নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর স্থান হচ্ছে বান্দরবান আর আমি একজন পরিব্রাজক।
প্রিয় ভ্রমণসঙ্গী ও পুরানো ঢাকা (দুই-তৃতীয়াংশ)
প্রিয় ভ্রমণসঙ্গী ও পুরানো ঢাকা (তিন-তৃতীয়াংশ)
অন্য পর্বগুলো
-“হ্যালো সারাফাত, আমি তোমার ভার্সিটির সামনে দাঁড়িয়ে আছি।”
-“১০ সেকেন্ড, আমি আসছি।”
গতোদিনের হোলির রঙ ছড়ানো ছিলো পথজুড়ে। সেগুলো মাড়িয়ে আমি যখন পৌছালাম আমাকে দেখে স্বস্তির একটা হাসি ফুটে উঠলো তার ঠোটে। হোলীর লাল-নীল-হলুদ-সবুজ রঙগুলো যেন তুচ্ছ হয়ে গেল এক নিমিষেই।
সোহেল ভাইয়ের সাথে আমার পরিচয় পর্বটা ছিলো অদ্ভুত। ফেসবুকে আমাদের আলাপ হয়েছিলো এবং সেসময় আমি তার সাথে চরমভাবে অভদ্রতা করেছিলাম। অভদ্রতার পরিমান এতো বেশি ছিলো যে সেটা বেয়াদবির পর্যায়ে পৌছে গিয়েছিলো। সোহেল ভাই আমাকে বেশ কয়েকবার সতর্ক করে দিয়েছিলেন, কিন্তু আমি আর সেগুলোতে গুরুত্ত্ব দিইনি। হঠাত একদিন তিনি বলেছিলেন, চিটাগাং ভার্সিটির চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে জগন্নাথে আমাদের ডিপার্টমেন্টে নূতন যোগদান করেছেন সাজ্জাদ স্যারকে আমি চিনি কিনা। আমি হ্যা বলায় তিনি বললেন যে সাজ্জাদ স্যার তার বন্ধু। তার কথা শুনে আমি ভয়ানকভাবে তব্দা খেয়ে গিয়েছিলাম। আইরে আল্লাহ!! এই মানুষটা আমার শিক্ষকের বন্ধু আর আমি তার সাথে এতোদিন ঠাট্টা করেছি!! সেদিন খুব করে মাফ-টাফ চাইলাম সোহেল ভাইয়ের কাছে। তিনি অবশ্য ততোদিনে বোধহয় আমাকে ক্ষমাশীল দৃষ্টিতে দেখা শুরু করেছেন।
সোহেল ভাই, ঢাকা মেডিকেলের একজন শিক্ষক। আমি এখনো জানি না যে তিনি কোন বিষয়ে স্পেশালিষ্ট। মাঝে মাঝে মনে হয় তিনি বুঝি শিশু বিশেষজ্ঞ, এত্তো সুন্দর নরম করে কথা বলেন তিনি। আবার মাঝে মাঝে মনেহয় গাইনোকোলজিস্ট হলেই বুঝি তাকে বেশি মানাবে। নারী পেশেন্টরা চিকিৎসা শুরুর আগে তার হাসি দেখলেই অর্ধেক সুস্থ হয়ে যাবে। নিজের সম্পর্কে তিনি প্রায় কিছুই বলতে চান না, অধিকাংশ সময় তার সম্পর্কে আমার ধারণা করে নিতে হয়।
