নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সামান্য একজন মানুষ। বোধহয় বিবেকের চেয়ে আবেগ বেশি। তেমন বেশি কিছু করতে চাইনা, শুধু অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়তে চাই। এই প্রতিজ্ঞা-ই রইল।।

সাঈদ জামিল

সাঈদ জামিল › বিস্তারিত পোস্টঃ

টাউট। সুবিধাভোগী। পল্টিবাজ। বিদেশি এনজিও\'র দেশীয় দালাল। দেশদ্রোহী। ধর্মবিদ্বেষী। প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানকে নিয়ে ২০০৯ সালের নভেম্বরে দৈনিক ভোরের ডাকে প্রকাশিত মুখোশ উম্মোচন করা রিপোর্ট।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৮


সমাজতন্ত্রের ঝাণ্ডা ফেলে
পুঁজিবাদের পদসেবা :
________
দৈনিক প্রথম আলো দশ বছরপূর্তি উপলক্ষে শ্লোগানে দিয়েছিল-'বদলে যাও, বদলে দাও'।
এর পাশাপাশি তারা বলেছিল-'নিজেকে বদলাতে হবে সবার আগে '। অন্য কোথাও না হোক, একথাগুলোর প্রয়োগ পত্রিকাটির সম্পাদক মতিউর রহমান তার নিজের জীবনে যথার্থভাবেই ঘটিয়েছেন। জীবনের প্রথমভাগে তিনি নিজেকে একজন বিপ্লবী কমিউনিস্ট ভাবতে পছন্দ করতেন। কমিউনিস্ট পাটির পত্রিকা একতা'র সম্পাদক ছিলেন দীর্ঘ ২১।
বছর। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের লেলিনগ্রাদ কিংবা মস্কো ছিল তার মানসভূমি। লেলিনগ্রাদে পা দিয়ে পুলকিত হয়ে কলাম লিখেছেন পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা। সোভিয়েত ইউনিয়ন তখন বিনা পয়সায় লেখক-সাংবাদিকদের সে দেশে যাওয়া -আসা,থাকা খাওয়াসহ প্রায় সব খরচ বহন করতো। নব্বইয়ের দশকে কমিউনিজমের পতন হলে 'শ্রেণী-সংগ্রামে ইস্তফা দিয়ে নিজেই সামন্তপ্রভূ হওয়ার স্বপ্নে বিভোর হন। মতিউর রহমান একসময় সাপ্তাহিক সন্ধানীতে বিজ্ঞাপনের কমিশন এজেন্ট হিসেবেও কাজ করেছেন। পরবর্তীতে চাকরি নেন দৈনিক আজকের কাগজ পত্রিকায়। বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে তিনি কিছু কলাম লিখলেও সেসব তেমন পাঠকপ্রিয়তা পায়নি। যদিও তরুণ সম্পাদক নাইমুল ইসলাম খানের সম্পাদনায় আজকের কাগজ তখন বেশ জনপ্রিয় ছিল। পরে আজকের কাগজের মালিক অবসরপ্রাপ্ত লে.কর্নেল কাজী শাহেদ আহমেদের সঙ্গে মতবিরোধের কারণে সম্পাদক নাইমুল ইসলাম খানের সঙ্গে ভোরের কাগজের নতুন মালিক -ব্যবসায়ী ও পরবর্তী সময়ের রাজনীতিবিদ সাবের হোসেন চৌধুরীর পক্ষ নেন। যে নাইমুল ইসলাম খান তাকে চাকরি দিয়ে ভোরের কাগজে নিয়ে এসেছিলেন,তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে একটুও বাধেনি মতিউর রহমানের। নাইমুল ইসলাম খান আবারো সম্পাদক পদ হারান। মালিকের আস্থাভাজন হিসেবে মতিউর রহমান
ভোরের কাগজের সম্পাদক হন।
পত্রিকাটি এই মতিউর রহমানেকে
কিছু পরিচিতি
এনে দেয়।
