নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রতি যুগে একদল সত্যের অনুসারী থাকে। আমি সে দলে আছি।

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া)

সকল মানুষের মধ্যে কিছু কিছু ভুলত্রুটি আছে যা মানুষ নিজে বুঝতে পারে না, সেই ভুলগুলো ধরিয়ে দেয়া এই অধমের দায়িত্ব

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) › বিস্তারিত পোস্টঃ

তুরস্কের সুলতান আর রাশিয়ায় জারের মিত্রতা, বিশ্ব দাড়িপাল্লায় আমেরিকা ভুগবে ভারসাম্যহীনতায়!

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৫৮



তুরস্কে রুশ রাষ্ট্রদূতকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। রাজধানী আংকারায় এক আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে উপস্থিত হয়েছিলেন রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আন্দ্রেই কার্লভ। সেখানে সোমবার সন্ধ্যায় সাংবাদিক ও অতিথিদের সামনে তাকে হত্যা করা হয়।

আঙ্কারায় `তুর্কিদের চোখে রাশিয়া` (রাশিয়া অ্যাজ সিন বাই তার্কস) শীর্ষক এক প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাষণ দেওয়ার সময় তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় বন্দুকধারী। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন তিনি।

বিবিসির তথ্য অনুযায়ী, গুলি করার পর অস্ত্রধারী তুর্কি ভাষায় চিৎকার করে বলছিলেন- “আলেপ্পোর কথা মনে রেখ, সিরিয়ার কথা মনে রেখ।”

এ থেকে কি বুঝলাম?

১। বর্তমান বিশ্ব এখন বড়ই অদ্ভুত সময় পার করছে। আমেরিকান মাস্টার মাইন্ড এখন আগের মত কাজ করে না। তারাও তুরুপে ভুল করে। আর তাদের ভুল বিশ্বে নতুন পরিবর্তন সূচিত হয় আর সাথে কিছু মানুষের চোখের পানিও ঝড়ে। আমরিকা এযুগে সবচেয়ে বড় ভুল করেছে তুরস্কে সেনা অভুথ্যানের ষড়যন্ত্র করে। তুরস্ক মনে করে অভুথ্যানের সময়-ছিনতাই হওয়া সাঁজোয়া বিমানগুলোতে জ্বালানি ভরা হয়েছিল ইনসিরলিক থেকেই। সিরিয়ায় আইএসের বিরুদ্ধে লড়াই চালাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে দক্ষিণের আদানা প্রদেশের ইনসিরলিক বিমানঘাঁটি ব্যবহার করতে দিয়েছিল তুরস্ক।

বাস্তবে ক্যুতে ব্যবহৃত দুটি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান তুরস্কের মার্কিন সেনাঘাঁটি থেকেই উড়েছিল। এবং আকাশে তাদের জ্বালানি সরবরাহ করেছিল ওই ঘাঁটিরই আরও দুটি বিমান। শুধু তা-ই নয়, এফ-১৬ দুটির একটি চালাচ্ছিলেন রুশ বিমান ভূপাতিত করা সেই পাইলট। তুরস্কের অভিযোগ, মার্কিন ওই সামরিক ঘাঁটির উচ্চ প্রযুক্তির যোগাযোগব্যবস্থা দিয়েই অভ্যুত্থানকারীরা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করতেন।

ওবামার ওপর এরদোয়ানের ক্ষোভের কারণ যথেষ্ট। ওবামা প্রশাসনই একেপি সরকারকে সিরিয়ায় টেনে নিয়েছে বাশারকে উচ্ছেদের নিশ্চয়তা দিয়ে। সিআইএ–প্রধান ডেভিড পেট্রাউস কয়েকবার তুরস্ক সফর করে সিরিয়ায় হস্তক্ষেপের চাপ দেন। কিন্তু বাশার টিকে থাকছেন রুশ সহযোগিতায় কিন্তু তুরস্ক একদিকে কুর্দি বিদ্রোহী অন্যদিকে সিরীয় উদ্বাস্তুর ভার আর জঙ্গি হামলায় বিপর্যস্ত। মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হয়েছে স্বাধীন কুর্দিস্তানের হুমকি। এ পরিস্থিতিতে তুরস্ক সিরিয়া ও রাশিয়ার সঙ্গে ঘাট বাধা ছাড়া কোন উপায় ছিল না।
তবে সেনা অভ্যুত্থানের সঙ্গে তাদের যোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তুরস্কের শ্রমমন্ত্রী সুলেমান সায়লু রোববরাই অভিযোগ করেছিলেন, সেনা অভ্যুত্থানে মদত দিয়েছে আমেরিকা। এরদোয়ান সরাসরি অভিযোগের তীর ছুড়ে ছিলেন মার্কিন মগের মুল্লুকে নির্বাসিত ফেতুল্লা গুলেন কে।