আমরা প্রায়ই একসাথে ঘোরাঘুরি করি এবং আমাদের প্রিয় একটা জায়গা হচ্ছে শীতলক্ষ্য। আমরা দুজনে প্রায়ই গিয়ে শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়ে বসে থাকি। আজকেও বোধহয় সেরকম প্ল্যান ছিলো। কিন্তু হঠাত তিনি ঢাকা মেডিকেল থেকে ফোন করে আমাকে বললেন যে ক্লাস শেষ আমি যেন আমার ক্যাম্পাসেই থাকি। আজকে আমরা পুরানো ঢাকা ঘুরবো।
বাহাদুর শাহ পার্কের সামনে দাঁড়িয়ে আছি। সোহেল ভাই বললেন, ‘চলো নর্থব্রুক হল থেকে শুরু করি’।
বাহাদুর শাহ পার্ক
ঢাকাতে বসবাসরত আর্মেনীয়রা সময় কাটানোর জন্য বিনোদনের মাধ্যম হিসাবে বিলিয়ার্ড খেলতে পছন্দ করতো। বিলিয়ার্ডের সাদা বলগুলোকে ঢাকাবাসীদের কাছে মনে হয়েছিলো “আন্ডা”। এই আন্ডা কালের বিবর্তনে হয়ে গেল আন্টা। যেহেতু বিলিয়ার্ড একটা ঘরের মধ্যে খেলা হতো তাই সেখানকার নাম হয়ে গেল “আন্টাঘর”। এটাই ছিলো বাহাদুরশাহ পার্কের আদিরূপ। উনিশ শতকের গোড়ার দিকে ইংরেজরা আর্মেনীয়দের কাছ থেকে আন্টাঘর কিনে নিয়েছিলো। তারপর তারা এটাকে ভেঙ্গে ফেলে ছোট একটা ময়দান মতো তৈরী করলো। জায়গাটার নাম হয়ে গেল আন্টাঘর ময়দান।
আন্টাঘর ময়দান কুখ্যাতি অর্জন করেছিলো ১৮৫৭ সালে। সিপাহী বিদ্রোহ আন্দোলনের সাথে যুক্ত থাকার অভিযোগে বেশ কয়েকজনকে ফাসি দেয়া হয়েছিলো এখানে। তাদের লাশ নাকি বেশ কয়েকদিন ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিলো। এই ঘটনাটি বিভিন্ন ধরনের ভৌতিক কাহিনী জন্ম দেয়, যার ফলে স্থানীয় মানুষেরা এই ময়দানের ধারে-কাছে ঘেসতে ভয় পেত।
ওই বছরই মহারানী ভিক্টোরিয়া ভারতের শাসনভার নিজের হাতে তুলে নেয়। তার এই শাসন ভার গ্রহনের ঘোষনাপত্র ঢাকাবাসীর জন্য আন্টাঘর ময়দান থেকে পাঠ করে শোনানো হয়। আর তার সম্মানার্থে জায়গাটার নাম বদলে রাখা হয় “ভিক্টোরিয়া পার্ক”।
তবে পাকিস্তান আমলে ১৯৫৭ সালে সিপাহী বিদ্রোহের শতবার্ষিকী পালন উপলক্ষ্যে ভিক্টোরিয়া পার্কের নাম বদলে রাখা হয় ‘বাহাদুর শাহ পার্ক”। সেইসব বীর সিপাহীর স্মৃতি রক্ষার্থে এখানে একটা স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়েছে।
বাহাদুর শাহ পার্ককে পাশ কাটিয়ে আমরা নর্থব্রুক হল রোড ধরে এগিয়ে চললাম। অপ্রশস্থ পথ, রিকশার সমারোহ আর দুপাশে ছোট ছোট দোকান জায়গাটাকে ঘিঞ্জি করে তুলেছে।
