নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর স্থান হচ্ছে বান্দরবান আর আমি একজন পরিব্রাজক।
বিভিন্ন ভঙ্গিতে, বিভিন্ন রূপে, বিভিন্ন স্থান থেকে হিমালয়কে দেখতে ভালোবাসি। আল্লাহর রহমতে বেশ কয়েকবার হিমালয়ের সান্নিধ্যে যাবার সুযোগ হয়েছে। হিমালয়ে যাওয়া মানে কম্পাস, ম্যাপ, মোটা নাইলনের দড়ি, ইয়া বড়বড় গামবুট ইত্যাদি সহকারে প্রস্তুতি নিয়ে যাওয়া নয়, আমি একজন সাধারণ মানুষ আমি আমার নিজের মতো করে হিমালয় দেখি। হিমালয়কে দেখেছি লোকাল যানবাহনে চেপে, কারো কাছে তার গাড়িতে লিফট নিয়ে অথবা পায়ে হেঁটে। কিন্তু যেভাবে, যতোবারই দেখি না কেন হিমালয়কে দেখে আগের চেয়ে বেশি মুগ্ধ হই।
হিমালয়ের কিছু ছবি নিয়ে আজকের পোস্ট। তবে দু'টো বিষয়ে ক্ষমা করতে হবে।
১। আমি একেবারেই ছবি তুলতে পারিনা।
২। আমার ছবি তোলার যন্ত্রপাতি একেবারেই আহামরি কিছু না।
তবে এ ব্যাপারে গ্যারান্টি দিতে পারি যে কোন ছবিই এডিট করে আলাদা সৌন্দর্য বর্ধন করা হয়নি।
বেশ কয়েকবার কম্পিউটার নষ্ট হয়ে একগাদা ছবি নষ্ট হয়ে গেছে। তার মাঝেই যে কয়েকটা পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে সেখান থেকেই কতোগুলো নিয়ে আজকের সংকলন। উল্লেখ্য সবগুলো ছবিই ভারতীয় হিমালয়ে। এখনো পর্যন্ত অন্য দেশের হিমালয় সন্দর্শনের সৌভাগ্য হয়নি।
২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরের শেষের দিককার এক সকালবেলা হিমাচল প্রদেশে রোথাং পাসে। লোকাল বাস থেকে চলন্ত অবস্থায় ছবিটা তোলা।
কোন এক সময় লাদাখ নামে পৃথিবীর বুকে স্বাধীন এক রাজ্য ছিলো। এখন সেটি ভারতীয় কাশ্মীরের একটি অঞ্চল। লাদাখের সবচেয়ে বড় শহর হচ্ছে লেহ। ছবিটা লেহ রাজপ্রাসাদের ছাদ থেকে তোলা। রাজপ্রাসাদটি কয়েকশ বছর ধরে পৃথিবীর সবচেয়ে উচু ভবন হিসাবে বিবেচিত ছিলো।
পাহাড় ভালোবাসি, ট্রেন ভালোবাসি। আর সিমলা যাবার পথটিতে এ দুটোই আছে। পাহাড়ের শরীর বেয়ে একেবেকে রেলপথ বয়ে চলেছে। ছোট ছোট খেলনার মতো রেলগাড়ি এই পথ ধরে উঠে চলে। সৌভাগ্য হয়েছে এই ট্রেনে চড়ার, এখনো পর্যন্ত তিনবার। তবে প্রথমবারের ভ্রমণ স্মৃতি এখনো অনবদ্য। ট্রেনটা দুই পাহাড়ের ঢালে তিন ঘন্টা নষ্ট হয়ে বিপদজ্বনকভাবে দাঁড়িয়ে ছিলো। ভাগ্যিস নষ্ট হয়েছিলো। নাহলে ঐ রূপ সুধা থেকে বঞ্চিত হতাম।
সূর্যের প্রথম কিরণে আলোকজ্জ্বল সাদা পাহাড় চূড়া। কিলং ওল্ড বাসস্ট্যান্ডে অপেক্ষারত এ দৃশ্যের ছবিটা আমাকে বারবার কিলং-এ নিয়ে যায়। আমি কি কখনো ভুলতে পারবো যে পুরো এক বাজারের সমস্ত মানুষ আমার জন্য রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলো যেন আমি একটা গাড়িতে উঠতে পারি! সেই মানুষগুলোর প্রতি কৃতজ্ঞতা।
