজন পরামর্শ দিল ব্যবসায় প্রশাসনে ভর্তি হতে। ভর্তি হলাম হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্টে, মানে মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনায়। লোকজন বলাবলি করছিল, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে বিষয়টা প্রথম। চাকরিতে সুবিধে করা যাবে। সবার পরামর্শে প্ররোচিত হলাম। এরপর একসময় বুঝলাম কী ভুল করেছি।

এ সংশ্লিষ্ট আরেকটা লেখা: প্রেম করলাম কার লগে আর বিয়া করলাম কারে?

আসলে আমার পছন্দের বিষয় ছিল ইতিহাস, সাহিত্য, দর্শন, রাজনীতি। মাধ্যমিকে ও উচ্চ মাধ্যমিকে পড়ালেখার ফাঁকে ফাঁকে এগুলো নিয়ে চর্চা করতে পারতাম। তখন তো পড়ালেখা অল্প ছিল, পড়তে কোনো সমস্যা হয়নি। এখন তো অকূল পাথারে পড়লাম! উপলব্ধি করলাম, জোর করে আর যাহোক পড়ালেখা হয় না। ভুলের মাশুলও দিলাম। ফলও হলো যাচ্ছেতাই।

পছন্দের বিষয়ে পড়তে পারাটা বিরাট সৌভাগ্যের বিষয়। আমার খুব আফসোস হলো এটা ভেবে যে, কেন বাংলায় ভর্তি হলাম না। বলা হয়েছিল, চাইলে ইংলিশে ভর্তি হতে পারব। আমি কী দুর্ভাগা; এমন একটা সুযোগ হেলায় ফেললাম।

ব্যবসায় প্রশাসন আমার কখনও ভালো লাগেনি। যদিও পড়ালেখাটাই একসময় বিরক্ত লাগত। কিন্তু তবুও হাইস্কুল-কলেজে অতটা খারাপ হয়নি। অল্পবিস্তর যাই পড়তাম, কুলিয়ে উঠতে পারতাম। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে দেখলাম, এখানে পেছনের বেঞ্চে বসা ছেলেটাও ভালো করছে। আমি নিজেকে হারিয়ে খুঁজছিলাম।

কোনোমতে অনার্স শেষ করলাম। জীবনসংগ্রাম চালিয়ে যেতে পুরোপুরি অপ্রস্তুত আমি। চাকরিবাকরি বা কোনোকিছুর জন্যই উপযুক্ত হতে পারিনি। তবুও ভাগ্যান্বেষণে বেরিয়ে পড়ি। আমার অর্থোপার্জন অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছিল। কিন্তু ঠাঁই হলো না কোথাও। দুনিয়ায় যোগ্যতা-দক্ষতা ছাড়া টেকা যায়? কোথাও ঠাঁই না পেয়ে আবারও বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে যাই। মাস্টার্সটা শেষ করা দরকার। যদি চাকরি পেয়ে যেতাম, তাহলে হয়তো মাস্টার্স করতাম না।

একসময় মাস্টার্সটা শেষ করি। এরমধ্যেই একটা স্কুলে ঢুকে পড়ি। পাশাপাশি টিউশনি চলতে থাকে।

ছবি: বিবিসি

মন্তব্য ২৯ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:৪৫

ডার্ক ম্যান বলেছেন: আপনি তো তাও অনার্স কমপ্লিট করেছেন । আমি তাও করি নি ।
আমার পছন্দের কোন বিষয় ছিল না। পরিবারের চাপে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে ভর্তি হয়েছিলাম। কয়েক সেমিস্টার পড়ার পর লন্ডনে একটা কলেজে ভর্তি হয়েছিলাম । কিন্তু নানা কারণে যেতে পারি নি । তখন যদি ঐখানে যেতাম জীবন এখনের চেয়েও অনেক সুন্দর হত বলেই আমার বিশ্বাস।
ওকালতি করলে অনেক মানুষের ক্ষতির কারণ হতাম। সেই পাপ থেকে বেঁচে গেছি।
জীবনে নানা কিছু চেষ্টা করেছি কিন্তু ব্যর্থ হয়েছি । মাঝে মাঝে হাল ছেড়ে দেই ।

