নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কি বলা যায়! কিছু কথায় নিজেকে ব্যক্ত করা সম্ভব না আমার পক্ষে। তাই একটা সিরিজে কিছু কিছু করে সবই বলছি।

সামু পাগলা০০৭

আমি অতিআবেগী, আগে ব্যাপারটা লুকানোর চেষ্টা করতাম। এখন আর করিনা।

সামু পাগলা০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

তুষার দেশে এক বাংলাদেশী কিশোরীর দিনরাত্রি - পর্ব (১৫) - প্রথম দিনে লজ্জা, অস্বস্তিতে একের পর এক গুবলেট.....

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৫২

পূর্বের সারসংক্ষেপ: একটি বাংলাদেশী পরিবার কানাডায় গিয়ে জীবনটাকে একেবারে শূন্য থেকে শুরু করার সংগ্রামে নেমে পড়ল। মেয়েটি একদিন তার বাবা মায়ের সাথে গিয়ে ওখানকার স্কুলে ভর্তি হয়ে এলো। তাকে একটি নির্ধারিত দিন থেকে ক্লাস শুরু করতে বলা হয়। অন্যদিকে পরিবারের কর্তা ও কর্ত্রীও কিছু কোর্সে ভর্তি হয়ে পড়লেন চাকরির জন্যে। বাবা মায়ের অনুপস্থিতে মেয়েটি লুকিয়ে মনোরম পাহাড়ি এলাকাটি ঘুরতে যেয়ে বিপদে পড়তে পড়তে বাঁচল। এভাবে করে স্কুল শুরুর প্রথম দিনটি চলে এল। প্রথম ক্লাস শেষ করে দ্বিতীয় ক্লাসরুম খোঁজার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়লাম।

পূর্বের পর্বগুলোর লিংক:
তুষার দেশে এক বাংলাদেশী কিশোরীর দিনরাত্রি - পর্ব (১) - প্রথমবার প্রবাসে প্রবেশের অনুভূতি!
তুষার দেশে এক বাংলাদেশী কিশোরীর দিনরাত্রি - পর্ব (২) - জীবনের গল্প শুরু হলো এইতো!
তুষার দেশে এক বাংলাদেশী কিশোরীর দিনরাত্রি - পর্ব (৩) - সুখে থাকতে কিলায় ভূতে! (কুইজ বিজেতা ঘোষিত)!
তুষার দেশে এক বাংলাদেশী কিশোরীর দিনরাত্রি - পর্ব (৪) - বাংলাদেশ ভার্সেস কানাডার দোকানপাট, এবং বেচাকেনার কালচার! (কুইজ সলভড)!
তুষার দেশে এক বাংলাদেশী কিশোরীর দিনরাত্রি - পর্ব (৫) - কেমন ছিল কানাডিয়ান স্কুলে ভর্তি হবার প্রস্তুতি পর্ব?!
তুষার দেশে এক বাংলাদেশী কিশোরীর দিনরাত্রি - পর্ব (৬) - কানাডিয়ান স্কুলে ভর্তির ইন্টারভিউ অভিজ্ঞতা!
তুষার দেশে এক বাংলাদেশী কিশোরীর দিনরাত্রি - পর্ব (৭) - কানাডার স্কুল ভ্রমণ এবং দেশীয় মফস্বলের স্কুলের টুকরো স্মৃতি!
তুষার দেশে এক বাংলাদেশী কিশোরীর দিনরাত্রি - পর্ব (৮) - কানাডার প্রথম খারাপ অভিজ্ঞতা!
তুষার দেশে এক বাংলাদেশী কিশোরীর দিনরাত্রি - পর্ব (৯) - আবারো দুটিতে একসাথে, প্রেমের পথে... :`> (কুইজ সলভড)
তুষার দেশে এক বাংলাদেশী কিশোরীর দিনরাত্রি - পর্ব (১০) - লাভ বার্ডসের প্রথম কানাডিয়ান ক্লাসের অভিজ্ঞতা....
তুষার দেশে এক বাংলাদেশী কিশোরীর দিনরাত্রি - পর্ব (১১) - মায়ের বিদেশী ক্লাসমেট্স, কালচার শক এবং বাবার জেলাসি!
তুষার দেশে এক বাংলাদেশী কিশোরীর দিনরাত্রি - পর্ব (১২) - কানাডিয়ান গুন্ডার কবলে.......
তুষার দেশে এক বাংলাদেশী কিশোরীর দিনরাত্রি - পর্ব (১৩) - কানাডিয়ান গুন্ডার কবলে পথ ভুলে এডভেঞ্চারে.......
তুষার দেশে এক বাংলাদেশী কিশোরীর দিনরাত্রি - পর্ব (১৪) - বৈদেশী স্কুলে প্রথম সে দিন......(কুইজ সলভড)