লেহ নামের অসাধারণ শহরটা তার কারুকার্যমন্ডিত প্রবেশ তোরণ দিয়ে আমাকে স্বাগত জানিয়েছিলো। অপেক্ষা করি, ইশ! আবার যদি যেতে পারতাম এখানটাতে! আলী নামে একজন অমায়িক মানুষ আমাকে শহরটাতে পৌছে দিয়ছিলো। তার মহানুভবতা কখনোই ভোলার নয়। আমি নিশ্চিত আর কখনোই মানুষটার সাথে দেখা হবে না। যেখানেই থাকুক, মানুষটা ভালো থাকুক।
সিন্ধু নদ। প্রথম দেখাতে শিহরিত হয়েছিলাম। পৃথিবীর সবচাইতে প্রাচীন সভ্যতার একটির গর্বিত জনক সে। তার গুরুগম্ভীর পথচলা এখনো সমীহ জাগায়।
দ্যা গ্রেট হিমালয়।
এই ঝরনা থেকেই বিখ্যাত যমুনা নদীর সৃষ্টি। বিখ্যাত যমুনাত্রী গ্লেসিয়ারের বরফ গলা থেকেই তার সূচনা। পাশেই বিখ্যাত যমুনা মন্দির। হিন্দুদের বিখ্যাত তীরস্থান। তীর্থে আসা পূণ্যাথীরা এই ঝরনা থেকে বোতলে করে পানি সংগ্রহ করে। এখানেই রয়েছে ভীষন গরম পানির এক কুন্ড। যেখানে কাপড়ে চাল বেঁধে ভাত রান্না করে প্রসাদ হিসাবে গ্রহণ করা হয়। প্রকৃতির কি সৃষ্টি! একই সাথে বরফ গলা জল আর আগুন গরম পানি পাশাপাশি প্রবাহিত হয়।
ভুজবাসা নামে একটা জনপদ। জনসংখ্যা ৫০ জনের কম। পৃথিবীতে এরকম অসাধারণ জায়গার সংখ্যা মনেহয় খুবই কম। আল্লাহর রহমতে এখানে যাবার সৌভাগ্য হয়েছিলো।
চীরবাসা নামে অদ্ভুত অসাধারণ একটা জায়গা। কেউ কি বিশ্বাস করবে যে এই জনপদের বাসিন্দা মাত্র দু'জন!
তপোবন। চারপাশে শুধু আরো উচু সাদা পাহাড়। এখানে রঙ্গিন ঘাস, আর ধূসর হরিণ। ছোট এক নদী, নাম অমরগঙ্গা। শুধুমাত্র একজন সন্ন্যাসী এখানে তপস্যারত। চারপাশে আর কোন জনমানুষ নেই। সন্ন্যাসীর তপস্যার একটা অংশ হচ্ছে ১২ বছর ধরে তিনি কারো সাথে কথা বলবেন না। অথচ হো হো করে শব্দ তুলে প্রাণখোলা হাসিতে তিনি অতুলনীয়। তার হাসি সাদা পাহাড়গুলোতে অনবরত ধাক্কা খেতে থাকে।
প্রচন্ডভাবে শিহরিত হয়েছিলাম আমাদের প্রমত্তা পদ্মা নদীর উতপত্তিস্থল দেখে। গঙ্গোত্রী গ্লেসিয়ার থেকে ফোটা ফোটা বরফ গলে এই জলধারর সৃষ্টি। এখানে তিনি ভাগিরথি নামে পরিচিত। অনেকখানি পথ চলে দেবপ্রয়াগে এসে অলকানন্দার সাথে মিলিত হয়ে নাম নিয়েছেন গঙ্গা। সেই গঙ্গা প্রায় কয়েক হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের আগ মুহূর্তে হয়ে গেছে আমাদের প্রিয় পদ্মা।
তপোবনে একপাল পাহাড়ি বন্য প্রাণীর সাথে। আহ! কি অসাধারণ মুহূর্ত ছিলো সেটি!