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:৪৯

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: লন্ডনে পড়ার সুযোগটা মিস করা উচিত হয়নি আপনার। আমি অনার্সটা বাইরে করতে চেয়েছিলাম, এক মামা টাকা-পয়সার ব্যবস্থাও করেছিলেন। কিন্তু লাইনগার্ড না থাকায় সেটা সম্ভব হয়নি।

২| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১৬

সোনাগাজী বলেছেন:




স্কুলের যেকোন ক্লাশের বই নিজে পড়ে খুবই ভালো করা সম্ভব; শিক্ষকের উপর নির্ভর করতে হয় না, প্রাইভেট পড়ার তো প্রশ্নই উঠে না। পড়ালেখা সম্পর্কে আপনার ২ পয়সারও ধারণা কখনো ছিলো না, এখনো নেই! স্কুলে, অজগ্রামে যেই পাঠ্যবই ছিলো, ঢাকার বিখ্যাত স্কুলেও একই বই ছিলো।

স্কুলের যেই কোন শ্রেণীর বই ১ম ২/৩ মাসের ভেতরে যেকোন সাধারণ ছাত্রও শেষ করতে পারে।

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩০

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: সবাই তো আর আপনার মতো মহাজ্ঞানী হয়ে জন্মায় না। ৭২ বছর বছর বয়সের আপনি আর ১৪-১৫ বছরের আপনি তো একই রকম জ্ঞানী ছিলেন। এরকম প্রতিভা ঐশ্বরিক। আমি বা আমার মতো সাধারণের পক্ষে আপনার মতো হওয়ার সুযোগ ছিল না। যতটুকু শিখেছিলাম, তা নিজের ঐকান্তিক চেষ্টায়। একটা প্রত্যন্ত গ্রামে বেড়ে উঠা ছেলে, যার চৌদ্দ গোষ্ঠীতে একজন কলেজপাশ নেই তার জীবন কেমন হতে পারে সেটা বোঝার মতো মানসিক পরিপক্বতা আপনার হওয়ার কথা না।

৩| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪৫

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আর্থিক অবস্থার কারণে কোন শিক্ষকের কাছে বেশিদিন পড়তে পারতাম না । তবুও নিজেকে নিজেই ঠেলেছি আমি । বাসার আর্থিক অবস্থা , নিজেকে অন্যের থেকে পিছিয়ে পড়তে দেখা , নিজের আগামিকে অন্ধকার জানবার পর একটা রাগ ক্ষোভ আর চরম হতাশা ও অস্বস্তি জাগতো । এটা থেকে বাঁচতে সজোরে মোটা বই দিয়ে মাথায় ব্যথা উঠত আর আমার অস্বস্তি কমে যেত ।

আমিও আমার পছন্দের সাবজেক্ট নিয়ে পড়তে পারিনি । মা বুঝে গিয়েছিলেন তিনি আমাকে আমার প্রিয় সাবজেক্টে পড়াতে পারবেন না তাই তিনি কমার্সেই পড়ান । এই জীবনে অনেক কিছুই আসলে হারিয়ে ফেলেছি । আমার ইচ্ছা ছিল আমি অপরাধবিজ্ঞানী অথবা মনোবিজ্ঞানী হবো আর সে হলো না ।

আপনি আমাকে অনেক কথা মনে করিয়ে দিলেন । সেইসব পুরনো দিন আর যে বর্তমানকে আমি সাথি করে বাঁচছি সেসবকে !!