পূর্বের সিরিজের লিংক: কানাডার স্কুলে একদিন এবং কানাডার স্কুলে একেকটি দিন

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

রুম খুঁজেই যাচ্ছি, চোখে পড়ছে না সেই নাম্বারটা। আমি কারো সাথেই সেদিন কথা বলতে চাচ্ছিলাম না, মনে হচ্ছিল যে আমার ইংলিশ শোনামাত্রই হাসাহাসি শুরু হয়ে যাবে। কেউ যদি আমার সামনে ভাঙ্গা বাংলায় কথা বলে আমি কি হাসতে হাসতে শেষ হয়ে যাব না? ওরাও তেমনই করবে। রুম খুঁজতে খুঁজতে দিশেহারা হয়ে সিদ্ধান্ত নিলাম যা হবার তাই হবে, কাউকে ভাঙ্গা ইংলিশে জিজ্ঞেস করতেই হবে।

বেশ অনেকগুলো মানুষের মধ্যে থেকে একটি মেয়েকে একটু হাসিখুশি মনে হলো, সাহস করে ওকে রুম নাম্বারটি বললাম, ও আমাকে নিয়ে গেল। দুটো দেওয়ালের মাঝখানে রঙ্গিন দরজার পেছনে ছোটখাট একটি রুম।

যাই হোক, সেই মেয়েটিকে মন থেকে ধন্যবাদ জানাতে গিয়ে দেখি সে আর নেই! হয়ত নিজের কাজে চলে গিয়েছে। আমি ক্লাসে ঢুকে একটি মাঝামাঝি সিটে বসে পরলাম। একটু পরে বেশ বয়স্ক এক শিক্ষক এলেন। তিনি সবার নাম ধরে ডাকলেন, কিন্তু আমারটি নিলেন না। নাম ডাকা শেষে আমাকে বললেন, "তোমার নাম কি? তুমি নতুন বলে হয়ত আমার লিস্টে নেই, আমি যোগ করে নিচ্ছি।" নাম জানালাম। বসে বসে ক্লাস করতে লাগলাম। কিসব ওয়ার্কশিট দিয়েছিলেন, সেটাতে চোখ বোলাচ্ছি, ওনার ইংরেজী সেভাবে বুঝতে পারছিনা, তবুও সিরিয়াস মুখে শুনে যাচ্ছি। এভাবে প্রায় অর্ধেকের বেশি ক্লাস শেষ হয়ে গেল। আমি ওয়ার্কশিটে চোখ বোলাতে বোলাতে দেখি আমি ভুল ক্লাসে এসে গিয়েছি! সাবজেক্ট একই, কিন্তু ক্লাস আলাদা! আমি ওপরের ক্লাসে বসে আছি! সাথে সাথে মনে হলো ওনার লিস্টে আমার নাম ছিলনা এই কারণে! উফফ! এখন আমি কি করব? আমার ক্লাস যেখানে হচ্ছে সেটা তো আমি মিস করে ফেলছি। নাহ এখানে আর না, আমি রুম থেকে বের হয়ে চেক করে দেখি আমার রুম নাম্বার আর রুটিনের রুম নাম্বারের একটা ডিজিট আলাদা! কোনভাবে মেইন অফিসে চলে গেলাম। ঢুকতেই কাউন্সিলরের সাথে দেখা। আমি হড়বড় করে ওনাকে বলে গেলাম পুরো ব্যাপারটা। পুরো স্কুলে শুধু তিনিই ছিলেন যিনি আমার কথা সহজে বুঝতেন। উনি আমাকে বললেন, "কাম ডাউন, নট আ বিগ ডিল, লেট মি টেক ইউ টু ইওর ক্লাস!" ওনার মিষ্টি হাসি ও আন্তরিক কথাতেও শান্ত হতে পারছি না। ভীষন লজ্জা লাগছে আমার। বিদেশীরা কি ভাববে বাংলাদেশী স্টুডেন্টরা এত বোকা যে ঠিকমতো নিজের ক্লাসেও যেতে পারেনা? ছোট হয়ে গেলাম যেন।

উনি আমাকে ঠিক রুমে নিয়ে গেলেন। সেখানে নিয়ে পরিচয় করিয়ে দিলেন, টিচারকে বোঝালেন পুরো বিষয়টা আমার হয়ে। টিচারও তুড়ি মেরে এমন ভাব করলেন যে এটা কোন ব্যাপারই না। প্রথম দিনে এমন ভুল হতেই পারে। কিন্তু আমার সেদিনের সেই ক্লাসটা মিস হলো।

