নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন বাজেট ট্রাভেলার।

সারাফাত রাজ

পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর স্থান হচ্ছে বান্দরবান আর আমি একজন পরিব্রাজক।

সারাফাত রাজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

হৃদি ভেসে যায় অলকানন্দা জলে

০৮ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:২৩



উত্তর ভারতের হিমালয় সিরিজের অন্য পর্বগুলো

প্রচন্ড ঝাকুনিতে বাসের ছাদে মাথা ঠুকে গেল আর চিৎকার করে উঠলাম, “ওরে বাবারে! গেছিরে!!” জানালার ধারে বসে থাকা সাধু বাবা ইয়া মোটামোটা চোখ তুলে আমার দিকে তাকিয়ে বললো, “এই তুমি বাঙ্গালী?” বাপরে! গলার কি আওয়াজ। মনেহচ্ছে যেন কোন সিংহ গর্জন করে উঠলো।


এই পর্বটি উৎসর্গ করা হলো সামুর একজন আপাদমস্তক কবি অদৃশ্য মানব কে। হে অদৃশ্য মানব, আমি আপনাকে খুবই মিস করি।


ভোর পাঁচটার সময় বাসখানা যখন দেখলাম তখন আমার একেবারে আক্কেল-গুড়ুম। এটাকে অবশ্যই বাস বলা যায় না, এমনকি মিনিবাসও বলা যায় না। নাকবোচা একটা জীপগাড়িকে লেজ ধরে টানলে যা হয় এরকমই উদ্ভট একটা ইঞ্জিনচালিত বাহন। তার মধ্যে আমার সীটটা হচ্ছে সবচেয়ে খারাপ, একেবারের শেষের সারিতে পাচটি সীটের মাঝখানেরটিতে। অর্থাৎ দুপাশের দুটো জানালা থেকে দুজন করে দূরে।

ভারতের উত্তরাখন্ডের একটি বিখ্যাত পাহাড়ি ধর্মীয় শহর উত্তরকাশী থেকে পৃথিবীর একটি বিখ্যাত মন্দির কেদারনাথে যাবো। কেদারনাথ মন্দিরটি হিমালয়ের কোলে ১২,০০০ ফুট উচুতে অবস্থিত। ২০১৩ সালের প্রলয়ঙ্করী বন্যায় কেদারনাথ মন্দিরের প্রাঙ্গন ও এর আশেপাশের কমপক্ষে ৬০ টি গ্রাম পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গিয়েছিলো। মারা যায় ৬ হাজারেরও বেশি মানুষ, নিখোঁজ ২৫ হাজারের বেশি। শুধুমাত্র কেদারনাথ মন্দিরটা অলৌকিক ভাবে রক্ষা পায়। প্রচন্ড বন্যার তোড়ে প্রায় দোতলা সমান বড় একটা পাথর এসে আটকে পড়ে মন্দিরের পিছনে, সেই পাথরটাই মন্দিরের মুল কাঠামোকে টিকিয়ে রাখে। এই প্রলয়ঙ্কারী প্রাকৃতিক দুর্যোগটিকে নিয়ে প্রায়ই ন্যাশনাল জিওগ্রাফি ও ডিসকভারি চ্যানেলে বিভিন্ন ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়।


যাই হোক, উত্তরকাশী থেকে রওনা দিয়েছি শ্রীনগরের উদ্দেশ্যে। এই শ্রীনগর কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগর নয়, এটা হচ্ছে উত্তরাখন্ড রাজ্যের গাড়োয়াল বিভাগের সবচেয়ে বড় শহর এবং একদা গাড়োয়াল রাজ্যের রাজধানী শ্রীনগর।


বাস খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলেছে। পাহাড়ে উঠছে তো উঠছেই। এর যেন কোন শেষ নেই। আবার যখন নামছে তো নামছেই। পাশেই তেহেরি ড্যাম। গঙ্গা নদীকে এখানে আটকে রাখা হয়েছে। কয়েকঘন্টা ধরে চলেছি তো চলেছিই। তবু এই ড্যাম শেষ হচ্ছে না। আহারে, কতো বিপুল পরিমাণ পানি এখানে ধরে রাখা হয়েছে!