সোহেল ভাই গল্প করছেন, আমি মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে শুনছি। মানুষটা ডাক্তার অথচ তার গল্পগুলো সব ইতিহাস নিয়ে। একটা পুরানো ভাঙ্গা বাড়ি দেখিয়ে তিনি বললেন যে কিছুদিন আগে নাকি এখানে দুজন জার্মান লাইটিং শো করেছিলো।
অবশেষ আমরা পৌছালাম নর্থব্রুক হলে।
নর্থব্রুক হল
১৮৭২ থেকে ১৮৭৬ সাল পর্যন্ত ভারতের বড়লাট ছিলেন লর্ড নর্থব্রুক। দায়িত্ত্বপালন করার সময় ১৮৭৪ সালে তিনি ঢাকা এসেছিলেন। তার এই আগমনকে স্মরনীয় করে রাখা উপলক্ষ্যে ঢাকার ইংরেজচাটুকর জমিদার ও ধনীকশ্রেণী “শুভ প্রাসাদ সৃষ্টির সংকল্প” গ্রহণ করেছিলেন। তারই ফসল হচ্ছে নর্থব্রুক হল। ১৮৮০ সালের ২৪শে মে এটির উদ্বোধন করা হয়েছিলো।
সোহেল ভাই আমাকে আরেকটা জিনিস দেখাতে নিয়ে গেলেন। নর্থব্রুক হলের পিছনে আরেকটা ভবন।এটি হচ্ছে নর্থব্রুক হলের লাইব্রেরী ভবন। বর্তমানে ভবনটির অবস্থান খুবই জরাজীর্ণ, সতর্কীকরণ নোটিশ ঝুলছে যে ভবনটি ঝুকিপূর্ণ। মর্মাহত হলাম। সামনে দেখি কয়েকটা বাচ্চা ক্রীকেট খেলছে।
আমরা আবার নর্থব্রুকের সামনে এলাম। দুজন দেখি এখানে প্লাস্টিকের চেয়ারে বসে গল্প করছে। ভবনটি বোধহয় এখন সিটি কর্পোরেশনের স্থানীয় অফিস। বিশাল রান্না-বান্নাও চলতেছে, বোধহয় এই ভবনের কিছু অংশ কমিউনিটি সেন্টার হিসাবে ব্যাবহার করা হয়।
তবে সবকিছু ছাপিয়ে যায় এটা ভাবলে যে রবীন্দ্রনাথ এখানে এসেছিলেন। ১৯২৬ সালে ঢাকা মিউনিসিপ্যালিটি তাকে এই নর্থব্রুক হলেই সংবর্ধনা জানিয়েছিলো। এই ব্যাপারটাই আমাকে প্রচন্ডভাবে মুগ্ধ করে। আমি মনেমনে এখনো এখানে রবীন্দ্রনাথের উপস্থিতি অনুভব করি।
নর্থব্রুক হল দেখা শেষে আমরা এগোলাম রুপলাল হাউজের দিকে। আমাদের দুজনের মনটাই বিষন্ন হয়ে গেল, কারণ আমরা জানি ঢাকার অসাধারণ সৌন্দর্যমন্ডিত এই ভবনটির এখন কি বেহাল দশা।
রুপলাল হাউজ
ঢাকার নবাব বাড়ির সবচেয়ে বড় প্রতিপক্ষ ছিলো এই রুপলাল হাউজ। ১৮৮৮ সালে লর্ড ডাফরিন যখন ঢাকাতে এসেছিলেন তখন তার আপ্যায়নের জন্য আহসান মঞ্জিলকে হারিয়ে ভোটে জিতে গিয়েছিলো এই রুপলাল হাউজ। ঢাকায় বসবাসরত অভিজাত ইংরেজ সম্প্রদায় রুপলাল হাউজকে দুদিনের জন্য ভাড়া নিয়েছিলো।