গঙ্গোত্রীতে পাইনের আরালে লুকিয়ে থাকা এক হোটেল।
আমার জীবনে এখনো পর্যন্ত থাকা সবচেয়ে অসাধারণ লোকেশনের হোটেল। ছবিটি আমার হোটেল রুম থেকে তোলা। সদ্য জন্ম নেয়ে গঙ্গা নদীটি এখানে এসেই বাক নিয়েছে। এই জনপদটি মাত্র ৬ মাসের জন্য খোলা থাকে। তারপরেই শহরটি তল্পি-তল্পা গুটিয়ে প্রায় শ'কিলোমিটার দূরে চলে যায়।
প্রিয় শহর সিমলা। এখনো পর্যন্ত সেখানে তিনবার যাবার সৌভাগ্য হয়েছে।
গন্তব্য ওই দূরের সাদা পাহাড়। ওখানেই আছে বিখ্যাত কেদারনাথ মন্দির। আমার লক্ষ্য অবশ্য শুধুই হিমালয়।
তুঙ্গনাথ যাবার পথ। চোপতা বুগিয়াল থেকে চোখ ফিরিয়ে রাখা একেবারেই অসম্ভব।
গোধুলীর আলোতে চোপতা বুগিয়াল। চোখের পলকে তার রঙ বদলানোর খেলা।
কাশ্মীরের নীলম নদীটা তখন কেবল জমাট বাঁধা শুরু করেছিলো। রাতের বেলা ঐ কাঠের ঘরগুলো থেকে আলো যখন জমাট বাঁধা নদীতে পড়ে সে মুহূর্তটা নিজের জীবনের সবচেয়ে দামী সম্পদ মনে হয়।
মিরিকের চা বাগানে মেঘগুলো বড্ড বিরক্ত করে ছবি তোলার সময়।
কাশ্মীরে জমাট বাঁধা নদীতে একটা গাড়ি যেন লুকিয়ে আছে।
আকাশকে স্পর্শ করার প্রাণপণ চেষ্টারত দার্জিলিংয়ের পাইনগুলো।
চন্দশীলাতে সূর্যদয়ের আগ মুহূর্ত। পৃথিবীর সব সৌন্দর্য যেন এই সময়ে এইখানে এসে থমকে যায়!
কাশ্মীরের নীলম নদীটি তার সব সৌন্দর্য যেন ময়ুরের মতো পেখম মেলে দিয়ে আছে। নামের চাইতেও তিনি রূপবতী।
যদি আমাকে জিজ্ঞাসা করা হয় আমার দেখা হিমালয়ের সবচেয়ে অসাধারণ রূপটি কোথায়। একবারও না ভেবে আমি বলবো, অবশ্যই উত্তরাখন্ড।
অনেকগুলো ছবি হয়ে যাবার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:৫৫
সারাফাত রাজ বলেছেন: অনেক অমেক ধন্যবাদ যুক্তি।
শুভকামনা জানবেন সবসময়।
২| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:১৩
তাওহিদ হিমু বলেছেন: কে বলে আপনি ছবি তুলতে পারেন না? প্রতিটি ছবি অসাধারণ হয়েছে। আমি মুগ্ধ। কিছু ছবি ত প্রফেশনাল ফটোগ্রাফারের তোলা ফটোশপ করা ছবির চেয়েও বেশি সুন্দর হয়েছে।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৫
সারাফাত রাজ বলেছেন: হা হা হা হা
ভাই, আপনি নিশ্চয় ওই প্রবাদটা জানেন, ঝড়ে বক মরে আর ফকিরের কেরামতি বাড়ে।
আমার হয়েছে সেই কপাল। জায়গার গুনে ছবি সুন্দর হইছে।
আশাকরি আপনি ভালো আছেন।
৩| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:০৮
সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: দারুণ পোস্ট! মুগ্ধ! আপনি সত্যিকারের ট্রাভেলার।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:৩১
সারাফাত রাজ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ মহামান্য সম্রাট।
মন ভালো করা মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন।
৪| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:১০
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: সারাফাত ভাইয়ের পোষ্ট দেখেই মন আনন্দে নেচে উঠল।
কিন্তু ভেতরে ঢুকে একটু আশাহত হলাম।আরে এযে দেখি শুধুই ছবি পোষ্ট।
যাক আশা করি খুব শিঘ্রই আপনার কাশ্মীর ভ্রমনের উপর লেখা পাব।
ছবি গুলো অসাধারন।+++
০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:৩৫
সারাফাত রাজ বলেছেন: আপনি যে প্রতিবারই কষ্ট করে আমার পোস্টগুলো পড়েন এবং প্রাণভরা মন্তব্য করেন, আপনার প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা।
ছবি ভালো লাগার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আশাকরি কাশ্মীরের লেখাগুলো দিতে পারবো। এছাড়াও আরো অনেক কিছু লেখার রয়েছে যে.....