সাধুবাবা আমার সাথে গল্প জুড়ে দিলো। তাকে বললাম যে আমি বাংলাদেশ থেকে এসেছি। এটা শুনেই তিনি বাচ্চাদের মতো খুশি হয়ে গেলেন। তিনি শুনেছেন যে বাংলাদেশ পৃথিবীর সবচাইতে সুন্দর দেশ। এত্তো সবুজ! একবার তিনি নাকি পশ্চিমবঙ্গের ভগবানগোলা-লালগোলা সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ দেখেছিলেন। আহা কি সুন্দর। বাংলাদেশের মাটি দেখলেই নাকি পূণ্য হয়। তার খুবই ইচ্ছা বাংলাদেশে আসার। আচ্ছা সাধু-সন্ন্যাসীদের কি অন্যদেশে যেতে কোন অনুমতি লাগে? তার এই ছেলেমানুষি কথায় হো হো করে হেসে উঠলাম। আমার ক্যামেরায় বাংলাদেশের কতোগুলো ছবি ছিলো। সাধুবাবা সেগুলো খুবই আগ্রহের সাথে দেখতে লাগলেন।


আমাদের গল্পে আকৃষ্ট হলেন আরেক ভদ্রলোক। জিজ্ঞাসা করলেন আমরা বাংলায় কথা বলছি কিনা। বললাম যে হ্যা, আমরা যে ভাষাতে কথা বলছি এটা বাংলা। এটা শুনে তিনি বললেন যে বাংলা হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে দ্বিতীয় শ্রুতিমধুর ভাষা। প্রচন্ড পরিমানে অবাক হলাম, এরকম কোন তথ্য সত্যিই আমি জানতাম না। ভদ্রলোক আরো বললেন যে পৃথিবীর সবচেয়ে শ্রুতিমধুর ভাষা হচ্ছে ফ্রেঞ্চ, আর তারপরেই বাংলা। নিজের পরিচয় দিলেন তিনি। তার নাম Aanad Siaegh Rana. তিনি হচ্ছেন উত্তরাখন্ডের সিপিআই এর সাধারণ সম্পাদক। এতো অবাক হলাম। একটি রাজ্যের একটি রাজনৈতিক দলের সাধারণ সম্পাদক কিনা লোকাল বাসে চলাচল করছে। এটা তো আমাদের দেশে একেবারেই অসম্ভব।


সাধুবাবার সাথে আমি বাংলাতে যেসব কথা বলি আনন্দ সাহেব গভীর মনোযোগের সাথে সেগুলো শোনেন। তারপর সেই কথাগুলো হিন্দিতে তাকে অনুবাদ করে দিতে হয়। আমার হিন্দির দৌড় অবশ্য শিয়ালের মতো হুক্কাহুয়া টাইপের। আনন্দ সাহেব তারপর সেগুলো এক নেপালী যাত্রী আর এক মহারাষ্ট্রীয় যাত্রিকে ভালো হিন্দীতে শোনাচ্ছেন।


আনন্দ সাহেবের সাথেও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গল্প হচ্ছে। তিনি বললেন যে তিনি তসলিমা নাসরিনের লজ্জা বইটির অনুবাদ পড়েছেন। তাকে জানালাম যে এই বইটা পড়ার সৌভাগ্য আমার হয়নি কারণ এই বইটা বাংলাদেশ ব্যান্ড করা হয়েছে। তিনি তসলিমাকে নিয়ে কিছুটা বিষেদাগার করলেন, তসলিমার দ্বিমুখী নীতির সমালোচনা করলেন। বললেন, তসলিমা বাংলাদেশের হিন্দু সংখ্যালঘুদের অত্যাচারের বিপক্ষে সোচ্চার অথচ ভারতের মুসলমান সংখ্যালঘুদের অত্যাচারে কোন কথা বলে না। আনন্দ সাহেবকে বললাম যে তসলিমা আসলে বাংলাদেশের মূল ধারার লেখক না।


আনন্দ সাহেব এই প্রথম কোন বাংলাদেশি দেখলেন। আমাকে বললেন, চলো আমি তোমাকে এখানকার প্রেসের সাথে মিট করিয়ে দিই। তুমি এখানকার রেডিওতে বাংলাদেশ সম্পর্কে কিছু বলবে। তার এ প্রস্তাব আমার জন্য প্রচন্ড পরিমানে বিব্রতকর। বিনয়ের সাথে আমি তার এই প্রস্তাব প্রত্যাখান করলাম।


