নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আঁচলের ঘ্রাণে বিমোহিত হতে মনে প্রেম থাকা লাগে। চুলের গন্ধ নিতে দুহাত বাড়িয়ে দেয়া লাগে। হাহাকার থাকা লাগে। দুনিয়া ছারখার হওয়া লাগে। সবাই আত্মা স্পর্শ করতে পারে না।আমার সমস্ত হাহাকার ছারখারে তুমি মিশে আছো।

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার

এক জন নিভৃতচারী

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার › বিস্তারিত পোস্টঃ

সম্পর্ক টা বন্ধুত্বের ও মর্জাদার

১৬ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৮

সম্পুর্নটা পড়ুন....
২০০৭ সালের বিশ্বকাপে তামিম ছক্কা মেরে যখন মুনাফ প্যাটেলের দিকে তেড়ে গিয়েছিল , না আমার খারাপ লাগে নি। তার কিছুদিন পরই বাংলাদেশে জহির খানকে তেড়েফুড়ে মারার এক পর্যায়ে জহির খানের চোখ রাঙানির জবাবে তামিমের ব্যাট দিয়ে মারার ভঙ্গির দুশ্যও আমার খারাপ লাগে নি।
গত বিশ্বকাপে কোহলীকে আউট করার পর রুবেলের কোহলীর দিকে তেড়ে গিয়ে বুনো উল্লাস করার মুহুর্তে আমি স্বর্গসুখ পেয়েছি।
সর্বশেষ সিরিজে ধোনীকে আউট করার পর সাকিবের দৌঁড় এবং সম্ভাব্য কিছু অশ্লীল কথা আন্দাজ করে আমি বিমলানন্দ বোধ করেছি।
মোস্তাফিজের বলে রাহানের ক্যাচ ধরার পর নাসিরের বলের মধ্যে কিক মারার দৃশ্য এখনো চোখে আনন্দ দেয়।
টি- টুয়েন্টি বিশ্বকাপের হারা ম্যাচে মুশির অগ্রীম সেলিব্রেশনে আমি আনন্দ পেয়েছি।
কুলকার্নির স্লেজিং এর জবাবে যখন সাব্বির ক্রিজের সামনে আসল তখন ক্যাপ্টেন ম্যাশের ড্রেসিং রুম থেকে বেরিয়ে এসে মুখ কঠিন করে তালি দিয়ে সাব্বিরকে উৎসাহিত করার দৃশ্য আমার জীবনে দেখা সেরা দৃশ্যের একটা।
উপরে বর্ণিত কোন ঘটনাই আমার কাছে খারাপ লাগে নি, এখনো লাগে না, ভবিষ্যতেও লাগবে না। যতবার ইউটিউবে দৃশ্যগুলো দেখি ততবারই ভালো লাগে, লাগবেও।
আমার ধারণা প্রতিটা বাংলাদেশী এই জায়গায় আমার সাথে একমত।
এসবই তো খেলা, এসব তো খেলার মাঠের অংশ। আক্রমণ- প্রতি আক্রমণ দিয়েই তো ক্রিকেট খেলা হয়।
দ্যান হোয়াই ডু উই রিএক্ট টু মাচ উইথ বিরাট কোহলী?
বিরাট জিহ্বা বের করেছে। কিছু উইকেট পতনের পর ওভার সেলিব্রেশন করেছে। তাতে কি এমন মহাভারত অশুদ্ধ হলো?
জিহ্বা বের করা অন্যায়?
তাহলে রস টেইলর যখন নিয়মিত জিহ্বা বের করে তখন অন্যায় হয় না কেন?
সার্জিও রামোস গোল করে জিহ্বা বের করে দৌড় দিলে সেটা স্বাভাবিক হয় কিভাবে??
মেসির মতো ভদ্র বলে খ্যাত প্লেয়ার যখন রাইভালদের জার্সি খুলে দেখায় সেটা কিভাবে ভদ্র হয়?
ডিয়ার ফ্যানস,
আমাকে দালাল বলার আগে কিছু পয়েন্ট একটু বুঝুন।
অতীতে আমাদের উইকেট নেয়ার পর কেউ সেলিব্রেশনই করত না। চামিন্দা ভাস খালেদ মাসুদের ক্যাচ নিয়ে একবার বল লুকিয়ে ভাব করেছিল বল ড্রপ। ভদ্রভাবে অপমান যাকে বলে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে হ্যাট্রিক করলেও নামে মাত্র সেলিব্রেশন হতো। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যান ক্যাচ হলে স্কোরবোর্ডে উইকেট চ্যাঞ্জ হলে নিশ্চিত হওয়া যেত আসলেই আউট হয়েছে। কারণ বোলার ফিল্ডাররা তেমন রিএক্টই করত না।