আমি ভেবেছিলাম আজকে আপনাকে ফেসবুকে নক করবো। তার আগেই আমার লেখায় আপনার পদধূলি।
ভালো থাকবেন সবসময়।
৫| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:০৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অসাধারন সব ছবি!
মুগ্ধতা হিমালয় সম
আহা! কোনদিন কি স্বচক্ষে দেখা হবে! সৃস্টির অপার বিস্ময় গুলো!!!
শেয়ার করায় ভাললাগা অফুরান
+++++++++++++++++
০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:৩৯
সারাফাত রাজ বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ বিদ্রোহী।
মহান আল্লাহ আপনাকেও স্বচক্ষে হিমালয় দেখার তৌফিক দান করুন।
ভালোলাগা জানবেন সবসময়।
৬| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৯
তারেক_মাহমুদ বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট, লেখা এবং দুটো চমৎকার, হিমালয় দেখিনি কিন্তু আপনার ছবি দেখে ধারনা পেলাম।
০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:০০
সারাফাত রাজ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ তারেক মাহমুদ।
আশাকরি আপনি কখনো সরাসরি হিমালয় দেখতে পারবেন।
ভালো থাকবেন সবসময়। শুভকামনা রোলদবাল।
৭| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:৪২
আখেনাটেন বলেছেন: চোখ জুড়িয়ে যাওয়ার মতোই ছবি। আমার নিজেরও ওদিকে একটু আধটু যাওয়া হয়েছিল। তবে আপনার ভ্রমণ কাহিনির ফিরিস্তি দেখে মনে হচ্ছে একালের ইবনে বতুতা। পড়ে অনুপ্রাণিত হচ্ছি।
০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:২৫
সারাফাত রাজ বলেছেন: আখেনাটেন, ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানবেন। ইবনে বতুতা নমস্য ব্যাক্তি, তার ধারে কাছে যাওয়াও আমার জীবনে সম্ভব না।
আপনার হিমালয় দর্শনের লেখাগুলো পড়তে চাই।
দিল্লী কড়চাগুলো আবারো পড়লাম। বিয়ে বাড়ির ছবিটা অসাধারণ। দিল্লীর মানুষেরা বিয়েতে বাড়াবাড়ি রকম খরচ করে বলে আমার মনে হয়েছে। কি জানি এদের বিবাহ পরবর্তী জীবন কেমন!
ভালো থাকবেন সবসময়। শুভকামনা জানবেন।
৮| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:০৯
কালীদাস বলেছেন: চমৎকার। লেখা এবং ছবি মিলিয়ে বেশ সুন্দর
শীতের ৬মাস কি হোটেলের এরা দূরে কোথাও চলে যায়?
০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:৩৪
সারাফাত রাজ বলেছেন: কালীদাসকে অনেক ধন্যবাদ।
শীতের ছয়মাস শুধু হোটেলের এরাই নয়, পুরো শহরের সব মানুষেরা দূরে চলে যায়। অপেক্ষাকৃত আরো নীচের দিকে যেখানে ঠান্ডার প্রকোপ কিছুটা কম সেখানে চলে যায়। তাদের আসলে দুই শহরেই বাড়িঘর রয়েছে। নীচের শহরে স্ত্রী ও সন্তানেরা স্থায়িভাবে বসবাস করে। আর পুরুষেরা সাধারনত দুই শহরেই বসবাস করে। এজন্য উপরের শহরে নারীদের পরিমাণ বেশ কম। তবে অবেক নারীও ব্যাবসার কারণে উপরের শহরগুলোতে থাকে।
৯| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৮
সৈয়দ তাজুল বলেছেন: চমৎকৃত হইলাম। আসলেই সুন্দর।
লাঠিহাতে মানুষটাই কী লাঠি ছাড়া পশুদের সামনে? এটা কেমনে?
