নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন বাজেট ট্রাভেলার।

সারাফাত রাজ

পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর স্থান হচ্ছে বান্দরবান আর আমি একজন পরিব্রাজক।

সারাফাত রাজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বেনাপোল বর্ডার, কাস্টমস আর অন্যান্য কয়েকটা ভালোবাসার গল্প

১৫ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:৪১


ছবিটা যে আমার তোলা তাই তো এখন বিশ্বাস হয় না, জায়গাটা কাশ্মীরে ভারত পাকিস্তান সীমান্তে

এবারের ইন্ডিয়া ট্যুরটা বেশ লম্বা হয়ে গেছে, টানা ৩৩ দিন। এর মধ্যে ২৪ দিন শুধু কাশ্মীরেই ছিলাম। বাকী দিনগুলো কলকাতা, সিমলা আর দিল্লিতে। ট্যুরমেট আমরা দু’জন। মা আর আমি। আমাদের দুটো ব্যাগ ছিলো, ব্যাগগুলো আমরা কাঁধে নিয়েছি আর মনে যেদিকে চেয়েছে ছুটে বেড়িয়েছি। টাকার পরিমান ছিলো খুবই কম, এতোটাই কম যে অন্যরা শুনলে ঠাট্টা করবে। চড়েছি লোকাল বাস, লোকাল ট্রেন আর লোকাল যানবাহন। এগুলো নিয়ে আমাদের একেবারেই কোন আক্ষেপ নেই, কারণ আমরা সবকিছুই উপভোগ করেছি।


মানুষের বন্ধুত্ত্ব আমাদের সবসময় মুগ্ধ করেছে। সবার ভালোবাসা, সহযোগীতা আর আন্তরিকতায় শুধু ঋদ্ধ হয়েছি। সত্যি বলছি, এক টুকরো খারাপ অভিজ্ঞতা হয়নি। নির্মাল্য, আমার কলকাতার বন্ধু; ওর সাথে এবারই প্রথম দেখা হলো। ছেলেটা পার্ক-স্ট্রীটের রাজপথে চার রাস্তার মোড়ে এতো কোলাহলের মাঝে গড় হয়ে মাকে প্রণাম করেছে। সিমলার পঙ্কজ’দা, দুবছর পর আবার তার সাথে দেখা। মাকে হাত ধরে সে পুরো সিমলা শহরটা ঘুরিয়ে দেখিয়েছে।


আর কাশ্মীর? আহ কাশ্মীর! আহ কাশ্মীর!


কাশ্মীরের প্রতিটা মানুষের কাছে ঋনী। সেখানকার সব বন্ধু মাকে ‘মাম্মা’ ছাড়া কখনোই ডাকেনি। নিজের হাতে মায়ের জুতো খুলে দিয়েছে, পরিয়ে দিয়েছে। আমাদের তো কাশ্মীরে যাবার কোন প্ল্যান ছিলো না, হুট করে চলে গিয়েছিলাম। ওখানে কোন কোন জায়গাতে তখন বরফ ছিলো, আর ছিলো প্রচন্ড ঠাণ্ডা। আমরা ছিলাম গান্ডেরবাল শহরে, সেখানে তাপমাত্রা মাইনাস পাঁচের নীচে নেমে যেত রাতে। আর যখন পাকিস্তান সিমান্তের একটা জনপদে গিয়েছিলাম তখন তাপমাত্রা মাইনাস ১০ এর নীচে ছিলো। এই জনপদটি শুধুমাত্র মাস ছয়েকের জন্য খোলা থাকে। কমপক্ষে ১৫ বার আর্মির চেকপোস্ট পার হয়ে এখানে যেতে হয়। অদ্ভুত ব্যাপার হচ্ছে, আমি আর মা হচ্ছে প্রথম বাংলাদেশী যারা এই জনপদে গিয়েছিলাম।


যেহেতু আমাদের কাশ্মীরে যাবার কোন প্ল্যান ছিলো না, তাই আমরা কোন গরম কাপড় নিয়ে যায়নি। ঠান্ডায় আমাদের অবস্থা বেশ খারাপ হবার কথা ছিলো, কিন্তু সেটা হয়নি। আমার কাশ্মীরি ভাবী শায়িস্তা, অসাধারণ রূপবতী এই নারী তার প্রতিটা সোয়েটারের সেলাই খুলে সেগুলো মাকে দিয়েছিলো পরার জন্য। রাতে সবগুলো মোটা কম্বল দিয়ে আমাদের চাপা দিতো। একমাত্র রুম হিটারটি আমাদের দিয়ে তারা একগাদা জামা-কাপড় পড়ে আর পাতলা কম্বলগুলো গায়ে দিয়ে ঠান্ডায় হি হি করতো। এগুলো হলেও মানা যেত, কিন্তু তারা এখানেই থেমে থাকেনি। একটাই মাত্র বেডরুম তাদের, সেটা আমাদের জন্য ছেড়ে দিয়ে তারা রান্নাঘরে থাকতো। কথাটা শুনলে অমানবিক মনে হচ্ছে, যে আমরা গিয়ে তাদের উপর অত্যাচার করে এসেছি। কিন্তু ব্যাপারটা তা নয়, বরঞ্চ আমরা গিয়েই তাদের ভালোবাসার অত্যাচারে জর্জরিত হয়েছি। আমাদের সব টাকা-পয়সা তারা নিয়ে নিয়েছিলো যেন আমরা চলে আসতে না পারি। তাদের এই ভালোবাসার প্রতিদান দেবার ক্ষমতা আমাদের নেই। আল্লাহ তার সরবোচ্চ নেয়ামত এই পরিবারটার প্রতি দান করুন।


