নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্যস্ত মানুষ https://www.facebook.com/sajjadustc

সাাজ্জাাদ

আমিতো গিয়েছি জেনে ,প্রণয়ের দারুণ আকালে,নীল নীল বনভূমি ভিতরে জন্মালে,কেউ কেউ এভাবে চলে যায়,চলে যেতে হয়..................... কেউ কেউ এভাবে চলে যায়বুকে নিয়ে ব্যাকুল আগুন।

সাাজ্জাাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সামাজিক অবক্ষয়ের মুল কারণগুলো.....প্রতিকার কি?

০৭ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:৫৯



সমাজ, ক্রমপরিবর্তনশীল কিন্তু অত্যান্ত শক্তিশালী একটি নিয়ামক যা একজন ব্যাক্তির পাশাপাশি পুরো একটি রাষ্ট্রের উথান-পতনে ভুমিকা রাখে।সমাজ আপন গতিতে চললেও বিভিন্ন সংস্কৃতি ,ধর্ম, রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট এর উপর প্রভাব ফেলেছে আর ফেলছে। ফলে সমাজও তার আপন গতিতে চলার সময় বিভিন্ন পরিবর্তন কাঁধে নিয়ে ধীরে ধীরে পরিবর্তন ও মাঝে মাঝে এক নতুন রুপ ধারন করছে।কিছু কিছু ব্যাপার যেমন একটি দেশকে উন্নতির শিখরে নিয়ে যায় আবার কিছু কিছু ব্যাপার আছে যা দেশকে টেনে কয়েক যুগ পেছনে নিয়ে যায়, সমাজকে করে তুলে বিভীষিকাময়। তেমনি কিছু প্রধান প্রধান কারন সংক্ষেপে তুলে ধরার চেষ্টা করছি।


১) ছেলেমেয়ের দায়িত্ব সনাক্তকরন।


মুল ব্যাপার হচ্ছে, সমাজে ছেলে বা মেয়ে সবারই দায়িত্ব সনাক্ত করতে হবে।সামাজিকভাবেও ছেলে বা মেয়ের কর্মক্ষেত্র, কাজের গঠন , কাজের ধরণ, কাজের পরিধির যেমন রোডম্যাপ থাকবে তেমনি পারিবারিকভাবেও ছেলের দায়িত্ব ছেলেকে এবং মেয়ের দায়িত্ব মেয়েকে বুঝিয়ে দিতে হবে এবং সেভাবে তাদের শিক্ষা দিতে হবে।
সেই সাথে সবচেয়ে দরকারি যে বিষয়টি তা হল, ছেলে ও মেয়ে উভয়কে শারীরিক ও মানসিকভাবে মোরালিটি শিক্ষা দিতে হবে। কোন সংস্কৃতি আমাদের সাথে খাপ খাচ্ছে , কোন সংস্কৃতি কোন জেনেরাশন কিভাবে নিচ্ছে,তারা স্কুল-কলেজের পরে বাকি সময় কিভাবে কাটাচ্ছে, কি কি সুযোগ সুবিধা সমাজে তাদের জন্য রয়েছে সব কিছুই সরকারি নজরদারি রাখতে হবে।
একবার চিন্তা করে দেখুন আমাদের সমাজে ডাক্তার,ইঞ্জিনিয়ার,ফার্মাশিষ্ট, উকিল সবই আছে কিন্তু সবাই নীতি ছাড়া।তাহলে সমাজের কি হবে?
আবার এভাবে চিন্তা করুন, আমাদের সমাজের ছেলেরা অর্ধ-অশিক্ষিত, সহজ-সরল কিন্তু তাদের সবারই একটা নীতি আছে।তাহলে সমাজটা কতই না সুন্দর হত।
ইতিহাস আমাদের শিক্ষা দেয় যে, লিঙ্গের মানদণ্ড বিলোপ সামাজিক ক্ষয়ক্ষতিতে অবদান রাখে। আমাদের বুঝতে হবে ছেলে আর মেয়ে এক নয়।ছেলেদের কাজ ছেলেদের করতে হবে আর মেয়েদের কাজ মেয়েদের।মেয়েদেরকে নির্দিষ্টভাবে সামাজিকভাবে কাজ দিলে, সমাজে তাদের অবধান নিশ্চিত করলে মেয়েদেরকে আর কেউ অবহেলার দৃষ্টিতে দেখবে না,কেউ মনে করবে না যে মেয়েরা শুধু একটা ভোগ্যপণ্য।সমাজ থেকে ধর্ষণ, ইভতিজিং সমস্ত কিছু বন্ধ হয়ে যাবে।
সর্বোপরি সামাজিক অবক্ষয় রোধ হবে।