ঘটনা চমৎকার এবং অদ্ভুত। তুরস্কে জিতল এরদোয়ান কিন্তু আনন্দের বাজি ফুটল রাশিয়ায়। পুতিনের মতো খুশি সিরিয়ার বাশারও। দূর থেকে সন্তোষ প্রকাশ করছে ইরান।

আমেরিকার সেই ষড়যন্ত্র ভন্ডুল হয়েছে। ফলে আমেরিকার দীর্ঘদিনের মিত্র তুরস্ক লেজের উল্টো পিঠ দেখিয়ে পুরানো শত্রু রাশিয়ার সাথে একজোট হয়ে সিরিয়ায় আদাজল খেয়ে আমেরিকান সাহায্যপুষ্ট বিদ্রোহীদের কোনঠাসা করে আলেপ্প পুর্নদখল করেছে। ফলে মধ্য প্রাচ্যের আমেরিকান শক্তি আর ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। তাদের বিলিয়ন বিলিয়ন অস্ত্রের ব্যবসা আর লাখো লাখো তেলের ব্যারেল এখন উল্টো দিকে মুখ করবে। আরবের ছোট ছোট রাষ্ট্রগুলো এখন বুঝে গেছে রাশিয়ার সাথে চুক্তি করলে তাদের ক্ষমতা, সার্ভবৌমত্ব রক্ষা পাবে। যেমনটা করেছেন আসাদের প্রয়াত বাবা।

রাশিয়ার পুতিন আসলেই একটা চিজ! তিনি মিখাইল গর্বাচেভ এর মত গর্দভ নয়। তিনি বিদ্রোহীদের কে ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর্যন্ত সময় দিলেন না, বিদ্রোহীরা আসা করছিল ভীতু বারিক্কা ক্ষমতা থেকে গেলে ট্রাম্প এসে তাদের উদ্ধার করবেন! হয়ত ট্রাম্প এ্যাডভেঞ্জার হিসেবে সিরিয়ায় যুদ্ধে জড়াতে চাইলেও জড়াতে পারতেন। যেটা বারেক ওবামা দ্বারা সম্ভব নয়। সেটি উপলদ্ধি করে পুতিন বিমান হামলার পরিমান আগের থেকে বাড়িয়ে দিয়ে ছিলেন। ফলে বাসার সহজে জিতে গেছেন।




এবারও চমক এবং অদ্ভুত। সিরিয়ায় জিতল বাশার কিন্তু আনন্দের বাজি ফুটল রাশিয়ায়। পুতিনের মতো খুশি সিরিয়ার বাশারও, সে এখন মধ্য প্রাচ্যের হট ফেবারিত। ঈসরায়েল জন্য দু:শ্চিন্তার কারণ। আর দূর থেকে সন্তোষ প্রকাশ করছে ইরান, সেখানে ঘরে ঘরে আনন্দ চলছে।

বিশ্বে এখন নতুন পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছে তা হল রাশিয়ার জাড় আর তুরুস্কের সুলতান দীর্ঘদিনের শত্রুতা ভুলে একবাহুতে আবদ্ধ হয়েছে। তবে, একথা মনে রাখতে হবে আগেরকার তুরুস্কের সুলতানগণ বিশেষ করে (সুলতান সালাহ্ উদ্দিন আয়ূবী) ছিল ইউরোপমুখী কিন্তু বর্তমান সুলতান এরদোয়ান এশিয়ামুখী। এটা বিশ্ব মোড়লদের ভাবিয়ে তুলছে। তুরস্ক চাইছে মধ্য প্রাচ্যে খেলোয়ার হতে, রাশিয়ার চায় তার হারানো শক্তি ও সাম্রাজ্য ফিরে পেতে এলক্ষ্যে তারা জর্জিয়া, ক্রিমিয়া, ইউক্রেনে আক্রমণ করে সফল।

আমেরিকা এখন মার খাচ্ছে। আমেরিকান অনুগত্য ভূত্যদের ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। বাংলাদেশের জামায়াতি থেকে শুরু করে সিরিয়া, জর্জিয়া, ক্রিমিয়া, ইউক্রেন সবখানে তাদের অস্তিত্ব সম্মুখীন। এটা ভূইফোঁড় রাষ্ট ঈসরায়েল জন্য মাথা ব্যাথা।
কারণ সিরিয়া, লেবানিজ হিজবুল্লা আর ইরান এখন ফ্রন্ট লাইনে। তুরুস্কের সুলতানের আর্বিভাব আরবের সুন্নিদের সাহস জোগাবে। সামনে দিনে ফিলিস্তিন নিয়ে খেলতে খেলে সমস্যায় পড়তে হবে। কারণ ইসরাইলী প্রভু আমেরিকার শক্তি দিন দিন খর্ব হচ্ছে।



