নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন বাজেট ট্রাভেলার।

সারাফাত রাজ

পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর স্থান হচ্ছে বান্দরবান আর আমি একজন পরিব্রাজক।

সারাফাত রাজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুসলমান! বের হয়ে যাও .... মুসলমান! ক্ষমা করো

০৮ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১:৪৪



অন্য পর্বগুলো
৩২ ঘন্টা ১৫ মিনিটের ট্রেন জার্নি ছিলো, লেট হয়ে সেটা সাড়ে ৩৫ ঘন্টায় ঠেকেছে। মাঝে ৭২টা স্টপেজ ছিলো। সনাতন ধর্মলম্বীদের কাছে দেবভূমী খ্যাত হরিদ্বার ষ্টেশনটিতে যখন নামলাম তখন জ্বরের কারণে আমার অবস্থা বেশ কাহিল। সকালের সূর্য বেশ কড়া রোদ ছড়াচ্ছে। অনেক বড় একটা স্টেশন, বেশ ঘুরে ঘুরে যখন আমি বাইরে এলাম তখন মনটা বেশ ভালো হয়ে গেল। বেশ পরিপাটি একটা জায়গা। দলবাধা তীর্থযাত্রীতে জায়গাটা গমগম করছে। অন্যান্য যাত্রীরা যখন স্টেশন থেকে বের হয়ে রিক্সা বা অটোতে করে শহরের দিকে চললো আমি আমার ভারী ব্যাগটা পিঠে ঝুলিয়ে ভালো করে শরীরের সাথে বেধে নিলাম, তারপর শহরের দিকে যাত্রা শুরু করলাম। পায়ে হেঁটে নূতন জায়গা দেখার রোমাঞ্চই অন্যরকম।


কিছুক্ষণ পর আমি যখন শহরটাতে পদার্পণ করলাম সঙ্গে সঙ্গে আমার মনে যে কথাটা ফুটে উঠলো তা হচ্ছে, “এটা তো পুরোই রুপকথার এক রাজ্য”।


অন্য সবাই কিভাবে দেখবে জানি না, কিন্তু আমি আমার নিজের মতো করে দেখেছি। প্রাগৈতিহাসিক একটা শহর, যার সভ্যতা কতো পুরানো তা কে জানে! সরু পথের শহর, সরু গলির শহর, পুরানো ভবনের শহর, পুরানো মানুষের শহর, মন্দিরের শহর, কাসা-তামা-পিতলের শহর, নিরামিষের শহর, জীভে জল আনা পথ খাবারের শহর, উপাচার সামগ্রীর শহর। তবে সবকিছুকে ছাপিয়ে যায় যে এটা সর্বোপরি গঙ্গার শহর। এখানকার গঙ্গা এক অন্যরকম গঙ্গা। অন্য কোনখানের সাথে এখানকার একেবারেই মিল নেই। সদ্য পাহাড় ছেড়ে সমতলে নেমে আসা চঞ্চলা নদীটি তার শরীরের বিস্তৃতি বাড়িয়ে গাম্ভীর্য ধারনের চেষ্টা করছে। পাহাড়ি দুরন্তপনা এখনো তাকে ছেড়ে যায়নি। তার যৌবনের উচ্ছলতাকে বেধে রাখার জন্য যথেষ্ট পরিমাণ চেষ্টা করা হয়েছে দু’তীর ঘেষে। এইরকম একটা শহরকে দেখে মুগ্ধ না হয়ে পারা যায়! ‘লাভ এট ফার্স্ট সাইট’ বলতে যা বোঝায় আমার ঠিক তাই হলো।


শহরের প্রধান পথ দিয়ে হেটে চলেছি। রাস্তার দুপাশে দোকান। দোকানে মালপত্র উপছে উঠছে। ক্রেতার সংখ্যাও কম নয়। নদী থেকে সদ্য স্নান করে আসা পূর্ণার্থীরা বিভিন্ন জিনিসপত্র দরদাম করছে। আশেপাশের মন্দিরগুলো থেকে ঘন্টা ধ্বনি ভেসে আসছে। সবচাইতে বিখ্যাত আর পূণ্যভরা ঘাট হর কি পৌরি থেকে কীর্তন শোনা যাচ্ছে। শহরজুড়ে প্রাচীন ধর্মশালা আর হোটেলের ছড়াছড়ি। সরু অলিগলি একেবেকে বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে পড়েছে। সবকিছু মিলিয়ে জমজমাট একটা শহর। আমার মনেহচ্ছে সময় পিছিয়ে আমি যেন ঠিক মধ্যযুগে এসে পড়েছি।


গাড়োয়াল এই রাজ্যে কোন কোন হোটেলের সাইনবোর্ডে বাংলা লেখাও দেখতে পাচ্ছি। সেরকম একটা হোটেলে ঢুকলাম। সরু একটা গলি তার প্রবেশপথ। একজন তরুন বসে আছে সেখানে। রুম লাগবে শুনে সে আমাকে চারতলার ছাদে নিয়ে গেল। ছাদের এককোনে পরিচ্ছন্ন একটা রুম। এটাস্ট বাথরুম। রুমের জানালা দিয়ে গঙ্গা দেখা যাচ্ছে, প্রচন্ড বাতাস। সবচাইতে বড় কথা রুমের সাথে এই এতোবড় ছাদ পুরোটাই ফ্রি। ডাবল বেডের এই রুমটার ভাড়া মাত্র ২০০ রুপি। মনটা খুশিতে ভরে উঠলো।


ফর্ম পূর্ণ করার জন্য নীচে নেমে এলাম। হোটেল মালিক তখন ডেস্কে বসে আছে। রুম খুবই পছন্দ হয়েছে শুনে হেসে সে আমার দিকে রেজিস্ট্রার খাতা এগিয়ে দিলো। সবকিছু পূরণ করছি। নাম, বয়স, ঠিকানা, সেক্স, আগমনের তারিখ, আগমনের কারন, প্রস্থানের সম্ভাব্য তারিখ। ধর্মের জায়গাটা পূরণ করলাম। মালিক জিজ্ঞাসা করলো, এটা কি লিখলে? বললাম, মুসলিম। তখন সে করলো কি আমার কাছ থেকে খাতাটা কেড়ে নিলো। তারপর আমি যে তথ্যগুলো পূরণ করেছিলাম সবগুলো খুবই হিজিবিজি করে কেটে দিলো। আমাকে বললো, এখানে কোন মুসলিমের জায়গা নেই। এক্ষুনি এখান থেকে বের হয়ে যাও। আমার মনেহলো আচমকা আমাকে কেউ যেন কষিয়ে চড় বসিয়ে দিয়েছে। দাত দিয়ে নীচের ঠোট কামড়ে নিজেকে সামলানোর চেষ্টা করছি।


বের হয়ে আসলাম এই হোটেল থেকে। আচ্ছা্‌, আমার কি অপমানিত বোধ করা উচিত!


