নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষ পাহাড় ডিঙায়, পর্বত ডিঙায়, আমি সময়কে ডিঙাতে পারি না। আমি এক জায়গায় জড় হয়ে বসে থাকা মানুষ, ঘূর্ণনশীল পৃথিবী ঘুরবে, আর আমি তার গতিতেই এগিয়ে যাবো। মানুষের ভালো ব্যবহারগুলো সব মরিচীকা, কোথাও সুখ নেই, চারিদিকে অহেতুক সৌন্দর্য।

একজন নীলমেঘ

সময় কিছুই পরিবর্তন করে না, যদি না তুমি পরিবর্তন এর চেষ্টা করো।

একজন নীলমেঘ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আলো আসবেইঃ চট্টগ্রামে লাইব্রেরির গল্প

২১ শে মে, ২০১৮ ভোর ৪:৩৯


প্রতি বছরই রোজার আগে লাইব্রেরি করতে হয়। গতবছর রোজার আগে লাইব্রেরি করা হয়েছিলো চট্টগ্রামের মহেশখালী,রাউজান এবং কাফকো তে। এরপর সেখান থেকে এসেই চলে গিয়েছিলাম দিনাজপুরে।
এবছরও ব্যতিক্রম হয়নি। ৮ তারিখ রাতে চট্টগ্রামের মিরসরাই এবং ফটিকছড়িতে লাইব্রেরি করার উদ্দেশ্যে রওনা দেই। সকাল ভোরে মিরসরাই এর মিঠাছড়াতে নেমে সেখানে লাইব্রেরির কাজ শুরু করে দেই। বাচ্চাগুলোতো তাদের জন্য নতুন গল্পের বই দেখে ক্লাসে যেতে রাজিই হচ্ছিলো না। অফিস রুমে দাঁড়িয়েই একেকজনের বই পড়া শুরু। এরপর অনেক কষ্টে তাদের বুঝালাম যে একদিনে তো পড়ে শেষ করা যাবে না, বইগুলো তাদের স্কুলেই থাকবে এবং প্রতি বৃহঃস্পতিবার তারা বইগুলো বাসায় নিয়ে পড়ার জন্য নিতে পারবে। এবং সপ্তাহে একদিন তাদের বাংলা ক্লাসের জায়গাতে গল্প ক্লাস হবে।

মিরসরাইয়ের লাইব্রেরি করা শেষে রওনা হলাম ফটিকছড়ির উদ্দেশ্যে। তবে দূরত্বটা নেহায়েত কম নয়, ফটিকছড়ির বখতপুর দায়রাবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পৌঁছাতে বিকাল হয়ে যায়। সেখানেও বাচ্চারা গল্পের বই আসছে শুনে স্কুল থেকে যেতে রাজি না। স্কুলে গিয়েই তাদের হাতে বইগুলো ধরিয়ে দিয়ে তাদের আনন্দ দেখতে লাগলাম।
আমাদের দেশের বাচ্চারা এখনো বই পড়তে ভালোবাসে, তাদের জন্য লাইব্রেরি করতে না গেলে হয়তো জানাই হতো না। বই পাওয়ার পর তাদের খুশি না দেখলে তারা শুধু মোবাইল এর প্রতিই আগ্রহী এই ভুল ধারণা নিয়েই পার করতাম জীবন।
এমন আরো হাজারো বাচ্চার কাছে বই পৌঁছে দিতে আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে BAAI- BANGLADESH ASSOCIATION OF AMERICA, INC. তাদেরকে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ।

আপনার এলাকার আশেপাশে লাইব্রেরি করতে যোগাযোগ করতে পারেন https://www.facebook.com/porua.the.reader/ অথবা ০১৯৪৪৯১২৭২৯ এই নাম্বারে।
আলো আসবেই, অন্ধকার দূর হবেই বই পড়ুয়া জাতির হাত ধরে।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে মে, ২০১৮ ভোর ৬:৩৯

পারভীন রহমান বলেছেন: ভাল লাগলো।

২১ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১:৪৩

একজন নীলমেঘ বলেছেন: ধন্যবাদ। আশাকরি সবসময় পাশেই থাকবেন। ^_^

২| ২১ শে মে, ২০১৮ সকাল ৯:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: ভেরি গুড।

২১ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১:৪৪

একজন নীলমেঘ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া। :)

৩| ২১ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৬

মোঃ ফখরুল ইসলাম ফখরুল বলেছেন: শুভেচ্ছা এবং শুভকামনা ♥♥

২১ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১:৪৫

একজন নীলমেঘ বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। আপনাকেও শুভেচ্ছা। :)

৪| ২১ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১:২৯

কাইকর বলেছেন: সুন্দর পোস্ট

২১ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১:৪৫

একজন নীলমেঘ বলেছেন: ধন্যবাদ। পাশেই থাকবেন আশাকরি। :)

৫| ২১ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৫

এমজেডএফ বলেছেন: ভালো উদ্যোগ, সফলতা কামনা করি।

২২ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১২:৪০

একজন নীলমেঘ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। :) ভালো থাকবেন।

৬| ২৩ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:৫৫

আখেনাটেন বলেছেন: চমৎকার উদ্যোগ। এখন ডিজিটাল যুগে শিশুরা তো ছাপার কাগজে বই পড়া ভুলেই গেছে। বিশেষ করে অভিভাবকেরাই অসচেতনার দরুণ বাচ্চাদের ভুল পথে পরিচালিত করছে। অথচ আপনার কথাতেই জানা গেল বাচ্চারা এখনও ছাপার কাগজে পড়ার জন্য মুখিয়ে আছে। অসম্ভব ভালো কাজ করছেন আপনারা।

সাধুবাদ জানাই।

২৩ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:১৬

একজন নীলমেঘ বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। আমিও এই কাজটা না করলে হয়তো জানতামই না বাচ্চারা এখনো কাগজের গল্পের বই ভালোবাসে। আর এটা যেনো হারিয়ে না যায় তাই আমাদেরই এগিয়ে আসতে হবে, তাদের হাতে বই পৌঁছে দেয়ার জন্য।
আর এজন্য আপনাদের সবার সহযোগীতার কোন বিকল্প নেই। ^_^

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.