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৬

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ঠিকঠাক দিকনির্দেশনা দরকার আসলে। আমি যখন অনার্সে ভর্তি হই, আমার এলাকায় কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছেন এমন কেউ ছিল না। মাঝেমধ্যে ভাবি, এখনকার ছেলেমেয়েরা কত আপডেটেড! এদের সিকিভাগ আপডেটেড হলে বোধহয় মানুষের ঠেলাধাক্কা খেয়ে জীবন অতিবাহিত করতে হতো না।

৪| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৭

কামাল১৮ বলেছেন: শিক্ষকরা এখনো কি জানে ,কি পড়াতে হয় কেমন করে পড়াতে আমার মনে হয় জানে না।

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১১

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আমি গাজীপুর-ঢাকা বা নানা জায়গায় পড়িয়েছি। আমার কাছে মনে হয়েছে প্রত্যন্ত এলাকায় যেসব শিক্ষক শিক্ষকতা করতেন তারা ঢাকা-গাজীপুর বা শহুরে প্রতিষ্ঠানগুলোতে টিকতে পারবেন না। যদিও এখন মানসম্মত শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। আগে তো এমন ছিল না।

৫| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৯

সোনাগাজী বলেছেন:




কত বছর বয়সে আপনি এইচএসসি পাশ করেছিলেন?

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৮

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ১৭।

৬| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৭

সোনাগাজী বলেছেন:


১৭ বছরে এইচএসসি পাশ করার পর, আপনার মনে কি ভাবনা আসেনি যে, পরিবারের অবস্হা যেহেতু ভালো নয়, কোন কারখানায় একটা চাকুরী ধরে, রাতের কলেজে পড়ে সাধারণ ডিগ্রী পরীক্ষা দেয়ার কথা?

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৩

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আপনি বহু বছর দেশের বাইরে। আপনার হয়তো জানা নেই এ দেশে গার্মেন্টসে চাকরি করতে হলেও চেনাজানা লোক দরকার। আমি কষ্টেসৃষ্টে অনার্স শেষ করে গাজীপুর চলে এসেছিলাম একটা কাজের খোঁজে। তাও সংস্থান করতে পারিনি। এরপর শুধু স্কুল ছাড়া আর কোথাও কিছু জোটাতে পারিনি।

৭| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৭

ঢাবিয়ান বলেছেন: আপনার লেখার হাত ভাল। বেশ ঝরঝরে লেখা। বাংলা ভাষায় বেশ ভাল দখল আছে আপনার। আমার ধারনা আপনি শিক্ষক হিসেবেও বেশ ভাল। সরকারী প্রাইমারী স্কুলের পরীক্ষায় কি কখনো বসেছিলেন? বয়স যদি থেকে থাকে তাহলে একবার চেষ্টা করে দেখতে পারেন। চাকুরি হিসেবে এটা কিন্ত বেশ ভাল অপশন। এছাড়া বিভিন্ন জেলার বেসরকারী স্কুল্গুলোতেও চেষ্টা করতে পারেন যেহেতু আপনার শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা আছে।

যেহেতু শিক্ষকতা পেশায় আছেন, তাই এটাতেই উন্নতি করার চেষ্টা করুন। সবচেয়ে ভাল হয় যদি বিএড করতে পারেন। বি এড থাকলে যে কোন ভাল স্কুলে চাকুরি পেতে আর কোন সমস্যাই হয় না।

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৭

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: গাজীপুরে একটা ভালো প্রতিষ্ঠানে পড়াতাম। করোনার কারণে সেটা বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে এলাকায় বছরখানেক থেকে ঢাকায় চলে আসি। ঢাকায় কিছুদিন শিক্ষকতা করলেও এখন বাদ দিয়ে দিয়েছি। আপাতত প্রাইভেট কিছু একটা করছি। তবে প্রাইমারি এবখ নিবন্ধনের ব্যাপারটা মাথায় আছে। যদিও মনে হয় না হবে।

৮| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:০২

বাউন্ডেলে বলেছেন: পড়ালেখা খুবই ভালো জিনিষ। তবে এক্ষেত্রে জবরদস্তি আমার একদম অপছন্দ জ্ঞান হওয়ার পর থেকেই। তাও কেমন কেমন করে ইন্টার পাশ করলাম । পরিনতিতে কপালে জুটলো বাংলাবাজারে কি বোর্ডে ঠুকঠাক। ৯০ দশকের কাহিনী। এরপর সামনে-পিছনে কোনদিকে তাকাতে হয়নি -

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:০৪

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: এখনও কি বাংলাবাজারে?