০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:৪৪
সারাফাত রাজ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সৈয়দ তাজুল।
পাহাড়ের সৌন্দর্য কখনোই ছবিতে পুরোপুরি ধরা যায় না।
জি। লাঠিহাতে মানুষটাই লাঠি ছাড়া পশুদের সামনে।
তৃণভোজী বন্য এই প্রাণিগুলো আপাত দৃষ্টিতে বেশ নিরীহ। আমি বেশ কিছুক্ষণ দৌড়াদৌড়ি করে এদেরকে তাড়াও করেছিলাম। অল্প কয়েকটা ভিডিও এখনো টিকে আছে সেসবের।
তবে এই প্রাণীগুলো যখন খাড়া পাহাড় বেয়ে ভারী শরীর ও চার পা নিয়ে সোজাসুজি ওঠে তখন অবশ্যই বিস্মিত হতে হয়। আপনি ইউটিউবে সার্চ দিলে এ সংক্রান্ত ভিডিও পাবেন।
ভালো থাকবেন সবসময়। শুভকামনা জানবেন।
১০| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:২৫
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: ভালো লাগলো +++
০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:৪৬
সারাফাত রাজ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ শাহরিয়ার কবীর। ভালো থাকবেন সবসময়।
১১| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৬
করুণাধারা বলেছেন: মুগ্ধ হয়ে দেখলাম। প্রতিটি ছবিই অনবদ্য। আমার বহুদিনের শখ ছিল গঙ্গোত্রী থেকে শুরু করে গঙ্গাকে অনুসরন করে দেখা। সেই শখ আর পূরণ হয়নি তবে এই প্রথমে গঙ্গোত্রী আর পরে হোটেল থেকে তোলা গঙ্গার ছবি দেখে অনেকটাই দেখা হলো বলে মনে হল। অবশ্য আমার মনে হয় আপনি অলকানন্দার যত ছবি দিয়েছিলেন, গঙ্গার ছবি ততো দেননি, হয়তো নষ্ট হয়ে গেছে বলে।
প্রথম ছবিতে যে পথের ধারে বসে আছেন, সেটা কি হাঁটাপথ নাকি যানবাহন চলে?
০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:২৭
সারাফাত রাজ বলেছেন: প্রিয় করুণাধারা,
অলকানন্দা নামের নদীটার প্রতি আমার বিশেষ আগ্রহ ছিলো। জীবনে দুইটি নদী দেখার খুব শখ, তারই একটা হচ্ছে অলকানন্দা।
তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে অলকানন্দার ছবি খুবই কম তোলা হয়েছে, সে তুলনায় গঙ্গার ছবি তোলা হয়েছে অনেক বেশি। তবে গঙ্গাকে নিয়ে আলাদাভাবে সেরকম কিছু লেখা হয়নি। আমার ফেসবুকে গঙ্গার কিছু ছবি আছে, আপনি চাইলে সেখান থেকে দেখতে পারেন।
গঙ্গার পথের দৃশ্য অসাধারণ। জন্মস্থানে সে কয়েক ফিট মতো চওড়া। আর তারপরেই বিভিন্ন ঝরনা আর আরো কিছু নদী এসে তাতে শুধু বিলীন হয়েছে। আর তারপরেই দেবপ্রয়াগে এসে অলকানন্দার সাথে তার মিলন। পুরো পথ জুড়ে সে যে কি অসাধারণ কল্পনা করা সম্ভব না। গঙ্গোত্রীতে এসে পুরো জলধারাটুকু মাত্র তিনফুটে সীমাবদ্ধ হয়ে প্রায় ৪০ ফুট উচু থেকে ঝরে পড়ছে। জায়গাটার নাম সূর্যকুন্ড। আপনার কাছে অসম্ভব ভালো লাগবে জায়গাটা।
প্রথম ছবিতে যে পথের ধারে বসে আছি সেটা একটা হাটাপথ। চোপতা বুগিয়াল নামে সার্চ দিলেই আপনি এর তথ্যগুলো পেয়ে যাবেন। এটি চন্দ্রশীলাতে যাবার পথ, চন্দ্রশীলার চুড়া অতিরিক্ত অসাধারণ। মাত্র কয়েকফিট চওড়া সেখানে। আর চুড়া থেকেই কয়েক হাজার ফিট খাড়া নেমে গেছে। জায়গাটা ১৩ হাজার ফিটের বেশি উচু।
