নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পরিচয় নতুন করে লেখার মত কিছুই এখনও হয়ন....

সাইফুল১৩৪০৫

সবার সাথে শিক্ষণীয় পোস্ট শেয়ার করতে চাই। আমার দ্বারা যদি কেউ উপকৃত না হয়, তো ক্ষতির শিকার হবে কেন?

সাইফুল১৩৪০৫ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলায় পড়ে কী হবে! (এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের উদ্দেশে)

২৬ শে মে, ২০১৬ রাত ৯:২৬

[এগুলো আমার নিজস্ব মত। কারো সাথে নাও মিলতে পারে। তবে অধিকাংশই ভিন্নমত পোষণ করলে লেখাটি ড্রাফট করে রাখব।]

এইচএসসি পরীক্ষা প্রায় শেষের দিকে। এই পরীক্ষা শেষ হওয়া মাত্রই অধিকাংশ শিক্ষার্থীই কোচিং সেন্টারে ভর্তি হবে। সরকার কোচিং সেন্টারকে বাণিজ্য আখ্যা দিলেও বন্ধ করবে না। তারা কিন্তু রেজিস্ট্রেশন করিয়ে টাকাও নিবে। ঠিক যেমন সিগারেটের প্যাকেটে ধূমপান মৃত্যু ঘটায় লিখে দায়িত্ব শেষ করেছে। সিগারেট যারা টানে তারাই এক সময় গাঁজা, হিরোইন, ইয়াবাতে আসক্ত হয়। এটা ভুললে কি চলবে? তবে সিগারেট থেকে ট্যাক্স পেলে মন্দ কি? যতদূর জানি সবথেকে বেশি ট্যাক্স গুণতে হয় সিগারেটে। তাতে কি সিগারেট টানা বন্ধ হবে? নেশা কখনও টাকা বাড়িয়ে বন্ধ করা যাবে বলে মনে হয় না। বরং অধিক টাকায় সিগারেট কিনতে অধিক অপরাধ বা চুরি, ছিনতাই, রক্ত বিক্রি ইত্যাদি করবে।

যাইহোক সকল শিক্ষার্থী যদি একযোগে কোচিং করা থেকে বিরত হত খুব একটা ক্ষতি হত না। কারণ এখানে পাশ মার্কস পেতে হয় না (অল্প কয়েকটা ব্যতিক্রম)। ১০০ নম্বরে সর্বোচ্চ ৫০ পেয়েও প্রথম স্থান অধিকার করা যেতে পারে। কিন্তু কোচিং অধিকাংশরাই করবে। এখন দেখা যাবে সর্বোচ্চ নম্বর উঠবে ৮৫। আর সর্বনিম্ন হবে ৫০। কোন পার্থক্য নেই। কথা একই।

আমি জানি, এই বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীকে কোচিং বিমুখী করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। তাই তোমরা কোচিং করতে পার। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হও। কিন্তু তার আগে কিছু বিষয় মাথায় রাখবে। তা হচ্ছে:

১. কোন বিষয়ে পড়াশোনা করবে সেটার গুরুত্ব আগে দিবে। মনে রাখবে বিশ্ববিদ্যালয় যতই বড় হোক তাতে কোন কাজ নেই। আসল কাজ হচ্ছে তোমার পঠিত বিষয় বা সাবজেক্ট।

২. আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় এখনও উচ্চ শিক্ষায় সংস্কৃত, উর্দূ, পালি পড়ানো হয়। এসব সাবজেক্টের প্রয়োগ কোথায় আমার জানা নেই। কর্মক্ষেত্রে কি কাজে লাগবে?

৩. শুধু উদ্ভিদ বিজ্ঞান, প্রাণিবিজ্ঞান ইত্যাদি সাবজেক্ট খুব একটা কাজে দিবে না। এর থেকে চেষ্টা করতে হবে প্রাণিচিকিৎসা (ভেটেরিনারি), প্রাণিপালন, মৎস্য চাষ, হর্টিকালচার, কৃষি ইত্যাদি বিষয়ে পড়াশোনা করা।

৪. বর্তমানে খাদ্য বিদ্যার ভাল চাহিদা আছে। খাদ্য বিজ্ঞানের উপরও পড়াশোনা করলে ভবিষ্যতে ভালকিছু করার সুযোগ আছে।

৫. টেক্সাইল ইঞ্জিনিয়ারিং, ফ্যাশন ডিজাইন, মোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিং, সিভিল, ইলেক্ট্রিক্যাল ইত্যাদি বিষয়ে পড়তে পার।

৬. কিছু সাবজেক্ট আবার ছেলেমেয়ের কর্মক্ষেত্র বিবেচনায় পড়াশোনা করতে হবে। কোন ধরনের সাবজেক্টে পড়লে অফিসিয়াল জব করা যাবে সেগুলো মেয়েদের জন্য প্রথম পছন্দ হতে হবে। কারণ যতকিছুই বলুন আমাদের দেশের মেয়েরা ছেলেদের মত মাঠে-ঘাটে ছোটাছুটি করে কাজ করতে পারবে না।

৭. ইংরেজি বিষয়ের এখনও অনেক চাহিদা আছে কিন্তু বাংলার চাহিদা আছে কী! জানি বাংলা নিয়ে কথা বলা অপরাধ হতে পারে। তবে কে আমাকে অপরাধী করবেন? যিনি বিদেশ যাওয়ার জন্য আইইএলটিএস করছেন তিনি? নাকি যিনি বাংলা আর ইংরেজি বিষয়ে সুযোগ পেলে ইংরেজিতেই পড়বেন তিনি?