দুপুর দুইটার দিকে বাস শ্রীনগর শহরের কাছাকাছি এসে থামলো। এখানে অনেক লোক নেমে গেল। সামনে জানালার ধারে সীট খালি হওয়ায় আমি সেখানে গিয়ে বসলাম। আনন্দ সাহেবও পেছনের সীট ছেড়ে আমার পাশে এসে বসলো। তারপর জানালা দিয়ে হাত বের করে বাইরে দেখিয়ে বললো, ওই যে অলকানন্দা।


অলকানন্দার কথা ভাবলেই আমার চোখের সামনে একটা মেয়ের ছবি ভেসে ওঠে। মেয়েটার গোলাকার মুখ, টানাটানা চোখে কাজল দেয়া। কপালে বড় একটা টিপ। পরনে কমলা-সাদা তাঁতের শাড়ি। পুরোহাতার সাদা ব্লাউজ। পায়ে আলতা আর নূপুর। সবুজ ঘাসের মধ্যে চুপটি করে বসে আছে সে। ভঙ্গিতে আবেদনের চাইতে স্নেহময়তা বেশি রয়েছে। শুধু একটা বিষয় নিয়েই কনফিউশনে থাকি, তার খোপায় জবা ফুল নাকি গোলাপ ফুল! আমার মনেহয় জবাফুলেই অলকানন্দাকে বেশি মানাবে।


কিন্তু এখন আমি অলকানন্দা নদীর দিকে আমি অবাক চোখে তাকিয়ে আছি। জীবনে দুটো নদী দেখার প্রচন্ড পরিমানে শখ ছিলো, তার একটা হচ্ছে অলকানন্দা। ব্যাপারটা আমার এখনো ঠিক বিশ্বাস হচ্ছে না। এই সেই বিখ্যাত নদীটা! আনন্দ সাহেবকে বললাম, বাংলাতে অলকানন্দাকে নিয়ে লেখা আছে। তিনি খুবই অবাক হলেন। বললেন, দয়াকরে আমি তাকে সেই লেখাটার কিছু অংশ শোনাতে পারি কিনা। আরো একবার বিব্রত হলাম। জানালাম লেখাটা যে কি তা আমি একেবারেই মনে করতে পারছি না।


অলকানন্দাকে আরো কাছ থেকে দেখেছিলাম। দেবপ্রয়াগে, যেখানে সবুজ কিশোরী অলকানন্দা কিছুটা ঘোলাটে ভগিরথীর সাথে সঙ্গমরত। তাদের এই সঙ্গম থেকেই সৃষ্টি হয়েছে পৃথিবীর সবচাইতে বিখ্যাত নদী গঙ্গা। তবে সবচাইতে কাছাকাছি গিয়েছিলাম বদ্রীনাথ মন্দিরের কাছে। ছোট্ট একটা নদী অথচ তার কি বিপুল স্রোত। পুরো এক বিকাল জুড়ে নদিটির একটি নির্জন অংশে বসেছিলাম। ভালোলাগার অসাধারণ কিছু মুহূর্ত। প্রিয় একটা নদীর কাছে প্রিয় কিছু সময়। অলকানন্দাকে একেবারেই আমার নিজস্ব সম্পত্তি মনে হয়েছিলো।


অলকানন্দার উৎসস্থল নন্দাদেবী, ত্রিশূল ও কামেট শৃঙ্গের বরফগলা জল। জায়গাটা অলকাপুরী নামে পরিচিত। হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী অলকানন্দার দুপাশ ঘেঁষে পারিজাত, কল্পবৃক্ষ, মন্দার, সন্তানক আর হরিচন্দন নামক বৃক্ষের বন বিদ্যমান। আর নদীর তীরে সুরভি গাভী, ঐরাবত নামক হাতি, আর উচ্চেশ্রবা ঘোড়া চড়ে বেড়ায়। মাথার ভিতর কেমন যেন রোখ চেপে গেছে, ইনশাল্লাহ জীবনে একবার হলেও অলকাপুরীতে যাবো।