তাই এরপরের ক্লাসে নিয়ে গেলেন কাউন্সিলর। ই.এস.এল (ইংলিশ সেকেন্ড ল্যাংগুয়েজ) ক্লাস রুমটি বেশ বড়, কাঁচের বিশাল জানালা দিয়ে আলো আসছে। রুমের চারিদিকের দেওয়ালে নানা রকম পোস্টার লাগানো। সবমিলে প্লে নার্সারির বাচ্চাদের যেমন রঙ্গিন ক্লাসরুম থাকে তেমনই। সেই ক্লাসের শিক্ষিকা বেশ বয়স্ক ছিলেন। ফতুয়া টাইপ টপস ও স্কার্ট পরেছিলেন। এই একটা ক্লাসে কোন কানাডিয়ান থাকে না, শুধু অন্য দেশের ছাত্রছাত্রীরা। যেমন ব্রাজিল, কোরিয়া, কলাম্বিয়া, চায়না, জাপান, ইউক্রেন আরও কতো দেশের মানুষ। এক ক্লাসে যেন পুরো দুনিয়া। কানাডিয়ানদের সাথে ভাঙ্গা ইংলিশে ভাব জমাতে না পারলেও ওদের সাথে জমে গেল। আমিও ভুলভাল ইংলিশ বলি, ওরাও, কিন্তু কেমন একই সুরে মিলে গেল সবার। ওদের দেশ নিয়ে জানতে চাইলাম, ওরা আমার দেশ নিয়ে জানতে চাইল।
ব্রাজিল, কলাম্বিয়া বিচ, পার্টি, ফুটবলের দেশ। মূল্যবোধে পার্থক্য থাকলেও, বাহ্যিকভাবে একই মনে হয়। গায়ের রং, হাইট প্রায় বাংলাদেশীদের মতোই, দেখে বোঝা যায়না যে অন্যদেশের মানুষ। অনেককে দেখে তো আশা করে ফেললাম যে দেশী ভাই বা বোন! নাহ, তা হয়নি। একটি ব্রাজিলের মেয়ে বেশ লম্বা, বাদামি চোখ ও কার্ল করা বাদামি লম্বা চুলের মেয়ের সাথে পরিচয় হলো। তার দুপাশে দুই বান্ধবী, তারাও বেশ সুন্দরী। ওরা খুব মেনটেন করে রাখে নিজেদের।
দেশে অনেকে চুলে তেল দিয়ে ক্লাসে আসত, মুখে মেকআপের কথা তো ভাবাই যায়না। কিন্তু এখানে একেকজন মডেল! সবার চুলে রং, ভ্রু প্ল্যাকড, নিয়মিত পার্লারে যায় মনে হয়।

ওরা খুব আন্তরিক ভাবে আমার সাথে কথা বলল। প্রথমদিনই কথায় কথায় জানতে চাইল তোমরা কি বিচেও এই ড্রেস (সালোয়ার কামিজ) পরে থাকো? আমি হ্যা বলাতে চোখ ছানাবড়া। বারবার জানতে চাইছিল বিচেও?? ওরা রুড ছিলনা শুধু কালচার শকটা প্রকাশ করছিল। তারপরে বলল আমার ড্রেসটা অনেক সুন্দর।

সেদিন কম্পিউটারে নিজেদের নাম, ক্লাস ইত্যাদি তথ্য কম্পিউটারে ইংলিশে লিখে টিচারকে দিতে হবে। ক্লাসের বেশ কয়েকটি কম্পিউটার ছিল। একেকটির সামনে ৫/৬ জনের লাইন দাড় করিয়ে দিলেন। আমার নাম্বার আসবে এমন সময়ে টিচার একটু ক্লাসের বাইরে গেলেন। যাবার টাইমে বললেন ওর পরে তুমি যাবে কিন্তু। আমাকে এটা আলাদা করে বলার কারণ হয়ত আমাকে একটু সাহস দেওয়া। আমি যে অস্বস্তিতে মরে যাচ্ছি, বা ব্রেইন ঠিকভাবে কাজ করছে না তা সহজেই বোঝা যাচ্ছে নিশ্চই।
যাই হোক, আমার পেছনে ছিল বেশ মোটাসোটা, কানে বেশ কিছু দুল পরিহিত এক চাইনিজ/জাপানিজ ছেলে। তার মাথার অর্ধেক টাক, বাকি অর্ধেক দিয়ে নীল ও ছাই রং এর চুল কপাল পর্যন্ত নেমে এসেছে। ওকে দেখলেই কেমন যেন লাগছে। মনে হচ্ছে গোসল করেনা কতদিন! একসময়ে আমার খুব পানি পিপাসা পেয়ে যায়, তাই আমি লাইন থেকে সরে নিজের ডেস্কে গিয়ে পানি নিতে যাই। এসে দেখি আমার পেছনে থাকা সত্ত্বেও ফাঁকা পেয়ে ছেলেটি চলে গিয়েছে। আমি কিছু বলিনি, কেননা একতো ইংলিশের অবস্থা খারাপ, দ্বিতীয় উদ্ভট দর্শন মানুষটির সাথে কথার বলার ইচ্ছে হচ্ছে না।

