নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তোমরা মানুষ, আমরা মানুষ, তফাৎ শুধু শিরদাঁড়ায়

যাযাবর চিল

i agree to disagree...

যাযাবর চিল › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঈদ-উল আযহাঃ দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক উৎসব

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩৭


আজ পবিত্র ঈদ-উল আযহা। যার বিরুদ্ধে কিছু মানুষ রিতিমত উঠেপড়ে লেগেছে। অথচ আমার কাছে মনে হয়, এই ঈদ-উল-আযহা-ই বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক উৎসব। [ সামাজিক উৎসব, ধর্মীয় নয়]। জানি অনেকেই এই মতকে প্রশ্ন করবেন। তবে বাস্তবতা ভিন্ন।

এ বছর ট্যানারি ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো কোরবানির ঈদে প্রায় ৯০ লাখ পশুর চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছেন। প্রতিটি চামড়া যদি গড়ে ১০০০ টাকা করেও হয় তাহলে দাম হয় ৯০০,০০০,০০০। নয়শত কোটি টাকা। চামড়ার পুরো টাকাটাই দরিদ্রদের মাঝে দান করা হয়। বাংলাদেশ এ আর কোন দিন সন্মিলিত ভাবে এত্ত টাকা দান করা হয় না। এছাড়া ধর্মীয় নিয়ম অনুযায়ি যারা কুরবানি দেয় তারা বাধ্যতামূলক ভাবে মোট মাংসের তিন ভাগের একভাগ গরিবদের দান করেন। বাজার মূল্যের হিসাব করলে এর দাম হবে কয়েক হাজার কোটি টাকা। এ ছাড়াও এ দিন কিছুটা অবস্থা সম্পন্ন সবার বাড়ির দরজা গরিবদের জন্য খোলা থাকে। মাংস এবং মিষ্টান্ন দিয়ে আপ্যায়ন করতে সবাই চেষ্টা করে।

আল জাজিরার একটি রিপোর্ট অনুযায়ি দেশের শতকরা ১৬.৩ ভাগ মানুষ ৩ বেলা খাবার পায় না অর্থাৎ দেড় কোটিরও বেশি মানুষ চরম দারিদ্র সীমায় বাস করে। যদি সরকার বা ইসলামি ফাউন্ডেশন এই চামড়ার সব টাকা সংগ্রহ করে গঠনমূলকভাবে এই দেড় কোটি মানুষের মাঝে বিতরণ করে তাহলে খুব বেশি দিন লাগবে না এদের পরিমাণ সহনীয় মাত্রায় কমাতে। এইদিন মানুষ কুরবানির মাংসের একটা অংশ আত্নীয় স্বজনদেরকে এবং প্রতিবেশিকে দেয়। এতে সামাজিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় হয়। যে সব পরিবারে সবাই ব্যস্ত থাকে তারাও কোরবানির পশু নিয়ে আলোচনা করে। পারিবারিক সম্পর্ক মজবুত হয়। ঈদ-উল আযহা ধর্মীয় অনুষ্ঠান তবে আমার মনে হয় এর সামাজিক গুরুত্ব এতটাই বেশি যে আর যত ধর্মীয় এবং সামাজিক উৎসব আছে সব গুলোকে এক করলেও তারা সামাজিক গুরুত্বের ক্ষেত্রে ঈদ-উল আযহার ধারের কাছেও আসবে না।

এর পরও পাঠ্য বই থেকে শুরু করে সকল মিডিয়া প্রমোট করছে বাংলাদেশের প্রধান উৎসব পহেলা বৈশাখ। কর্পোরেট হাউজ এবং বহুজাতিক কোম্পানি গুলো কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করছে একে কেন্দ্র করে। সম্রাট আকবর এর ইরান থেকে একটা আমদানি করা উৎসবকে আমাদের জাতীয় উৎসব বানানো হচ্ছে! এদিন শহর গুলোতে কিছু মানুষ হুজুগে মাতাল হয়ে লাফাচ্ছে। যাদের সিংহ ভাগই বাংলা ১২ টি মাসের নামই জানে না। পত্রিকা গুলো বিশেষ সংখ্যা বের করে। টিভি স্টেশনগুলো অদ্ভুত কিছু অনুষ্ঠান প্রচার করে। সমাজে এই ধার করা উৎসব ইতিবাচক কী বয়ে আনে তারাই ভালো জানেন।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৩

সুমন কর বলেছেন: ভালো বলেছেন। সহমত।

২| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:০৫

সুমন কর বলেছেন: ঈদ সংকলনে সংযুক্ত করে দিয়েছি।

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২২

যাযাবর চিল বলেছেন: বুঝলাম না ভাই।,

৩| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৫৯

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: যদি না ভোগীদের পেটে যেয়ে সত্যিকার অভুক্তদের হাতে পৌছায়??

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৩

যাযাবর চিল বলেছেন: কুরবানির মাংসের ১/৩ অংশ অভুক্তদের দেয় না এমন মানুষ খুব বেশি আছে বলে মনে হয় না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.