কাশ্মীর নিয়ে আলাদা কোন পর্ব লিখবো আশাকরি, এজন্য এখনই এতো ডিটেলস লিখলাম না।


শুরুটা হয়েছিলো ৩০ শে অক্টোবর ভোরবেলা। যশোরে ছিলাম। আমি আর মা দুজনে চিল্লাপাল্লা করে ঝগড়া করতে করতে বাসা থেকে বের হলাম। কারণটা হচ্ছে মায়ের গোছগাছই শেষ হয় না, এটা করে ওটা করে। রাস্তায় আমাদের আরো কিছু প্রতিবেশি চাচী যোগ দিয়ে আমার হয়ে মাকে বকাবকি করতে লাগলেন। আমি মাকে হুমকি দিলাম যে তার এই দেরীর জন্য যদি বর্ডারে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় তাহলে তার খবর আছে। মা দেখি আমার দিকে চোখ গরম করে তাকিয়ে আছে। তবে তিনি সুবিধাজ্বনক অবস্থানে নেই, কারন আমরা বেশ দেরী করে ফেলেছি আর এই দোষটা তার। প্রতিবেশি এক চাচী রিক্সা ডেকে দিলেন আর আমরা সেটাতে উঠে পড়লাম। আমরা দু’জন মানুষ, আমাদের দুটো কাপড়ের ঝোলা (ভেবেছিলাম কলকাতা থেকে দুটো ট্রাভেল ব্যাগ কিনে নেব)। কাপড়ের ঝোলা দুটোর অবস্থা ভালো না, যে কোন সময় ছিড়ে যাবে। আর আমার পিঠে আমার ছোট্ট বাচ্চা ব্যাগটা।


চাচড়া বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে লোকাল বাসে চেপে বসলাম। এই বাসগুলো খুবই নিয়ম মেনে ছাড়ে, একটুও দেরী করে না। বাসটা যখন ছাড়লো মনটাই ভালো হয়ে গেল। দুপাশে যশোর রোডের বিখ্যাত গাছগুলো।(তখনও জানতাম না যে কিছুদিনের মাঝেই উন্নয়নের নামে এই ঐতিহাসিক গাছগুলো কাটার জন্য কি আপ্রাণ চেষ্টা করা হবে)। যশোর থেকে বেনাপোল বর্ডার পর্যন্ত রাস্তার অবস্থা একেবারেই ভালো না। ঝাকিতে ঝাকিতে প্রাণ শেষ। রাস্তা তো সংস্কার হয়, কিন্তু কিছুদিনের মাঝেই এমন জঘন্য অবস্থা হয় কেন কে জানে! যদি রাস্তা নষ্ট হবার জন্য অসহায় গাছগুলোকে দোষ দেয়া হয় তবে তা অপরাধ হবে। কারণ বর্ডার পার হবার পর ইন্ডিয়ান অংশে আরো বড় বড় গাছ আছে, এবং ওপাশের রাস্তা ভাঙ্গাচুরা না।


সকাল আটটার দিকে গিয়ে পৌছালাম বেনাপোল বর্ডারে। সঙ্গে সঙ্গে দুজন পুলিশ ছুটে আসলো। আমাদের কাজগুলো করে দেবার জন্য তাদের সে কি আপ্রান চেষ্টা! তবে অবশ্যই সামান্য কিছু টাকার বিনিময়ে। একেবারেই গুরুত্ত্ব দিলাম না। নিজেরা গটগট করে ঢুকে গেলাম। বাংলাদেশ অংশের কাজ শেষ হতে ১০ মিনিটও লাগলো না। শেষবারের মতো পুলিশ চেক করলো, আর তারপর আমরা ঢুকে পড়লাম নোম্যান্স ল্যান্ডে।


মা সঙ্গে সঙ্গে আমার উপর চোখ গরম করে উঠলো। নোম্যান্স ল্যান্ড একদম ফাঁকা, মানুষের একেবারেই ভীড় নেই। আমি যে বাড়ি থেকে বের হয়ে সাথে ভীড়ের ভয় দেখিয়ে তার সাথে চিল্লা-পাল্লা করেছি, এবার তার প্রতিষোধ নেবার পালা। নোম্যান্স ল্যান্ডে দাঁড়িয়ে আমাকে বেশ কিছুক্ষন শাঁসালো সে। এখানে আমি অসহায়। ঠিক আছে! সময় করে আমি এর শোধ নেব! (নিয়েছিলাম)।


ঢুকে গেলাম ইন্ডিয়াতে।


ইন্ডিয়ান কাস্টমসে লম্বা লাইন। লোক বেশি এজন্য লম্বা লাইন ব্যাপারটা তা নয়। সবাইকে অনেকক্ষণ করে করে চেক করার জন্য লম্বা লাইন। বিশেষ করে কোন যাত্রীর কাছে ডলার না পেলে ইন্ডিয়ান কাস্টমস উল্লাসে ফেটে উঠছে, আজকে তাদের কামাই ভালোই। সব যাত্রী দেখি মুখ শুকনো করে আছে। ইয়াং পোলাপানগুলোর অবস্থা বেশি খারাপ।


মা আমার আগে ঢুকে পড়লো। পড়বেই তো! তার কাছে তো আর ব্যাগ নেই। দুটো কাপড়ের ঝোলা সামলাইতে সামলাইতে আমার অবস্থা খারাপ। মায়ের পিছু পিছু আমিও কাস্টমসে ঢুকলাম। কাপড়ের ঝোলা দুটো মেশিনে চেক করতে দিয়ে মায়ের সাথে দাড়ালাম। এসময় এক কাস্টমস হুংকার দিয়ে আমাকে বললো, “এই! তোমার পিছের ব্যাগ মেশিনে দাও”। আমার পিঠে যে ছোট্ট একটা ব্যাগ বাঁধা থাকে তাই আমার মনে থাকে না, ওটাকে আমার শরীরের অংশ মনে হয়।


মেশিনে ব্যাগটা দিয়ে লাইনে এসে দেখি মা কাস্টমস শেষ করে বের হয়ে গেছে। এবার আমার পালা। আমি সবসময়েই কাস্টমস ভয় পাই। আমার অতীত অভিজ্ঞতা ভালো না, একবার আমাকে দেড়ঘন্টা আটকে রেখেছিলো। প্রচন্ড পরিমানে লজ্জ্বাকর হ্যারাসমেন্টের শিকার হয়েছিলাম আমি। তারপর থেকে আমার বর্ডার ফোবিয়া হয়ে গেছে। আয়াতুল কুরসি পড়তে পড়তে দুরুদুরু বুকে সামনে এগিয়ে গেলাম। অসাধারন সুদর্শন একজন কাস্টমস অফিসার আমাকে জিজ্ঞাসা করলো আমি একা কিনা।