২) পরিবার পুনর্গঠন।


শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে, একেকটি পরিবার তাদের পরবর্তী প্রজন্মের চরিত্রের জন্য প্রভাবশালী, গঠনমূলক শক্তি হিসেবে কাজ করে আসছে।
একটি সুস্থ সমাজে, প্রতিটি পরিবার একটি সাধারণ সাংস্কৃতিক প্রভাব দ্বারা নির্দেশিত এবং পরিচালিত হয়। কিন্তু একটি অস্বাস্থ্যকর সমাজে, পারিবারিকগুলি তাদের নিজস্ব সংস্কৃতি গুলো ভেঙ্গে ফেলতে চায়।এই ভাঙ্গার ফলে পরিবারটি তাদের মুল সংস্কৃতি থেকে অনেক দূরে সরে যায় এবং চলমান, ভিত্তিহীন ও ভঙ্গুর একটি প্রজন্মের নেতৃত্ব দেয়।
পরিবারের অভ্যান্তরিন শৃঙ্খলা ,মূল্যবোধ আর পরস্পরের প্রতি দায়িত্বহীনতার অভাবে আমাদের সমাজের অনেক পরিবার ভঙ্গুর অবস্থায় রয়েছে।এইসব ভঙ্গুর পরিবারের সন্তানদের উপযুক্ত নির্দেশনার অভাবে তাদের সৃষ্টিশীলতা অপ্রকাশিত থেকে যায় আর কোনও কোনও ক্ষেত্রে তারা সমাজের উপর বোঝা তৈরি করে।

বাংলাদেশের সরকার যদিও প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামুলক করেছে কিন্তু বাস্তবিকভাবে এর প্রয়োগের ব্যাপারে সরকার উদাসিন।ছেলেমেয়ের পড়ালেখা নির্ভর করে তাদের মা-বাবার উপর।ফলে,রাষ্ট্রের নিজস্ব ধারণা থেকে পরিবার ও তাদের ছেলেমেয়ে, সর্বোপরি তাদের পুরো প্রজন্ম অনেক দূরে সরে যায়। ফলে রাষ্ট্রের চাহিদা আর প্রত্যাশার ফলাফলে বিস্তর ফারাক থেকে যায়।

সরকারের উচিত শিশুদের সম্পূর্ণ আলাদা সম্প্রদায় হিসেবে গন্য করে একটি বিশেষ পরিকল্পনার মাধ্যমে তাদের উন্নয়ন করা এবং সর্বোপরি নৈতিকতার শিক্ষা দেয়া।