অলকানন্দাকে নিয়ে লেখাটা শেষ পর্যন্ত খুঁজে পেয়েছি। জয় গোস্বামীর লেখা একটা কবিতা।


অতল, তোমার সাক্ষাৎ পেয়ে চিনতে পারিনি বলে
হৃদি ভেসে গেল অলকানন্দা জলে
করো আনন্দ আয়োজন করে পড়ো
লিপি চিত্রিত লিপি আঁকাবাঁকা পাহাড়ের সানুতলে
যে একা ঘুরছে, তাকে খুঁজে বার করো
করেছো, অতল; করেছিলে; পড়ে হাত থেকে লিপিখানি
ভেসে যাচ্ছিল–ভেসে তো যেতই, মনে না করিয়ে দিলে;
–’পড়ে রইল যে!’ পড়েই থাকত–সে-লেখা তুলবে বলে
কবি ডুবে মরে, কবি ভেসে যায় অলকানন্দা জলে।।

মন্তব্য ৩৫ টি রেটিং +১৫/-০

মন্তব্য (৩৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৯

সঞ্জয় নিপু বলেছেন: লেখাটা ভাল হয়েছে কিন্তু আরো কিছু ছবির অভাব বোধ করেছি। পারলে এড করে দিয়েন, অনেক ভাল লাগবে।

০৮ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:৫২

সারাফাত রাজ বলেছেন: কম্পিউটার নষ্ট হয়ে সবগুলো ছবি ডিলিট হয়ে গিয়েছিলো। এজন্যই এই সিরিজটা ঠিকমতো কন্টিনিউ করতে পারিনি। তবে এখন অল্প কয়েকটা ছবি পুনরুদ্ধার করতে পেরেছি। বেশিরভাগ ছবিই এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এজন্যই ছবির পরিমান কম।

২| ০৮ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৫

বিজন রয় বলেছেন: মনোরম বিবরন।

আরো ছবি দিলে ভাল হতো।

শেষে, জয়ের কবিতা ভাল লেগেছে।

০৮ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১:৪৫

সারাফাত রাজ বলেছেন: বিজন দা, আপনার উপর আমার কিছুটা অভিমান আছে। আমার লেখাগুলোতে আপনি এতো অল্প মন্তব্য করেন! :((


ভাই, ছবি সব নষ্ট হয়ে গিয়েছিলো। এখনো পর্যন্ত অল্প কয়েকতা ছবি উদ্ধার করতে পেরেছি। এজন্যই এই লেখাটাতে ছবির পরিমান এতো কম। চেষ্টা করবো বাকী ছবিগুলো ঠিকঠাক মতো পেলে এখানে আরো কয়েকটা ছবি এড করে দিতে।


জয়ের কবিতা ভালো লাগার জন্য ধন্যবাদটা জয়ের প্রাপ্য। তার সবগুলো কবিতাই মনোমুগ্ধকর।

৩| ০৮ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১:৫৮

বিজন রয় বলেছেন: বিজন দা, আপনার উপর আমার কিছুটা অভিমান আছে। আমার লেখাগুলোতে আপনি এতো অল্প মন্তব্য করেন!

আপনি যে আমাকে এতটা, এভাবেই ভাবেন তা এতদিন বুঝতে পারিনি! আসলে আপনার সাথে আমার খুব কম কথা হয়েছে। অন্যের কাছে নিজেকে এভাবে দেখলে আসলেই ভাল লাগে, আসলেই বাঁচতে ইচ্ছে করে, আসলেই মানুষ থাকতে ইচ্ছে করে।

সত্যিই এই অনুধাবন হৃদয়ের সবচেয়ে পুরাতন এবং পবিত্রতা থেকে উৎসারিত।
আমি আজ আপনার নিকট থেকে তা পেলাম!!

