নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আঁচলের ঘ্রাণে বিমোহিত হতে মনে প্রেম থাকা লাগে। চুলের গন্ধ নিতে দুহাত বাড়িয়ে দেয়া লাগে। হাহাকার থাকা লাগে। দুনিয়া ছারখার হওয়া লাগে। সবাই আত্মা স্পর্শ করতে পারে না।আমার সমস্ত হাহাকার ছারখারে তুমি মিশে আছো।

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার

এক জন নিভৃতচারী

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার › বিস্তারিত পোস্টঃ

‪#‎Justice‬ for Sohagi

২৩ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১:০২

"ধর্ষণ " শব্দটা নিয়ে আর লিখতে ইচ্ছা করে না । শব্দটা সমাজে এমন ভাবে ছড়িয়ে গিয়েছে যে, হাসির ছলে কিংবা স্বাভাবিক কথাবার্তার মধ্যে অনায়াসে যে কেউ এটা ব্যবহার করছে। কুলাঙ্গার সাকা চৌধুরী মিডিয়ায় একবার এক জঘন্য কথা বলেছিলেন, " ধর্ষণ যখন অনিবার্য তখন উপভোগ করাই শ্রেয় "।
এক্সপায়ার বুইরা ছাগল তেঁতুল হুজুর বলেছিলেন"মেয়ে মানুষ তেঁতুলের মত তেঁতুলের মত,তাদের দেখলেই লালা ঝড়ে"
এইসব পশুকে নিয়ে নতুন কিছু বলার নেই কিন্তু আমাদের সমাজ আজ একই মতবাদ নিয়েই চলছে। পহেলা বৈশাখের যে লজ্জাকর ঘটনা জাতি দেখেছিল তা সত্যিই আমার মতে এই দেশের সব থেকে বড় রোমহর্ষক ঘটনা। ক্ষোভে রাস্তায় নেমেছিলাম প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেছিলাম।
আমার কিছু পরিচত আমাকে মিছিলে দেখেছিল, এবং ওখানেই তারা আমাকে বলেছিল মেয়েটারই দোষ সে এত ভীড়ে করছি কি!!! তাদের এই কথায় আমি কিছু বলে নি ,শুধু ভেবেছিলাম সমাজ যখন নষ্টাদের হাতে পরিচালিত তখন তাদের বুঝিয়ে বলে লাভ কি?
.
এই সমাজে আজ এমন অবস্থা হয়ে দাঁড়িয়েছে বোরকা পরা মেয়েটিও টিজের স্বীকার হয়, আবার স্বাভাবিক ভাবে চললে ও টিজের স্বীকার হতে হয়। মেয়ে শব্দটাই যেন একটা ভোগের পর্নো হয়ে দাঁড়িয়েছে।
.
ছাগলদের সে পুরোনো কাসুন্দি আজ বাদ দেন ,মেয়েটা বোরকা পরেছিল কিনা? ? সেটাও জানা দরকার নেই।
কারণ ধর্ষণ হয়েছে অষ্টম শ্রেণির মাদ্রাসার এক ছাত্রী!!!
তো বলছিলাম কি মেয়েটা তো বেপর্দা ছিল?? তাই না??
মাফ করবেন, আপনাদের ভাষায় ও তেঁতুল ছিল তাই ওর উপর এই পশুত্ব আচরণ।
তারপর ঢাকার ঐ দুই শিশু?নাকি ওদের দেখলেও আপনাদের লালা ঝড়ে? ? রায়েরবাজার সন্ধ্যায় ছয়তলা গলির মুখে ধর্ষণের স্বীকার হয় ৭ বছরের এক শিশু।
মিরপুরে ৯ বছরের এক মেয়ে সন্ধ্যায় টিভি দেখছিল এবং পাশের বাসার এক যুবক তার উপর চালাই পাশবিক নির্যাতন। এখন সে ঢাকা মেডিকেলে ব্যাথায় কাতরায়। আর আমাদের সমাজই এই বাচ্চা মেয়েগুলোকে পরবর্তীতে পতিতা বলে গালি দিবে আর ঐ পশু গুলোকে সমাজের রাজার মুকুট পরাবে। এটাই তো আমাদের সমাজের সংস্কৃতি!
সোহাগী ফুলের মত একটা মেয়ে,বাংলাদেশের সবথেকে নিরাপদ স্থান বলা হয় ক্যান্টনমেন্ট কে সেখানেই চেকপোষ্ট এর পাশে সেই বর্বর তম কাজ,আসলে এদেশে এইসব আর্মির প্রয়োজন আছে কিনা এটা নিয়েই প্রশ্ন করা যায়।আবার কিছু জানোয়ার পোশাাক নিয়ে প্রশ্ন তুুলে,পর্্দদা নিয়ে প্রশ্ন তুলে,এসব তেঁতুল বাহিনীকেে ছাল চামড়া ছাড়িয়ে নিতে ইচ্ছে করে।
নতুন কিছু বলছি না, পশুরা সমাজ নষ্ট করেছে। নষ্ট করেছে মানুষের মনুষ্যবাদ। এভাবে চলতে থাকলে পশুত্ব বাদের দৃঢ়তায় যে একসময় মনুষ্যবাদ আমাদের সকল থেকে চলে যাবে তা ঠিক টেরই পাবেন না
"একটি ধর্ষণ অার কিছু কথা" তনু ধর্ষিত হয়েছে, শুধুই ধর্ষিতই হয়নি লালসা মেটানো শেষে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। জায়গাটা কোথায়, সেনানিবাসে। তনু হত্যার প্রতিবাদে মুখর সবাই। এবার একটু অন্যদিকে নজর দিই, পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রতিনিয়তই অাদিবাসী মেয়েরা ধর্ষিত হচ্ছে। কখনো সেনা কর্তৃক কখনো সেটেলার বাঙালি কর্তৃক,তারপরের কাহিনী তনুর মতই। ভাগ্য খারাপ হলে হত্যা অার ভাগ্য ভালো হলে বেঁচে থাকা। এসব নিয়ে খবর প্রকাশিত হয়না অার হলেও শেষ পৃষ্ঠায় ৮নং কলামে ছোট্ট শিরোনামে দায়সারা গোছের খবর। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ধর্ষকেরা গ্রেপ্তার হয়না হলেও জামিনে বেরিয়ে আসে,কিংবা তাদের মুক্তির দাবিতে মিছিল,মিটিং,এমন কি সকাল সন্ধ্যা হরতাল পর্যন্ত পালন হয়ে থাকে। মাঝে মাঝে সেনাবাহিনীর সদস্যরাও দুয়েকটা পাহাড়ি মেয়ের স্বাদ নেয় অপহরণ করে। থাক ওসব কথা,বলেও লাভ নেই।বাঙালিরা কেউই বিশ্বাস করেনা একজন "উপজাতি দেশদ্রোহীর" কথা। এবার তনুর ব্যাপারটায় আসি,সে মরে গিয়েই ভালো কাজ করেছে। সে যদি বেঁচে থাকত তাকে আমরাই মেরে ফেলতাম।কুৎসা রটিয়ে,চরিত্রহীনার উপাধি প্রদান করে, সে যে ধর্ষিতা সেটা প্রমাণ করতে গিয়ে বারংবার ধর্ষিত হত বেচারী,সারাটাজীবন বুকের মধ্যে বিরাট বোঝা নিয়ে ঘুরে বেরাতে হত,সে হয়ে যেত সমাজের কলংক,তাকে কেউ মেনে নিতে পারতো না। না পরিবার না সমাজ,সে হয়ে যেত সকলের বোঝা। তাই মৃত্যুতে ই তার লাভ হয়েছে,সে যদি বেঁচে থাকতো এত কিছুর ধকল সহ্য করতে পারতোনা। সবশেষে, তনুর ধর্ষণ ও হত্যায় আমি ব্যাথিত নয়,আবার আনন্দিত ও নয়।কারণ এসব ঘটনা পাহাড়ে প্রতিনিয়ত ঘটে কিন্তু এসবের প্রতিবাদ জোরালো গলায় কেউই করেনা। বিচার তো হয়না উলটো রোকেয়া লিতার মত চাটুকাররা ধর্ষকদের পক্ষে সাফাই গেয়ে থাকে। আমি ব্যাথিত এই কারণে যে শুয়োরের বাচ্চা ধর্ষকেরা কেন এখনো ধরা পরেনি,এতে কি সেনাসদস্যরা জড়িত থাকতে পারে?
তনুর মত আর কত মেয়ে নি:শেষ হবে এই হায়েনাদের হাতে??ক্যান্টনমেন্টের মত এলাকায় যদি কোন নিরাপত্তা না থাকে তবে সাধারন এলাকাগুলোতে কি হবে?আমাদের নেতা বলেছিলেন তোরা হাল চাষ করে খা,মনে হয় সেই সময় চলে এসেছে রাষ্ট্রের এত অর্থ খরচ করে আর্মি পালার কোন দরকারই নেই
‪#‎Justice‬ for Sohagi