সেখানে আজকে বাংলাদেশের উইকেট পতনের পর বুনো উল্লাস হচ্ছে। এটা সত্যিকার অর্থে সম্মান নাকি অসম্মান??
সেলিব্রেশন কি বোঝাচ্ছে না বাংলাদেশের উইকেট এখন কতটা গুরুত্বপূর্ণ? বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রতিপক্ষ কতটা চাপে থাকে?
আমরা কেন এসব পয়েন্ট ধরতে পারি না?
আমাদের গোণায় না ধরে চুপ করে হাত গুটিয়ে রাখা ভদ্র সেলিব্রেশনের চেয়ে আমাদেরকে গুরুত্ব দিয়ে জিহ্বা বের করা অভদ্র সেলিব্রেশন আমার কাছে বেশি দামী।
বিরাট কোহলীর জিহ্বা বের করা দেখলেন। অথচ কতটা গুরুত্বপূর্ণ সময়ে তামিম- মুশফিক ভুল শট খেলে আউট হলো বুঝলেন না। আলোচনা হওয়া উচিত ছিল এটা নিয়ে।
বিরাট কোহলীর জিহ্বা দেখে রাগ করার আগে নির্বোধের মতো এই সময় আউট হওয়া নিয়ে রাগ করা বেশি জরুরি ছিল।
আফসোস আমরা কোহলীর বেয়াদবিই দেখি কেবল। তার ব্যাটিং থেকে যে হাজারটা শিক্ষণীয় জিনিস আছে সেটা চোখে পড়ে না। আজকে সেঞ্চুরি করার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও সে কিভাবে চরম প্রফেশনালিজম দেখিয়ে লোভ সংবরণ করেছে এটা থেকে শিক্ষা নেয়ার আছে। এত এগ্রেসিভ মানুষটা ব্যাটিং এর সময় কিভাবে কোল এন্ড কাম হয়ে যায় এটা থেকে শিক্ষা নেয়ার আছে।
তাও যদি কোহলীর প্রতি রাগ না কমে তবে খেলার মাঝখানে মাশরাফিকে জড়িয়ে ধরার মুহুর্তটা আবার দেখুন।
খেলা শেষ করার পর সতীর্থদের সাথে কথা বলা বাদ দিয়ে সে তামিমের সাথে কতটা গুরুত্বের সাথে কথা বলে বলে বের হচ্ছিল সেই ক্লিপস আবার দেখুন।
বিরাট ১০০ বার জিহ্বা বের করলেও আমার আপত্তি নেই যদি সে আমাদের ব্যাটসম্যানদের টিপস দিয়ে আমাদের কোন উপকার করে থাকে। তামিম ২০০৭ সালে যখন ভারতকে কচুকাটা করে বিশ্বকাপ থেকে বের করে দেয় তখনো কোহলীর অভিষেকই হয় নি। সেই তামিম দাম্বিকতা ত্যাগ করে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে বলেছিল সে কোহলীর সাথে কথা বলতে খুবই আগ্রহী। এটা তার ক্যারিয়ারে যথেষ্ট প্রভাব ফেলবে বলে তার বিশ্বাস ছিল। খুব সম্ভবত আজকে সে সুযোগ এসেছে।
যদি এটাই হয়ে থাকে, থ্যাংকস বিরাট কোহলী। আর আমি যতটুকু খেলার খবর রাখি, বিরাট কোহলী বাংলাদেশ নিয়ে কখনো খারাপ কোন মন্তব্য কোথাও করেছে বলে আমি শুনি নি।
আর হাঁ, খেলায় এগ্রেশন থাকবেই। খেলায় যদি এগ্রেশন না থাকত তবে খেলা বাউন্সার, ইয়র্কার, ডাউন দ্য উইকেট, হুক- পুলে হতো না, খেলার ফল নির্ধারিত হতো কে কাকে কত বেশি সালাম দিতে পারে তার উপর।
:
:
আমরা হেরেছি। আমি মোটেই দুঃখিত নই।
গত বিশ্বকাপে আমরা কোয়ার্টার খেলেছি। এবার সেমি। সামনেরবার ইনশাআল্লাহ ফাইনাল খেলব।
স্বপ্ন পূরণ এক লাফে হবে তা না। ধাপে ধাপে হয়। আমরা সে পথেই আছি।
ম্যাচ ৯৫% হেরেছি টসে, বাকি ৫% যাদবে। এই পীচে আগে ব্যাট করে ৩৫০ করেও বোধহয় জেতা সম্ভব ছিল না। ভারতের সাথে বা কোহলীর বিপক্ষে তো আরো কঠিন। এত ফ্লাট ব্যাটিং পিচ কেবল ভারতেই হয় এতদিন জানতাম।
থ্যাংকস টাইগারস।
যা হয়েছে তাতেই আমরা গর্বিত। ভালোবাসা ম্যাশ বাহিনী।

তথ্য-মেহেদী

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১১

আনন্দ পাল বলেছেন: কথা ঠিক.

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.