বাড়িটি ছিলো আর্মেনীয় জমিদার আরাতুনের। ১৮৪০ সালে রুপলাল এই বাড়িটি ক্রয় করে। তারপর সেটাকে ভেঙ্গে পূননির্মাণ করে। গ্রীক স্থাপত্যের অনুকরণে তৈরী হওয়া বাড়িটি ঢাকাকে এক অনন্য মর্যাদা প্রদান করে। দ্বোতলায় প্রায় ৫০ টি কক্ষ আছে, যার মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয় হচ্ছে পশ্চীম দিকের নাচঘরটি।
আমরা দুজন আরো মন খারাপ করে ফেললাম। অসাধারণ এই ভবনটি এখন পেয়াজ-রসুনের বিরাট আড়ত। কি পরিমাণ যে দৃষ্টিকটু দেখাচ্ছে। মনেহচ্ছে অসাধারণ কোন সুন্দরী রমনীকে কোন পাষন্ড এসিডে ঝলসে দিয়েছে।
মসলার ঝাঁঝে টিকতে পারছি না। সোহেল ভাই মুখে মাস্ক পড়েছেন, কিন্তু আমার অবস্থা বেশ খারাপ। বিষণ্ণতা সঙ্গী করে দ্রুত এই ভবন এলাকা থেকে বের হয়ে এলাম।
রাস্তা ধরে হেঁটে যাবার সময় কতোগুলো দোকানকে দেখিয়ে সোহেল ভাইকে বললাম যে এটা হচ্ছে বিখ্যাত জুবিলি স্কুল। তিনি বোধহয় কিছুটা অবাক হলেন। অবাক হওয়াটাই স্বাভাবিক। আগে থেকে জানা না থাকলে স্কুলটি খুজে পেতে বেশ কষ্টকরই হবে, চারপাশ জুড়ে এতো দোকান।
কিশোরী লাল জুবিলি হাই স্কুল
১৮৫৮ সালে ঢাকায় ব্রাহ্ম স্কুল প্রতিষ্ঠিত হলো। প্রতিষ্ঠার বেশ কয়েক বছর পর স্কুলটি ভয়াবহরুপে আর্থিক সঙ্কটে পড়ে। ১৮৭২ সালে মানিকগঞ্জের বালিয়াটির জমিদার কিশোরী লাল রায় চৌধুরী ব্রাহ্ম স্কুলটি কিনে নিয়ে সেটার নাম বদলে তার বাবার নামে রাখেন ‘জগন্নাথ স্কুল’। জগন্নাথ স্কুলের হেডমাস্টার ছিলেন গোপীমোহন বসাক। তার সময়ে স্কুলটি আর্থিক ও মর্যাদাগত দিক দিয়ে খুবই লাভবান হয়ে উঠেছিলো। স্বভাবতই গোপীমোহন এই আর্থিক লাভের অংশীদার হতে চেয়েছিলেন। এর থেকেই মালিকের সাথে শুরু হয়েছিলো বিরোধ। যার ফলাফলে এক সকালে গোপীমোহনকে কর্মচ্যুত করা হলো। আর সে যেন ক্ষতিপূরন চেয়ে মামলা করতে না পারে এজন্য রাতারাতি স্কুলের নাম বদলে ফেলা হলো। স্কুলের মালিক নিজের নামে নাম রাখলেন, কিশোরী লাল জুবিলি হাই স্কুল।
স্কুলটিকে পাশ কাটিয়ে আমি আর সোহেল ভাই হেঁটে চলেছি। সোহেল ভাই গল্প করছেন, ইতিহাসের গল্প। উত্তর আর দক্ষিন ভারতের ইতিহাস, মোঘলদের ইতিহাস, পাঠানদের ইতিহাস, পশতুদের ইতিহাস, আর্যদের ইতিহাস, সুলতানদের ইতিহাস, নবাবদের ইতিহাস। আমি কিছুটা হিংসিত, এই মানুষটা এতো কিছু জানে কিভাবে?