৮. মেডিকেল কোচিং করলে এমনভাবে পড়তে হবে যেন টিকতেই পার। যদি মনে হয় টিকবে না তাহলে মেডিকেল কোচিং করবে না। কারণ মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা আর ভার্সিটি কিংবা ইঞ্জিনিয়ারিং কোচিং সম্পূর্ণ ভিন্ন। যদি মেডিকেলে না টিকতে পার তবে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ মিলতে পারে।

৯। কিছু সাবজেক্ট আছে শুধু টিচার হতে পারলেই কাজ। অন্যকোন কাজে দেয় না। যেমন উদ্ভিদ বিজ্ঞান, বাংলা,সংস্কৃত ইত্যাদি। টিচার কিন্তু সবাই হবে না।

এখন আসুন আরেকটি কথা বলি। সাধারণ বিষয়ে পড়েও বিসিএস দেয়া যায়। বিসিএস সবার হবে না। যাদের হবে না তারাই এক সময় বেকার হবে। তাই প্রফেশনাল বা টেকনিক্যাল বিষয়ে পড়াশোনা করাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। এতে যদি বিসিএস নাও হয় তবুও অনেক প্রাইভেট জব এর সুযোগ আছে। কিন্তু যদি সংস্কৃত নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও পড় তবে কোথায় চাকুরি করবে?

শুধু সরকারি চাকুরি আর বিসিএস এর আশায় হেনতেন সাবজেক্ট পড়ার কোনই মানে হয় না। বর্তমানে পোস্ট অফিসের কোনই দরকার নেই। তবুও সরকার পোস্টমাস্টার, পিয়ন নিয়োগ দেন। সরকার তোমাদের চাইলেই অফিসে বসিয়ে রাখতে পারে কিন্তু বেসরকারি চাকুরিতে সে সুযোগ নেই। তাই এখানে আসতে হলে কোম্পানি কোন কাজে তোমাকে নিয়োগ দিবে সেই কাজে দক্ষতা অর্জন করেই আসতে হবে।

প্রতিটা বাবা মায়ের উচিৎ হবে সন্তানকে ভাল সাবজেক্টে ভর্তির পরামর্শ দেয়া। মনে রাখবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নৃবিজ্ঞান, সংস্কৃত কিংবা পালিতে পড়াশোনা করার চেয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়ন নিয়ে পড়া অনেক ভাল হবে। আর যদি সাধারণ সাবজেক্টে ভর্তি হয়েই যায় তবে তাদেরকে বিসিএসের জন্য আবোল-তাবোল বিষয়গুলো রপ্ত করার পরামর্শ দিবেন। অর্থাৎ হোয়াইট হল কি, ডাউনিং স্ট্রিট কি? হানিফ ফ্লাইওভারের দৈর্ঘ্য কত? ওবামার বাবার গ্রামের বাড়ি কোথায় ইত্যাদি। যেগুলোর কোনই প্রয়োজন ছিল না যদি বেকারের সংখ্যা বেশি না হত। যেমন আগের দিনে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে চাকুরি দেয়া হত। তখন কি এসব পড়তে হত?

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে মে, ২০১৬ রাত ৯:৪৬

সুব্রত দত্ত বলেছেন: অবশ্যই আপনার কথা যুক্তিপূর্ণ এবং বাস্তবসমস্ত। তবে আমার একটা কথা হলো- আপনি 'ভালো সাবজেক্ট' বলে যে সকল বিষয়গুলোকে ডিফাইন করলেন, তাতে আমি যে বিষয়ে অনার্স, মাস্টার্স করলাম, সেটা 'খারাপ সাবজেক্ট'। আর বর্তমান চাকরির বাজারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দামই সবচেয়ে বেশি। তাতে ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোন সাবেজক্টই ভালো। আপনি আগেই বলেছেন সব কথা আপনার ব্যক্তিগত, সুতরাং তা নিয়ে তো আর তর্ক চলে না। দুঃখ একটাই পেলাম আমি খারাপ সাবেজক্টে পড়ছি এবং সম্ভবত খারাপ পেশায় আছি (বেতন এবং সামাজিক মর্যাদার দিক থেকে নিঃসন্দেহে)।

২৬ শে মে, ২০১৬ রাত ৯:৫৩

সাইফুল১৩৪০৫ বলেছেন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নৃবিজ্ঞান নিয়ে ২০০১ সালে পাশ করে বের হয়েছে আমার এলাকার এক বড় ভাই। আজও চাকুরি মেলেনি। আমি সব সাবজেক্ট খারাপ বলিনি।

২| ২৬ শে মে, ২০১৬ রাত ৯:৫৯

সাইফুল১৩৪০৫ বলেছেন: চবি থেকে বাংলায় পাশ এখন বেকার। আর যদি কেউ প্রাণি চিকিৎসক হন তবে সামাজিক দিক থেকে অনেকেই হেয় করবে। এটা মেনে নিতে হবে। সাবজেক্ট টা অনেক ভাল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.