এই হাটাপথ বেশ সহজ। পথের পাশেই পাথরের ঘর আছে। তবে কেউ যদি কষ্ট করে হাটতে না চায় তবে তার জন্য ঘোড়ার ব্যাবস্থা আছে, তবে ঘোড়ার পথ নির্দিষ্ট একটা জায়গা পর্যন্ত।
পথজুড়ে বন্য প্রাণীর আধিক্য। আমি নিজেই ময়ুর তাবড়েছি।
ভালো থাকবেন সবসময়। শুভকামনা জানবেন।
১২| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:২১
দিবা রুমি বলেছেন: ভ্রমণকাহিনীর সাথে ছবি যুক্ত করে দিলে আমার সবসময় ভাল লাগে।
ভাল।হয়েছে ব্লগটি।
০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:১৬
সারাফাত রাজ বলেছেন: আপু, এটাকে ঠিক ভ্রমণ কাহিনী বলা যায় না। শুধুই ছবিভরা এক পোস্ট।
ভ্রমণ কাহিনী পড়তে চাইলে আপনি আমার আগের পোস্টগুলো দেখতে পারেন।
ব্লগ ভালো লাগার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
শুভকামনা জানবেন।
১৩| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:৩০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অসাধারন! তবে পাহাড়ি রাস্তাঘাট বৃষ্টিতে বেশ বিপদজনক।নিশ্চয় সে অভিজ্ঞতা হয়েছে আপনার। আর সিমলা, কাশ্মীরের সঙ্গে মিরিক কিমবা দার্জিলিং সম্ভবত আলাদা সময়ে গেছিলেন।যাইহোক পাহাড়ে আমার প্রচন্ড বমি বমি লাগে। তাই সে দার্জিলিং হোক বা কুলু মানালি সিমলা হোক।তবুও পাহাড়ে যাবো।আর আপনার ছবিগুলি সেই খিদে যেন আরো বাড়িয়ে দিল।
শুভেচ্ছা রইল।
০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:২৮
সারাফাত রাজ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই।
শুনেছি পাহাড়ি পথ ঘাট বৃষ্টিতে বেশ বিপদজ্বনক। তবে আমাকে সেরকম কোন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়নি। আমি আসলে যে সময়টা গিয়েছি সে সময়ে সাধারণত বৃষ্টি হয় না। আর আমি যতোদূর জানি হাই অল্টিচিউটে একটা উচ্চতার পরে বৃষ্টির পরিমানও কমে যায়।
এখনো পর্যন্ত বেশ কয়েকবার হিমালয়ে যাবার সৌভাগ্য হয়েছে। দার্জিলিং একবার, সিমলা তিনবার, মানালি একবার, লাদাখ একবার, কাশ্মীর দুইবার, উত্তরাখন্ড একবার। বিভিন্ন সময়ে ।
পাহাড়ে অনেকেরই বমি বমি লাগে। আমিও এর ব্যাতিক্রম নই। তবে আল্লাহর রহমতে সেগুলো কখনোই আমার আয়ত্ত্বের বাইরে যাইনি। আমি একটা মজার বিষয় দেখেছি। পাহাড়ে যদি ছোট গাড়ি যেমন জীপ বা ট্যাম্পু ট্রাভেলার এসবে না চড়ে বড় বাসে যাতায়ত করা যায় তাহলে এই বমির প্রব্লেম অনেক কম হয়। তবে পাহাড়ে ঘোরার সবচেয়ে আরামদায়ক বাহন আমার কাছে মনে হয়েছে মোটরবাইক। এটাতে চড়তে সেই লেভেলের স্ফূর্তি।
আপনার পাহাড় ভ্রমণের প্রতি অগ্রিম শুভকামনা। ভালো থাকবেন সবসময়।
১৪| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:০১
কাছের-মানুষ বলেছেন: চমৎকার সব ছবি। মুগ্ধ হলাম।
+++
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৮:০৯
সারাফাত রাজ বলেছেন: কাছের মানুষকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশাকরি সব লেখাগুলোতেই তাকে কাছে পাবো।
কাছের মানুষকে শুভকামনা।
১৫| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:৪৮
রাজীব নুর বলেছেন: আহা !!!!