দূর থেকে মাকে দেখিয়ে বললাম যে আমরা দুজন। সঙ্গে সঙ্গে মিষ্টি একটা হাসি দিয়ে সে আমাকে বললো, যাও।


এতো সহজে আমি কখনোই ইন্ডিয়ান কাস্টমস পার হয়নি। প্রচন্ড পরিমানে অবাক হলাম। বিমূড় ভাবটা তখনো কাটেনি। মায়ের কাছে গিয়ে দেখি সে তখন অন্য এক অফিসারের সাথে ঝগড়া করছে, সে অফিসার বেচারা আমাদের একটা ব্যাগ মেশিন থেকে বের করে চেক করার সময় ছিড়ে ফেলেছে। প্রচন্ড পরিমানে বিব্রত সে। ঝোলাটা কিছুটা ঠিকঠাক করার আপ্রাণ চেষ্টা করছে। আহারে বেচারা! মরা মেরে খুনের দায়ে পড়েছে। বার বার শুধু সরি বলছে। শেষ পর্যন্ত মা বিরক্ত হয়ে ঝোলার ভিতর থেকে একটা দড়ি বের করে ঝোলাটা ভালো করে বাধলো (সাথে করে সে দড়ি নিয়ে এসেছ)। তারপর আমরা সেখান থেকে বিদায় হলাম। অভাগা অফিসার শেষ বারের মতো সরি বললো।


কাস্টমস থেকে বের হয় আমি মাকে জিজ্ঞাসা করলাম, কাস্টমসে চেক করার সময় তুমি কি বলেছ যে এতো তাড়াতাড়ি আমাদের ছেড়ে দিয়েছে। মা হো হো করে হেসে বললো, আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিলো যে কতো ডলার আছে সাথে। তা আমি তাকে দেখে বললাম, ইয়া আল্লাহ! আপনি দেখতে তো খুবই সুন্দর। মনে হচ্ছে যেন একটা রয়েল বেঙ্গল টাইগার বসে আছে। তো একথা শোনার পর আমাকে আর কিছু জিজ্ঞাসা করেনি, চলে আসবার অনুমতি দিলো।


যাক বাবা!! যেভবেই হোক কাস্টমসের যন্ত্রনাটা তো যন্ত্রনা ছাড়া শেষ হয়েছে! আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া। আমরা ইন্ডিয়ান ইমিগ্রেশনের দিকে পা বাড়ালাম।



৩৩ দিন পর যখন একই বর্ডার দিয়ে ফিরে আসি, তখন কাপড়ের ঝোলার বদলে আমাদের কাছে দুটো ভালো ব্যাকপ্যাক। আর সেই ব্যাকপ্যাক ভরা উপহার। কাশ্মীরের মানুষেরা গাদাখানেক জিনিস ভরে দিয়েছে তাতে। আসার সময় ইন্ডিয়ান কাস্টমস একেবারেই ঝামেলা করেনি। আমি চাচ্ছিলাম যতো দ্রুত সম্ভব এই বর্ডার ঝামেলা থেকে বের হয়ে যেতে। কাস্টমস শেষ করে এক্সিট গেট দিয়ে বের হয়ে আসার সময় মা আবার এন্ট্রি গেটের দিকে যাচ্ছে দেখে তাকে বললাম যে বের হবার পথ ওটা না। মা আমাকে থামিয়ে দিয়ে বললো, আরে দাড়া! সেই রয়েল বেঙ্গল টাইগারটা আছে কিনা দেখি, থাকলে চল তার সাথে আমরা একটা ছবি তুলে আসি।



কলকাতার একটি মসজিদ



পুরানো কলকাতায় বিড়ালের একটি এতিমখানা



কলকাতার একটি চার্চ



কলকাতা থেকে কালকা ১,৭১৩ কিমি যাত্রাপথে একটি স্টেশন



কালকা থেকে সিমলা যাবার পথে পাহাড়ি টয় ট্রেন



কালকা থেকে সিমলা যাবার পথে ছোট্ট একটি পাহাড়ি রেল স্টেশনে দাঁড়িয়ে


দেড়শো বছরের পুরানো একটা ভবনের ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে সিমলা



সিমলা স্ক্যান্ডাল পয়েন্ট



সুন্দরী সিমলা



কাশ্মীরের একটি রেল স্টেশন



ট্রেন টু প্যারাডাইস



শ্রীনগরে ডাল লেকে যে হাউজবোটে ছিলাম তার ড্রইং রুম



ডাল লেকের পাশে ব্যুলেভারড রোড



কাশ্মীরে হেমন্তের পাতা ঝরার দিনগুলিতে



ফুলের সিজন না তারপরও এতো রঙ , তাহলে বসন্তে কি অবস্থা হয়!!!



বিখ্যাত পবিত্র হযরতবাল মসজিদ। এই মসজিদে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর একটি পবিত্র দাড়ি মোবারক সংরক্ষণ করা আছে।



ইউনিভার্সিটি অফ কাশ্মীর



গান্ডেরবাল শহর। আমার কাশ্মীরি বন্ধুদের বাড়ি এখানেই। ওদের বাড়িতে ২১ দিন ছিলাম।

কাশ্মীরের অসাধারণ ছবিগুলো এখানে সংযুক্ত না করতে পারার জন্য দুঃখিত। আশাকরি অন্য লেখাতে সেই ছবিগুলো থাকবে।