৯| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:১২

ঢাবিয়ান বলেছেন: আমার মনে হয় অন্য সেক্টরে আপনার উন্নতি করা কঠিন। তাছাড়া প্রাইভেট চাকুরির এক মিনিটের ভরসা নাই। আপন শিক্ষকতাকেই বেছে নিন। বর্তমান চাকুরির পাশাপাশি এক বছরের বিএড কোর্স করে নিতে পারেন। সরকারী টীচার্স ট্রেইনিং কলেজগুলোতে খোজ নিন। শিক্ষকতাতেই আপনি কাংখিত উন্নতি করতে পারবেন।

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:২৫

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: টিচিংটা আমার প্যাশন ছিল একসময়। দেখি হয়তো আবার ঢুকে যাব।

১০| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৫৪

বাউন্ডেলে বলেছেন: লেখক বলেছেন: এখনও কি বাংলাবাজারে?
না ভায়া । এখন সৈয়দপুরে , দোকান ভাড়া নিয়ে ঠাক-ঠুকের নিজের ব্যবসা।

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৫৮

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: বাংলাবাজারে কয়েকটা প্রকাশনার সাথে যোগাযোগ ছিল। এখন অবশ্য তেমন নেই। ভাবলাম কোনো প্রকাশনার সাথে যুক্ত আছেন।

১১| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:১৮

ডার্ক ম্যান বলেছেন: শিক্ষকতা যেহেতু আপনার প্যাশন। সেটা নিয়ে আপনার এগিয়ে যাওয়া উচিত।
আপনার তো মনে হয় পরিবারকেও সাপোর্ট করা লাগে।

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৪০

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আসলে শিক্ষকতায় ঝামেলাও আছে। বিশেষত প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে। ঠিকমতো বেতন পাওয়া যায় না। যারা এ সেক্টরে কাজ করেনি, তারা জ্বালা বুঝবে না।

১২| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:২৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: খুবই যাতনাময়। তবে প্রবাহমান জীবনে কেউ এক জায়গায় থেমে থাকে না। আপনার বাল্য কৈশোর কীভাবে কেটেছে লিখেছেন। কিন্তু কর্মজীবনে সাবজেক্ট সিলেকশন যথাযথ না হওয়ার কারণে কিছুটা যে পিছিয়ে পড়তে হয় তা অস্বীকার করা যায় না। আমার মনে হয় আপনার ক্ষেত্রে সেটাই হয়েছে। তবে শেষে যে আপনি শিক্ষকতার মতো পেশায় আসতে পেরেছেন শুনে ভালো লাগলো। আমার এক আত্মীয় নওগাঁতে বেসরকারি স্কুলে কম বেতনের শিক্ষকতা করে খুবই দুঃখকষ্টের মধ্যে আছে।ওর কাছে শুনেছি আর্টসের বিষয়ের শিক্ষকদের কাছে ছাত্ররা টিউশনি পড়তে আসেনা। যেখানে বিজ্ঞান বা ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষকরা পড়িয়ে উঠতে পারে না।এ এক বৈষম্য। যাইহোক আপনার যদি টিউশনির সু্যোগ থাকে তাহলে সেটাও আপনাকে আর্থিক সহায়তা দিতে পারে। আগামীতে এরকম আরো ভালো কিছু শোনার অপেক্ষায় রইলাম।

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৪৪

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আমার এক আত্মীয় নওগাঁতে বেসরকারি স্কুলে কম বেতনের শিক্ষকতা করে খুবই দুঃকষ্টের মধ্যে আছে। ওর কাছে শুনেছি আর্টসের বিষয়ের শিক্ষকদের কাছে ছাত্ররা টিউশনি পড়তে আসে না। যেখানে বিজ্ঞান বা ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষকরা পড়িয়ে উঠতে পারে না। এ এক বৈষম্য। এ কারণে আমি কমার্সের ছাত্র হওয়া সত্ত্বেও ৬ বছর মূলত ইংলিশ পড়িয়েছি। মূল্যায়ন পেয়েছি, তবে টিউশনি কম পেয়েছি। এটা পেতে হলে সরাসরি বলতে হয়। সঙ্কোচে বলা হয়নি। যত টিউশনি করেছি, সেসব স্কুলের বাইরের।