টিচার সেই সময়ে এসে দেখলেন আমি পেছনে, উনি রাগ করে বললেন, "হাউ ডিড হি গেট এহেড অফ ইউ?" অন্যসব টিচারেরা আমাকে খুব সহানুভূতির চোখে দেখলেও উনি বেশ বিরক্ত হয়ে গেলেন। ওনার হয়ত মনে হলো যে আমি ইচ্ছে করে অন্যকে সামনে যেতে দিয়েছি যেন কাজটি করতে না হয়!
আমি চুপ করে আছি, কেননা পুরো ব্যাপারটি ব্যাখ্যা করা সম্ভব না। উনি আমাকে আবারো বললেন, ও ওঠা মাত্র তুমি চেয়ারে বসে কাজটি করবে। আমি মাথা নাড়লাম।
কম্পিউটারে বসে আরেক সমস্যা। দেশে থাকতে বাবা ভালোভাবে কম্পিউটার শিখতে বলত, কিন্তু আমি ভিডিও গেম খেলা ছাড়া কিছুই করতাম না। বাবা মায়ের কথার অবাধ্য হলে সমস্যায় পড়তে হয়, জানা কথা। আমি আস্তে আস্তে এক একটা অক্ষর খুঁজে খুঁজে টাইপ করতে থাকলাম। পাশের কম্পিউটারের ব্রাজিলিয়ান মেয়েটি সহ বেশিরভাগ ছেলেমেয়েই পাকা টাইপিস্টের মতো হাত চালাচ্ছিল। আমার লজ্জা লাগছে, ছুটে পালিয়ে যেতে ইচ্ছে করছে একটু পরে পরে। কিন্তু সেটা আরো বেশি বাজে ব্যাপার হবে ভেবে শেষ করলাম কোনভাবে কাজটি।

পরের ক্লাস ছিল শারীরিক শিক্ষার যা বিশাল জীম রুমটিতে হতো। নিচের তলায় বাস্কেটবল এর নেট দেখলাম। ঘিয়ে পরিষ্কার স্বচ্ছ ফ্লোরে নিজের চেহারা দেখতে পাচ্ছি। জীম রুমের দু দিকের দেওয়াল ঘেষে সাড়ি সাড়ি সিট, সিড়ির মতো করে নিচ থেকে ওপর দিকে প্রশস্ত। সেখানে বেশ কয়েকজনকে বসে থাকতে দেখে আমিও বসে পড়লাম। নরমাল ক্লাস তো তাও ছিল, এমন রুম দেখে আমি আরোই অস্বস্তি ও ভয়ে পরে গেলাম।

আমাদের দেশে ড্রিল সপ্তাহে একদিন হতো এবং হালকা খেলাধুলার মধ্যে আধ ঘন্টা কখন পার হয়ে যেত তা বুঝতে পারতাম না। স্কুল মাঠ এবং বৃষ্টি বাদলার দিনে একটি ফাঁকা ঘরে আমাদের ক্লাস হতো। আমাদের দেশে এটা খুবই আনইম্পর্ট্যান্ট একটা ক্লাস। কিন্তু ওখানে অন্যান্য ক্লাসের সমান টাইম ধরে প্রতিদিন এই ক্লাসটিও হবে। এর গুরুত্ব কোন অংশে কম না।

কিছুক্ষন পরে টিচার এসে সবার সামনে দাড়ালেন, কথা বলা শুরু করলেন। জিম ক্লাসে কেডস, শর্টস, টিশার্ট পরতে হবে, এবং ক্লাসের শুরুতে চেঞ্জিং রুমে পোশাক চেঞ্জি করতে হবে। আর যাওয়ার সময় আবার রেগুলার ড্রেস পরে নিতে হবে।

কেডস নাহয় পরলাম, কিন্তু শর্টস, টিশার্ট ? ওসব পরতে পারবনা বাবা। টিচারকে ভাঙ্গা ভাঙ্গা ইংলিশে বুঝালাম অনেকক্ষন ধরে। পুরো ব্যাপারটিতে এতই ভয় পেলাম যে আমি টিশার্ট শব্দটিও ভুলে গেলাম! সত্যিই! আমার পাশে বসা কোরিয়ান মেয়েটি টিশার্ট পরে ছিল, আমি ওর পোশাক দেখিয়ে ইশারা করে বোঝালাম যে আমি ওটা পরতে পারবনা।

টিচার আমাকে চেঞ্জিং রুমে নিয়ে গেলেন। আমি ভাবলাম আড়ালে ডেকে নিয়ে মারবে নাকি! আমার ওপরে নিশ্চই বিরক্ত! চেঞ্জিং রুমটিতে বেশ কিছু লকার, বেঞ্চ, আর ছোট ছোট ঘর ছিল। টিচার আমাকে চেঞ্জিং রুম দেখিয়ে দিয়ে বললেন আমি চাইলে রুমগুলোতে কাপড় বদলাতে পারব। সবার সামনে পাল্টাতে হবেনা। আসলে আমার ইংলিশ না বুঝে ভেবেছিলেন চেঞ্জিং রুম নিয়ে জানতে চেয়েছি। তো আরো ১৫ মিনিট ধরে বুঝালাম, যে আসলে আমার টিশার্ট প্যান্টে সমস্যা, আমি ঠিকমতো চেঞ্জ করতে পারব, তবে অন্য সেট সালোয়ার কামিজ নিয়ে আসব। তখন উনি বললেল "ওওও সরি আই ডিডন্ট গেট ইট, এবসোলুটলি নো প্রবলেম।" আমি হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম।
কোনভাবে পুরো দিনটি পার করে যখন বাড়িতে ফিরছি, বুকের পাথরটা আর অনুভূত হচ্ছে না। সারাদিনে আমি কি মারাত্মক টেনশনে ছিলাম সেটা তখন বুঝলাম যখন টেনশনমুক্ত হলাম। নিজেকে কি ভীষন হালকা লাগছে! মনে হচ্ছে যেভাবে হোক পার তো হয়ে গেল দিনটি!