লেখাটা শেষ করতে চাই একটা ভালোবাসার গল্প দিয়ে। দুলালী বিশ্বাস, দিল্লি থেকে কলকাতা আসার সময় প্রায় পৌড় এই ভদ্রমহিলা ট্রেনে আমাদের সহযাত্রী ছিলেন। আমরা যে সময় ট্রেনে কলকাতা ব্যাক করছিলাম সেসময় রাতের যাত্রায় প্রচন্ড ঠাণ্ডা পড়ে। এতোটা ঠান্ডা যে পড়তে পারে কল্পনা করা যায় না। আমাদের কাছে এই ঠান্ডাকে প্রতিহত করার জন্য কোন কিছু ছিলো না। দুলালী কাকীর কাছে দুটো কম্বল ছিলো, তিনি একটা আমাদের দিয়ে দিলেন। রাতে যে কয়বার তিনি ওয়াশরুমে গেছেন, আমার গায়ের কম্বল ঠিক করে দিয়ে গেছেন। আমাদের ট্রেনটা সেদিন লেট ছিলো। ২২ ঘন্টার জার্নি লেগেছিলো ৩০ ঘন্টারও বেশি। মাঝপথে যে স্টেশন থেকে খাবার কিনে খাবো ভেবেছিলাম সে স্টেশনগুলোতে অসময়ে পৌছানোর কারনে আমাদের প্রয়োজনীয় খাবার পাইনি। কেউ কি বিশ্বাস করবে, দিল্লি থেকে আমি আর মা যখন রওনা দিয়েছি আমাদের কাছে তখন সর্বসাকুল্যে ৩৮০ রুপি ছিলো। এজন্য কোন দামী খাবারও আমরা কিনতে পারছিলাম না। তো যেহেতু আমরা না খেয়ে ছিলাম এজন্য দুলালী কাকীমাও না খেয়ে ছিলেন। বেচারীর কাছে অল্প যে খাবার ছিলো তা খেতে তিনি বহুবার অনুরোধ করেছেন, কিন্তু আমরা তার খাবার খেতে রাজী হয়নি। বারবার তিনি বলেছিলেন, “আমার আব্বুটা না খেয়ে রয়েছে, তার সামনে আমি খাই কি করে!”


দুদিন আগে দুলালী কাকীমা ফোন দিয়েছিলেন। আমাকে বললেন, “আব্বু, আমার বাড়িতে পূজো হচ্ছে, তোমার আম্মুরে নিয়ে তুমি চলে আসো”। এই ভালোবাসাগুলো চোখের কোনে একগাদা পানি জমা করে দেয়। মহান আল্লাহ সবার মংগল করুন।

মন্তব্য ৬২ টি রেটিং +১৫/-০

মন্তব্য (৬২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:৪৭

আবু আফিয়া বলেছেন: যতটুকু পড়েছি ভাল লেগেছে, আরো কয়েকটি ছবি দিলে মনে হয় আরো ভাল হত।

১৫ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:৫১

সারাফাত রাজ বলেছেন: ধন্যবাদ আফিয়া। :)
সামুতে ছবি এড করা কিছুটা ঝামেলার ব্যাপার। তবুও আমি আরো কয়েকটি ছবি এড করার চেষ্টা করছি।
শুভেচ্ছা জানবেন।

২| ১৫ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:৫৪

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: সারাফাত ভাই!!!!!!!!!

১৫ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:৫৬

সারাফাত রাজ বলেছেন: জ্বি ভাই :#) :#) :#)

৩| ১৫ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:০২

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: খুবই ভাল লাগল।

১৫ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:০৩

সারাফাত রাজ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ। :)
কৃতজ্ঞতা ও শুভকামনা জানবেন

৪| ১৫ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:১৫

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: সারাফাত ভাই,অনেক দিন পরে এসে যে একটা পোষ্ট দিলেন তার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
লেখক বলেছেন,ছবিটা যে আমার তোলা তাই তো এখন বিশ্বাস হয়না!,আপনার বিশ্বাস না হলেও আমার কিন্তু ১০০% বিশ্বস হচ্ছে ছবিটা আপনারই তোলা।

কি সাবলীল ভাবে লেখেন আপনি যেটা আমাকে বারবারই অবাক করে।দীর্ঘদিন অপেক্ষায় থেকে আজ আপনার একটা লেখা পেলাম।তবে মন কিন্তু ভরল না।
যাওয়া আর আসার মাঝেই শেষ করে দিলেন!

ফেসবুকে আগেই কিছু কিছু সংক্ষিপ্ত লেখা পড়েছি।ছবিও দেখেছি।কিন্তু একটা পরিপূর্ন পোষ্ট পড়ে মনে যে তৃপ্তি হয় তাকি আর ফেসবুকে সম্ভব।
আপনি নিশ্চয় অনেক সৌভাগ্যবান।অনেক মানুষের ভালবাসায় সিক্ত হন প্রতিনিয়ত।আমার মনে হয় নিজে একজন ভিষন ভাল মনের মানুষ হলে সে নিজেও চারপাশের মানুষদের ভালবাসা সহজেই পেয়ে যায়।
আপনার কাশ্মির ভ্রমনের লেখার অপেক্ষায় থাকব।এবার নিশ্চয় অপেক্ষার প্রহর দীর্ঘ হবে না?

১৫ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:৪২

সারাফাত রাজ বলেছেন: ধন্যবাদের জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন। আপনি যে কষ্ট করে আমার মানহীন লেখা পড়েন এজন্য স্পেশাল থ্যাংকু।


লেখাটা লিখে আমি কিন্তু সন্তুষ্ট হয়নি। মনে হচ্ছে একেবারেই পড়ার যোগ্য না লেখাটা।

আল্লাহর রহমতে আমি পৃথিবীর সবচাইতে সৌভাগ্যবানদের একজন। শুধু রজনীকান্তের গানটা মনে পড়ে,
আমি অকৃতি অধম বলেও তো কিছু
কম করে মোরে দাওনি;
যা দিয়েছ, তারি অযোগ্য ভাবিয়া
কেড়েও তা কিছু নাওনি।।


লেখালেখি একেবারেই করতে ইচ্ছা করে না এখন আর। পরবর্তী লেখার ব্যাপারে কোন কথা দিতে পারছি না।
আপনি অনেকখানি জুড়ে মন্তব্য করেছেন। আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা। ভালো থাকবেন সবসময়। শুভকামনা জানবেন।

