নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সামান্য একজন মানুষ। বোধহয় বিবেকের চেয়ে আবেগ বেশি। তেমন বেশি কিছু করতে চাইনা, শুধু অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়তে চাই। এই প্রতিজ্ঞা-ই রইল।।

সাঈদ জামিল

সাঈদ জামিল › বিস্তারিত পোস্টঃ

আজকালের জেনারেশন কেন তা বুঝেনা?

২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৪৮


দুপুর ১২টার তপ্ত রোদে কলেজ, স্কুলের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ছেলেদের দেখলে কেন যেন মায়া মায়া লাগে। আসলে কি নেয় ওদের? কি সুন্দর চেহেরা। বাপের ব্যাংক ভরতি টাকা। তাহলে তাসত্ত্বেও স্কুল কলেজ ছুটির সময়, কেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এইসব বহিরাগত ছেলেদের জমায়েত হয়?

ছেলেটি অপেক্ষা করছে কয়েক ঘন্টা ধরে। মাঝে মাঝে তাকিয়ে দেখছে হাত ঘড়িটির দিকে। যদিও বা ঘড়িটি নষ্ট। গরমে কপাল থেকে ঘাম চুঁয়ে চুঁয়ে পড়ছে। মাঝে মাঝে রোমাল কিনবা টিসু নিয়ে ঘাম সরিয়ে নিচ্ছে। তখন মন শুধু একটি কথা ভাবছে, কবে যে কলেজ ছুটি হবে আর আমি তাকে এক পলক দেখব!
এভাবে প্রতিদিন কত সময়ই না নষ্ট হচ্ছে। কিন্তু তা সে কিছুতেই উপলব্ধি করতে পারছেনা। সে এখন ব্যস্ত, মহা ব্যস্ত। বোধহয় এই ব্যস্ততাকেই সে সুখ মনে করছে। মাঝে মাঝে এমন মনে হয় যে তারা কলেজে পিউনের চাকরি নিতে এসেছে। কারণ, তাদের মুখে দেখা যাই অপেক্ষার প্রতীক, একপ্রকার বিষন্নতা। এমন যে তাকে চাকরিটা পেতেই হবে। নাহলে যে বউ বাচ্চারা না খেয়ে মরবে? বস্তুত, কেউ এর ধারেকাছেও ঘেষার পাত্র নয়। আমার ভাষায় এসব ছেলেদের নার্সিসিষ্ট বলা ছাড়া অার কোন ভাষা নেই। যে মেয়ের জন্য ছেলেটি বছর ধরে কলেজের সামনে দাড়িয়ে আছে, ভবিষ্যতে মেয়েটি কি তার জন্য অপেক্ষা করবে? সব দুঃখ কষ্টগুলো কি ভাগ করে নিবে? কিনবা জীবন সঙ্গী হিসেবে তাকে পাবে? এর কি গ্যারান্টি আছে? গ্যারান্টি নাই ভাই। আচ্ছা ধরুণ, মাইওয়ান কোম্পানি তাদের সব পণ্যের উপর সাত বছরের ওয়ারেন্টি দিচ্ছে। অপর আরেকটি কোম্পানি, যেমন ধরুণ ওয়ালটন; তাদের প্রতিটি পণ্যের উপর ১০ বছরের ওয়ারেন্টি দিচ্ছে এবং পণ্য সমূহ মাইওয়ান কোম্পানির চেয়ে সস্তা ও টেকসই। তো ভাই এবার চিন্তা করুন, এরমধ্যে আপনি কোনটা বেছে নিবেন! অবশ্যয়ই ৯৯% লোক ওয়ালটন কোম্পানির পণ্য বেছে নিতে মন স্হীর করবে।
.
ঠিক তেমনি আপনি আপনার লাইফে কোনটা বেছে নিবেন? আপনার ক্যারিয়ার নাকি অস্হায়ী রিলেশনশিপ। যার কোন পণ্যের মতও ওয়ারেন্টি নেই! অনেক জীবন তো স্পয়েল হলো, আর কত চাই। সঠিক ভাবে বাঁচতে শিখুন। মানুষকে না, সময়কে সঠিক ভাবে ব্যবহার করতে শিখুন। তা ছেলে কিংবা মেয়ে হোক। সবাই তো আর মানুষ। তাই না?
কারো কাছে ছ্যাঁকা খাওয়াটা কষ্টের না বরং ছ্যাঁকা দেওয়াটাই বড় কষ্টের। পরিস্থিতি কারো অনুকূলে না বরং সর্বদা প্রতিকূলে। তাই আপনার ক্যারিয়ার আপনাকেই গড়ে নিতে হবে। এরপর আপনি না বরং মেয়েরাও না, মেয়ের বাবা শুদ্ধ আপনার পেছনে ঘুরবে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:১১

ঢাকাবাসী বলেছেন: ভাল লিখেছেন।

২| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৩৩

সাঈদ জামিল বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.