কথা হচ্ছে বিখ্যাত অলঙ্কার দরিয়া-ই-নূর নিয়ে। দরিয়া-ই-নূর পৃথিবীর দ্বিতীয় দামী রত্ন দিয়ে তৈরী করা হয়েছে। পৃথিবীর সবচেয়ে বিখ্যাত কোহিনূর রত্নের পরেই এর অবস্থান। এই দরিয়া-ই-নূর সংরক্ষিত রয়েছে সদরঘাটের সোনালী ব্যাঙ্কের ভল্টে। ব্যাপারটা ভাবতেই ভালো লাগে। হেসে বললাম, শুনেছি বাংলাদেশে যে অলঙ্কারটি রয়েছে সেটা নাকি নকল, আসলটি নাকি ইরানে রয়েছে। সোহেল ভাইও হেসে বললেন যে, পৃথিবীর সব দামী অলংকার নিয়েই এরকম অনেকগুলো সম্ভাব্য স্থানের কথা শোনা যায়। সবাই দাবী করে যে তাদেরটাই আসল।
বাংলাবাজার দিয়ে হেঁটে চলেছি। খুবই ঘিঞ্জি অবস্থা। সরু পথ, রিকশার ছড়াছড়ি। এখানকার বইয়ের দোকানগুলো দেখলে শ্রদ্ধা জাগেনা, বই যে শুধুই ব্যাবসার বস্তু তা শুধু এখানে এলেই মনেহয়।
বাংলাবাজার
বাংলাবাজার হচ্ছে ঢাকার সবচেয়ে পুরাতন এলাকা। অনেকেই মনে করেন যে বাংলা বই ছাপানো হয় বলেই বোধহয় এখানকার এমন নাম, কিন্তু ব্যাপারটি সেরকম নয়। অন্য কোন কারনে এই জায়গাটার নাম এরকম। আসলে বাংলাবাজার সম্পর্কে খুব কম তথ্য পাওয়া যায়।
অন্য পর্বগুলো
২০ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:৪৭
সারাফাত রাজ বলেছেন: ভালো লাগার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আশাকরি পুরানো ঢাকা নিয়ে আপনারও কোন লেখা পাবো।
২| ২০ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:৩১
মানস চোখ বলেছেন: পোষ্টে ++++ !!
খুবই সুন্দর ও তথ্যবহুল পোষ্ট, পুরান ঢাকার অনেক ঐতিহাসিক স্থাপনা সম্পর্কে জানা হল।
ভালো থাকবেন!!
২০ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:৫৪
সারাফাত রাজ বলেছেন: অনেক অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আশাকরি ৩ টি পর্বেই আপনাকে সাথে পাবো।
ভালো থাকবেন আপনিও।
৩| ২০ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:৩৫
এম ডি মুসা বলেছেন: বেশ
২০ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:৫৫
সারাফাত রাজ বলেছেন: ধন্যবাদ।
আশাকরি ৩ টি পর্বই বেশ লাগবে।
৪| ২০ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:৫৬
পৌষ বলেছেন: দেখি লেখার ইচ্ছা আছে। সময় সুযোগ করে লিখে ফেলল একদিন
২০ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:৫৮
সারাফাত রাজ বলেছেন: আগ্রহ সহকারে অপেক্ষা করছি
৫| ২০ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:৫৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: খুব আনন্দ পেলাম লেখাটা পড়ে, সেই সাথে দুর্লভ কিছু ঐতিহাসিক তথ্য জানতে পেরেও সমৃদ্ধ হ'লাম।
আপনার বর্ণনা শৈলী ভাল লেগেছে। সেই সাথে সোহেল ভাই এর অসাধারণ ইতিহাস প্রীতি এবং ব্যক্তিত্ব।
আপনাদের উভয়ের জন্য রইলো শুভকামনা। পোস্টে ভাল লাগা + + রেখে গেলাম।
২০ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:১২
সারাফাত রাজ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই।
আমি সোহেল ভাইয়ের সাথে আরো কতোগুলো জায়গাতে যাবার ধান্দা করতেছি। আল্লাহই জানে তিনি আমাকে নেবেন কিনা।
শুভকামনার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
এই সিরিজটা মোট ৩ পর্বের। আশাকরি সবগুলোতেই আপনাকে সাথে পাবো।
ভালো থাকবেন।
৬| ২০ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:৪৮
পুলহ বলেছেন: সবগুলা সিরিজ পড়বো ইনশাল্লাহ। অসাধারণ লাগলো এটা।
খুব ভালো করেছেন সংক্ষেপিত ইতিহাস যোগ করে। বোধ করি- এটাই পোস্টটাকে অনবদ্য করেছে। ৫ নং মন্তব্যের সাথে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই একমত।
বাহাদুর শাহ পার্ক আক্ষরিক অর্থেই তাহলে একটা ঘর ছিলো !!!!