৫| ১৫ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৫০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: কাস্টমসের ফোবিয়া থেকেও যেভাবে মধুরেন সমাপয়েৎ হল শুনে ভালো লাগলো। সিমলাতে টয় ট্রেনে চড়েননি?রোটাং এ গেলে আরও মজা পেতেন।কুলু, মানালি,মনিকোরাং গেলে দেবভুমির সৌন্দর্যে মুগ্ধ হতেন।ভারতের সব চেয়ে উচু লে- লাদাক রোডের অভিজ্ঞতাটা বোধহয় একটু আলাদা।শিকারা চড়ার মজাটাও দারুন উপভোগ্য।আর কাশ্মীরের আপ্যায়ন,তা আর ভোলার নয়।এক গ্লাস চা সঙ্গে বিরাট সাইজের কেক।আমাদের এখানে শুধু চা-বিস্কুট নয়।
যাক প্রায় দশ বছর আগে আমার সিমলা-কাশ্মীরের অভিজ্ঞতা শেয়ার করলাম।শুভেচ্ছা রইল।

১৫ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:৫০

সারাফাত রাজ বলেছেন: কাস্টমস ইমিগ্রেশন আমি বরাবরই ভয় পাই। এতো বার গেছি, তারপরও ভয় কাটায়ে উঠতে পারলাম না।
সিমলাতে টয় ট্রেনে চেপেই গেছি। শিবালিকে চড়ে। মানালির দিকে যাওয়া হয়নি, তাহলে হয়তো এবার রোথাং পাসের দিকে যাওয়া হতো। হিমালয়ের প্রতিটা জায়গা আমাকে মুগ্ধ করে। তার মধ্যেও কুল্লু, মানালি, মণিকারান এর রূপ চোখ ধাধানো।
আল্লাহর রহমতে ভারতের সবচেয়ে উচু লে-লাদাখ পথ ধরে যাবার সৌভাগ্য হয়েছে। শিকারাতে চড়ার সৌভাগ্যও হয়েছে।

আর কাশ্মীরের আপ্যায়ন!! এতো ছোট জায়গাতে সেটা নিয়ে আলোচনা একেবারেই সম্ভব না।

আশাকরি আপনার দশ বছর আগের সিমলা-কাশ্মীরের অভিজ্ঞতা অসাধারণ হয়েছিলো। আরো বিস্তারিত সেগুলো জানতে চাই।


শুভকামনা ও ধন্যবাদ জানবেন।
:)

৬| ১৫ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৪

নতুন নকিব বলেছেন:



বিগত সময়ের পোস্টগুলোর মতই অসাধারন আরেকটি ভ্রমন আলেখ্য।

অনেক শুভকামনা। অনেক ভাল থাকার প্রার্থনা।

১৫ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:৩৫

সারাফাত রাজ বলেছেন: নকিব ভাই, আমি আপনার লেখাগুলো খুব গুরুত্ত্ব সহকারে পড়ি। মন্তব্য করা হয়না, ক্ষমা করবেন।

লেখাটা ভালো লাগার জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন।

ভালো থাকুন সবসময় এই প্রাথনা করি।

৭| ১৫ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আমার আগের মন্তব্য পর্যন্ত আপনার সিমলার ছবিগুলি ছিলনা।পরে দেখে খুশি হলাম।টয়ট্রেনে চড়া কালীন সম্ভবত বোরলগ সহেবের কাটা পাহাড়ের ভিতরকার পাস দারুন উপভোগ্য।সিমলা কালি বাড়ি ও ম্যাল দর্শনীয় স্থান।ধন্যবাদ।

১৫ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:০০

সারাফাত রাজ বলেছেন: অসাধারণ সিমলা শহরের আলাদা একটা আবেদন তো আছেই, এটা ছাড়াও এই টয় ট্রেনটা আমাকে গভীরভাবে টানে। এখনো পর্যন্ত ৩ বার টয় ট্রেনে চেপে সিমলা যাবার সৌভাগ্য হয়েছে।
বোরলগ সাহেবের কাহিনীটা পড়ে সত্যিই রোমাঞ্চিত হই। শ্রদ্ধা জাগে তাদের কাজের প্রতি। কি পরিমাণ আত্মসম্মান বোধ তাদের ছিলো। অথচ দেখেন এক মালিবাগ-মৌচাক তৈরী করতে গিয়ে আমরা কি পরিমাণ তালগোল পাকিয়ে ফেলেছি। তারপরেও উন্নয়নের ফিরিস্তি হিসাবে সেটার বড় বড় বিজ্ঞাপন করি।

পুরো সিমলা জুড়েই যেন একটা শোকেস। মন ভরে যায়। :)


কষ্ট করে পুনরায় মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন সবসময়। শুভকামনা জানবেন।

৮| ১৫ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:০৭

আবু আফিয়া বলেছেন: কথা রাখার জন্য লেখককে ধন্যবাদ ।

১৫ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:০৩

সারাফাত রাজ বলেছেন: আপনি আরো ছবি দেখতে চেয়েছিলেন, ব্যাপারটা আমার সাধ্যের মধ্যে ছিলো। অতএব এটা আপনার অধিকার আর আমার দায়িত্ত্ব।


ভালো থাকবেন সবসময়। শুভকামনা জানবেন। আশাকরি আমার সবগুলো লেখাতেই আপনাকে সঙ্গী হিসাবে পাবো।

৯| ১৫ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:৩৯

খসরুল আলম বলেছেন: বহু দিন পর আপনার লেখা । কি খবর ভাই,আছেন কেমন?