পাশের আরেকটা হোটেলে গেলাম। সেখানে বললাম, আমি একজন বাংলাদেশি মুসলমান হিসাবে আপনাদের হোটেলে কি থাকার জায়গা পেতে পারি? হোটেল ডেস্কে তিনজন বসে ছিলো। এরা মুখে জবাব দেবারও চেষ্টা করলো না। খুবই অবহেলার সাথে হাতের উল্টোপিঠ দিয়ে যে ভঙ্গি করলো তার মানে হচ্ছে, ধুর!বিদায় হ!


রাস্তা দিয়ে হেটে চলেছি, এক দালাল এলো আমার কাছে। রুম লাগবে কিনা জিজ্ঞাসা করলো। বললাম, অবশ্যই লাগবে। সে বললো ভাড়া ৩০০ রুপি। জানালাম, আমি একজন বাংলাদেশী এবং মুসলমান। একথা শুনে সে আমাকে একটু অপেক্ষা করতে বলে কোথায় যেন ফোন করলো। তারপর তাদের ভাষায় কথা বললো, এটা বোধহয় গাড়োয়ালী ভাষা। ফোনে কথা বলা শেষে আমাকে জানালো ৭০০ রুপি পড়বে রুম ভাড়া। তাকে ধন্যবাদ জানিয়ে আমি সামনে এগিয়ে চললাম।


আমার ততোক্ষণে রোখ চেপে গেছে। আমি একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছি। আমি আর তিনটা হোটেল দেখবো। সেখানেও যদি এরকম পরিস্থিতির সম্মুখীন হই তাহলে সঙ্গে সঙ্গে আমি প্রথম যে ট্রেন অথবা বাস পাবো সেটাতে চড়ে এই শহর ছেড়ে চলে যাবো। এই শহরের একফোটা পানিও মুখে দেব না। যতো দ্রুত পারি ইন্ডিয়া থেকে বের হবো। এবং জীবনে আর কখনোই ইন্ডিয়াতে আসবো না।


শহরের একেবারে প্রথমে চলে এলাম। এখান থেকেই শুরু করবো। প্রথম যে হোটেলটা চোখে পড়লো সেটাতে এগিয়ে গেলাম। একটা চ্যাংড়া ছেলে দাঁড়িয়ে ছিলো। তার সাজসজ্জ্বা বেশ কিম্ভূতকিমাকার। অন্যসময় হলে আমি নিশ্চয় হেসে ফেলতাম, কিন্তু এই মুহূর্তে আমি বিষন্ন। তাকে সেই একই কথার পুনরাবৃত্তি করলাম। আমি একজন মুসলমান, আমি একজন বাংলাদেশী। আমি কি থাকার জন্য তোমার হোটেলে জায়গা পেতে পারি? ছেলেটা হো হো করে হেসে বললো, তুমি মুসলমান এবং বাংলাদেশি তাতে সমস্যা কি?



উত্তরাখন্ডের অন্যান্য যে শহরগুলোতে গিয়েছি তার অধিকাংশ শহরেই আমাকে কোন পরিচয়পত্র তো দূরে থাক নামও বলতে হয়নি। তবে যে দু’য়েকটি জায়গাতে পরিচয়পত্র দেখানোর প্রয়োজন পড়েছিলো সেগুলোতে আমি আমার ভার্সিটির আইডি কার্ড শো করেছিলাম। আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম একজন হিন্দু দেবতার নামে মিলে যাওয়াতে আর কোন প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়নি।



অথচ আমি ভুজবাসাতে হিন্দু আশ্রমে থেকেছি। সেখানকার সাধু নিজ হাতে পরিবেশন করে আমাকে খাইয়েছে। তপোবন নামে হিমালয়ের এক দুর্গম পাহাড়ে একজন সন্ন্যাসি তপস্যা করেন। এই মহাত্মা ১২ বছর কারো সাথে কোন কথা বলবেন না, এটা তার তপস্যার একটা অংশ। এই নির্জন অঞ্চলে তাকে ঘিরে বাসা বেধেছে কতোগুলো পাহাড়ি বন্য প্রানী। এখান থেকে সবচেয়ে কাছের অস্থায়ী শহরটাতে হেটে যেতে দু’দিন লাগে। এই মহাত্মা নিজ হাতে খিচুড়ি রেধে খাইয়েছিলেন। কেদারনাথ থেকে হেটে আসার সময় কেদারনাথ মন্দিরের এক পুরোহিতের সাথে আমার পরিচয় হয়েছিলো। প্রায় ১৯ কিলোমিটার পথ আমি আর সে একসাথে হেটে এসেছিলাম। পথে আমি তাকে ইসলামি বাংলা গজল শুনিয়েছি, সে আমাকে সূর্যশ্লোক শুনিয়েছিলো। আমার প্যাকেট থেকে বিস্কিট খেয়েছে সে, আমার বোতল থেকে পানি। গাড়িতে চড়ার সময় আমার ভাড়াটুকুও দিয়ে দিয়েছিলো সে। আমি পরে জোর করে ফেরত দিয়েছি। তারপর আমাদের পথ যেখান থেকে আলাদা হয়ে গেল সেখানে খুব যত্ন করে আমাকে গাড়িতে তুলে দিয়েছিলো সে।



যমুনাত্রী নামের একটা জায়গা থেকে ফেরত আসছি। যমুনাত্রি হচ্ছে সেই জায়গা যেখানকার পাহাড়ের কতোগুলো ঝরনা থেকেই বিখ্যাত যমুনা নদী উৎপত্তি হয়েছে। এখানে হেটে যেতে হয়। সবচেয়ে কাছের জনপদটির নাম হচ্ছে জানকিচাট্টি। এই জানকিচাট্টি থেকেই জীপে উঠেছি বারকোট নামে একটা জায়গাতে যাবার জন্য। পাহাড়ী বিপদসংকুল পথ, বেশ কয়েক ঘন্টার জার্নি। জীপের পিছনের লম্বালম্বি সীটে উঠেছি। আমার মুখোমুখি বসেছে দক্ষিন ভারতের এক আশ্রম থেকে তীর্থে আসা একজন পৌড় সাধু। তার সঙ্গী বেশ কয়েকজন শিষ্য। সবার পরনেই সাদা পোষাক। ফতুয়া আর লুঙ্গি টাইপের পোষাক। লুঙ্গি ঠিক না, ধুতি পেচিয়ে পেচিয়ে লুঙ্গির মতো পরা। শ্মশ্রুমন্ডিত সৌম্য চেহারা সাধুর। আমি বাংলাদেশ থেকে এসেছি শুনে কৌতূহলী হয়ে আমার সাথে কথা বলা শুরু করলেন।


তার দেশ কেমন লাগছে জানতে চাইলেন। ভারত সম্পর্কে আমার বিভিন্ন অভিজ্ঞতাও শুনছেন গভীর মনোযোগ দিয়ে। তার নিজের দক্ষিণ ভারত নিয়েও কথা বলছেন। গল্প করতে করতে আমি আমার হরিদ্বারের ঘটনাগুলোর কথা বললাম। জানালাম যে মুসলমান এবং বাংলাদেশী হবার কারণে আমাকে কিরকম হেনস্থার শিকার হতে হয়েছিলো। এটা আমার জন্য তিক্তকর অভিজ্ঞতা। আমার কথা শুনে এই পৌড় সাধু যা করলেন এরকম কিছুর জন্য আমি একেবারেই প্রস্তুত ছিলাম না। তিনি হাত জোড় করে কপাল স্পর্শ করলেন, তারপর মাথা নিচু করে আমার হাঁটুতে ঠেকিয়ে বললেন, “ক্ষমা করো, ক্ষমা করো, ক্ষমা করো।পুরো ভারতবাসীর পক্ষ থেকে আমি তোমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। যারা তোমার সাথে এমন ব্যাবহার করেছে তারা পাপ করেছে। তারা একেবারেই ধার্মিক নয়। ধর্ম মানুষকে বড় হতে শেখায়। তারা বড় হতে পারেনি, এটা তাদের ব্যর্থতা। এটা আমাদের ব্যর্থতা......।’’


সাধু আরো অনেক কথা বলেছিলেন। আমি সত্যিই সেইসব হোটেলওয়ালাকে মন থেকে ক্ষমা করে দিয়েছি।



হরিদ্বার শহরের কতোগুলো ছবি.....




