নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আঁচলের ঘ্রাণে বিমোহিত হতে মনে প্রেম থাকা লাগে। চুলের গন্ধ নিতে দুহাত বাড়িয়ে দেয়া লাগে। হাহাকার থাকা লাগে। দুনিয়া ছারখার হওয়া লাগে। সবাই আত্মা স্পর্শ করতে পারে না।আমার সমস্ত হাহাকার ছারখারে তুমি মিশে আছো।

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার

এক জন নিভৃতচারী

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার › বিস্তারিত পোস্টঃ

কোন কথা হবেনা আজ শুধু মিষ্টি খাওয়ার দিন

০৮ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:১৩

কোন কথা হবেনা আজ শুধু মিষ্টি খাওয়ার দিন,আজ ঘরে ঘরে আগুন জ্বলবে তবে অবশ্যই চুলায়................
রাজাকার মীর কাশেম আলীর ফাঁসির রায়ের প্রতিক্রিয়ায় লেখা তার মেয়ের একটি নোট চোখে পড়ল। কাকে নিয়ে লিখেছে সেটা যদি অজানা থাকতো, স্রেফ এটা যদি অন্য আর দশটা সাধারণ অপরাধীর কন্যার লেখা হতো, যেখানে একজন পিতার প্রতি তার আদরের কন্যার ভালোবাসা ফুটে উঠেছে লাইনে লাইনে তাহলে যে কারো চোখ আদ্র হয়ে উঠত। কিন্তু পড়ার সময় চোখ আদ্র হয় ঠিকই, তবে ভিন্ন কারনে।
সেখানে মীর কাশেমের কন্যা লিখেছে-
"আব্বু তার জামাকাপড়ের ব্যাপারে খুব সতর্ক। মানুষ তাকে সৌখিন বলে।ভাইয়া বললো কাল তাকে নাকি কয়েদির ড্রেস দেয়া হবে!
আমার আব্বুর রুম গোছানো,বিশেষ করে ঘুমানোর আগে তার বিছানা আমি করতাম।সে খুব টিপটপ।তাই,তার বিছানা চাদর ঠিক না রাখলে তার পছন্দ হতো না।সেই মানুষটাকে আজ একটা ছোট কনডেম সেলে ঢুকিয়ে দিলো!বিছানা তো দুরের কথা,ঠিকমত দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ার জায়গাটাও নাই!
আব্বু গল্প করতে খুব মজা পেতো। মানুষকে হাসাতে তার ভালো লাগতো। নিজেও সারাক্ষণ হাসিমুখেই থাকতো,মানুষকে ঘিরেই তার সকল চিন্তা। আজ তাকে একা একা ঘরে রেখে দিলো...,কেউ নাই কথা বলার....কিভাবে থাকবে??"
এই মেয়েটি কি জানে একাত্তরে এরকম লক্ষ লক্ষ কন্যার বুকে হাহাকারের আগুন জ্বেলেছে তার পিতা? তাকে কেউ বলে দেবেন, শহীদ আজাদের মা প্রায় ত্রিশ বছর ভাত মুখে দেননি শুধুমাত্র ছেলের মুখে শেষবারের মতো ভাত তুলে দিতে পারেননি বলে? ছেলে টর্চার সেলের ফ্লোরে স্থান পেয়েছিল বলে আজীবন তিনিও ফ্লোরেই শুয়েছেন? এখনও চট্টগ্রামের বীর মাতা রমা শহরের পিচঢালা তপ্ত রাস্তায় হাঁটেন নগ্ন পায়ে শুধুমাত্র এই চিন্তায় যে তার পুত্রেরা যে মাটির সাথে মিশে আছে সেই মাটিতে তিনি কিভাবে স্যান্ডেল পায়ে হাঁটবেন?সে কি জানে শহীদ রুমির মা জাহানারা ইমাম একটা জীবন কাটিয়ে গেছেন পুত্র আর স্বামী হত্যার বিচার চেয়ে চেয়ে?
রাজাকার মীর কাশেমের কন্যার এই আবেগময় লেখা তাই আমার চোখ আদ্র করেনা। বরং এই লেখা পড়ে আমার চোখে ভেসে ওঠে শহীদ আজাদের মায়ের তিন যুগ ভাত না খেয়ে থাকার দৃশ্য। আমার চোখে ভাসে চট্টগ্রামের পিচঢালা তপ্ত রাস্তায় রমাদির নগ্ন পদযুগল। আমার কানে গমগম করে আওয়াজ তোলে শহীদ রুমির মায়ের দৃপ্ত শ্লোগান- জয় আমাদের হবেই...
তাই রাজাকার কন্যার লেখা আমার চোখ আদ্র করার বদলে বরং ক্রোধের আগুন জ্বালে...
চিৎকার করে বলি স্বাধীন বাংলায় রাজাকারের ঠাই নাই
কৃতজ্ঞতা: ড. আতিকুল হক

