নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আঁচলের ঘ্রাণে বিমোহিত হতে মনে প্রেম থাকা লাগে। চুলের গন্ধ নিতে দুহাত বাড়িয়ে দেয়া লাগে। হাহাকার থাকা লাগে। দুনিয়া ছারখার হওয়া লাগে। সবাই আত্মা স্পর্শ করতে পারে না।আমার সমস্ত হাহাকার ছারখারে তুমি মিশে আছো।

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার

এক জন নিভৃতচারী

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার › বিস্তারিত পোস্টঃ

পুরুষত্ব বিছানায় না দেখিয়ে নিজের কাজকর্মে এবং ধৈর্য্যশক্তি দিয়ে দেখান।

২৩ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:২৪

কি ব্যাপার মেয়েটাকে ধর্ষণ করলে কেন?
- করবো না তো কি করবো? যেই ড্রেস পড়ছে পুরাই সেক্সি লাগতেছিল। দেখলেই তো চেতনা দাঁড়িয়ে যায়। অতএব এতে আমার কোন দোষ নেই, সব দোষ ওর পোষাকের।
.
ওই মেয়েটাকে যে রাস্তার মধ্যে পাবলিক প্লেসে শ্লীলতাহানী করলে?
- আমার কোন দোষ নেই। ভীড়ের মধ্যে মেয়ে মানুষ আসবে কেন? আমার শরীরে ওর শরীর লেগেছে আমার অনুভূতি দাঁড়িয়ে গিয়েছে।
.
বাসের মধ্যে যেই মেয়েটার গায়ে হাত দিলে ওর কি দোষ ও তো গায়ে ঘেষে দাড়ায়নি।
- তাতে কি! যেই পারফিউম দিয়েছে সেটার ঘ্রাণেই তো ওর শরীর খেয়ে ফেলতে ইচ্ছে করছিল। অতএব আমার দোষ নেই, সব দোষ পারফিউমের।
.
রাতে রাস্তায় একা পেয়ে যেই মেয়েটাকে ধর্ষণ করলে ওর ড্রেস তো ভালোই ছিল।
- তাতে কি! রাতের বেলা মেয়ে মানুষ একা রাস্তায় কেন আসবেবে? এভাবে একা পেলে তো ফিল আসবেই।
.
দিনের বেলায় যে ওই মেয়েটাকে ধর্ষণ করলে এটা কেন?
- দিনে হলে কি হবে ড্রেস তো পড়েছে সেইরকম ওয়েষ্টার্ণ। স্লীভলেস জামায় হাত দেখা গেলে চেতনা তো জাগবেই। যেই হট লাগতেছিল, এরপরেও ঠিক থাকা যায় নাকি?
.
ওই মেয়েটার ড্রেস তো ভাল ছিল ওয়েষ্টার্ণ না, স্লীভলেস ও না।
- কিন্তু গলার নিচ দিয়ে বুকের এদিকটা তো একটু একটু দেখা যাচ্ছিল।
.
এই মেয়েটা তো দেশী পোশাক পড়ে ছিল।
- দেশী হলে কি হবে ওড়না ঠিক ছিল না। পোশাক সামলে রাখেনি কেন? নিজের পোশাক সামলে রাখতে পারে না?!
.
তোমার মা আর বোনেরাও তো মাঝে মাঝে বাসায় কাজ করতে গেলে কাপড় এদিক সেদিক হয়ে যায়। ওদের দেখেও কি চেতনা দাঁড়িয়ে যায়?
- ওই মিয়া! মুখ সামলে কথা বলেন। আমার মা বোনের ড্রেস ভালোই থাকে।
.
আচ্ছা আচ্ছা, এই মেয়েটা তো হিজাব করে ছিল, সব ঢাকা ছিল। ওর সাথে কেন করলে?
- হিজাব করলে কি হবে। হিজাবে তো আরো জোশ লাগতেছিল। শরীরের গঠন তো বুঝা যাচ্ছিল, বুকের উচু গঠন তো স্পষ্ট ছিল।
.
ওই বাচ্চা মেয়েটার বেলায় দেখে কি চেতনা জাগলো?
- বাচ্চা হলে কি হবে সাইজে তো সেই। শরীর তো বেড়ে গেছে। চেতনা তো জাগবেই। অতএব আমার কোন দোষ নেই।
.
হুম রাইট। তো তোমার নিজের মেয়ের শরীর সাস্থ্য ভাল হলে তাকে দেখেও কি চেতনা দাঁড়িয়ে যাবে?
- কথা ঠিকমত বলেন। আমার মেয়ের হিসেব আলাদা। এটা আমার মেয়ে না।
.
তোমার মেয়ে না কিন্তু আরেকজনের তো মেয়ে। তার মেয়ের সাথে তুমি কর, তোমার মেয়ের সাথেও আরেকজন করবে। এটা দোষের না, কি বল?
- ইম্পসিবল। খুন করে ফেলব!!
.
.
.
.....কেউ আগুনে ঝাপ দিতে বললেই তো ঝাপ দিবে না, তাহলে কে কি ড্রেস পড়ল এসব দেখে কেন প্রলুব্ধ হবে? খারাপভাবে চলাফেরা করলে তাকে এভয়েড করেন।
.
ধরলাম মেয়েটা খারাপ তাই বাজে ড্রেস পরে। কিন্তু ও তো জোর করে কিছু করেনা। আর তুমি জোর করে ধর্ষণ কর। তাহলে তুমি কোন জায়গার ভাল? খারাপের সাথে তো আরো খারাপ করলে।
নিজে ঠিক থাকলে খারাপের মাঝেও নিজেকে কন্ট্রোলে রাখতে পারা উচিৎ। আর এটাই স্বার্থকতা।
.
লোভনীয় কিছুর সুযোগ না পেলে কেউই তা নিতে পারবে না, এক্ষেত্রে সবাই সাধু। কিন্তু সহজে কাছে পাওয়ার পরেও অন্যায়ভাবে সেটা নেয়ার থেকে নিজেকে কে কতটুকু সামলে রাখতে পারে সেটাই হল প্রকৃত নৈতিকতা।
.
....আর ধর্মীয় দিক দিয়ে বললেও ধর্ম নারীকে শালীন পোশাক পড়তে বলেছে সত্যি, কিন্তু কোন নারী অশালীন হলেই পুরুষরা তাকে ধর্ষণ করবে আর লোলুপ হয়ে তাকাবে এটা কোথাও বলেছে?
বলেনি, বরং ধর্মেও নারী পুরুষ উভয়কেই দৃষ্টি সংযত রাখতে বলেছে।
.
তাই কে কি পোশাক পড়ল আর কিভাবে চলল এসব না দেখে নিজের চোখ আর চেতনাকে সামলান, কাজে দিবে।
.
মেয়ে দেখলেই অন্য কিছু দাড় করানোর আগে বিবেকটা দাড় করান। আর পুরুষত্ব বিছানায় না দেখিয়ে নিজের কাজকর্মে এবং ধৈর্য্যশক্তি দিয়ে দেখান।
.
.
কৃতজ্ঞতাঃ "নাজমুল হোসেন"