হরিদ্বার রেল স্টেশনের অভ্যান্তর



হরিদ্বার রেল স্টেশন



স্টেশন থেকে বের হলে শহরে যাবার জন্য এরকম টাঙ্গা চোখে পড়বে



ধর্শামলাগুলো এমন পুরানো


গলির শহর



কাসা-তামা-পিতল



অলি-গলির বাজার



গলির বাজার ও ক্রেতার ভীড়



নিরামিষ শহর, এজন্য মিষ্টির আধিক্য বেশি




কাসা-তামা-পিতল



কাসা-তামা-পিতল



শহর থেকে মনসা মন্দিরে যাবার কেবল কার




শহরের পবিত্র প্রানী। এগুলো যথেচ্ছ যেতে পারে।




অলঙ্কারের শহর



অলিগলিতে অলংকারের দোকান। এগুলো কিন্তু স্বর্ণ নয়।



বিভিন্ন সামগ্রীর দোকান। পুরো শহর জুড়েই এরকম দোকানের ছড়াছড়ি।



পূজার উপাচার সামগ্রী



গঙ্গা নদী



হর কি পৌরি ঘাট




হরি কি পৌরি ঘাটে স্নানরত পূর্ণার্থী




পুরুষদের স্নানদৃশ্য। সঙ্গত কারণেই নারীদের স্নানদৃশ্যের ছবি দেয়া হলো না।





গঙ্গাস্নান ও পূজাঅর্চনা




বাহারি সুস্বাদু মিষ্টি



পথ খাবার




কাসা-তামা-পিতল




ঘর সাজানোর সামগ্রী



পুরাতন শহরটির পথ




দরদামরত ক্রেতা


৬। আমি আরো একবার হরিদ্বার শহরে গিয়েছিলাম। আমি আবারো এই শহরটাতে যাবার জন্য অপেক্ষা করে আছি। এতো জমজমাট এবং গমগমে শহর আমি আর কোথাও দেখিনি।


মন্তব্য ৬৩ টি রেটিং +১৫/-০

মন্তব্য (৬৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১:৪৭

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: ছবি তো দেখা যায় না সব
সমস্যা কি?

০৮ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:০৯

সারাফাত রাজ বলেছেন: দুঃখিত। পোস্ট করার সময়ই নেট চলে গিয়েছিলো। হয়তো সেকারনেই কোন সমস্যা। আমি দেখছি কি করা যায়। আমি কিন্তু সবগুলো ছবি দেখতে পাচ্ছি।

২| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:০০

আনু মোল্লাহ বলেছেন: সাম্প্রদায়িকতা ইন্ডিয়াতে খুব বড় সমস্যা।
ছবিগুলো দেখছি না।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:১৪

সারাফাত রাজ বলেছেন: ইন্ডিয়াতে অনেক সম্প্রদায়ের মানুষ বাস করে। তবে আমরা প্রায়ই সংবাদপত্র মারফত বিভিন্ন ধরনের উত্তেজনার খবর পাই। ঘটনাগুলো ব্যাথিত করে।

ছবিগুলো নিয়ে কি সমস্যা হয়েছে আমি ঠিক বুঝতে পারছি না। কারণ আমি সবগুলো ছবিই দেখতে পাচ্ছি। তারপরও আবার নূতন করে ছবি সংযোজনের চেষ্টা করছি।

ভালো থাকবেন ভাই। মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৩| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:০৩

এখওয়ানআখী বলেছেন: অসাধারণ পোস্ট। খুবই ভাল লেগেছে। ক্ষমাই উত্তম। আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৫

সারাফাত রাজ বলেছেন: পোস্ট ভালো লাগার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাই। আল্লাহ আপনার দোয়া কবুল করুন।

ভালোবাসা জানবেন। শুভকামনা জানবেন সবসময়।

:)

৪| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:০৭

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: যাক অনেক দিন পরে তবে ফিরলেন!
তা কেমন আছেন সারাফাত ভাই?
লেখা খুব সুন্দর হয়েছে তবে ছবি শেষের তিনটা ছাড়া আর একটিও দেখতে পারছিনা।
ভাল মন্দ মানুষ সব স্থানেই আছে। আপনি ধর্মবিদ্বেষে পড়ে যে হেনস্তা হয়েছিলেন তারপরও যে তাদেরকে মন থেকে ক্ষমা করে দিয়েছেন এতে করে আপনি আপনার বড় মনের পরিচয়ই দিয়েছেন। আমি হলে এত সহজেই ক্ষমা করতে পারতাম না।
ভাল থাকুন। আর এভাবে হাওয়া না হয়ে গিয়ে মাঝে মাঝে পোষ্ট করুন।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৪

সারাফাত রাজ বলেছেন: ফিরলাম ভাই। :D
কম্পিউটার নষ্ট হয়ে গেছে। বন্ধুর ল্যাপটপ থেকে পোস্ট করছি, এজন্যই এতো দেরী।

আলহামদুলিল্লাহ আমি ভালো আছি। আপনি কেমন আছেন?

ছবি সংক্রান্ত সমস্যা বোধহয় শেষ পর্যন্ত সমাধান করতে পেরেছি। চেক করে দেখবেন দয়াকরে।

মন্তব্যেই সুন্দর কথা বলেছেন, ভাল মন্দ মানুষ সব স্থানেই আছে।

অনেক সময়েই অনেক কিছুতে ক্ষমা করতে পারিনি। ছোটখাটো শোধ নিয়েছি। যদি কখনো সেগুলো লেখা হয় তবে আশাকরি পড়বেন। সেই শোধগুলি ছিলো সম্পূর্ণই আমার ছেলেমানুষি আর দুষ্টুমিতে ভরা। :#)


ভালো থাকবেন ভাই। চেষ্টা করবো আরো লেখার। দোয়া করবেন।

৫| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:২৮

রঞ্জন সরকার জন বলেছেন: খুবই দুঃখজনক ব্যাপার :( এধরনের মানুষগুলোই ধর্মের কলংক। এদের কারণেই পৃথিবীতে এত অশান্তি। এদেশেও এদের সংখ্যা প্রচুর। এইধরনের মনমানুষিকতার জন্যই সাপ্রদায়িক দাঙ্গা বাঁধে।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৮

সারাফাত রাজ বলেছেন: সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধায় কিছু সুবিধাবাদি ব্যাক্তি, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা করে কিছু মূর্খ অকাল কুষ্মান্ড। এরাই উভয়েই সংখ্যালঘু। অথচ সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্পের শিকার হয় হাজার হাজার সাধারণ মানুষ, যারা একেবারেই অসাম্প্রাদায়িক।

ভালো থাকবেন ভাই। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৬| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:১১

বিজন রয় বলেছেন: মনে রাখতে হবে পৃথিবীতে দুই ধরনের মানুষের বসবাস। ভাল আর মন্দ।
আপনার এই লেখাতেই সেটা আছে।

কেমন আছেন?