৩) ভার্চুয়াল জগতে বিচরন।


দৃঢ় নাগরিক বন্ধন সমাজের মৌলিক নীতি।আজ বিশ্বব্যাপি সবারই একটি প্রধান সমস্যা হল নাগরিক বন্ধন ছিন্ন হয়ে যাওয়া। এর পিছনে মুলত ও প্রধানত সোশ্যাল মিডিয়াই দায়ী। এই সোশ্যাল মিডিয়া এমনভাবে ডিজাইন করা হয় যে একজন ব্যাক্তি তার সমস্ত ভাল কিছু শো করে তার প্রোফাইল তৈরি করে এবং সবার সাথেই তার সম্পর্ক তৈরি হয়।এই সম্পর্কের অন্তরজাল বাস্তবের সব সম্পর্ক ছাড়িয়ে আলাদা একটি সমাজ তৈরি করে যেখানে কারো কোনও নিয়ন্ত্রণ বা পর্যবেক্ষণ নায়। এই ভার্চুয়াল সমাজ আজ বাস্তবিক সমাজ থেকে অনেক দূরে চলে গিয়ে বাস্তব সমাজকে ছিন্নভিন্ন করে ফেলেছে। ।
সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ মডেলে পুরো দেশে ইন্টারনেট সবার কাছেই সহজলভ্য করে দিয়েছে।একটি জিনিসের উপযুক্ত ব্যাবহার,প্রয়োগ, সুবিধা-অসুবিধা বিবেচনা না করে,সবাইকে এই ব্যাপারে শিক্ষা না দিয়ে সবার হাতে ইন্টারনেট তুলে দেয়ার ফলে এর ভাল দিক গুলোর চাইতে খারাপ দিকগুলো বেশি প্রকাশ পাচ্ছে। এর ফলশ্রুতিতে অনলাইনে যৌন সহিংসতা,অপরাধ, হয়রানি এসব বেড়ে যাচ্ছে।

সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের মত, আধুনিক ভিডিও গেমও স্পষ্টভাবে ভার্চুয়াল জগতের সবচেয়ে বেশি সময় ব্যয়কারি।প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে এমন সব গেম ডিজাইন করা হচ্ছে যাতে বাচ্চাদের পাশাপাশি বড়রাও এতে আগ্রহ পাচ্ছে আর তাদের সেই ভার্চুয়াল পরিবেশগুলি মনে হচ্ছে পুরস্কৃত ও মজাদার আর বাস্তব জগৎ হয়ে পড়ছে কঠিন এবং বিরক্তিকর ।
যারা এই ভার্চুয়াল জগতের ফাঁদে যারা পড়েছেন তারা আর যাই করতে পারুক তারা তাদের নারী ও শিশুদের রক্ষার ক্ষেত্রে আর শিক্ষা দানের ক্ষেত্রে অক্ষম।
তারা সেই মানুষ যারা কৃত্রিম কৃতিত্বের জন্য প্রকৃত ক্রিয়েটিবিটি ত্যাগ করে।
সমাজের মধ্যে পুরুষদের সেই কণ্ঠস্বর ধরে রাখতে হবে যাতে তারা সমাজের নেতৃত্ব, অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে কাধে কাঁধ মিলিয়ে রুখে দাড়াতে পারেন।

৪) প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীলতা


বর্তমান বিজ্ঞানের উৎকর্ষতার যুগে মানুষের দৈনন্দিন জীবন, কল্পনা, আর কার্যকলাপ বিজ্ঞানের সাথে এতো ওতপ্রোতভাবে জড়িত যে, মানুষের সীমাবদ্ধতার সাথে বিজ্ঞানের অগ্রগামিতা যোগ হয়ে মানুষ ধীরে ধীরে অপ্রতিরোধ্য হয়ে যাচ্ছে। আগে মানুষ তাদের সীমাবদ্ধতার কারনে ধর্মীয় অনুভুতি, পারস্পরিক সহযোগিতা ও সমস্যা থেকে উত্তরনের জন্য বুদ্ধিবৃত্তির বিকাশ সমস্ত কিছুই কাজে লাগাত এবং ভাল-মন্দ বিবেচনার মাধ্যমে সমাজ কে এগিয়ে নিয়ে যেত। কিন্তু বর্তমানে টেকনোলজির এতো বেশি উন্নয়ন হয়েছে যে, মানুষ আর তার বুদ্ধির চর্চা করার দরকার হচ্ছে না।মানুষ দিন দিন যান্ত্রিক মন মানসিকতার পরিচয় দিচ্ছে। এই বুদ্ধিবৃত্তির সীমাবদ্ধতা তাদেরকে সমাজের প্রতি উদাসীন করে দিচ্ছে।