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:১৭

বিজন রয় বলেছেন: তাই রাজাকার কন্যার লেখা আমার চোখ আদ্র করার বদলে বরং ক্রোধের আগুন জ্বালে...
চিৎকার করে বলি স্বাধীন বাংলায় রাজাকারের ঠাই নাই
+++

২| ০৮ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:২৭

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: অপরাধীর যোগ্য বিচার হোক এবং রায় কার্যকর হোক।

৩| ০৮ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৯

নীল আকাশ ২০১৬ বলেছেন: আওয়ামী সরকার যাদের প্রত্যেকটা আচরণ প্রশ্নবিদ্ধ, তাদের নিয়োগ করা বিচারকের রায় আপনি চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করার অধিকার পেলেন কোথায়? দেশের শীর্ষস্থানীয় একজন ধনাঢ্য ব্যক্তি হয়েও সারা জীবন যার কোন অন্যায় খুঁজে পাওয়া যায়না, এক একাত্তরে সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে এত এত অভিযোগ আপনাদের বিশ্বাস হয় কি করে?

আপনারা কি অপকর্ম করতে নিজের চোখে দেখেছেন?
যাদের কাছে শুনেছেন, তাদের সব কথাই কি বিশ্বাস করেন?
আপনাদের বিবেক কি কাজ করে?

জানি, এসব বলে কোন লাভ নেই। আপনারা ফুর্তির মুডে আছেন। তাই এসব কথা আপনাদের বিবেক পর্যন্ত পৌঁছাবেনা। পেট ফুলিয়ে মিষ্টি খান। শুভ কামনা রইল।

৪| ০৮ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৯

মহা সমন্বয় বলেছেন: কোন কথা হবেনা আজ শুধু মিষ্টি খাওয়ার দিন :D

৫| ০৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:০৩

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার বলেছেন: নীল আকাশের কথার সূত্র ধরে বলতে পারি যেহেতু আপনি জন্ম নিয়েই আপনার বাবাকে দেখেননাই,আপনার মা পরিচয় দেয়েছে আপনার বাবার তারপর বাবা বলে ডেকেছেন,সেহেতু আপনার বাবা আপনার বাবা না

৬| ০৯ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৩

নীল আকাশ ২০১৬ বলেছেন: ঠিক বলেছেন সানবীর খান। কিন্তু পিতার পরিচয় পাবার জন্য আমাকে কোন ফালতু আদলতের সরনাপন্ন হতে হয়নি। আমার পিতার যথার্থ পিতা সুলভ আচরণই তার পরিচয় নিশ্চিত করেছে। বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়নে মীর কাসেম আলীর যে অবদান, তা কোন পেপার পত্রিকায় কোনদিন ছাপা হবেনা কালার হয়ে যাবার ভয়ে। কিন্তু একাত্তরে তার অপরাধ - যা নিয়ে খোদ বিচারপতিরাই সন্দেহ তুলেছেন, তাতে ফাঁসি দিয়ে কোন বালের চেতনার প্রকাশ ঘটানো হয়েছে, তা কেবল আপনারাই বলতে পারবেন।

৭| ১০ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:০৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার ,