কিছু ছবি মিসিং হচ্ছে।
শুভকামনা রইল।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫০

সারাফাত রাজ বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ আমি ভালো আছি। আপনি কেমন আছেন?

ছবির সমস্যা বোধহয় সমাধান করতে পেরেছি। দয়াকরে চেক করবেন।

আশাকরি লেখাটা ভালো লেগেছে।

ভালো থাকবেন দাদা।

৭| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৮

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: সাধু ঠিকই বলেছেন - তারা একেবারেই ধার্মিক নয়। ধর্ম মানুষকে বড় হতে শেখায়। তারা বড় হতে পারেনি, এটা তাদের ব্যর্থতা। এটা আমাদের ব্যর্থতা......।’’






ভালো থাকুন নিরন্তর। ধন্যবাদ।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৪

সারাফাত রাজ বলেছেন: দেশ প্রেমিক বাঙালি, পাঠ ও মন্তব্যের শুভেচ্ছা জানবেন।

ভালো থাকবেন সবসময়। শুভকামনা জানবেন।

আপনাকেও ধন্যবাদ।

:)

৮| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:০৬

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: The image you are requesting dose not exist or is on longer available
এই লেখা দেখায় ।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৫

সারাফাত রাজ বলেছেন: ভাই, বোধহয় ছবির সমস্যা সমাধান হয়ে গেছে। দয়াকরে চেক করে দেখেন।

৯| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৬

আমি ইন্দ্র বলেছেন: “ক্ষমা করো, ক্ষমা করো, ক্ষমা করো।পুরো ভারতবাসীর পক্ষ থেকে আমি তোমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। যারা তোমার সাথে এমন ব্যাবহার করেছে তারা পাপ করেছে। তারা একেবারেই ধার্মিক নয়। ধর্ম মানুষকে বড় হতে শেখায়। তারা বড় হতে পারেনি, এটা তাদের ব্যর্থতা। এটা আমাদের ব্যর্থতা......।’’ আমি সত্যিই লজ্জিত ।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৯

সারাফাত রাজ বলেছেন: ইন্দ্র, আপনি বোধহয় ভারতীয়।

আপনার লজ্জ্বা পাবার কিছুই নেই। সবকিছুই অভিজ্ঞতা।

আপনি ভালো থাকবেন। আশাকরি আপনার সাথে আমার ভালো বন্ধুত্ব হবে।

ভালো থাকবেন সবসময়। শুভকামনা জানবেন নিরন্তর।

১০| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০১

চাঁদগাজী বলেছেন:


ধর্মীয় স্হানে অন্য ধর্মের লোকদের হোটেলে না রাখা কোন সমসয়া নয়

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:৩১

সারাফাত রাজ বলেছেন: অনেকদিনপর আপনার মন্তব্যের জবাব দিতে পারার জন্য দুঃখিত। আশাকরি আপনি ভালো আছেন।


যেহেতু আপনি সামুর বুদ্ধিজীবি, অতএব আপনি যা বলবেন তাই সঠিক। আপনার সাথে কোন দ্বিমত নাই। :#)

১১| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বাহ!

দারুন এক ভ্রমণ পোষ্টে মন ভরে গেল।

আঁধার আর আলো সবখানেই আছে। কখনো কোনটার প্রাধাণ্য বড়ে েযায়- তখন অন্যদরে কষ্ট হয় এইতো রীতি!!!
সব ভাল তার শেষ ভাল যার

মুগ্ধতা দারুন সব ছবিতে. যেন এক নজরে ঘোরাই হয়ে গেল- ভার্চুয়ালী :)

+++

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:৩৬

সারাফাত রাজ বলেছেন: অনেকদিনপর আপনার মন্তব্যের জবাব দিতে পারার জন্য দুঃখিত। আশাকরি আপনি ভালো আছেন। :)


আপনি অসাধারণ একটা কথা বলেছেন। আঁধার আর আলো সবখানেই আছে। কখনো কোনটার প্রাধাণ্য বড়ে েযায়- তখন অন্যদরে কষ্ট হয় এইতো রীতি!!!
আসলেই তো এভাবে কখনো ভেবে দেখিনি ....


ছবি ভালো লাগার জন্য ধন্যবাদ জানবেন।

১২| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৯

তাওহিদ হিমু বলেছেন: ভাল-খারাপ, সভ্য-অসভ্য সব দেশেই আছে। ভারত যদিও উগ্র মৌলবাদের দেশ, তবু আমার মনে হয়, ভারতে প্রচুর ভাল মানুষ আছে। আমি এটাই মানি যে, আমাদের দেশেও প্রচুর খারাপ লোক আছে। আসলে সব দেশেই আছে ভাল ও খারাপ একত্রে। অন্য এক অনুভূতি হল সাধুর ব্যবহার দেশে। ভাল লাগল। পরের ব্লগের অপেক্ষায়।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:৪৩

সারাফাত রাজ বলেছেন: হিমু, অনেকদিনপর আপনার মন্তব্যের জবাব দিতে পারার জন্য দুঃখিত। আশাকরি আপনি ভালো আছেন।

দুনিয়ার সব জায়গাতেই সব ধরনের মানুষ আছে। আপনি আপনার ক্লাসরুমের কথাই চিন্তা করেন। দেখবেন সেখানে সকল ধরনের বৈশিষ্ঠের অধিকারী ক্লাসমেট আছে। ছোট একটা ক্লাসরুমেই যদি এতো ধরনের মানুষ থাকতে পারে তাহলে বিশাল ভারতের শতোকোটি মানুষের ব্যাবহারে ভিন্নতা থাকবে এটাই স্বাভাবিক।

ভাই, আর যে লিখতে ইচ্ছা করেনা....