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

কানাডার হাই স্কুলে প্রতিদিন সকালে একটা দমবন্ধ ভয় নিয়ে উঠতাম, স্কুল থেকে ফেরার সময়ে স্বাভাবিক হতাম। সারাক্ষন লজ্জা, ভয়, একটি ভাষা না জানার, অন্যকে না বুঝতে পারার তীব্র অস্বস্তি আমাকে ঘিরে রাখত। সাধাসিধা নিজেকে বড্ড বেমানান মনে হত স্মার্ট লুকিং ও ইংলিশ স্পিকিং সহপাঠিদের পাশে। যেন একটি সুসজ্জিত ড্রয়িং রুমে, কৃত্রিম সাজানো গোছানোর ফুলের পাশে নেতিয়ে যাওয়া বুনো ফুল!
আমার জীবনের সবচেয়ে কঠিন দিনগুলোর একটি ছিল সেই প্রথম দিনটি এবং হয়ত পুরো বছরটিই। উফফ! এখনো মনে হলে ভয় ভয় লাগে। আবার মনে হয় যে আই সারভাইবড অল অফ ইট! সত্যি বলছি এখনো জীবনে কোন কঠিন সময় আসলে ভাবি যে সেই দিনটি পার করেছি, এখন যেকোন কিছু পার হয়েই যাবে। হাহা।
সামনের পর্বগুলোতে কানাডায় পরিবারের এবং স্কুলের স্ট্র্যাগল এবং সেগুলো সবাই কিভাবে মোকাবিলা করলম সেসব থাকবে। পাশে থাকুন সবাই।

মন্তব্য ৪৮ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৪৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:০৬

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: ভয়াবহ অভিজ্ঞতা.....
কোথায় এদেশি পোশাক আর কোথায় ঐ দেশি ....

সব জায়গাতেই অভিযোজন তথা মানিয়ে নিতে সময় লাগে....

পড়তে বেশ লাগলো..... :)

এখন তো ওসব পরতেই হয় তাই না ;)

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:১৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ভীষনই ভয়াবহ, আমি জানিনা লেখার মধ্যে আমার সেদিনের টেরর প্রকাশ করতে পেরেছি কিনা। কিন্তু সত্যি আমি প্রতি মুহূর্তে রীতিমত কাঁপছিলাম ভেতরে ভেতরে!

হুমম মানিয়ে নেওয়া, মেনে নেওয়াতেই জীবনের বেশিরভাগ কেটে যায়, মনে নেওয়ার অল্প সময়গুলোতেই যতো সুখ!

নাহ, আমি এখনো সালোয়ার কামিজই পরি এবং অনেক বেশি কনফিডেন্টলি পরি।

যাই হোক, ধন্যবাদ প্রথম ও সুন্দর মন্তব্যে, উৎসাহিত হলাম।
শুভকামনা।

২| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:১৬

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: আপনি এখন কিসে পড়েন B:-)

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:২৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ভার্সিটি।

৩| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:২৯

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: MIT নাকি টোরন্টোর কোনো ভার্সিটি?

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৩৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: মাফ করবেন, কিছু কারণে এক্স্যাক্ট নাম নিতে চাচ্ছিনা।

৪| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৩৫

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: ওকে :)

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৩৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: থ্যাংক এ লট ফর আনডারস্ট্যান্ডিং। কেউ কেউ কোনকিছুর উত্তর না পেলে কেমন যেন রেগে যায়। আপনি অন্যের প্রাইভেসিকে রেসপেক্ট করে বিষয়টি সহজে নিলেন, সেটা আমার অনেক ভালো লাগল।
শুভেচ্ছা।

৫| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৪২

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: অনেক দিন পরে আবার পোষ্ট দিতে শুরু করেছেন দেখে ভাল লাগছে।আগের দুটি পোষ্ট পড়তে পারিনি ব্যস্ততার কারনে।পরে সময় করে পড়ে নেব।
একটা ভিন্ন দেশে যেয়ে আপনার প্রথমে যে সমস্যা গুলি হয়েছিল তা স্বাভাবিক।
সুন্দর সাবলীল লেখাটিতে প্লাস দিয়ে গেলাম।++

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৫০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেই মোস্তফা সোহেল!
আনন্দিত হলাম পোস্টে পেয়ে।

আমারো ভালো লাগছে অনেকদিন পরে আবারো লেখা কন্টিনিউ করতে পেরে। জ্বী অবশ্যই, সময় করতে পারলে পড়বেন, ভালো লাগবে আশা করছি।

হুমম স্বাভাবিক সমস্যাগুলোকে অস্বাভাবিক মনে হতো তখন!

প্রশংসা ও প্লাস দিয়ে উৎসাহ দিলেন, ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন।

৬| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:১৪

নীল আকাশ বলেছেন: শুভ সকাল,
অনেক দিন পড়ে রেগুলার হলেন মনে হয়। বেশ কিছু দিন আগে আপনার এই সিরিজ পড়া শুরু করেছিলাম। ভাবছি আবার বাকি টা শেষ করবো। আপনার লেখা স্টাইল টা পড়তে ভালো লাগে.......।
শুভ কামনা রইল!