১৫ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:৩৯

সারাফাত রাজ বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ, আমি ভালো আছি। আপনি কেমন আছেন? আপনার দুবাইয়ের দিনলিপি জানতে চাই। আশাকরি আপনি অগ্রাহ্য করবেন না এ আবদার।
ভালো থাকবেন সবসময়। বিদেশ-বিভুইয়ে সাবধানে থাকবেন।

১০| ১৫ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:৪৮

মোহাম্মদ মজিবর রহমান বলেছেন: দারুন অভিজ্ঞতায় ভরপুরের সফর।

১৫ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:৪৫

সারাফাত রাজ বলেছেন: দিন যায়, আমার এ প্রেম যায় বেড়ে :)
অভিজ্ঞতা উপরি পাওনা। :#)

ছোট্ট করে খুবই সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

১১| ১৫ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:০২

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনার ভ্রমন কাহিনীগুলো অসাম্প্রদায়িকতার একটি মিষ্টি গন্ধ থাকে। এটা দারুন সৌরভ ছড়ায়। খুবই এঞ্জয় করি। ইচ্ছে আছে সামনে মাকে নিয়ে আমিও বেড়াতে যাবো কাস্মীর।

১৫ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:৪৯

সারাফাত রাজ বলেছেন: ভাই, আপনার পদচারণা আমার লেখাগুলোকে অন্য এক মর্যাদায় নিয়ে যায়। কৃতজ্ঞতা জানবেন।
আশাকরি খালাম্মাকে নিয়ে খুবই আনন্দ সহকারে ভূস্বর্গ পরিক্রমা করে আসবেন। আপনার লেখা তো সবসময়েই অনবদ্য, ভ্রমণের লেখাগুলো নিশ্চয় সব কিছুকে ছাপিয়ে যাবে। আপনার এবং আপনার পরিবারের প্রতি অগ্রিম শুভকামনা।

১২| ১৫ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:২৭

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: অাপনার ঝকঝকা ছবি সমৃদ্ধ পোস্টটি প্রাণঞ্জল বর্ণনায় ভ্রমন কাহিনীটি পড়ে অনেক ভালো লেগেছে।

১৫ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:০০

সারাফাত রাজ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ। আমার আগেও কিছু ভ্রমণ লেখা আছে, আপনি চাইলে পড়তে পারেন।
ভালো থাকবেন সবসময়। শুভকামনা জানবেন।

১৩| ১৫ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:৩৮

অহন_৮০ বলেছেন: ভালোই হয়েছে কিন্তু আপনি ভয়াবহ সাহসী, ৩৮০/- রুপি নিয়া দিল্লি থেকে কলকাতা চলে আসছেন.....

১৫ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:০৪

সারাফাত রাজ বলেছেন: সাথে কিন্তু আমার মাও ছিলেন। B-)


হা হা হা হা
ভাই, আপনি যতোটা কঠিন ভাবছেন, ব্যাপারটা একেবারেই ততো কঠিন ছিলো না।
বর্ডার যখন ক্রস করি পকেটে হাত দিয়ে দেখি আরো কিছু রুপি বাকী আছে, বর্ডারের যেসব দোকান ছিলো সেখান থেকে টুকটাক এটা ওটা কিনে এনেছিলাম। তারপরেও বাড়িতে এসে দেখি কিছু খুচরা রয়ে গেছে। B-))

মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন সবসময়।

১৪| ১৫ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:৩১

অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: ওয়াও! অসাধারণ ছবি ও বর্ণনা। চমৎকার লেগেছে।

১৫ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:০৭

সারাফাত রাজ বলেছেন: ছবিগুলো যেমন এসেছে, ওখানকারের সত্যিকারের রূপ আরো অসাধারণ। আমি আসলে ছবি তুলতে পারি না সেভাবে। তারপরেও সবকিছু আপনার ভালো লেগেছে সেজন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন।

আমার আগেও কিছু লেখা আছে, চাইলে পড়তে পারেন।

ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা জানবেন।

১৫| ১৫ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:১৯

তাওহিদ হিমু বলেছেন: আহ! কী ভাল লাগছে বহুদিন পর আপনার লেখা পড়তে পেয়ে! সেই মানুষজন, সেই সরল বর্ণনা, চারপাশের সব খুঁটিনাটি বিষয় বলে দেওয়া। আপনার লেখা পড়লে শান্তি লাগে। ইদানীং তো লিখেনই না। বেশি বেশি লিখবেন। সপ্তায় অন্ততপক্ষে একটা করে।

১৫ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:১০

সারাফাত রাজ বলেছেন: আপনি কি জানেন, আপনার সাথে মাঝে মাঝে আমার খুবই কথা বলতে ইচ্ছা করে। আপনার কিছু কিছু ধরনে আমি মুগ্ধ হয়েছি।

সপ্তাহে একটা করে!! বাপরে!! আমি এমনিতেই অলস মানুষ।

ভালো থাকবেন সবসময়। আশাকরি খুব দ্রুতই আপনার সাথে আবার কথা হবে।

১৬| ১৫ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৫

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট।

আমি যাবো বেড়াতে ইনশাল্লাহ।

১৫ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:১৫

সারাফাত রাজ বলেছেন: আপনার প্রশংসা আমার মুকুটে সবচাইতে উজ্জ্বল পালক সংযোজনের সমান।
আশাকরি খুব শিঘ্রই ভাবীকে নিয়ে আপনি যেতে পারবেন।
ভালো থাকবেন সবসময়।
মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন।

১৭| ১৫ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৯

মোঃ হাসনাত আল-আমিন বলেছেন: ভাই মরা মেরে খুনের দায়ে পড়েছে এইটা সবচাইতে ভাল লেগেছে। আর আপনাদের মা-ছেলের ভ্রমনের কাহিনী পড়তে পড়তে নিজের মায়ের কথা খুব মনে পড়ে যায়। ভাবতে থাকি আমার মা'র সাথে যদি ঘুরতে পারতাম আপনার মত করে

১৫ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:২৪

সারাফাত রাজ বলেছেন: আশাকরি আপনি আপনার মাকে নিয়ে ট্যুর দিবেন। আমার মতো করে ঘুরতে হবে কেন, আপনি আপনার মা যেভাবে স্বস্তি পান সেভাবে ঘুরবেন।
একটা ভ্রমণে যে কতো রকমের মজার ঘটনা ঘটে। সেই মজার ঘটনাগুলো মনে করে আমি আর মা এখন মন খারাপ করি। ইশ! কতো যে ভালোলাগা জড়িয়ে আছে সবকিছুতে!