১৩| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৯

ওমেরা বলেছেন: খুব সুন্দর পোষ্ট ।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:৪৮

সারাফাত রাজ বলেছেন: অনেকদিনপর আপনার মন্তব্যের জবাব দিতে পারার জন্য দুঃখিত। আশাকরি আপনি ভালো আছেন। :)

পোস্ট ভালো লাগার জন্য ওমেরাকে অনেক ধন্যবাদ।

আপনি শুভকামনা জানবেন।

১৪| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:২৭

শুভ_ঢাকা বলেছেন: হরিদ্বারের কথা কিছু লিখলেন না। যেমন সন্ধ্যায় গঙ্গা আরতি বা সহস্র প্রদীপ জ্বালিয়ে গঙ্গা বক্ষে ভাসিয়ে দেওয়া।

দুর্দান্ত দুর্ধর্ষ পোষ্ট আর তার সাথে আনুষঙ্গিক লেখা আর ছবি। মুগ্ধ পাঠক। আন্তরিক ধন্যবাদ লেখককে।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:৫৮

সারাফাত রাজ বলেছেন: শুভ, অনেকদিনপর আপনার মন্তব্যের জবাব দিতে পারার জন্য দুঃখিত। আশাকরি আপনি ভালো আছেন। :)


লেখাটা আসলে হরিদ্বার শহরকে নিয়ে নয়। আমি কিছু ঘটনা বলতে চেয়েছি যার প্রেক্ষাপট হিসাবে এই শহরটা চলে এসেছ।


আপনি মুগ্ধভাবে লেখাটা পড়েছেন, আমি আপনার প্রতি কৃতজ্ঞ।

১৫| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:২৮

শুভ_ঢাকা বলেছেন: ***রাতের হরিদ্বারের কথা কিছু লিখলেন না।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:০৩

সারাফাত রাজ বলেছেন: অসাধারণ এক শহর এই হরিদ্বার। হয়তোবা ইতিহাসের চাইতেও প্রাচীন। ক্ষণে ক্ষণে এই রূপের ভিন্নতা। ভোর, দুপুর, সন্ধ্যা অথবা গভীর রাত প্রতিটির বৈশিষ্ট্য আলাদা।


যদি কখনো হরিদ্বার শহরকে নিয়ে লেখা হয় তাহলে হয়তোবা কিছুটা বলার চেষ্টা করবো। শুধু কি সহস্র প্রদীপের আরতী! রাতের গঙ্গায় ভেসে যাওয়া আলোকমালা থেকেও তো চোখ ফেরানো কষ্টকর।

ভালো থাকবেন সবসময়।

১৬| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:১৮

একলা ফড়িং বলেছেন: ওপারের লেখকদের বইয়ে প্রায়ই হরিদ্বারের কথা উল্ল্যেখ থাকে। আপনার চোখে সেই হরিদ্বার খানিকটা দেখা হলো!

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:১১

সারাফাত রাজ বলেছেন: ফড়িং, অনেকদিনপর আপনার মন্তব্যের জবাব দিতে পারার জন্য দুঃখিত। আশাকরি আপনি ভালো আছেন। :)

আশাকরি আমার চোখে হরিদ্বার দেখতে আপনার খারাপ লাগেনি। তবে আপনি যদি নিজ চোখেই শহরটা দেখেন তাহলে হয়তো আপনার আরো ভালো লাগবে অথবা আপনি বিরক্ত হবেন।

আমি নিজেও আপনার চোখে শহরটা দেখতে চাই।


শুভকামনা জানবেন সবসময়।

১৭| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:১৩

রানার ব্লগ বলেছেন: আসলে কিছু স্বার্থপর মানুষ ধর্ম নিয়ে ব্যাবসা করতে করতে সাধারন মানুষের ধ্যান ধারণাকে এমন জায়গায় নিয়ে গেছে যে তাদেরকে সেখান থেকে ফেরান যাচ্ছে না।

ছবি গুল দেখে ভালো লেগেছে !!! সেই সাথে আপনার সুন্দর অভিজ্ঞতাও হৃদয় কে ছুয়ে গেছে।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:৩২

সারাফাত রাজ বলেছেন: রানা, অনেকদিনপর আপনার মন্তব্যের জবাব দিতে পারার জন্য দুঃখিত। আশাকরি আপনি ভালো আছেন। :)


একটা মজার বিষয় দেখবেন, যে যারা সাধারণত সত্যিকারের ধার্মিক না তারাই মূলত ধর্মের ধ্যান-ধারণাকে বিকৃত জায়গাতে নিয়ে যায়। আর আমরা সাধারণ মানুষেরা জেনে হোক অথবা না জেনেই হোক এই বিকৃত জায়গাটা বিশ্বাস করি। আরো মজার ব্যাপার হচ্ছে আমরা সাধারণ মানুষেরাই এর বড় শিকার।

ছবি ভালো লাগার জন্য ধন্যবাদ। আমার অভিজ্ঞতা দিয়ে আপনার হৃদয়কে স্পর্শ করতে পেরেছি, এ আমার বড় পাওনা।

শুভকামনা জানবেন সবসময়।

১৮| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:২৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: মুগ্ধ মুগ্ধ মুগ্ধ! অসাধারণ ভ্রমণ পোস্ট! ব্লগে অনেক ভ্রমণ পোস্টই পড়ি। আপনারগুলো তুলনা করলে ওপরের সারিতেই থাকবে। আদর্শ ভ্রমণ পোস্ট একেই বলে।

এমন পোস্ট আরো করতে থাকুন।
অনেক অনেক ভালো থাকুন।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:৪০

সারাফাত রাজ বলেছেন: প্রিয় আপু, অনেকদিনপর আপনার মন্তব্যের জবাব দিতে পারার জন্য দুঃখিত। আশাকরি আপনি ভালো আছেন। :)
বিগত কয়েকমাস ধরে আমার কম্পিউটার নষ্ট হয়ে রয়েছে। এমনকি এখনো ঠিক হয়নি। বন্ধুর বাসা থেকে উত্তর লিখছি।


আপু, আপনার প্রতিটি মন্তব্য আমার জন্য একেকটি সার্টিফিকেট। B-)



আপু, ভালোবাসা ও শুভকামনা জানবেন সবসময়। আশাকরি আপনার দিনগুলি অনেকগুলি প্রিয় মানুষের সাথে ভালোলাগার মধ্যে কেটে যাচ্ছে। :>

১৯| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: দুঃখজনক।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:৪৫

সারাফাত রাজ বলেছেন: প্রিয় রাজীব নূর ভাই, অনেকদিনপর আপনার মন্তব্যের জবাব দিতে পারার জন্য দুঃখিত। আশাকরি আপনি ভালো আছেন। :)

ব্যাপারটি শুধু দুঃখজনক হিসাবে না দেখে অভিজ্ঞতামূলক হিসাবেও দেখা যায়। :>

ভালো থাকবেন সবসময়। আপনার লেখাগুলো খুব আগ্রহের সাথে পড়ি।

২০| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ২:০৯

ফয়েজ উল্লাহ রবি (পারিজাত) বলেছেন: :>
সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন ভ্রমন কাহিনী,
খুব ভাল লাগলো এবং গল্পের মতো যেন হারিয়ে গেলাম সেই দর্শনীয় স্থান গুলোতে।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:৫৬

সারাফাত রাজ বলেছেন: ফয়েজ ভাই, অনেকদিনপর আপনার মন্তব্যের জবাব দিতে পারার জন্য দুঃখিত। আশাকরি আপনি ভালো আছেন। :)

লেখাটা ভালো লাগার জন্য কৃতজ্ঞতা। আশাকরি অন্য পর্বগুলোতেও আপনাকে পাশে পাবো।

শুভকামনা জানবেন সবসময়। :<

২১| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৮:৩২

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: এখন ছবি দেখতে পারছি।
সুন্দর প্রতিমন্তব্যর জন্য অনেক ধন্যবাদ।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:২৭