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:২১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: জ্বি কিছুদিন আগেই নানা ব্যস্ততা সামলে ব্লগে নিয়মিত হওয়া শুরু করেছি।
ওহ আচ্ছা, ধন্যবাদ। যা ভেবেছেন, তাই করুন। :) আশা করি ওগুলোও ভালো লাগবে পড়তে।

অনেক ধন্যবাদ, লেখনীর স্টাইলের প্রশংসা করে আরো লিখতে উৎসাহিত করলেন।
শুভকামনা আপনার জন্যও।

৭| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৪১

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: বাংলাদেশি স্টুডেন্টরা এত বোকা যে নিজের ক্লাসেও যেতে পারে না? :P :P :P কী মিস বোকামতী? আমি কি ঠিক বলিনি? =p~

কোন ব্যাপার না। এমন বোকামতীরা আছে বলেই তো সভ্যতা আজও টিকে আছে। তবে আপনার জায়গায় আমি হলে এরচেয়েও বোকামি করার সম্ভাবনা ছিল। যাক, শেষপর্যন্ত সব ভালোয় ভালোয় হয়েছে। খুব জানতে ইচ্ছে করে- মিস বোকামতী কি আজও তেমনই বোকামতীই রয়ে গেছে নাকি একআধটু চালাকচতুর হয়েছে? =p~

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৫৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ফাজিলের ফাজিল! X(( ;)

এমন বোকামতীরা আছে বলেই তো সভ্যতা আজও টিকে আছে।
ও সো সুইট!

তবে আপনার জায়গায় আমি হলে এরচেয়েও বোকামি করার সম্ভাবনা ছিল।
সে আর বলতে? :D

আপনি খুব ইন্টারেস্টিং একটি প্রশ্ন করেছেন। আমিও এই বিষয়টি নিয়ে ভেবেছি। এখন পেছনে তাকালে বুঝতে পারি কিশোরি আমি কত বেশি বোকা ছিলাম, কতকিছু আমার ধারণা ও জানার বাইরে ছিল। যেহেতু আমি আগের আমার বোকামি ধরতে পারছি, মানে আমার বুদ্ধি কিছুটা বেড়েছে। কিন্তু কথা হচ্ছে, আমি যখন জীবনের আরেকটি ফেইজে চলে যাব হয়ত পেছনে তাকিয়ে ভাবব তরুণী/যুবতী আমি কতই না বোকা ছিলাম! আই থিংক, আই এম ওয়ান অফ দোজ পিপল হু আর অলওয়েজ গোয়িং টু বে লেস দ্যান স্মার্ট ফর দেয়ার এজ! হাহাহা। দ্যাটস ওকে দো, আই লাভ স্টুপিড মি! :)

পাঠ ও মজার মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা।
ভালো থাকুন।

৮| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার অভিজ্ঞতার ভাগ আমাদের দেওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:২২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: মাই প্লেজার! এসব গল্প লিখে আমি নিজের জীবনের স্মৃতিগুলোকে অক্ষত রাখতে পারছি, আর অনেক ক্ষেত্রে মনকে হালকাও করতে পারছি। বরং আমারই ধন্যবাদ দেওয়া উচিৎ আপনাদেরকে, আমার জার্নিতে পাশে থাকার জন্যে।

ভালো থাকুন।

৯| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:২৪

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: Privacy matters :)

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:২৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ওহ এগ্রিড, ইট ডাজ ম্যাটার, সোওও মাচ! :)

১০| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৪৪

রাকু হাসান বলেছেন:


হায় হায় পাগল আপু পোস্টানো শুরু করছে জানিই না তো ;) । এনিওয়ে সেই লাইনে দাঁড়ানো পেছনের ছেলেটি জোশ ছিল B-))
গুরুজী মাঝে মাঝে এমন কাটিং দিতে চাই =p~ ,গুরুজী শুনছেন না #:-S
আসলেই সবচেয়ে কঠিন দিনগুলোই আমাদের অনুপ্রেরণার বা হতাশার উৎস হয় ,হয় উৎসাহ শক্তি সাহস দিয়ে পাশে রাখে,সামনে নেয় অথবা হতাশায় পুড়ে শেষ করে দেয় নিজেকে । আপনার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে । এই দিনটি মনে থাকবেই আপনার । এখন হয়তো হাসিও পাই,বর্তমানের সাথে মিলিয়ে । পোস্টে স্বাগতম আপনাকে । :)

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:০১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেই রাকু হাসান, পোস্টে পেয়ে অনেক খুশি হলাম।

হাহাহা, এখন তো জানলেন।

জোশ না একটা জিনিস ছিল! ;)
হাহাহা, গুড আইডিয়া, এক কাজ করুন, আড্ডাঘরে কিছু ইন্টারেস্টিং হেয়ার কাটের ছবি শেয়ার করুন গুরুজীর জন্যে। তাহলে তিনি অবশ্যই শুনবেন। :D

হুমম, জীবনে কিছু ভীষন কঠিন দিন আসে, সেই দিনগুলো কিভাবে হ্যান্ডেল করলেন তার ওপরেই পুরো জীবন নির্ভর করে! সেদিন যদি সত্যিই হতাশ হয়ে ক্লাস না করে বাড়ি চলে যেতাম, তাহলে কতকিছু শেখা মিস করে ফেলতাম!