কবির মতোই বলতে ইচ্ছে করল......... অতল, তোমার স্বাক্ষাৎ এবার পেলাম, চিনতে পেরেছি।

আমি ধন্য এবং গর্বিত।
আমি যদি ব্লগে নিয়মিত থাকতে পারি তো অবশ্যই আমাকে পাবেন।

আপনার জন্য সবসময়ের শুভকামনা রইল।

১২ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:৪৪

সারাফাত রাজ বলেছেন: ভাই, এতো অল্পে কাউকে আর খুশি হতে দিখিনি। শুধু খুশি না, বেচে থাকার মতো খুশি। এ আমার জন্য সৌভাগ্য।

অল্পতে খুশি হতে নেই, তাহলে অল্পতেই দুঃখ পেতে হয়।

আপনি ব্লগে অনেক নিয়মিত, আমি দেখেছি। এবং আমি আমার লেখাতে আপনার পদচারণা চাই।

শুভকামনার জন্য অনেক ধন্যবাদ। ভালোবাসা জানবেন।

৪| ০৮ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:১৩

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: এত ফাকি কেন?
ছবি দেননি বুঝলাম কিন্তু লেখাটাও খুব ছোট।
আপনি আপনার লেখার মাধ্যমে কিছু কিছু বিষয় তুলে ধরেন। আর মনে মনে আফসোস করেন আহা আমাদের দেশে যদি এমন হত।
এই যেমন এই লেখাটিতে আপনি বলেছেন, একটি রাজ্যের একটি রাজনৈতিক দলের সাধারণ সম্পাদক কিনা লোকাল বাসে চলাচল করছে। এটা তো আমাদের দেশে একেবারেই অসম্ভব।
ঠিক তাই একেবারেই অসম্ভব।
এখন কিন্তু খুব কম লিখছেন। আরও লেখা চাই।
ভাল থাকুন।

১২ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:৪৯

সারাফাত রাজ বলেছেন: লেখা ছোট মানে! X( আপনার কবিতার চাইতে অনেক অনেক বড়। ;)

হা হা হা হা

লেখাটা ইচ্ছা করেই ছোট করে লিখেছি, কারণ এটাকে ঘিরে আরো কয়েকটা বড় লেখার পরিকল্পনা আছে তো। তবে কথা হচ্ছে পরিকল্পনা করতেই আনন্দ, বাস্তবায়ন করা কষ্টকর। B-)

ভালো থাকবেন ভাই।

৫| ০৮ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:০৮

রঞ্জন সরকার জন বলেছেন: উত্তরাখন্ড সত্যিই একটু অপরিচিত বাংলাদেশীদের কাছে। সেটার মূল কারণটা বোধহয় ধর্মীয়। ভারতের অন্যান্য অনেক রাজ্যের মত মোহময় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এখানে ছড়িয়ে থাকলেও খুব বাংলাদেশীই উত্তরাখন্ড ভ্রমণে গিয়েছেন। ইন্টারনেট ঘাটলে যত শিমলা-মানালি-কাশ্মীর ভ্রমণের কাহিনী পাওয়া যায়, তার সিকিভাগও উত্তরাখন্ডের ব্যাপারে পাওয়া যায় না। ছড়িয়ে থাকা হিন্দুধর্মের তীর্থস্থানগুলো বোধহয় এটার মূল কারণ।

১৫ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১০:২৭

সারাফাত রাজ বলেছেন: ভাগ্যিস বাংলাদেশীরা উত্তরাখন্ড যায় না, কারণ যেখানেই বাংলাদেশীরা যায় সেখানেই মোটামুটি বিশৃঙ্খলা করে আসে। উত্তরাখন্ডে না যাবার ব্যাপারে ধর্মীয় কারণটাই প্রধান নয়, আসলে বাংলাদেশীরা জানেই না ব্যাপারটা সম্পর্কে। বেশিরভাগ বাংলাদেশী ইন্ডিয়া ভ্রমণ সম্পর্কে যা জানে তা হচ্ছে কলকাতা, দার্জিলিং, আগ্রা। হাল আমলে সিমলা -মানালি নিয়ে বেশ লাফালাফি করছে।

ভাগ্যিস উত্তরাখন্ড যায় না। উত্তরাখন্ড এখনো অদ্ভুতরকমের সুন্দর আছে।

ভালো থাকবেন, আশা করি এই সিরিজটা ভালো লাগবে।

৬| ০৮ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:২৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: খুব সুন্দর বর্ণনা !!