সারাফাত রাজ বলেছেন: প্রিয় মোস্তফা সোহেল, অনেকদিনপর আপনার মন্তব্যের জবাব দিতে পারার জন্য দুঃখিত। আশাকরি আপনি ভালো আছেন। :)

আশাকরি সবসময়ই আপনাকে পাশে পাবো।

শুভকামনা জানবেন সর্বক্ষণ।

২২| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৮:৫৮

করুণাধারা বলেছেন: আপনার বর্ণনা এমন যে, পড়তে পড়তে আমি সরু গলি, ছাদের উপরের ঘর, চ্যাংড়া ছেলে- সব কিছুর ছবি এঁকে যাচ্ছিলাম মনে মনে। একই সাথে উৎকণ্ঠা হচ্ছিল হোটেল না পেলে জ্ব্ররে কাহিল, ৩৫ ঘণ্টা ভ্রমণ করা একাকী তরুনের কি হবে! যাক, শেয পর্যন্ত ভোটেল পাওয়া গেল- মানবতাই জয়ী হল।

পোস্ট খুব ভাল লেগেছে। একটা কথা জানতে ইচ্ছা করছে। আপনি একাকী ভ্রমণ করেন- কিন্তু ব্লগে আমি যাদেরই ভ্রমন কাহিনী পড়ি সেখানে বিদেশ বিভূঁইয়ে কাউকে একাকী ঘুরতে দেখিনি! এটা কিছুটা রিস্কি না? যেমন জ্ব্ররে অচেতন হয়ে পড়ে থাকলেন বা অন্য কোন অসুবিধা হল! ইচ্ছা না হলে উত্তর না দিলেও চলবে।নিরন্তর শুভকামনা রইল।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:৫৩

সারাফাত রাজ বলেছেন: প্রিয় করুণাধারা, অনেকদিনপর আপনার মন্তব্যের জবাব দিতে পারার জন্য দুঃখিত। আশাকরি আপনি ভালো আছেন। :)

বাহ! আপনি তো খুবই মনোযোগ সহকারে লেখাটা পড়েছেন। :-B
আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা।

পোস্ট ভালো লাগার জন্য আন্তরিকতা জানবেন।

আপনার কৌতুহল আমাকে অভিভূত করেছে। B-)
একাকী ভ্রমণ হয়তো কিছুটা রিস্কি। কিন্তু দলবেধে ঘুরলেই যে রিস্ক কমে গেল ব্যাপারটা তা নয়। আপনাকে একটা মজার ঘটনা বলি। আমি একাকী ভ্রমণ করি শুনে একজন কিছুটা বিষেদাগার করেছিলো। তারপর সে দলবেধে বেড়াতে গিয়েছিলো। আর তারপর দলবেধে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে কয়েকদিন হাসপাতালে পড়েছিলো। বেচারা!


এবার আমার অভিজ্ঞতার কথা বলি,
উত্তরাখন্ড ভ্রমণে গিয়ে আমি বেশ অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম। এক রাতে এতো প্রচন্ড জ্বর এসেছিলো যে আমি কিছু সময়ের জন্য অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলাম। আমি তখন একটা আশ্রমে ছিলাম। সেই আশ্রমে কয়েকজন ইজরাইলী পর্যটক ছিলো। সে রাতে তাদেরই একজন আমার দেখাশোনা করেছিলো।
অথচ ইজরাইলী সম্পর্কে আমার পূর্বধারণা খুব বেশি ভালো ছিলো না। কারণ জাতিগতভাবে আমরা সব বাংলাদেশীরাই ইজরাইলীকে খারাপ ভেবে অভ্যস্থ।

আসলে আল্লাহই একটা না একটা উপায় বের করে দেন।


একাকী ট্যুরের আরেকটা মন খারাপের সময় হচ্ছে রাতে ঘুমানোর সময়। এই সময়টা খুবই একাকী লাগে। এই সমস্যাটারও মোটামুটি সমাধান বের করে ফেলেছি। দুটো করে গল্পের বই সঙ্গে নিয়ে যাই, রাতে ঘুমানোর আগে কিছুক্ষণ বই পড়ি। অথবা একা ঘর নিলে অন্য কাউকে ডেকে নিয়ে আসি একসাথে ঘুমানোর জন্য। অথবা কোন ডরমে থাকি যেখানে একসাথে অনেকে থাকে।
এইতো!
আশাকরি আপনার কৌতূহল কিছুটা নিবৃত করতে পেরেছি।

আপনি আন্তরিক শুভকামনা জানবেন সবসময়। :>

২৩| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১১:৩৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: সারাফাত রাজ ,




বরাবরের মতোই আপনার এই ভ্রমন কাহিনীটিও আটকে রাখলো এখানে ।

সমস্ত লেখার ভেতরে এটুকুই মনে হয় সবাইকে কিছু সত্য স্মরণ করিয়ে দেবে ------
" তিনি হাত জোড় করে কপাল স্পর্শ করলেন, তারপর মাথা নিচু করে আমার হাঁটুতে ঠেকিয়ে বললেন, “ক্ষমা করো, ক্ষমা করো, ক্ষমা করো।পুরো ভারতবাসীর পক্ষ থেকে আমি তোমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। যারা তোমার সাথে এমন ব্যাবহার করেছে তারা পাপ করেছে। তারা একেবারেই ধার্মিক নয়। ধর্ম মানুষকে বড় হতে শেখায়। তারা বড় হতে পারেনি, এটা তাদের ব্যর্থতা। এটা আমাদের ব্যর্থতা......।’’


শুভেচ্ছান্তে ।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:৫৯

সারাফাত রাজ বলেছেন: প্রিয় আহমেদ ভাই, অনেকদিনপর আপনার মন্তব্যের জবাব দিতে পারার জন্য দুঃখিত। আশাকরি আপনি ভালো আছেন। :)


লেখাটি হয়তো আপনার ভালো লেগেছে। কিন্তু বিশ্বাস করুন, আমি চেষ্টা করলেও আপনার মতো ভালো লিখতে পারবো না। আপনার লেখাগুলো মন্ত্রমুগ্ধের মতো পড়ি।


ভালোবাসা জানবেন সবসময়।

২৪| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৭

টারজান০০০০৭ বলেছেন: দারুন বর্ণনা আর ছবি। আল্লাহর দুনিয়াই এতো সুন্দর, জান্নাত নাজানি কত সুন্দর হইবে ! আহ ! আমি যদি সারা দুনিয়া ঘুরিয়া দেখিতে পাইতাম ইবনে বতুতা , মার্ক পোলোর মতো ! গঙ্গা দেখিয়া ভালো লাগিল ! আমার ছোটবেলা কাটিয়াছে হিন্দু পাড়ায়! আমি কিছুতেই তাদের সাথে এখনকার ইসলাম বিদ্বেষী হিন্দুদের মিলাইতে পারিনা ! কিভাবে তাহারা শিবসেনা, বিজেপির মতো দলকে সমর্থন করে , ভেবে পাইনা! সেই সম্প্রীতি , সৌহার্দ কোথায় গেলো ?
এক বরাহশাবককে সেদিন দেখিলাম কবর থেকে মুসলমান মেয়েদের তুলে ধর্ষণ করার ভোগী আদিত্যনাথের উস্কানিকেও জাস্টিফাই করিতেছে ! X((