এই মেয়েটি কি জানে একাত্তরে এরকম লক্ষ লক্ষ কন্যার বুকে হাহাকারের আগুন জ্বেলেছে তার পিতা? তাকে কেউ বলে দেবেন, শহীদ আজাদের মা প্রায় ত্রিশ বছর ভাত মুখে দেননি শুধুমাত্র ছেলের মুখে শেষবারের মতো ভাত তুলে দিতে পারেননি বলে? ছেলে টর্চার সেলের ফ্লোরে স্থান পেয়েছিল বলে আজীবন তিনিও ফ্লোরেই শুয়েছেন? এখনও চট্টগ্রামের বীর মাতা রমা শহরের পিচঢালা তপ্ত রাস্তায় হাঁটেন নগ্ন পায়ে শুধুমাত্র এই চিন্তায় যে তার পুত্রেরা যে মাটির সাথে মিশে আছে সেই মাটিতে তিনি কিভাবে স্যান্ডেল পায়ে হাঁটবেন?সে কি জানে শহীদ রুমির মা জাহানারা ইমাম একটা জীবন কাটিয়ে গেছেন পুত্র আর স্বামী হত্যার বিচার চেয়ে চেয়ে?

এই মেয়েটি কি জানে একাত্তরে এরকম লক্ষ লক্ষ কন্যার বুকে হাহাকারের আগুন জ্বেলেছে তার পিতা? তাকে কেউ বলে দেবেন, শহীদ আজাদের মা প্রায় ত্রিশ বছর ভাত মুখে দেননি শুধুমাত্র ছেলের মুখে শেষবারের মতো ভাত তুলে দিতে পারেননি বলে? ছেলে টর্চার সেলের ফ্লোরে স্থান পেয়েছিল বলে আজীবন তিনিও ফ্লোরেই শুয়েছেন? এখনও চট্টগ্রামের বীর মাতা রমা শহরের পিচঢালা তপ্ত রাস্তায় হাঁটেন নগ্ন পায়ে শুধুমাত্র এই চিন্তায় যে তার পুত্রেরা যে মাটির সাথে মিশে আছে সেই মাটিতে তিনি কিভাবে স্যান্ডেল পায়ে হাঁটবেন?সে কি জানে শহীদ রুমির মা জাহানারা ইমাম একটা জীবন কাটিয়ে গেছেন পুত্র আর স্বামী হত্যার বিচার চেয়ে চেয়ে?

এই মেয়েটি কি জানে একাত্তরে এরকম লক্ষ লক্ষ কন্যার বুকে হাহাকারের আগুন জ্বেলেছে তার পিতা? তাকে কেউ বলে দেবেন, শহীদ আজাদের মা প্রায় ত্রিশ বছর ভাত মুখে দেননি শুধুমাত্র ছেলের মুখে শেষবারের মতো ভাত তুলে দিতে পারেননি বলে? ছেলে টর্চার সেলের ফ্লোরে স্থান পেয়েছিল বলে আজীবন তিনিও ফ্লোরেই শুয়েছেন? এখনও চট্টগ্রামের বীর মাতা রমা শহরের পিচঢালা তপ্ত রাস্তায় হাঁটেন নগ্ন পায়ে শুধুমাত্র এই চিন্তায় যে তার পুত্রেরা যে মাটির সাথে মিশে আছে সেই মাটিতে তিনি কিভাবে স্যান্ডেল পায়ে হাঁটবেন?সে কি জানে শহীদ রুমির মা জাহানারা ইমাম একটা জীবন কাটিয়ে গেছেন পুত্র আর স্বামী হত্যার বিচার চেয়ে চেয়ে?

এই মেয়েটি কি জানে একাত্তরে এরকম লক্ষ লক্ষ কন্যার বুকে হাহাকারের আগুন জ্বেলেছে তার পিতা? তাকে কেউ বলে দেবেন, শহীদ আজাদের মা প্রায় ত্রিশ বছর ভাত মুখে দেননি শুধুমাত্র ছেলের মুখে শেষবারের মতো ভাত তুলে দিতে পারেননি বলে? ছেলে টর্চার সেলের ফ্লোরে স্থান পেয়েছিল বলে আজীবন তিনিও ফ্লোরেই শুয়েছেন? এখনও চট্টগ্রামের বীর মাতা রমা শহরের পিচঢালা তপ্ত রাস্তায় হাঁটেন নগ্ন পায়ে শুধুমাত্র এই চিন্তায় যে তার পুত্রেরা যে মাটির সাথে মিশে আছে সেই মাটিতে তিনি কিভাবে স্যান্ডেল পায়ে হাঁটবেন?সে কি জানে শহীদ রুমির মা জাহানারা ইমাম একটা জীবন কাটিয়ে গেছেন পুত্র আর স্বামী হত্যার বিচার চেয়ে চেয়ে?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.