ভালো থাকবেন। শুভকামনা জানবেন সবসময়।

১৮| ১৫ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:২৫

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: মন ভালো হয়ে যাওয়া কিংবা খারাপ হয়ে যাওয়া পোষ্ট........শুভেচ্ছা

১৫ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:২৯

সারাফাত রাজ বলেছেন: সাদা ভাই, আপনি যখনই আমার পোস্টে মন্তব্য করেন আমার মন ভালো হয়ে যায়।
অনেকদিন পর লগ ইন করলাম সামুতে। আপনাকে খুবই মিস করি আমি। লগ ইন না করলেও আপনার লেখাগুলো থেকে ঢু মেরে আসি। যশোর রোড নিয়ে আপনার লেখাগুলো আমাকে আবেগায়িত করেছে। কৃতজ্ঞতা জানবেন।

আশাকরি আপনি ভালো আছেন। শুভেচ্ছা ও শুভকামনা জানবেন সবসময়। ভালোবাসা জানবেন।

১৯| ১৫ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:৪৩

শুভ_ঢাকা বলেছেন: আপনাদের মতো ব্লগারদের লেখা পড়ার জন্যই সামুতে আসি। আকর্ষণীয় ছবিসহ আপনার ভারত ভ্রমণকাহিনী অসাধারণ। কাশ্মীরের গান্ডেরবালে ২১ দিন কাটানো কথা ডিটেল জানতে চাই। এটা আমার দাবী আপনার কাছে।

১৫ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:৫১

সারাফাত রাজ বলেছেন: শুভ, আমার ধারনা আপনি নিজেই অসাধারণ লিখেন। আমি আপনার লেখা পড়তে চাই। আপনি কি দয়াকরে ফেসবুকে আমার সাথে সংযুক্ত হবেন?

দুঃখিত, আপনার দাবী আমি কতোটুকু পূরণ করতে পারবো জানি না। তবে আপনার দাবি ভালোবাসারই নামান্তর। আমি অবশ্যই ভালোবাসা ফেরত দেবার চেষ্টা করবো।

শুভকামনা জানবেন সবসময়।

২০| ১৬ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ৮:২৪

সুমন কর বলেছেন: আপনার এই সাবলীল বর্ণনার কারণেই পোস্টগুলো পড়তে খুব ভালো লাগে। বোঝা যাচ্ছে, খুব মজা করেছেন এবং ঘুরে বেড়িয়েছেন। আপনার লেখায়ও একটা আন্তরিকতার ছোঁয়া যাছে, সেটা ভালো লাগে।
শুভ সকাল....

১৭ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:১৬

সারাফাত রাজ বলেছেন: প্রিয় সুমন, সুপ্রভাত।
আশাকরি আপনি ভালো আছেন।
সত্যিই আমরা খুব আনন্দ নিয়ে বেড়িয়েছি। আমাদের মোটো হচ্ছে, জীবনের সবকিছু থেকে আনন্দ খুজে বের করার চেষ্টা করা।
একটা বিষয় ভাবুন তো; কাশ্মীরের পাহাড়ী পথ, হেমন্তে চিনার গাছগুলো তাদের লাল পাতাগুলো ছড়িয়ে দিয়েছে, যাযাবরেরা তাদের ভেড়ারপাল নিয়ে যাচ্ছে, আর আপনি আপনার বন্ধুর সাথে বাইকে করে অজানার পথে ছুটে বেড়াচ্ছেন। ঠিক এভাবেই আমরা ঘুরে বেড়িয়েছি।

ভালো থাকবেন সবসময়। শুভকামনা জানবেন।

২১| ১৬ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:১০

শুভ_ঢাকা বলেছেন: সারাফাত রাজ ভাই,

আমার ফেইসবুকে একটা একাউন্ট আছে ঠিকই কিন্তু ফেইসবুকে আমি একদমই একটিভ নই। লেখালেখি ব্যাপারেও আমার প্রচণ্ড আড়ষ্ঠতা আছে। প্লাস যোগ্যও নই। আমি একজন বিশুদ্ধ পাঠক হিসাবেই থাকতে চাই।

কাশ্মীরে আপনার বন্ধুটি নিজেদের পরিবারের সদস্যদের সাথে কাশ্মীরী ভাষাতে কথা বলতো না উর্দুতে।

১৭ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:৩৩

সারাফাত রাজ বলেছেন: শুভ, ফেসবুক ব্যাবহার না করার জন্য আপনাকে হিংসা করছি। আপনি তো মহাপুরুষ ভাই। আমি তো হাজার চেষ্টা করেও ফেসবুক ছাড়তে পারছি না।

বিশুদ্ধ পাঠকেরাই বিশুদ্ধ লেখক হয়ে ওঠেন।

কাশ্মিরীদের সাথে আমরা জগাখিচুড়ি ভাষায় কথা বলতাম। বাংলা, হিন্দি, উর্দু, ইংরেজী এবং কাশ্মিরী ভাষা মিলিয়ে।

২২| ১৬ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:১২

শাহিন বিন রফিক বলেছেন: পৃথিবীর প্রতিটি মা তার সন্তানের কাছে প্রিয় বন্ধু। আপনার মায়ের সাথে আপনার এই ভ্রমণ গল্প সত্যি আমাকে মুগ্ধ করেছে। ভাল লেগেছে কাশ্মীর ও কলকাতা মানুষের ভালবাসা শুনে। লাইক ও প্রিয়তে থাকল, আশাকরি খুব দ্রুত বাকি গল্প শুনতে পাব।

১৭ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:০৬

সারাফাত রাজ বলেছেন: প্রিয় রফিক,
আশাকরি আপনি ভালো আছেন। পৃথিবীর সবচাইতে চিরন্তন সত্যের একটা হচ্ছে যে, পৃথিবীর প্রতিটি মা তার সন্তানের কাছে প্রিয় বন্ধু। সমস্যা হচ্ছে আমরা অধিকাংশই এই ব্যাপারটা অনুধাবন করতে পারি না। আপনি নির্ঘাত ভাগ্যবান যে এই সত্য আপনি উপলব্ধি করতে পেরেছেন।


আশাকরছি বাকী গল্পগুলো খুব শীঘ্রই করতে পারবো। আমি নিজেও অধীর হয়ে আছি কথাগুলো বলার জন্য।

