নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সময় কিছুই পরিবর্তন করে না, যদি না তুমি পরিবর্তন এর চেষ্টা করো।
বাসায় ঢুকার পরেই ঘরের দিকে তাকিয়ে দেখি ঘরটা কেমন ছন্নছাড়া ছন্নছাড়া লাগতেসে। বুঝে গিয়েছি বাসায় আম্মু নেই। মা বাসায় থাকলে ঘরের যে আবহাওয়া, বাসায় না থাকলে তার আবহাওয়া একদম ১৮০ ডিগ্রি উলটো। এটাই হচ্ছে মায়ের ম্যাজিক। তার উপস্থিতিই সব কিছু বদলে দেয়ার জন্য যথেষ্ট, আল্লাহ্ তার মাঝে এই এক অসাধারণ গুণ দিয়ে দিয়েছে, যা একজন বাবার পক্ষে পরিপূর্ণ করা সম্ভব না। তার মানে কি বাবার মধ্যে কিছু দেয়নি? অবশ্যই দিয়েছে। বাবা হচ্ছে এক আশ্রয় স্থল, তিনি থাকা মানে নিশ্চিন্ত থাকা, কোন না কোন কিছু হয়েই যাবে, ভরসা পাওয়া।
আপনার কাছে নারীর সংজ্ঞা কি?
আমি কোন গ্রামীণফোন ফ্যান নই, কিংবা গ্রামীণফোনের সেই কন্টেন্ট বানানোর সাথে যুক্ত কেউও নই, সেটা আগেই বলে নিলাম। কারণ তাদের এবারের নারী দিবসের পোস্টারটা নিয়ে কিছু কথা বলবো ভাবছি। এই পোস্ট নিয়ে এতো এতো মতামত দেখলাম যে দুটো কথা না বললেই নয়। এই পোস্টের লাইম লাইটে আসা হচ্ছে মিথিলার শেয়ারের মাধ্যমে! সে একজন মিডিয়া পার্সন, তার কোন কিছু শেয়ার করা মানেই সেটার কিছুটা ইমপ্যাক্ট সোশ্যাল মিডিয়াতে পড়বেই, এটাই তাদের পাওয়ার। তাই হতে পারে এটা গ্রামীণফোনের কোন এক মার্কেটিং স্ট্যান্ট, যাতে মানুষের কাছে একটু বেশিই ছড়ানো যায়। এটা জাস্ট আমার একটা ধারণা বৈকি। এবার আসি মূল কথায়।
সেই পোস্টের পর বহু পুরুষ এবং মহিলাকে বলতে দেখেছি, কেন তাকে দুই জায়গাই সামলাতে হবে, কেন সে ঘর না সামলালে কি হবে! অনেক পুরুষ বলতেসে সে ঘর সামলাতে পারে, সেও সব পারে! যেই মেয়ে এই কথাটি বলে, আমার খুব জানতে ইচ্ছে হয়, তার মা কি ঘর সামলিয়ে, ঘরের কাজ না করেই তাকে বড় করেছে? সে কি এই বিষয়টার ইমপ্যাক্ট কখনো অনুভব করেনি? একজন মা, একজন নারীই পারে তার ঘরকে শান্তির জায়গা করতে। যদি সে এই কাজ না করে, তবে কোন বাবা/পুরুষের পক্ষে সম্ভব নয়। তারা সাহায্য করতে পারে, হেল্পিং হ্যান্ড হতে পারে, তবে পরিপূরক নয়। এখানে আমি কোন ধর্মীয় চিন্তা নিয়ে আসবো না, সাধারণ চিন্তাধারা থেকেই পুরো বিষয়টা বলার চেষ্টা করবো।
আমাদের দেশে বহু মা আছে যারা বাহিরে কাজ করে এরপর ঘরে এসেও ঘরের সকল কাজ করে। শুধু যে এখনকার অনেক নারী তা কিন্তু নয়, পূর্বে এবং অতীতেও এমন বহু নারীই আছে, তারা যদি সেভাবে ম্যানেজ করে আসতে পারে, এখন এটাকে সম্মানের চোখে দেখলে তা কেন দৃষ্টি কটু হবে আমার জানা নেই। আর তারা ঘর এবং বাহির দুই জায়গাতেই কাজ করে এসে খুব খারাপ কোন উদাহরণ তৈরি করে ফেলেছে কিনা আমার জানা নেই, নাহলে বর্তমানে এধরণের কথা কেন আসবে! আর পুরুষরা ভালো রান্না করতে পারে অনেকে, অনেক কাপড় ও ধুঁতে জানে, তাই বলে সে ঘরের সব কিছু মায়ের মতো করে করবে এটা চিন্তা করা ভুল। আমি যদি আমার বাসার কথা বলি, আমার বাবা এসব কিছুই পারে, কিন্তু তার যে টেম্পারমেন্ট, এতো কিছু করার পর তা আর নরমাল লেভেলে থাকে না। কিন্তু এই একই কাজ আমার মা বছরের পর বছর করে যাচ্ছে, তবে তার কিন্তু এই কাজ নিয়ে কোন টেম্পারমেন্ট হাই হয়ে যাওয়ার ব্যাপার নেই!!!
এর মূল কারণ এই যে, নারীর মাঝে যেই সহনশীলতা, মায়া-মমতা রয়েছে, তা পুরুষের মাঝে নেই। এটা যেমনি লাগুক শুনতে, এটাই সত্য।
আপনাদের কি মনে হয় তা মুক্ত মনে জানিয়ে যেতে পারেন। কোন ঝগড়াঝাঁটি নয়, কথা হোক সমঝোতায়।
ওহ হ্যাঁ, আপনার কাছে নারী মানে কি? আমার কাছে কেন যেনো নারী মানে যিনি ঘরে শান্তি বিলিয়ে বেড়ায় তাকেই মনে হয়।
০৯ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ২:১৬
একজন নীলমেঘ বলেছেন: ঘরের কাজ অবশ্যই কঠিন না। তবে অবশ্যই আপনি আন্টির মতো করে সেভাবে করতে পারবেন না।
২| ০৮ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ৮:৩০
অনামিকাসুলতানা বলেছেন: মায়া শব্দ টা ম নে হয় মা থেকেই এসেছে।
০৯ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ২:১৭
একজন নীলমেঘ বলেছেন: আমারও তাই মনে হয়। মা এবং মায়া-মমতা একে অপরের পরিপূরক। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে।
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ৭:৪৬
নাহল তরকারি বলেছেন: আমি পুরুষ। আম্মু ছাড়া থেকেছি অনেকদিন। এখন আম্মু অসুস্থ। আম্মুর অনেক কাজে সাহায্য করা লাগে। ঘরের কাজ তো তেমন কঠিন না।