শুভকামনা জানুন রাজ ভাই।
২২ শে মার্চ, ২০১৭ ভোর ৬:৩৮
সারাফাত রাজ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
আসলে পুরানো ঢাকা পুরোটাই তো মস্ত এক ইতিহাস।
বাহাদুর শাহ পার্ক আক্ষরিক অর্থেই তাহলে একটা ঘর ছিলো
আমি তো তাই জানি।
আপনিও শুভকামনা জানবেন।
৭| ২১ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:৫৩
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: একই দিনে তিনটি লেখা একসাথে, বোনাস নাকি?
২২ শে মার্চ, ২০১৭ ভোর ৬:৪১
সারাফাত রাজ বলেছেন: হা হা
বোনাস হিসাবে ধরে নিলে সেটা বোনাস।
আসলে লেখাটা এতো বড় হয়ে গিয়েছিলো যে তিন টুকরো করে ফেলেছি।
৮| ২১ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:৩০
শেখ মাসুদুর রহমান বলেছেন: পুরানো ঢাকাকে নতুন করে দেখলাম।
২২ শে মার্চ, ২০১৭ ভোর ৬:৪৩
সারাফাত রাজ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
আমি তো প্রতিদিনই পুরানো ঢাকাকে নূতন করে দেখি।
শশরীরে আমন্ত্রণ রইলো।
৯| ২১ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪২
মো: খায়রুল ইসলাম বলেছেন: ভাল লাগল বিস্তারিত পড়ে।
২২ শে মার্চ, ২০১৭ ভোর ৬:৪৪
সারাফাত রাজ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই।
শুভকামনা জানবেন। ভালো থাকবেন সবসময়।
১০| ২২ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:২৭
জুন বলেছেন: ইতিহাস যেন বিছিয়ে আছে আপনার পুরো পোষ্ট জুড়ে সারাফাত রাজ । যে কারনেই এই ভবনগুলো তৈরী হয়ে থাকুক না কেনো এগুলোতো আমাদের এক একটি ইতিহাসের সাক্ষী । এমন কিছু পেলে পৃথিবীর অনেক দেশই লুফে নিতো আর সংস্কারের মাধ্যমে তাকে করে তুলতো আকর্ষনীয় এক পর্যটন কেন্দ্রে ।
মালয়েশিয়াতে দেখেছি সামান্য একটা কামান , ছোট একটা বাতিঘর , মালাক্কা প্রনালীতে ভাঙ্গা দুর্গের এক চিলতে দেয়াল দেখিয়ে কি ভাবে প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক টেনে নিয়ে যাচ্ছে । আর আমরা পেয়াজ রসুনের আড়ত বানিয়েছি । আমাদের প্রত্নতাত্মিক বিভাগ কি করে জানতে ইচ্ছে করে । দুর্নীতিপরায়ন কর্মচারীরা মনে হয় ঐ শব পেয়াজ আলার কাছ থেকে মোটা অংকের ----
এসব দেখলে আর পড়লেও মন খারাপ হয়ে যায় ।
+
দরিয়া ই নুর এর রহস্য নিয়ে আমিও একটি ছোট পোষ্ট দিয়েছিলাম এখানে দেখতে পারেন সময় পেলে ।
দরিয়া ই নুর
২৩ শে মার্চ, ২০১৭ ভোর ৬:৩০
সারাফাত রাজ বলেছেন: প্রথমেই আপনার সুমহান মন্তব্যের জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি আপু।
আপনার দরিয়া ই নুর আগে পড়া ছিলো। অনেকদিন পর আবারো গোগ্রাসে গিললাম।
পুরানো ঢাকার প্রতিটি ইট-পাথরই ইতিহাস। অথচ আমরা কি ভয়ঙ্করভাবে অবলীলায় এগুলো ধ্বংস করে দিচ্ছি।
পুরানো ঢাকার সবচাইতে সৌভাগ্যবান ভবন হচ্ছে আহসান মঞ্জিল। সেটি কিছুটা রক্ষা পেয়েছে। অথচ সেটার বাইরের অবস্থা খুবই করুণ।
হায়রে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ!!!
