নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আবু হেনা মোঃ মাসুদ (রাসেল)

দি রিফর্মার

যা ভাল তা ভাবতে চাই,যা ভাবি তা করতে চাই,সুন্দর পৃথিবী গড়তে চাই।

দি রিফর্মার › বিস্তারিত পোস্টঃ

মৃত ব্যক্তির পক্ষ থেকে সাদকা

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৪০

সাদকার মর্মকথা হল, আল্লাহর বান্দাদের প্রতি এই নিয়তে ও এই আশায় এহসান করা যে, এর মাধ্যমে তার সন্তুষ্টি, রহমত ও মেহেরবানী পাওয়া যাবে। নিঃসন্দেহে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের এ এক অনন্য মাধ্যম। রাসূলুল্লাহ(সাঃ) এ কথাও বলেছেন যে, মানুষ নিজের পক্ষ থেকে সাদকা করে যেরূপ আল্লাহর নিকট সওয়াব ও পুরস্কার আশা করতে পারে, তদ্রূপ মৃত ব্যক্তির পক্ষ থেকেও সাদকা করলে আল্লাহ উহার সওয়াব ও পুরস্কার ঐ মৃত ব্যক্তিকে দান করবেন। প্রার্থনা করা ছাড়া আরো একটি উপায় হল তাদের পক্ষ থেকে দান-সাদকা করা। একই ভাবে তাদের পক্ষ থেকে কোন ভাল কাজ করে তার সওয়াবও পৌঁছান যেতে পারে। এই বিষয়ে রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর নিম্নলিখিত হাদিসগুলি দ্রষ্টব্য:
১। হযরত আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন এক ব্যক্তি এসে রাসূল(সাঃ)-কে জানাল, আমার মাতা হঠাৎ মৃত্যুবরণ করেছেন। আমার বিশ্বাস মৃত্যুর পূর্বে তিনি যদি কথা বলার সুযোগ পেতেন, তবে তিনি অবশ্যই সাদকা করতেন। এখন আমি যদি তার পক্ষ থেকে সাদকা করি, তবে কি তিনি তার সওয়াব পাবেন? রাসূল(সাঃ) বললেন, হাঁ, পাবে। (বুখারী ও মুসলিম)
২। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে 'আমর ইবনুল 'আস থেকে বর্ণিত, তার দাদা 'আস ইবনে ওয়াইল জাহিলী যুগে একশত উট কুরবানী করার মানত করেছিল। (কিন্তু জীবদ্দশায় এ মানত পুরা করে যেতে পারেনি)। তার এক পুত্র হিশাম ইবনে 'আস (পিতার মানত থেকে ) তার অংশের পঞ্চাশটি উট কুরবানী করে দেয়। অপর পুত্র 'আমর ইবনুল 'আস (যিনি ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন) এ সম্পর্কে রাসূল(সাঃ)-কে জিজ্ঞাসা করেন। তিনি ফয়সালা দিলেন যে, তোমার পিতা যদি তাওহীদ স্বীকার করে মু'মীন হত, আর তুমি তার পক্ষ থেকে রোজা রাখতে, কিংবা সাদকা প্রদান করতে, তবে তা তার কাজে আসত, সে এর উপকার পেত (কিন্তু কুফর ও শিরক অবস্থায় মারা যাওয়ার কারণে তোমার কোন আমল তার কাজে আসবে না)। (মুসনাদে আহমদ)
সূত্র: মা'আরিফুল হাদীস, ৪র্থ খন্ড, ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৪৪

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: ভাল লিখেছেন।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৩৪

দি রিফর্মার বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। শুভ কামনা রইল।

২| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৫৮

হাফিজ বিন শামসী বলেছেন: মাশাআললাহ। জাযাকাললাহ।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৩৫

দি রিফর্মার বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। শুভ কামনা রইল।

৩| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১:৪১

ঢাকার লোক বলেছেন: ভালো লিখেছেন,
সাদাকা করা যায়, জায়েজ মানাত করা থাকলে তা পূরণ করে দেয়া, ফারাজ রোজা বাকি থাকলে করে দেয়া, উমরা এবং বদলি হজ করা যায়, তবে নামাজ বাকি থাকলে পড়ে দেয়া যাবে না , কোরান পড়ে বকশায়ে দেয়া যাবে না তবে মৃত ব্যাক্তির জন্য দোআ করা যাবে.