১৫ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১০:২৯

সারাফাত রাজ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু। আশাকরি সিরিজের সবগুলো পর্বই ভালো লাগবে। :)

৭| ০৮ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:০২

তাওহিদ হিমু বলেছেন: আহা! তৃপ্তি! বেশি বড় ও ছবিসমৃদ্ধ না হলে অবশেষে পেলাম আপনার ভ্রমণব্লগ! কী যে ভাল লাগে, বুঝাতে পারব না।
ইদানীং ভ্রমণের পথঘাটের বর্ণনার চেয়ে সাহিত্য সৃষ্টির প্রবণতা আপনার মাঝে বেশি দেখা যাচ্ছে। সাহিত্যিক হয়ে যাচ্ছেন :) সেটা ভাল। কিন্তু পথঘাট ও মানুষের বর্ণনা যেন না কমে। ধন্যবাদ আপনাকে। পরের ব্লগের অপেক্ষায় রইলাম।

১৫ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১০:৩৬

সারাফাত রাজ বলেছেন: আপনি যে এতো আগ্রহ সহকারে লেখাগুলোর জন্য অপেক্ষা করে থাকেন তা আগে বুঝিনি। :) ব্যাপারটা আমার হৃদয় ছুয়ে গেল।

সাহিত্যিক হয়ে যাচ্ছি
হা হা হা হা

ভালো বলেছেন!! তা ভাই মাঝে মাঝে ভ্রমণ কাহিনী না লিখে ভ্রমণ সাহিত্য সৃষ্টি করতে ইচ্ছা করে।

হা হা

ব্যাপারটা সেরকম নয়। এটা হচ্ছে "বিবিধ" পর্বের অন্তর্ভুক্ত। এই লেখাগুলো কিছুটা এরকমই হবে।

ভালো থাকবেন ভাই, শুভকামনা জানবেন।

৮| ০৯ ই জুন, ২০১৭ রাত ২:৪০

ওমেরা বলেছেন: আল্লাহ আপনাকে তাড়তাড়ি সুস্থ্যতা দান করুন । আমীন ।

লিখা ও ভাল লেগেছে তার জন্য ধন্যবাদ ।

১৫ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১০:৩৯

সারাফাত রাজ বলেছেন: আল্লাহর রহমতে অনেকতা সুস্থ এখন। ওমেরাকে অনেক ধন্যবাদ।


লেখা ভালো লাগার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

ভালো থাকবেন সবসময়।
:)

৯| ০৯ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৮:৪৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: লেখা পড়ে কমেন্ট করতে এসে দেখি আপনি অসুস্থ্য! বাপরে বাপ! ১০৫! এত জ্বর কিভাবে বাঁধালেন? নিজের অনেক খেয়াল রাখুন। প্রচুর রেস্ট নিন। জলদিই সুস্থ্য হয়ে যান।

লেখা নিয়ে বলতে গেলে ভ্রমণ কাহিনীতে আরো ছবি হলে ভালো হতো। তবে ভীষনই সাবলীল প্রানবন্ত বর্ণনা। পড়তে মজা লেগেছে।

আমার সকল দোয়া ও শুভকামনা রইল।
সুস্থ্য, সুন্দর জীবন কাটান।

১৫ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১০:৪৬

সারাফাত রাজ বলেছেন: আপু, জ্বর কিভাবে বাধিয়েছি তা জানি না। তবে জ্বর যে শুধুমাত্র আমার উপর দিয়েই গেছে এতে আমি খুবই খুশি। কারণ বাসায় বাকী যে দুজন সদস্য আছে তারা এমনিতেই বিছানাগত, জ্বর তাদের ধরলে আর রক্ষা ছিলো না।
প্রচুর রেস্ট নিচ্ছি। কিন্তু দ্রুত সুস্থ হবার সেরকম কোন লক্ষণ নেই। জ্বর সেরে গেছে, কিন্তু শরীরে এখন টর্নেডো পরবর্তী অবস্থা। একেবারে কাহিল হয়ে গেছি।


লেখাটার ব্যাপারে বলতে পারি যে, এই লেখাটার রিলেটেড আর ছবি ছিলো না দেবার মতো। আসলে আমার সবগুলো ছবি নষ্ট হয়ে গেছে। সেগুলো উদ্ধারের আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছি। আশাকরি পরবর্তী লেখাগুলোতে যথেষ্ট পরিমান ছবি থাকবে।

দোয়া ও শুভকামনার জন্য আন্তরিকতা জানাচ্ছি। :)

আপু ভালোবাসা জানবেন। ভালো থাকবেন সবসময়।

১০| ১০ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৭

রাজীব বলেছেন: কেমন আছেন এখন? শরীরের যত্ন নিন। প্রচুর পানি পান করুন।

১৫ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১০:৪৯

সারাফাত রাজ বলেছেন: রাজীব ভাই, অনেক অনেক অনেকদিন পর আপনাকে পেলাম। কেমন আছেন ভাই?