এ সুযোগে একতা পত্রিকার কর্মী ও 'বদলে যাওয়া' সাবেক কমিউনিস্টদের নিয়ে নিজস্ব বাহিনী তৈরি করতে থাকেন মতিউর রহমান। ভোরের কাগজের মালিক সাবের হোসেন চৌধুরীর মাধ্যমে সামরিক বাহিনীতেও নিজের যোগাযোগ বাড়িয়ে তোলেন তিনি। ১৯৯৬ সালে সাবের চৌধুরীর সম্পর্কীয় ভাই তৎতকালীন সেনাপ্রধান লে.জেনারেল নাসিমের ক্যু করার চেষ্টা যখন প্রেসিডেন্ট আবদুর রহমান বিশ্বাস এবং সেনাবাহিনীর একটি বড় অংশ দৃঢ়তার সাথে রুখে দেয় তখন মতিউর রহমান সম্পাদিত ভোরের কাগজ নগ্নভাবে জেনারেল নাসিমের গণতন্ত্রবিরোধী কর্মকাণ্ডের পক্ষে অবস্থান নেয়।
মতিউর রহমানের ভাগ্যের পরিবর্তন ব্যাপকভাবে ঘটতে থাকে। তিনি বাংলাদেশের অনেক বুদ্ধিজীবীর সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করেন। ভোরের কাগজ তরুণ ও শিক্ষিত সমাজের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পায়। কিন্তু ভোরের কাগজে একক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার ফলে মালিক সাবের হোসেন চৌধুরী সঙ্গে তার বিরোধ তৈরি হয়। মতিউর রহমান সবসময়ই নীরব ষড়যন্ত্রে সিদ্ধহস্ত। এবারও তার প্রমাণ রাখলেন। ট্রান্সকম গ্রুপের চেয়ারম্যান লতিফুর রহমানের সঙ্গে গোপন বৈঠক করতে লাগলেন।,নতুন পত্রিকা প্রকাশের জন্য। ভোরের কাগজের সাংবাদিক কলামিস্ট। স্টাফ পিয়নসহ তার অনুগতদের নিয়ে গোপনে প্রস্তুতি নেয়া শুরু করেন। এমনকি ভোরের কাগজের রেফারেন্স সেকশনে যতো কাগজপত্র ছিল গোপনে তারও সব কপি করে দলবল নিয়ে বের হয়ে এলেন তিনি। সংবাদপত্রের জগতে এতো বড় প্রতারণার ঘটনা কখনো ঘটেনি। এই হচ্ছে মতিউর রহমানের স্বরূপ। এভাবেই তিনি প্রতারণা বিশ্বাসঘাতকতার সিঁড়ি বেয়ে আজ প্রথম আলোর 'বদলে যাওয়া' শ্লোগানের প্রবক্তা।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এভাবেই তিনি প্রতারণা বিশ্বাসঘাতকতার সিঁড়ি বেয়ে আজ প্রথম আলোর 'বদলে যাওয়া' শ্লোগানের প্রবক্তা।

ভালতো ভাল না! X(( নিজে নিজে করে দেখিয়ে শিখিয়েছে! :-P

==

এদের হিপোক্রেসিতেই দেশের আজ তেরটা বাজে! শেইম অন দেম!

২| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৭

সাঈদ জামিল বলেছেন: অবশ্যয়ই লজ্জা হওয়া উচিত।।

৩| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:১৭

ঢাকাবাসী বলেছেন: জান বাচান ফরজ!

৪| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৩৪

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: তিনিই এ'দেশের কর্পোরেট সাংবাদিকতার জনক
'বদলে যাওয়া' শ্লোগানটি কিন্তু তার জন্য আসলেই মানানসই

৫| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:০১

সাঈদ জামিল বলেছেন: বাঁচাই জান, রাখি জীবনের মান।।

৬| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:০২

সাঈদ জামিল বলেছেন: আলবাদ মানানসই

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.