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:১৩

দি রিফর্মার বলেছেন: রোজা রেখে যদি মৃত ব্যক্তিকে সওয়াব পৌঁছান যায় তবে কোরআন তেলাওয়াত করে সওয়াব পৌঁছান যাবে না, বিষয়টি পরিষ্কার করে বুঝিয়ে বলবেন কি?

৪| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৬

ঢাকার লোক বলেছেন: সেখ নাসিরুদ্দিন আলবানীর একটা ভাল বই আছে মৃত ব্যাক্তির জন্য " যাবতীয় করনীয় এবং বর্জনীয় বিষয় সমুহ"। বাংলায় পাওয়া যায়, এর ১২৬ পৃষ্টায় এ সম্বন্ধে লিখা পড়ে দেখতে পারেন সু্যোগ হলে। এ ছাড়া এ ইউটিউবে এ ভিডওটাও দেখতে পারেন।, ধন্যবাদ।

https://youtu.be/9r_KE71yLHg

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:০৬

দি রিফর্মার বলেছেন: আপনি এই ভিডিও দেখতে পারেন: Darul Ifta Egypt -এর ফতোয়াঃ
https://youtu.be/b2WYRBPFmuQ

৫| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:১৩

ঢাকার লোক বলেছেন: আপনার video লিংকের জন্য ধন্যবাদ,
এখানে দুইটা জিনিসের পার্থক্য বুঝা দরকার, কতগুলো কাজ রাসূল (স) অনুমোদন করেছেন যার সাওয়াব একজন মৃত ব্যাক্তি সরাসরি পাবেন, যেমন তার পক্ষ থেকে করা সদকা, বদলি হাজ্, উমরা, তার না করা ফরজ রোজা কেও করে দিলে, ইত্যাদি। । আর দোআ, তার গুনাহ মাফ করতে, তাকে জান্নাত দিতে, তার কবর আজাব মাফ করে দিতে, ইত্যাদি , ছেলে মেয়ে আত্মীয়স্বজন বা অন্য কেও একজনের জন্য করতে পারেন এবং আল্লাহ পাক ইচ্ছা করলে তা কবুল করতে পারেন । যে হাদিসটা শেখ উক্ত ভিডিওতে উল্লেখ করেছেন তাতে মুখ্যত যা বলা হয়েছে তা হলো যে কোনো নেক আমল করে তার উছিলায় আল্লাহর কাছে দোআ করলে তা কবুল হওয়ার আশা করা যায় । আপনি মৃত ব্যাক্তির না পড়া নামাজ পড়ে দিতে পারেন না, নামাজ পড়ে তার মাগফিরাতের জন্য দোআ করতে পারবেন, তেমনি কোরানও আপনি পড়তে পারবেন তবে এর সওয়াব মৃত ব্যাক্তিকে আপনি দিয়ে দিতে ("বকসাযে";) পারবেন না. কোরান পড়ে যে নেক আমল আপনি করলেন তার উছিলা করে মৃত কারো জন্য মাগফেরাতের দোআ করতে পারবেন , কোরান পড়ার সওয়াব আপনি নিজে পাবেন ।
বিষয়টা কতটা বুঝাতে পেরেছি জানিনা, কোনো ভালো আলেম হয়তো আরো পরিষ্কার করতে পারবেন । আল্লাহ পাক আমাদের সঠিকটা বুঝার ও আমল করার তৌফিক দান করুন ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.