শরিরের যত্ন নেবার চেষ্টা করছি।
এতোদিন পর, আর এতোটুকু মন্তব্য!!!!

১১| ১০ ই জুন, ২০১৭ রাত ১০:২৫

ক্লে ডল বলেছেন: আশা করি আপনার জ্বর সেরে আপনি এখন সুস্থ।

"অলকানন্দা" নামটা ভারি মায়াবী ত!

১৫ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১০:৫৫

সারাফাত রাজ বলেছেন: জ্বর সেরে গেছে। কিন্তু জ্বর তার প্রভাব বিপুলভাবে রেখে গেছে। এখন আমার শরীরে ঝড় পরবর্তী অবস্থা।

অলকানন্দা নামটি যেমন মায়াবী, নদীটা তার চাইতেও মায়াবী।

১৫ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:০১

সারাফাত রাজ বলেছেন:
মায়াবী অলকানন্দার আরেকটি ছবি

১২| ১১ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৩

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: খুব চমৎকার বর্ণনা। আপনাকে আগেও বলেছি, ভ্রমন কাহিনীতে বর্ণনা একটি গুরুত্বপূর্ন ব্যাপার। যাইহোক, ছবি ছাড়া ভ্রমন কাহিনী নির্বাচিত পাতায় বেমানান। শুধু মাত্র লেখনী দিয়ে আর কত নির্বাচিত হবেন?? B-)

১৫ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:০৫

সারাফাত রাজ বলেছেন: আরে!!! আমার লেখাটা যে আলো ঝলমল করছে! B-)

জাদিদ ভাই, লেখা নির্বাচিত পাতায় যাবার দরকার নাই। আপনি এসে মাঝে মাঝে আমার লেখায় পদচারণা করবেন, তাহলেই হবে।
নির্বাচিত পাতায় ঠায় পাবার চাইতে আপনার পদচারণ আমার কাছে বেশি মূল্যবান। :D

১৩| ১২ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ২:৪৪

নতুন নকিব বলেছেন:



রাজ ভাই,
আপনার অসুস্থতা দ্রুত সেরে উঠুক। পোস্ট অনন্য।

সুস্থতা ফিরে পেলে জানালে খুশি হব।

১৫ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:০৭

সারাফাত রাজ বলেছেন: ভাই কেমন আছেন?

আল্লাহর রহমতে সুস্থ, তবে খুবই দুর্বল।
দোয়া করবেন ভাই।

১৪| ১২ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৩

করুণাধারা বলেছেন: আশাকরি সুস্থ হয়ে উঠেছেন।

সবকটি পর্ব পড়লাম।আপনার ভ্রমণকাহিনী অন্যরকম। ভ্রমনের গল্পের পাশাপাশি নিজের নানা।অভিজ্ঞতার গল্পও বলছেন। খুব ভাল লাগল। পরের কিস্তির অপেক্ষায় থাকলাম।

ভাল হয়ে উঠুন তাড়াতাড়ি।

১৫ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:০৯

সারাফাত রাজ বলেছেন: আল্লাহর রহমতে এখন অনেকটাই সুস্থ। :)

লেখাগুলো ভালো লাগার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আশাকরি সবগুলো পর্বেই আপনাকে পাশে পাবো।

ভালোলাগা জানবেন, ভালো থাকবেন সবসময়। B-)

১৫| ১৫ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:১৫

নতুন নকিব বলেছেন:



জ্বি, আলহামদুলিল্লাহ।

জেনারেল হয়ে বসে আছি। ব্লগে মন বসে না। এখানেও মাউসের কারসাজিতে অনেককে দেখি আলোচিত পাতায় পোস্ট পৌঁছে দেয়। এসব ভাবা অসহ্য।