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:১০

সারাফাত রাজ বলেছেন: টারজান ভাই, অনেকদিনপর আপনার মন্তব্যের জবাব দিতে পারার জন্য দুঃখিত। আশাকরি আপনি ভালো আছেন। :)

আল্লাহ হচ্ছেন সর্বশ্রেষ্ঠ শিল্পী। তার সৃষ্টি সর্বাপেক্ষা সুন্দর হবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তারপরও আমরা প্রচন্ডভাবে মুগ্ধ হই তার সৃষ্টি দেখলে। আমরা প্রচন্ড ভাগ্যবান যে জীবিত অবস্থায় তার সৃষ্টির কিছু নমুনা দেখতে পাচ্ছি। সবই আল্লাহর রহমত।


কিন্তু দিনদিন আমরা প্রায় সব মানুষেরাই কেমন যেন কট্টর হয়ে যাচ্ছি। সারা দুনিয়া জুড়েই এই বীভৎস ব্যাপারটা ছড়ানো রয়েছে।
আল্লাহ আমাদের সবাইকেই হেদায়েত দান করুন।


ভাই, শুভকামনা জানবেন।

২৫| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৫

বীরেনদ্র বলেছেন: শহরের নাম হরদ্বার। হর বা শিব হিমালয় থেকে এখান দিইয়ে পৃথিবীতে আসেন এমন ধারনা থেকেই এ শহরের নাম এমন। আমি গেছিলাম বছর দশেক আগে। হরদ্বারে হিন্দু ছাড়া অন্যদের যাওয়া নিষেধ , এটি ওখানকার নিয়ম। ব্যাপারটা গ্রহনযোগ্য নয়। মক্কা এবং মদিনাতেও কিন্তু অমুসলিমদের প্রবেশ নিষেধ। এই ধর্মীয় বিধিনিষেধ তথা পৃথিবী থেকে ধর্মকে বিদায় না দেওয়া পর্যন্ত এটি চলতে থাকবে।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:২২

সারাফাত রাজ বলেছেন: হরিদ্বারে হিন্দু ছাড়া অন্যদের যাওয়া নিষেধ আপনার এই তথ্যটি সঠিক নয়। উইকিপিডিয়াতে খোজ নিলে আপনি দেখবেন যে এই শহরটাতে বসবাসকারী ৩৫ ভাগেরও বেশি মানুষ হিন্দু বাদে অন্যান্য ধর্মাবলম্বী।

মক্কা এবং মদিনাতেও কিন্তু অমুসলিমদের প্রবেশ নিষেধ। এই ধর্মীয় বিধিনিষেধ তথা পৃথিবী থেকে ধর্মকে বিদায় না দেওয়া পর্যন্ত এটি চলতে থাকবে।
প্রতিটি ধর্মেরই নির্দিষ্ট কিছু মৌলিক নিয়ম আছে। সেগুলো নিশ্চয় মেনে চলা উচিত। পৃথিবী থেকে ধর্মকে উঠিয়ে দেয়া সংক্রান্ত ভাবনা-চিন্তা যারা করে তারা বীভৎস চিন্তা করে।


ভালো থাকবেন।

২৬| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:০৮

আখেনাটেন বলেছেন: অসাধারণ পোষ্ট।

ভ্রমণকাহিনীও যে এত অাকষর্নীয় হতে পারে তা গুরু সৈয়দ মুজতবা অালী দেখিয়েছেন। এখন দেখাচ্ছেন মঈনুস সুলতান।

আপনার লেখাও ওনাদের তুলনায় কম কীসে?

আর ধর্মের এই বাড়াবাড়ি, একে অপরের প্রতি ঘৃণা সবসময় থাকলেও এখন সেটা বেড়েই চলছে।

*বীরেনদ্র বলেছেন: হরদ্বারে হিন্দু ছাড়া অন্যদের যাওয়া নিষেধ , এটি ওখানকার নিয়ম।--অাপনার তথ্যটা সত্য না হওয়ার সম্ভাবনায় বেশি। কারণ হরিদ্বার শহরের মোট জনসংখ্যার প্রায় ১৬% মুসলিম। যে শহরে এত সংখ্যক মুসলিম যুগযুগ ধরে বাস করছে, সেখানে কীভাবে অন্য ধর্মের লোকদের প্রবেশ নিষেধ হতে পারে। কিছুদিন আগে (মি: যোগী তখনও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হন নি) হরিদ্বারে হিন্দুদের কাছে পবিত্র এক ঘাটে মুসলিমদের নিষিদ্ধ করার অাহব্বান জানিয়েছিল। এতে মি: যোগীকে কঠোর সমালোচনার স্বীকার হতে হয়। এই ঘটনা প্রমাণ করে সেখানে অন্য ধর্মের লোক নিষিদ্ধ নয়।


লেখককে চমৎকার এই পোষ্টের জন্য অান্তরিকভাবে ধন্যবাদ।



০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৩০

সারাফাত রাজ বলেছেন: প্রিয় আখেনাটেন, অনেকদিনপর আপনার মন্তব্যের জবাব দিতে পারার জন্য দুঃখিত। আশাকরি আপনি ভালো আছেন। :)

মন্তব্যে আপনার প্রশংসাটুকু আমার জন্য যথেষ্ট বিব্রতকর। :)
একই সঙ্গে ভীষণ ভালোবাসার।


হরিদ্বার শহর কোন ধর্মের মানুষের জন্যই নিষিদ্ধ নয়। অন্তত এখনো পর্যন্ত। হরিদ্বারে প্রচুর পরিমানে সাদা চামড়ার পর্যটক আসে সারা বছর জুড়ে।


ভাই, লেখা ভালো লাগার জন্য কৃতজ্ঞতা। ভালোবাসা জানবেন। শুভকামনা নিরন্তর।
:>

২৭| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সব ছবিগুলো দেখতে পারলে ভালো লাগতো।
ভারত একটি বৃহৎ রাষ্ট, অনেক ভাষাভাসি,
নানান আচার, সংস্কৃতি আর অপসংস্কৃতির
সমন্বয়ে মানুষে ঠাষা। তাদের সবার ব্যবহার
আমাদের ভালো লাগবে এমন কথা নাই।
খাঁজা বাবার দরগাহে মুসলমানদের চেয়ে
হিন্দুরাই বেশী প্রার্থনা করে।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৩৯

সারাফাত রাজ বলেছেন: প্রিয় নূরু ভাই, অনেকদিনপর আপনার মন্তব্যের জবাব দিতে পারার জন্য দুঃখিত। আশাকরি আপনি ভালো আছেন। :)


আশাকরি এখন ছবিগুলো দেখতে পারছেন। তবে মোবাইল থেকে বোধহয় সমস্যা হয়। কম্পিউটারের পিসি থেকে মনেহয় সব ছবিই দেখা যায়।

আসলে মানুষে মানুষে ভিন্নতা থাকবেই।

পাঠ ও মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা জানবেন। ভালো থাকবেন সবসময়। :>