১৩| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ভোর ৫:৪৪

শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনার এই লেখাটা খুবই ভালো হয়েছে। পড়ালেখার জন্য আপনার যে চেষ্টা তার সাথে মফস্বল জীবনের দারিদ্র, স্কুল কলেজে শিক্ষার মান এসব বিষয় সুন্দর ফুটে উঠেছে।

আমাদের বাস্তবতায় যে শিক্ষা আর্থিক অবস্থার উন্নতি করতে পারে সেটা আসলে ভালো। কম্পিউটার সায়েন্স খুব ভালো, হিসাব বিজ্ঞান, ব্যবসা প্রশাসনও ভালো।

আপনি যে সব বিষয়ে পড়তে চেয়েছিলেন, সত্যি বলতে কি সেগুলো পড়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে না গেলেও চলে। ঐ বিষয়গুলো না পড়তে পারার কারনে আপনার হয়তো ঐ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হতে পারবেন না - আপনার ক্ষতি এতটুকুই।

আপনি এখন কি করেন আমার জানা নেই, তবে আমার বিশ্বাস আপনি যদি লেগে থাকেন একসময় আপনার ক্যারিয়ারে সফল আপনি হবেন। আপনার সেই মানব সম্পদে মেজর ব্যবসা প্রশাসনের ডিগ্রিটাই একসময় আপনার কাজে লাগবে। আর সাহিত্য, দর্শন, রাজনীতি আপনার নিজের আগ্রহেই পড়বেন।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৭:০৮

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আপনি যে সব বিষয়ে পড়তে চেয়েছিলেন, সত্যি বলতে কি সেগুলো পড়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে না গেলেও চলে। ঐ বিষয়গুলো না পড়তে পারার কারনে আপনার হয়তো ঐ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হতে পারবেন না - আপনার ক্ষতি এতটুকুই। আমি প্রায় ৬ বছর ইংরেজি পড়িয়েছি। একসময় উপলব্ধি হলো যদি ইংলিশে অনার্স-মাস্টার্স ডিগ্রি থাকত, তাহলে হয়তো রাজধানীতে ভালো ভালো প্রতিষ্ঠানে কাজ করা যেত। এসব প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্নাতক ছাড়া শিক্ষক নেয় না।

যারা ভালো করার তারা সব বিষয়েই ভালো করতে পারে। আমার জন্য কম্পিউটার সাইন্সটাও খারাপ হতো না। সত্যি বলতে এতদিন যা করেছি, বা এখন যা করি; এসব কাজে আমার ডিগ্রিটা কোনো কাজেই আসেনি :|। ভবিষ্যতে আসবে বলেও মনে হয় না।

১৪| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৪

শাওন আহমাদ বলেছেন: যা করতে পারেননি তা নিয়ে আফসোস করলে শুধুই যন্ত্রণা বাড়বে, ছেড়ে দিন সব। দিনশেষে একজন ভালো মানুষ হয়ে তৃপ্তির ঢেঁকুর নিয়ে বাঁচুন।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৮

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: মানুষ অট্টালিকায় মহাসুখে থাকলেও দুঃখের দিনের কথা মনে রাখে 8-|

১৫| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:২৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পড়া যে বিষয়েই হোক না কেন পেশা যেন নিজের পছন্দের হয় সেটা নিশ্চিত করার দরকার আছে। তা না হলে পেশায় উন্নতি করা কষ্টকর হয়ে যায়। কাজে উৎসাহ কমে যায় ফলে সফলতার গতি কমে যায়। প্রয়োজনে পেশা বদল করাও ভালো বয়স কম থাকতেই। পরে করার সুযোগ থাকে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.