আজকে অবশ্য আমার দেয়া ছোট একটি পোস্ট আছে। লিঙ্ক দিলাম আপনার দেখার সুবিধার্থে-
বাপ দাদার ধর্ম ছেড়ে আসুন আমরা সবাই নতুন সালাফী ধর্মের দীক্ষা গ্রহন করি

রাজ ভাই,
টানা রেস্টে থাকা প্রয়োজন। দুর্বলতা পুরোপুরি না কাটা পর্যন্ত। চেষ্টা করে যান। আমাদের দোআ আপনার সঙ্গী হোক। ইনশাআল্লাহ দ্রুত আরোগ্য লাভ করবেন।

১৬ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১০:১৮

সারাফাত রাজ বলেছেন: আপনার লেখাটা পড়লাম, ভিউয়ের পরিমান কম। মনেহয় প্রথম পাতায় শো হচ্ছে না। কারণটা কি?

ব্লগে বোধহয় জেনারেল, সেফ এই ব্যাপারগুলো আছে। আমি ঠিক এগুলো বুঝি না। বুঝি না মানে কখনো এগুলো ভেবে দেখার দরকার পড়েনি।

ভাই, ব্লগ একটি স্বাভাবিক ব্যাপার। এটাকে খুবই গুরুত্ত্ব হিসাবে নেয়া ঠিক কিনা আপনিই ভেবে দেখবেন।

ভালো থাকবেন। :)

১৬| ২৩ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ , অসাধারণ হয়েছে ভ্রমন বিবরণীটি । পাঠে বেশ কিছু অজানা তথ্য উঠে এসেছে লেখাটিতে ।
গতানুগতিক ছবি সমৃদ্ধ ভ্রমন বিবরণীর ভীরে এই ভ্রমন বিবরণীটিকে বেশ ব্যতিক্রমি মনে হয়েছে ।
সুন্দর প্রাঞ্জল বিবরণির কারণে এটা পাঠে অতি সহজেই মনের মাঝে ভেসে
উঠেছে অলকানন্দ , তার পারিপারশিক অবস্থা ও ঐতিহাসিক কিছু ঘটনা প্রবাহ ,
সাধারন ও জ্ঞানী মানুষের মুল্যবান কিছু কথোপকোথন ভিন্ন মাত্রা দিয়েছে লেখাটিকে ।
ভাল লেগেছে অলকানন্দাকে নিয়ে লেখা জয় গোস্বামীর কবিতাটি ।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল



২৮ শে জুন, ২০১৭ সকাল ৮:৫৮

সারাফাত রাজ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।

লেখাটা বোধহয় বেশ ব্যাতিক্রমই হয়ে গেছে। মানে ছবি কম। আসলে ছবিগুলো নষ্ট হয়ে গিয়েছিলো। তার কয়েকটা অবশ্য উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।

সবকিছু ভালো লাগার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

জয় গোস্বামীর কবিতাটি তো অসাধারণ।

ভালো থাকবেন। শুভকামনা জানবেন।
:)

১৭| ২৫ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১:৫৯

বিজন রয় বলেছেন: অল্পতে খুশি হতে নেই, তাহলে অল্পতেই দুঃখ পেতে হয়। [/sb

হা হা হা .............. জীবনের এপিট-ওপিট অনেক পিট দেখা হয়েছে, তাই দুঃখ অত সহজে আমাকে ধরতে পারেন না। বরং আমিই দুঃখকে তাড়িয়ে বেড়াই।

নতুন পোস্ট দিয়েছেন, যাই ওখানেই কথা বলি।

২৮ শে জুন, ২০১৭ সকাল ৯:১৮

সারাফাত রাজ বলেছেন: ভাই, অভিজ্ঞ মানুষ আপনি। জীবনের সবকটা পর্যায় নিয়ে আপনি তো জানবেনই। দুঃখকে তাড়িয়ে নিয়ে বেড়ানোর ব্যাপারটি কৌতূহলউদ্দীপক। আশাকরি কোন একসময় আপনি সেটা জানাবেন।

আশাকরি নূতন পোস্ট ভালো লেগেছে। ওখানেই কথা বলি...।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.