পাঠ ও ভীষন সুন্দর মন্তব্যের জন্যে থ্যাংকস।
ভালো থাকুন।

১১| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:২০

প্রামানিক বলেছেন: চমৎকার বর্ননা খুবই ভালো লাগল। ধন্যবাদ

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:০৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: মোস্ট ওয়েলকাম, আপনাকে পোস্টে পেয়ে অনেক উৎসাহিত হলাম প্রামানিক ভাই। ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছা!

১২| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৩১

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: হুম! সিরিজ থেকে দীর্ঘ বিরতিতে যাওয়ায় একটু খারাপ লেগেছিল-এনিওয়ে নাউ ফিল চার্মিং--আচ্ছা আগের পর্বে একটা প্রশ্নের উত্তরে রহস্য রেখেছিলেন--এখনকি দেয়া যায় -আপনার কোকের বউ কেন বাসায় এসেছিল?? আমার একটা অনুমান ছিল !!

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:০৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ওহ সরি! বাস্তব জীবনের নানা ব্যস্ততায় প্রিয় সিরিজ, প্রিয় সহব্লগারদের কাছ থেকে সাময়িক বিরত নিতে হয় মাঝেমাঝে। যাই হোক, আই এম ব্যাক!

মাফ করবেন, আপনি কোন পর্বের কোন রহস্যের কথা বলছেন একটু যদি ডিটেইলে বলতেন। আমি বুঝতে পারছিনা।

১৩| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৪৬

বলেছেন: সুন্দর সাবলীল লেখা

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:০৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ওহ! থ্যাংকস এ লট। পরের পর্ব লেখার উৎসাহ পেলাম মন্তব্যে।
সুখে থাকুন।

১৪| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:২৪

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: কুক সাহেবের বৌ আপনাদের বাসায় এসেছিল -তার ছেলে আপনার সাথেই পড়তো! উনি ঊনার ছেলের জন্য পাত্রী খূজতেছিলেন --আমার মনে হয়েছিল কুক সাহেবের বৌ পাত্রী দেখতে এসেছিলেন

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ ভোর ৬:০৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আপনি আসলে আমাকে অন্যকোন ব্লগারের সাথে গুলিয়ে ফেলছেন। হয়ত সেই ব্লগারও প্রবাস জীবন নিয়ে লেখেন বলে এমন হয়েছে! কিন্তু আমার জীবনে কোন কুক সাহেব নেই।

শুভেচ্ছা রইল।

১৫| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:২৭

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: এই পর্বেও সাথেই ছিলাম। একটু একটু করে আরো পথ এগিয়ে যাব, শুনে নিব আপনার পূর্ণ কাহিনী। লিখা সম্পর্কে কি আর প্রশংসা করব আপনি নিজেই জানেন আপনি কেমন লিখেন। তারপরেও পাঠক মাত্র মিথস্ক্রিয়া থাকবে। সুন্দর চিরকালই সুন্দর আর অসুন্দরও কোন কোন সময় সুন্দর হয়ে যায়।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ ভোর ৬:০৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেই সুজন ভাই! পোস্টে পেয়ে আনন্দিত হলাম।

ওহ ওয়াও আপনি কি ভীষন আন্তরিক ভাবে বললেন! পরের পর্বগুলো লিখতে আপনার এসব কথা প্রেরণা দেবে।

সুন্দর চিরকালই সুন্দর আর অসুন্দরও কোন কোন সময় সুন্দর হয়ে যায়।
বাহ বেশ তো কথাটি সুজন ভাই! মনে রইল!

ভীষন ভালো থাকুন আপনি ও আপনার আপনজনেরা!

১৬| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:২৪

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: আমার ব্লগে ঘুরে আসার দাওয়াত রইলো :)

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ ভোর ৬:১১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ওমা! আপনার ব্লগে গিয়েছি তো আমি বিনা দাওয়াতেই! ;) এখন আবার দাওয়াত দেবার কি হলো?

১৭| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৪১

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: ম্যালা দিন পর...
ভালো আছেন নিশ্চয়ই

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ ভোর ৬:১২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ঐ কেমন আছেন?