অতি মনোরম।
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৮:১০
সারাফাত রাজ বলেছেন: প্রিয় রাজীব নুর,
ধন্যবাদ এবং শুভকামনা জানবেন।
১৬| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১:২৪
শাহিন-৯৯ বলেছেন: আপনার ভ্রমন কাহিনী হিংসে জন্ম দেয় মনে, ইস, কবে যে বের হব এই সব দেখার উদ্দেশ্যে।
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৮:১৫
সারাফাত রাজ বলেছেন: প্রিয় শাহিন, আপনার হিংসাটুকুই আমার পাথেয়।
যখন আপনি ভ্রমণ করবেন, তখন আপনার সেই কাহিনী পড়ে আমিও হিংসায় জ্বলে পুড়ে মরবো।
সবচেয়ে সহজ পন্থা হচ্ছে, একদিন হুট করে বেরিয়ে পড়েন।
অগ্রিম শুভকামনা।
১৭| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৮:৩৫
আরজু পনি বলেছেন: আপনি অবশ্যই ভালো ছবি তোলেন।
আর আপনার বর্ণনাও চমৎকার!
দুটা প্রশ্ন
গরম পানির কারণ কী জানতে পেরেছিলেন?
ছয়মাস কেন তারা জায়গা বদল করে অন্যত্র চলে যায়?
অনেক শুভকামনা রইলো।
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:৩৫
সারাফাত রাজ বলেছেন: যে প্রশংসার যোগ্য আমি একেবারেই না, তবুও আপনি করেছেন। আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা।
গরম পানির কারণ আমি যতোদূর জানি পাহাড়ের অভ্যান্তরে বিভিন্ন খনিজ পদার্থের মাঝ দিয়ে পানি প্রবাহিত হবার সময় পানি প্রচন্ড পরিমাণে উতপ্ত হয়ে যায়। এই ব্যাপারটাকে ধর্মীয় বাতাবরণ দেয়া হয়েছে।
তবে কি মজার ব্যাপার দেখেন, এখন তো এসব জায়গাতে গাড়িতে করে দুয়েকদিনেই পৌছে যাওয়া যায়। কিন্তু পাচশো-হাজার বছর আগে যখন হিন্দু তীর্থযাত্রীরা সেখানে যেত তারা পরিবার থেকে পুরোপুরি বিদায় নিয়ে আসতো। কারণ তাদের জীবিত ফিরে আসা খুবই কষ্টসাধ্য ছিলো। কমপক্ষে ছয়মাস লাগতো এখানে যেতে। বাহন হিসাবে শুধু পা দু'খানিই সম্বল ছিলো। এই ছয়মাসের পথশ্রম কিভাবে দূর হতো জানেন? ওই উষ্ণ পানিতে শরীর ডুবানোর মাধ্যমে।
গরম পানিতে শরীর ডুবিয়ে রাখার মাধ্যমে শরীরের ব্যাথা নিবারণ হতো। আর এই পানিতে গোসল নাকি চর্মরোগ উপষম করে।
বরফ ঠান্ডা পানি আর এই ফুটন্ত উতপ্ত পানি মিশিয়ে সহনীয় তাপমাত্রা করে এখানে গোসলের ব্যাবস্থা।
এই আরামদায়ক তাপমাত্রায় যখন নেমেছিলাম, টানা দেড় ঘন্টা আমি সেখান থেকে উঠতে পারিনি। এখনো যখন আমি সে সময়ের কথা কল্পনা করি প্রচন্ড আবেশে আমার চোখ বন্ধ হয়ে আসে।
ভেবে দেখেন, আপনি হিমালয়ের একদম গভীরে রয়েছেন, আপনার পাশের ঝরনা থেকেই বিখ্যাত যমুনা নদী যা তাজমহলকে ছুয়ে গিয়েছে, বিশাল উচু পাহাড় চুড়া, চারপাশে বরফের ছড়াছড়ি, প্রচন্ড ঠান্ডা আর আপনি গলা পর্যন্ত প্রচন্ড আরামদায়ক উষ্ণ গরম পানিতে ডুবে আছেন।
এ অনুভুতির জন্য আবার সেখানে যেতে হবে।
ছয়মাস তারা জায়গা বদল করে কারণ প্রচন্ড ঠাণ্ডা। প্রচুর বরফ পড়ে। এই জায়গাগুলোতে তখন জীবন ধারণ একেবারেই সম্ভব নয়।
১৮| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:৫০
পলক শাহরিয়ার বলেছেন: প্রাঞ্জল বর্ণনা আর ছবিগুলোও বেশ সুন্দর। আর হ্যাঁ, নীলম নদীটার ছবি অসাধারণ তুলেছেন।