চলবে।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:১৩

রাজীব নুর বলেছেন: চলুক---
তবে এই সমাজ নষ্ট হয়ে গেছে। এই সমাজে অবক্ষয় নিশ্চিত।

০৭ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:৫৫

সাাজ্জাাদ বলেছেন: সমাজ পরিবর্তন হয় কিন্তু নষ্ট হয় না।
এই সমাজ আবার জাগবে, আবার ভালো হবে।
আবার আলো জ্বলবে।

২| ০৭ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:৪৫

নেওয়াজ আলি বলেছেন: নন্দিত উপস্থাপন ।

০৮ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:৫২

সাাজ্জাাদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ নেওয়াজ ভাই।
ভালো থাকুন।

৩| ১২ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫২

আখেনাটেন বলেছেন: আমাদের সমাজে ডাক্তার,ইঞ্জিনিয়ার,ফার্মাশিষ্ট, উকিল সবই আছে কিন্তু সবাই নীতি ছাড়া। -- বেশির ভাগই নীতিহীন এতে বিন্দু পরিমাণ মিথ্যা নেই। আর একজন শিক্ষক, ডাক্তার নীতিহীন হলে সমাজের যে পরিমাণ ক্ষতি হতে পারে তা আমরা বাঙালী জাতি হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি।

তবে এসব কিছুর চাবিকাঠি কিন্তু ঐ রাজনীতিবিদদের হাতে। একজন যোগ্য, সৎ ও দূরদর্শী রাজনীতিবিদ যেমন পারে দেশের খোলনোলচে পাল্টে ফেলতে, তেমনি একজন অযোগ্য, অসৎ ও অদূরদর্শী রাজনীতিবিদ পারে দেশের বারোটা বাজাতে। এসব কিছুই আমরা চাক্ষুস করছি।

১২ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:২০

সাাজ্জাাদ বলেছেন: ভাই আপনি সত্যি কথাটাই বলেছেন।
দেশটাকে বাবা হয়ে সন্তানকে আগলে রাখার মত করে রাখতে হবে। কিন্তু সবাই আছে খাওয়ার দলে।
মমতা দিয়ে আগলে রাখার মতো কেউ নেই।
আল্লাহ আমাদের সহায় হোন।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
সেই সাথে দুঃখিত দেরিতে প্রতি উত্তর দেওয়ার জন্য। ভালো থাকবেন

৪| ২৪ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৩৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার প্রথম পয়েন্টে মেয়েরা মাইন্ড করবে। পরিবারের শিশুদের উপর সরকারের কর্তৃত্ব হিতে বিপরীত হতে পারে। ভার্চুয়াল জগতের উপর কিছু নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন যেন মানুষ এতে নেশাগ্রস্ত না হয়ে পরে। মানুষেরও নিজেদের এ ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। প্রযুক্তি মানুষের বুদ্ধিমত্তার বিকল্প এখনও হতে পারে নি। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা থেকে আমরা উপকার পেতে পারি। তবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কখনই মানুষের বুদ্ধিমত্তার জন্য হুমকি নয় বরং পরিপূরক। তবে আপনি কিছু ভালো পয়েন্ট উত্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:০৮

সাাজ্জাাদ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
পরিবারের শিশুদের উপর সরকারের কর্তৃত্ব বলতে আমি বুঝাতে চেয়েছি যে, তাদের গতানুগতিক ধারায় আচরন না করে তাদেরকে আলাদা ভাবে গড়ে তুলতে হবে। যেখানে তাদের পাঠ্যক্রম হবে নৈতিকতা ভিত্তিক, তাদের বিনোদন হবে টিকটক ভিত্তিক নয়। তাদের আগ্রহের উপর ভিত্তি করে তাদের সিলেবাস প্রণয়ন করতে হবে।
আমি সম্প্রতি টার্কিশ সিরিয়াল " দিরিলিস আরতুগ্রুল" দেখছি। সিরিয়াল টাতে একই সাথে টার্কিশ ঐতিহ্য, টার্কিশ মুল্যবোধ , ইসলামের ঐতিহ্য, ইসলামের ইতিহাস সব খুব সুন্দর করে তুলে ধরছে। এমন সিরিয়াল বাংলাদেশে বানিয়ে টিভি তে দেখালে কয়টা ছেলে হিন্দি মুভি, হিন্দি সিরিয়াল ,টিকটক এর দিকে ঝুকবে?