২৮| ১০ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৩:২৭

সৈয়দ মাহি বলেছেন: ভাই আজ প্রথম লগ ইন করতে পারলাম। ভাই আপনার লেখা পরলে মনে হয় নিজেই ভ্রমন করছি।আমার মনে হয় অনেক মানুষ আছে যারা আমার মত আপনার লেখা পরে হিমালয় প্রদেশ চিনেছে।আপনার লেখা পরলে মনে হয় ছুটে যাই হিমালয় প্রদেশ।ভাই
আপনার ওপর রাগ হয় আপনি কেন এত কম লেখেন।আপনার লেখা পরার জনয প্রতিটা দিন অপেক্ষা করি। দোয়া করি আপনি সুস্ত থাকেন অনেক অনেক ভ্রমন করেন আর আমাদের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৫০

সারাফাত রাজ বলেছেন: প্রিয় টাকা ভাই, অনেকদিন পর আপনার মন্তব্যের জবাব দিচ্ছি। আমি একই সাথে লজ্জ্বিত এবং দুঃখিত। আশাকরি আপনি ভালো আছেন।

ভাই, আপনার মন্তব্যের জবাবে এতো কথা লিখতে ইচ্ছা করছে যে আমি বোধহয় শেষ পর্যন্ত কিছুই লিখতে পারছি না।

আপনার সাথে পরিচয় হওয়াটা আমার জন্য বিশেষ কিছু।

ভাই, কিচ্ছু লিখতে পারছি না। আপনার সাথে দেখা হলে কথার তুবড়ি ছুটবে। :#)



আপনি শুধুমাত্র আমার জন্যই সামুতে একাউন্ট খুলেছেন, এটা আমার জন্য বিরাট ব্যাপার।

ভাই, ভালোবাসা জানবেন।

২৯| ১০ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:১৭

সিদ্ধার্থ. বলেছেন: যতদিন না মুসলিমরা ,মক্কা মদিনা এর অমুসলিম ব্যান এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ না করছে ,ততোদিন মুসলিমদের এই ধরণের পোস্ট লেখার অধিকার নেই ।মানুষ একটা অন্যায় দিয়ে আরেকটা অন্যায় কে জাস্টিফাই করে ।এটাই মানুষের আদিম স্বভাব ।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:০০

সারাফাত রাজ বলেছেন: অনেকদিন পর আপনার মন্তব্যের জবাব দেবার জন্য দুঃখিত।

পৃথিবীতে সব ধর্মেরই নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম-কানন আছে। সেগুলো সবারই মেনে চলা উচিত।

যতদিন না মুসলিমরা ,মক্কা মদিনা এর অমুসলিম ব্যান এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ না করছে ,ততোদিন মুসলিমদের এই ধরণের পোস্ট লেখার অধিকার নেই ।মানুষ একটা অন্যায় দিয়ে আরেকটা অন্যায় কে জাস্টিফাই করে ।এটাই মানুষের আদিম স্বভাব ।

কে কি লিখবে না লিখবে তা বলার আপনি কে? ভালো না লাগলে এভোয়েড করুন।
পৃথিবীতে দুই ধরনের মানুষ প্রত্যেকটা ধর্মকে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ করে। এক, একেবারেই নির্বোধ। দুই, জ্ঞানপাপী।
নিঃসন্দেহে আপনি শেষাক্ত দলের অন্তর্ভুক্ত।
আমি আপনার কোন উপস্থিতিই আমার ব্লগে চাইনা।

আপনার আরেকটা বিষয় জেনে রাখা উচিত, ভদ্রঘরের সন্তানেরা আরো কয়েকটি নাম ভাড়িয়ে অন্যান্য ব্লগারদেরকে বিরক্ত করে না।

৩০| ১১ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:২৯

গোকাহামা বলেছেন: পঙ্কিল এ পৃথিবীর সব প্রান্তেই ছড়িয়ে রয়েছে এইসব ধর্ম বিভেদকারীরা, দু:খ করে লাভ নেই তবে আপ্নি কিন্তু আপ্নার পুরস্কার ঠিকই পেয়েছেন। ভাল লাগছে পড়তে তবে অনেক ছোট লেখা মনে হয়েছে। আশ্চার্য আপনার লেখনী ঠিক একদম ছোট গল্পের মতো মজা পেতে পেতেই মজা শেষ---------

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:১৩

সারাফাত রাজ বলেছেন: ভাইডি, অনেক দেরী করে মন্তব্যের জবাব দেবার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।

ভাই, প্রিয়জনদের মন্তব্যের জবাবে এতো কথা উঠে আসে যে শেষ পর্যন্ত কিছুই বলা হয় না।

গভীর রাতগুলোতে আপনার শুদ্ধ উচ্চারণ গভীরভাবে মিস করি।

ভাই, অনেক অনেক ভালোবাসা জানবেন। আপনার জীবন সত্যিকারের সুন্দর হোক।

৩১| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:০৮

মলাসইলমুইনা বলেছেন: আপনার লেখাটা পড়তে পড়তে অনেক দেরি হলো ব্লগে নতুন হবার কারণে | কিন্তু লেখার স্বাদ, গন্ধ, বর্ণ সব কিছুই এতদিন পরও অবিকৃত ! তাই আগের পাঠকদের মতোই একই স্বাদ পেয়ে গেলাম -সেটা দারুন | আমার নিজের অভিজ্ঞতা আছে এগুলোর | এগুলো হবেই | তাইতো ভালো মন্দ মিশিয়ে এই পৃথিবী, এই জীবন | ভালো লাগলো অনেক | @ সিদ্ধার্থ, খুবই বালক সুলভ লাগলো আপনার মন্তব্যটা !

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:২৭

সারাফাত রাজ বলেছেন: অসাধারণ এক মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। :)

হয়তো লেখাটা আপনার ভালো লেগেছে। আশাকরি অন্যান্য লেখাগুলোতেও আপনাকে পাশে পাবো।

পৃথিবীতে যতো মানুষ ততো বৈচিত্র।

আমি আপনার অভিজ্ঞতাগুলো জানার জন্য অপেক্ষা করছি।

শুভকামনা জানবেন নিরন্তর।

৩২| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:২৭

সিদ্ধার্থ. বলেছেন: উপস্থিতি ভালো না লাগলে উপরের এবং এই কমেন্টটা ডিলিট করে দেবেন ,তার প্রতি উত্তর দেবেন আর আমি চুপ করে দেখবো এমন হয় না ।

যে ধর্ম নিয়ম কানুন এর দোহাই দিয়ে মানুষের মধ্যে ভেদাভেদ করে ,এই পৃথিবীর কোনো জায়গায় মানুষের প্রবেশাধিকার বঞ্চিত করে ,তা অমানবিক ।তা অন্য মানুষ কে দ্বিতীয় শ্রেণীর মর্যাদা দেওয়া ।এবং সেটা অন্যায় ।মানুষ চিরকালই অন্যায় দিয়েই অন্যায় কে জাস্টিফাই করেছে ।নাহলে পৃথিবীতে যুদ্ধ বিদ্রোহ হতো না ।

আর হ্যা ,জ্ঞান পাপী আমি হতে পারি কিন্তু মাল্টি নিক নই ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.