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১:১৭

সুরাইয়া বীথি বলেছেন: আপনি ঠিকই বলেছেন আমাদের দেশের মেয়েরা সব সময়ই নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে,, হতে হয় নির্যাতনের শিকার !! মেয়েরা যে কবে স্বাধীনভাবে চলার সুযোগ পাবে কে জানে ??

২| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১:৩৩

প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: আমি তেতুল হুজুর বলে সম্বোধন করছেন যাকে তার সমর্থন করছি না। কিন্তু সব দোষ যেন আপনার তেতুল হুজুরের উপর গিয়ে পড়ল। তবে তেতুল হুজুরের সব চেয়ে বেশি প্রতিবাদ যে রাজনৈতিক দলটি করে সেই সংগঠনের নেতা কর্মী দ্বারা সবচেয়ে বেশি মেয়ে ধর্ষিত হয়েছে বলেই রেকর্ডপত্রে পাওয়া যায়। অনেক সময় বিশেষ আনন্দ উদযাপনের উপলক্ষ হিসেবেও তার ধর্ষন করে উল্লাস করে। তেতুল হুজুরের সমর্থিত গোষ্ঠীর ক্ষেত্রে ধর্ষনের ঘটনা বিরল। এ থেকে মনে হয় তেতুল হুজুরের কথা মত চললে যাদের সমস্যা তৈরি হয় তারাই তেতুল হুজুরের বিরুদ্ধে গালাগাল করে। কারণ কথায় আছে, "শিয়াল সবসময় চায় মুরগী যেন উন্মক্ত থাকে। তাহলে তার শিকার ধরতে সুবিধা হয়।"

৩| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৭:৫৪

সাগর মাঝি বলেছেন: " ধর্ষণ যখন অনিবার্য তখন উপভোগ করাই শ্রেয় "

"মেয়ে মানুষ তেঁতুলের মত তেঁতুলের মত,তাদের দেখলেই লালা ঝড়ে"

আজ নিজেকে বাঙ্গালি বলে পরিচয় দিতে খুবই ঘৃণা লাগে। মন চায় থুথু মারি এই জাতির উপরে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.