আপনাকে দেরিতে প্রতিউত্তর দেয়ার জন্য দুঃখিত। ভালো থাকবেন।

৫| ২৫ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:০৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: বিষয়গুলো নিয়ে আপনি ভেবেছেন এবং আপনার ভাবনাগুলো ব্লগে উপস্থাপন করেছেন দেখে প্রীত হ'লাম। চারটের মধ্যে শেষের দু'টি মন্তব্যও মৌলিক চিন্তা ভাবনা প্রসূত। এটাও আশাব্যঞ্জক।

ইন্টারনেটকে কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, মানুষের বাক স্বাধীনতা হরণ করার জন্য, তবে ইন্টারনেট এর যে ধরণের ব্যবহার সামাজিক অবক্ষয়ে অবদান রাখে, সহায়তা করে, তা রোধ করার জন্য।

আজ আমাদের পরিবারে কিংবা সমাজে কোন দীক্ষাগুরু নেই। আগে মা বাবারা এ কাজটা প্রাথমিকভাবে করতেন। এখন তারাও এতটা ব্যস্ত, বা নিজেরাই অনৈতিকতায় নিমজ্জিত, যে তাদের সময় নেই এদিকে দৃষ্টি দেয়ার। শিক্ষকেরাও একসময় আমাদের দীক্ষাগুরু ছিলেন, কিন্তু দিনে দিনে তাদের নিজেদের নৈতিকতার মান এত দ্রুত অধঃপতিত হচ্ছে যে আজ তাদের উপর ভরসা করার কোন উপায় নেই। ডাক্তার, ইঞ্জিনীয়ার, উকিল, ব্যরিস্টার, রাজনীতিবিদ সবার মাঝেই অর্থগৃধ্নুতার দগদগে ঘা ছড়িয়ে পড়ছে।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:১৩

সাাজ্জাাদ বলেছেন: "আজ আমাদের পরিবারে কিংবা সমাজে কোন দীক্ষাগুরু নেই। আগে মা বাবারা এ কাজটা প্রাথমিকভাবে করতেন। এখন তারাও এতটা ব্যস্ত, বা নিজেরাই অনৈতিকতায় নিমজ্জিত, যে তাদের সময় নেই এদিকে দৃষ্টি দেয়ার। শিক্ষকেরাও একসময় আমাদের দীক্ষাগুরু ছিলেন, কিন্তু দিনে দিনে তাদের নিজেদের নৈতিকতার মান এত দ্রুত অধঃপতিত হচ্ছে যে আজ তাদের উপর ভরসা করার কোন উপায় নেই। ডাক্তার, ইঞ্জিনীয়ার, উকিল, ব্যরিস্টার, রাজনীতিবিদ সবার মাঝেই অর্থগৃধ্নুতার দগদগে ঘা ছড়িয়ে পড়ছে।"-- অত্যান্ত সত্যি কথা।
ধীরে ধীরে আমাদের মধ্যে একটা ঘাটতি তৈরি হচ্ছে। আমাদের প্রজন্ম পর্যন্ত কিছুটা চিন্তা ভাবনা করে চলবে। এর পরের প্রজন্মের কথা চিন্তা করতেই শিউরে উঠতে হয়।
ভালো থাকবেন। অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৬| ২৫ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:০৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: উপরের মন্তব্যে একটা "নয়" শব্দ বাদ পড়ে গেছে।
"ইন্টারনেটকে কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, মানুষের বাক স্বাধীনতা হরণ করার জন্য" - এ কথাগুলোকে পড়তে হবে "ইন্টারনেটকে কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, মানুষের বাক স্বাধীনতা হরণ করার জন্য নয়, তবে..."

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:১৩

সাাজ্জাাদ বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.