ভালো থাকবেন। শুভকামনা জানবেন সবসময়।

২৩| ১৬ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:৫৫

পদ্মপুকুর বলেছেন: যেমন ছা, তেমন মা! এত ঘুরেন ক্যা? আমাদের হিংসা হয়। B:-/

১৭ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৪

সারাফাত রাজ বলেছেন: ইশশশ!! মায়ের মতো যদি হতে পারতাম!! :)

ঘুরি আর কই ভাই। বছরে সরবোচ্চ একবার কি দুবার।

আশাকরি আপনি ভালো আছেন।
শুভকামনা জানবেন সবসময়। :>

২৪| ১৬ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:৫৮

হাসান জাকির ৭১৭১ বলেছেন: অসাধারণ।
খুব ভালো লাগল।
আপনার তোলা কাশ্মীরের ছবিগুলো দেখা আর তাদের চমৎকার রুপ বর্ণনার অপেক্ষায় থাকলাম।

৩০ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:০৭

সারাফাত রাজ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই। :)
আশাকরি খুব শীঘ্রই আরো লেখাগুলো দিতে পারবো।
ভালো থাকবেন সবসময়। শুভকামনা জানবেন।

২৫| ১৬ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:২৫

অর্ফিয়াসের বাঁশি বলেছেন: অসাধারণ লেগেছে

৩০ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:১১

সারাফাত রাজ বলেছেন: কৃতজ্ঞতা জানবেন। :>

আচ্ছা, অর্ফিয়াস মানে কি? এর বাঁশির সারমর্ম যদি বুঝিয়ে বলতেন।

২৬| ১৭ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:১৮

ড্যানি বিশ্বাস বলেছেন: লেখাটা এখনও পড়িনি, শুধু প্রথম ছবিটার নিচের লেখাটা বোল্ড বলে হয়তো পড়লাম। ঐ কাশ্মীরের ছবিটার নিচে লেখা আপনার কথাটা ভালো লেগেছে। সত্যিই তো বিশ্বাস হয় না যে ঐ ছবি আমাদের কারো তোলা। মনে হয় যে নেট থেকেই নামানো। আমিও তো তেমনই ভেবেছিলাম।

৩০ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:১৫

সারাফাত রাজ বলেছেন: আশাকরি এতোদিনে আপনি লেখাটা পড়তে পেরেছেন। :)

আসলে কাশ্মীর এতো সুন্দর জায়গা, যার রূপ আমার মতো আনাড়ির মোবাইলে সেভাবে ধরা সম্ভব নয়। তবে প্রকৃতির এই রূপকে ছাপিয়ে গেছে সেখানকার মানুষের মনের রূপ।

ভালো থাকবেন সবসময়। শুভকামনা জানবেন।

২৭| ১৭ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:১৬

কালীদাস বলেছেন: ইন্ডিয়ায় আরেকবার যাওয়ার বিন্দুমাত্র ইচ্ছা নেই, যদিও সম্ভবত ২০২১ সালে আরেকবার যেতে হবে হয়ত :(( আপনার লেখাটা পড়ে কাশ্মীরের দিকে যেতে ইচ্ছা করছে, শীতপ্রধাণ জায়গাগুলো আমাকে টানে খুব :) ভালই বেড়িয়েছেন মা-ছেলে :)

৩০ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:২১

সারাফাত রাজ বলেছেন: বোধহয় আপনার ইন্ডিয়া ভ্রমণ অভিজ্ঞতা সুখকর না। তবুও আপনার পরবর্তী ভ্রমণের ব্যাপারে শুভকামনা।

কাশ্মীরকে আপনি ইন্ডিয়া থেকে সম্পূর্ণ আলাদা ভাবতে পারেন। কাশ্মিরীরা নিজেদেরকে ইন্ডিয়ান মনে করে না।
কাশ্মীর সত্যিই অসাধারণ জায়গা। শীতের কাশ্মীর এক অনন্য-সাধারণ রূপ ধারণ করে। তবে ব্যাক্তিগতভাবে আমার কাছে কাশ্মীরের চাইতে উত্তরাখন্ড বেশি প্রিয়।

আল্লাহর রহমতে আমরা মা-ছেলে সত্যিই খুব ভালো বেড়িয়েছি।

ভালো থাকবেন সবসময়। শুভকামনা জানবেন।

২৮| ১৭ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৯

তারেক ফাহিম বলেছেন: চমৎকার ভ্রমন পোষ্ট++

৩০ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:২৪

সারাফাত রাজ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ফাহিম।
শুভকামনা জানবেন সবসময়।

২৯| ২১ শে মার্চ, ২০১৮ ভোর ৫:৩৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: ভ্রমনের কাহিনীর চেয়ে ঐ সব ভালো মানুষগুলোর কথা পড়তে বেশী ভালো লাগলো। কত ভালো মানুষ। আহা।

৩০ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:২৯

সারাফাত রাজ বলেছেন: ওখানকার মানুষের গল্প লিখতে গেলে মহাকাব্য হয়ে যাবে। আমরা সত্যিই অভিভূত। আপনাকে ওখানকার ট্রাডিশনের ছোট্ট একটা গল্প করি। ওখানে কোন বাসায় গেলে রেওয়াজ হচ্ছে বাসার বয়স্ক মহিলারা জড়িয়ে ধরে অতিথির দু'গালে চুমু খায়। কতোবার যে এরকম ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছি।

ভালো থাকবেন সবসময়।

৩০| ২২ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৩

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: লেখা এবং ছবি অসাধারণ।

৩০ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:৩৪

সারাফাত রাজ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ তারেক। আশাকরি আমার সবগুলো লেখাতেই আপনাকে কাছে পাবো।
ভালো থাকবেন সবসময়। শুভকামনা জানবেন।

৩১| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:৫৩

মনিরুল ইসলাম বাবু বলেছেন: ছবি আর বর্ণনা মিলিয়ে চমৎকার পোস্ট ।

০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:২০

সারাফাত রাজ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন সবসময়। শুভকামনা জানবেন।
:)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.