হিংসা উদ্রেককারী পোস্ট। আপনাকে মাইনাস।
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:৫১
সারাফাত রাজ বলেছেন: প্রিয় পলক,
আপনার মাইনাস আমার জন্য শত শুভকামনার সমান।
নীলম নদী সত্যিই অসাধারণ। তবে আমার কাছে সবচেয়ে অসাধারণ নদীটির নাম শংখ। বান্দরবানের এই নদীটি আমার কাছে পরম বিস্ময়।
আপনার জন্য নীলমের আরেকটি ছবি। নদীটা তখন ঠান্ডায় বরফ হয়ে যাওয়া শুরু করেছে। নদীটার এক টুকরো উঠিয়ে হাতে নিয়েছিলাম। পিছনের পাহাড়গুলো পাকিস্তানের। সশস্ত্র সৈনিক সেখানে টহল দেয় সবসময়। আর ইন্ডিয়ান অংশের সৈনিকেরা খুবই শক্তিশালি কামান তাক করে থাকে তাদের দিকে।
পলক, ভালো থাকবেন সবসময়।
১৯| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৯
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: পুরাই মাথা খারাপ, মনে হচ্ছে এক জীবনে কিছুই তো দেখা হলো না
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:৫৯
সারাফাত রাজ বলেছেন: প্রিয় ভাই,
মহান আল্লাহ আপনাকে পবিত্র হজ্জ্ব করার তৌফিক দিয়েছেন।
দেশের আনাকে কানাচে আপনি ঘুরে বেড়ান। দেশ মানে তো আত্মা, আপনি তো ভ্রমণের আত্মা দেখেছেন।
আপনার ছবিগুলো সবসময়েই মন ভালো করে দেয়।
শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন সবসময়।
২০| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫২
সাদা মনের মানুষ বলেছেন:
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:০০
সারাফাত রাজ বলেছেন: আপনার সাথে এককাপ কফি পান করার প্রবল শখ। সে সৌভাগ্য কি হবে কখনো?
২১| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:২৯
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: হয়তো কোন এক পাহাড়েই আপনার সাথে দেখা হয়ে যাবে, চায়ের দোকান তখন খুঁজে পেলেই হয়
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৮:৩৭
সারাফাত রাজ বলেছেন: আহ! কি অসাধারণ হবে ব্যাপারটা!
২২| ২১ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:২০
প্রথমকথা বলেছেন: প্রথমে যদি থাকে আলী সাহেবের ফোন নাম্বার দিন। ছবি যে রকম সুন্দর ঠিক আপনার লেখার উপস্থাপন ভঙ্গী খুব সুন্দর। সিমলাতে তিনবার গিয়েছেন এবং থেকেছেন ঐ জায়গার একটা ভাল হোটেলের ঠিকানা এবং ফোন নাম্বার দিন , খুব উপকৃত হবো। ধন্যবাদ।
২৩| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:০৭
মোঃ মেহেদী হাসান রিফাত বলেছেন: ভাই আপনার তোলা ছবি আর লেখা পড়ে উত্তরাখন্ড যাওয়ার জন্য লোভ লেগে গেছে।
শেষবার ভারতের জয়পুর ও আগ্রা গিয়েছিলাম।
কিন্তু ভাই উত্তরাখন্ড এর বিষয়ে কোন কিছুই জানি না। যাওয়ার জন্য কোন গাইড লাগবে কিনা, কি কি জিনিসপত্র নিতে হবে, খরচ কত পড়বে, উত্তরাখন্ডে নাকি অনেক গুলো ট্রেকিং রুড আছে তার মধ্যে কোনটা ভাল।
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:৩৫
যুক্তি না নিলে যুক্তি দাও বলেছেন: ছবি গুলো দেখে বেশ পুলকিত হলাম। ভাল লাগল অসংখ্য ধন্যবাদ