তবে পুরানো ঢাকার বিভিন্ন জায়গা দখলের ব্যাপারে যার নাম সবচাইতে বেশি উচ্চারিত হয় তিনি একজন "মাননীয়"। নামের সাথে হাজী টাইটেলও আছে।
আল্লাহ আমাদের সুবুদ্ধি দান করুন।
১১| ২২ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:০৫
সঞ্জয় নিপু বলেছেন: পুরান ঢাকার বাসিন্দা হিসেবে আমি গর্বিত এবং প্রতিনিয়ত পাশ কেটে চলা এই সব বিখ্যাত পুরোনো দালান কথার ইতিহাস জেনে অনেক ভাল লাগলো।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
২৩ শে মার্চ, ২০১৭ ভোর ৬:৩৩
সারাফাত রাজ বলেছেন: আপনার ফলের আড়তের লেখাগুলো পড়লাম। ভালো লাগলো। যেহেতু আপনি এখানকার স্থানীয় বাসিন্দা, স্বভাবতই আপনি আমার চাইতে বেশি জানবেন। পুরানো ঢাকা নিয়ে আপনার আরো লেখা এবং ছবি দেখবার আশা প্রকাশ করছি।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
১২| ২২ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:৪৭
বিলিয়ার রহমান বলেছেন: নিঃসন্দেহে সুন্দর একটা পোস্ট!
কিছু সুন্দরের অবহেলার বর্নন এবং চিত্রন পোস্টটিকে আলাদা করে তুলেছে!
প্লাস!
২৩ শে মার্চ, ২০১৭ ভোর ৬:৩৫
সারাফাত রাজ বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
ভাই আফসোসের ব্যাপার হচ্ছে মিটফোর্ড হাসপাতালটি বাদে সবগুলো ভবনেরই খুব করুণ দশা।
ভালো থাকবেন সবসময়।
১৩| ২২ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:২৩
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমরা কি সবদিকেই অভাগা ; মর্মান্তিক ব্যাপার পেয়াজ রসুনের আড়ত
আমার চমৎকার শৈশবের কিছু সময় এই অলিগলি তে কেটেছে ।
ধন্যবাদ চমৎকার লেখায় !
২৩ শে মার্চ, ২০১৭ ভোর ৬:৩৮
সারাফাত রাজ বলেছেন: আপু, আপনি যেহেতু একটা সময় এখানেই ছিলেন আপনি তো এই এলাকাটি নিয়ে স্মৃতিচারণ করতে পারেন। আমি অধীর আগ্রহে সেগুলোর জন্য অপেক্ষা করছি। আশা করি নিরাশ হবোনা।
আচ্ছা, আপনার শৈশবে কি এই অবৈধ দখলের পেয়াজ রসুনের আড়ত ছিলো?
অনেক ধন্যবাদ আপু। শুভকামনা জানবেন সবসময়।
১৪| ০৬ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৭
প্রথমকথা বলেছেন: পড়ে ভাল লেগেছে। খুব সুন্দর প্রাণবন্ত বর্ণনা, উপস্থাপন ভঙ্গি সব মিলে চমৎকার লেখা।
০৮ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ২:৪৮
সারাফাত রাজ বলেছেন: প্রথমকথাকে আমার লেখায় স্বাগত। আশাকরি সবসময় আপনাকে সাথে পাবো।
ভালো থাকবেন সবসময়।
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:১৯
পৌষ বলেছেন: নিজের পরিচিত জায়গা। ভাল লাগল বর্ণনা পড়ে।