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:২৮

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: দারুণ শেয়ার

২| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৪৪

কবর পথের যাত্রি বলেছেন: একটি খাড়াপ কে শিক্ষা দেওয়ার জন্য নিজে খারাপ হবে....????.সমাধান কোনদিনই পাবেনা ..।আসলে সবই হল ধর্ষন কে বৈধতা দেওয়ার তালবাহানা

৩| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:০৬

বিপরীত বাক বলেছেন: আপনার কথা শুনে মনে হচ্ছে পুরুষরা বিছানায় যায় শুধু ধর্ষণ করতেই। কিন্তু বিছানায় পুরুষ তো লিগ্যাল ওয়েতেই যেতে পারে কিংবা পারস্পারিক সম্মতিতেও যেতে পারে।
প্রকৃত সত্য হচ্ছে বিছানার পারফরমেন্সে দক্ষ পুরুষই প্রকৃত পুরুষ, এদেশের নারীদের দৃষ্টিকোণ থেকে।

অনেকদিন আগে একটা বিদ্যুৎকেন্দ্রে প্রশিক্ষণে গিয়েছিলাম। তা লেকচারের এক পর্যায়ে বক্তা লোড ডিস্ট্রিবিউশন ও লোডসেডিং র কারণ ব্যাখ্যা করছিল। বিদ্যুৎকেন্দ্রকে একটা মিনিমাম লোডে চলতে হয়। যার নিচে গেলে মেশিন নষ্ট হয়ে যায়। আবার ম্যাক্সিমাম একটা লেভেলও আছে যার উপরে গেলে মেশিন ক্ষতিগ্রস্ত বা নষ্ট হয়ে যায়। বাংলাদেশের বিদ্যুৎক্ষেত্রের সমস্যা হলো অফপিক আওয়ারে লোড মিনিমামের অনেক নিচে নেমে যায়, ফলে সরকারী বিদ্যুৎকেন্দ্র গুলো বেশি নষ্ট হয়ে যায়। কারণ তারা কেন্দ্র বন্ধ করতে পারে না। বেসরকারি গুলো লোড কম দেখলেই মেশিন বন্ধ করে দেয় বা চালু রাখলেও সরকারকে বলে আমার বিদ্যুৎের দাম।দিতে হবে ব্যবহার করেন আর নাই করেন।
আর পিক আওয়ারে ম্যাক্সিমামের অনেক উপরে থাকে লোড ডিমান্ড। ফলে মেশিন নষ্ট হয়।

কেন জানি বাংলাদেশের সবক্ষেত্রেই এই সমস্যা প্রকটভাবে দৃশ্যমান।
ভাল হলে বেশি বেশি ভাল হয়, আর খারাপ হলে বেশি খারাপ হয়। আনন্দ করলে বেশিমাত্রায় তা করে ফেলে, কষ্ট পেলে বেশিমাত্রায় কষ্ট পায়।

এখানে আপনি ভাল সাজতে গিয়ে অতিরিক্ত মাত্রায় ভাল সাজার চেষ্টা করেছেন। আপনার লেখামতে এদেশের সবপুরুষের জিনিস কেটে ফেললে নারীরা নিরাপদ থাকবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.