আসলেই অনেকদিন পরে। আছি ভালো।

১৮| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ ভোর ৪:৫২

আলুমিয়া বলেছেন: ভালো লেখা।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ ভোর ৬:১৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: থ্যাংকস এ লট! মন্তব্যে উৎসাহিত হলাম।
শুভকামনা।

১৯| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:১০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এই পর্বের কিছু কিছু ঘটনা আগের কোন পর্বে পড়েছি বলে মনে হলো। আমার ভুলও হতে পারে। তোমার কানাডিয়ান স্কুলের পড়াশোনা নিয়ে আগে একাধিক পোস্ট দিয়েছ তো, তাতেই হয়তো এরকম মনে হচ্ছে। অথবা সত্যিই কোন ঘটনা রিপিট হয়েছে। যাই হোক, তোমার লেখার গুনে এবারের পর্বটিও ভালো হয়েছে। পাঠককে লেখার মধ্যে আটকে রাখার দক্ষতা ভালোভাবেই আয়ত্ত্ব করতে পেরেছ।

ধন্যবাদ সামু পাগলা০০৭।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৩৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেই হেনাভাই! আপনাকে পোস্টে পেয়ে অনেক ভালো লাগছে।

একদম প্রথম পর্বে আমি জিম ক্লাসের পোশাকের ব্যাপারটি খুব সংক্ষেপে লিখেছিলাম। বাকিসব নতুনই ছিল। কানাডার জীবন নিয়ে আরো নানা পোস্ট দেবার কারণেই আপনার কাছে হয়ত চেনা চেনা লেগেছে। প্রথমবারে খুব সংক্ষেপে টুকরো টুকরো কিছু ঘটনা লিখেছিলাম। পরে মনে হলো যে ডায়েরির মতো করে যত যা মনে আছে সব লিখে রাখি। শুধু ব্লগের জন্যেই নয়, নিজের স্মৃতিগুলোকে ধরে রাখার জন্যেও।

পাঠককে লেখার মধ্যে আটকে রাখার দক্ষতা ভালোভাবেই আয়ত্ত্ব করতে পেরেছ।

আপনার মতো জনপ্রিয় ব্লগ এবং বই লেখকের কাছ থেকে এমন কথা কতটা উৎসাহ প্রদান করে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা, থ্যাংকস এ লট হেনাভাই!

মোস্ট ওয়েলকাম।
ভালো থাকবেন ভীষন ভীষন!

২০| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৫১

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: ভাল লিখেছেন। আমার (বিডিপি) নির্বাচনী ইশতেহার

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৩৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ।
শুভকামনা সকল!

২১| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:১১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনুভব করে সবাই, প্রকাশিতে পারে ক'জনা!

প্রতিটি পর্বই যেন এক এক টুকরো জীবন দর্পন!
গল্প আছে, ভয় আছে, রোমাঞ্চ আছে, অসংকোচ প্রকাশের দুরন্ত সাহস আছে,
শিক্ষনীয় কথকতা আছে, আর আছে এক জীবনে বহু প্রান, দেশদর্শী ঋদ্ধতার প্রকাশ।

মুগ্ধতায় নিত্য অপেক্ষা সিরিজের প্রতি পর্বে!
অভিনন্দন আর শুভেচ্ছা সখি
কথা সাহিত্যে বাংলার আগামী উজ্জ্বল তারকার লক্ষন পূর্ণ দৃশ্যমান :)

আমার অটোগ্রাফটা অগ্রিম বুক করে রাখলাম কিন্তু :)
অন্তহীন শুভেচ্ছা আর শুভকামনা

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৪০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: এহ! ফেমাস হলে মনে রাখব নাকি? এসব অগ্রিম বুকিং টুকিং দিয়ে লাভ নেই। হাহাহা, জাস্ট কিডিং। সবাই তো আর সখিকে সখার চোখ দিয়ে দেখবে না, তাই তারা টারা হবার চান্স নেই। :D

কি ভীষন সুন্দর আর মিষ্টি করে বলেন আপনি! মনটা সত্যিই ভরে যায়। সবসময় পাশে থাকার জন্যে কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষাই নেই!

আপনার জন্যেও সকল শুভেচ্ছা।

২২| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৫৩

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: আপু আপনি কি কোন কোন কমেন্টস মুছে ফেলেন !

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৪১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: নারে, আমি কখনো কোন কমেন্ট মুছি না। যদি কখনো একই কমেন্ট দুবার এসে যায় তবে সেটা মানুষটিকে জানিয়েই মুছে দেই। আর কোন কোন কমেন্ট ব্লগ নীতিমালার বাইরে গেলে ব্লগ কর্তৃপক্ষ মুছে দেন।
আমি সবসময় অন্যের মতামত ও সেই সময়কে মূল্য দেই যা ব্যয় করে তিনি কমেন্টটি করেছেন।

২৩| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৬

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: আমি আপনার আর ওমেরার ব্লগ পড়তে পড়তে আসলেই গুলিয়ে ফেলেছি- অযথা বিরক্ত করার জন্য ক্ষমা চাইছি। দুজনেই প্রবাস জীবন নিয়ে লিখেন।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৪৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আমারো তাই মনে হচ্ছিল। ইটস ওকে, নো প্রবলেম। গুলিয়েছিলেন বলেই হয়ত আমার ব্লগে এসেছিলেন এবং পোস্টটি পড়েছিলেন! ফলাফল তো ভালোই হলো! :)

শুভেচ্ছা!

২৪| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৯

সামিয়া বলেছেন: না পড়েই কমেন্ট দিচ্ছি, অফিসে আছি, ফ্রি হয়ে পরে নেব।
শুভ কামনা-------

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৩৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আচ্ছা আচ্ছা আপু, ঘুরে গিয়েছ দেখে অনেক ভালো লাগল। সময় সুবিধা করে পড়ে নিও।
ভালো থেকো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.