২।

একসময় বলা হতো, কনস্টান্টিনোপলে যাঁর দখল থাকবে, তিনিই হবেন মধ্য এশিয়ার শাসক। পনেরো শতকে সুলতান মেহমেত কনস্টান্টিনোপল দখল করে যে মুসলিম শাসনের সূত্রপাত করেন, আজকের এরদোয়ান তারই ধারাবাহিকতা। সেই কনস্টান্টিনোপলই এখনকার ইস্তাম্বুল এবং এখান থেকেই উসমানিয়া সুলতানেরা বিরাট সাম্রাজ্য চালাতেন। তুরস্কের সুবিধা হলো তা ইউরোপ ও এশিয়ার মধ্যকার সেতু। যুক্তরাষ্ট্রের তুরস্ককে দরকার কয়েকটি কারণে:

ক. কাতার থেকে ইউরোপ পর্যন্ত জ্বালানির পাইপলাইন টানতে এবং
খ. কৃষ্ণসাগরে (এবং ভূমধ্যসাগর) ন্যাটোর স্থায়ী নৌঘাঁটি বসিয়ে ওই সমুদ্রে রাশিয়ার ঐতিহাসিক আধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ করতে। এটা দিতে পারে তুরস্ক। ১৯৩৬ সালের আন্তর্জাতিক চুক্তি অনুসারে, কৃষ্ণসাগর তীরের দেশ ছাড়া অন্য কারও স্থায়ী অবস্থান সেখানে নিষিদ্ধ। ওই চুক্তি বসফরাস প্রণালি ও দারদানেলেস প্রণালির নিয়ন্ত্রণ

এদিকে দক্ষিণ চীন সাগর থেকে শুরু করে প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলেও চীন বনাম পাশ্চাত্য শক্তির উত্তেজনা বাড়ছে।

যুদ্ধ ও রাজনীতি মতবাদ, আদর্শ বা ধর্ম দিয়ে হয় না। তা হয় রাষ্ট্রের সঙ্গে রাষ্ট্রের স্বার্থের মিল বা অমিলের ভিত্তিতে। তুরস্কের সঙ্গে রাশিয়া, চীন ও ইরানের স্বার্থ মিলে, এরদোয়ান আরও শক্তিশালী ভূরাজনৈতিক খেলায় ঢুকছেন, বাশার তার হারিয়ে যেতে থাকা সাম্রাজ্য পেয়েছেন। দেশে-বিদেশি নতুন মিত্রও পাবেন। কিন্তু এরদুয়ান অভ্যুত্থানপন্থীদের যে কঠোরতা দেখিয়েছেন তা ইতিহাস ক্ষমা করবে না। বাসারের সিরিয়াতেও বিদ্রোহীদের জন্য কোন সু-খবর নেই। আর আমেরিকা তাদের অনুগত্যেদের সুখবর দেয়ার যোগ্যতা ইতিমধ্যে হারিয়েছেন।



পরিশেষে,
শুরু করেছিলাম তুরুস্কে রাশিয়ান রাষ্ট্রদূত হত্যা নিয়ে। আমরা চাই এই হ্ত্যার তদন্ত করে দোষিদের শাস্তি দেয়া হউক।

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৩৬

সুখী নীলগঞ্জ বলেছেন: ইস্রাইলের কূটচাল সফল হতে চলেছে। তুরস্ক তার মিত্র রাশিয়াকে হারাতে চলেছে। কোন সন্দেহ নেই যে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত হত্যায় রাশিয়া তুরস্ককে দায়ী করবে। যার প্রভাবে রাশিয়ার সাথে তুরস্ক ও সিরিয়ার সম্পর্কের অবনতি ঘটবে। মাঝখান দিয়ে আমেরিকা তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলবে।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৫৭

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: “ইস্রাইলের কূটচাল সফল হতে চলেছে। তুরস্ক তার মিত্র রাশিয়াকে হারাতে চলেছে। কোন সন্দেহ নেই যে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত হত্যায় রাশিয়া তুরস্ককে দায়ী করবে। যার প্রভাবে রাশিয়ার সাথে তুরস্ক ও সিরিয়ার সম্পর্কের অবনতি ঘটবে। মাঝখান দিয়ে আমেরিকা তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলবে।”

আমার মনে হয় এই ধরণের চিন্তাধারা মাথা সুন্নি মোটা আলেমদের।

নিরপেক্ষ তদন্ত করলে এ ঘটনার সাথে হয়ত পুতিন জড়িত না হয় এরদুয়ান এজেন্সি জড়িত থাকার খবর পাওয়া যাবে। কারণ তারা সিরিয়ার সাম্প্রাতিক ঘটনাবলী অন্য দিকে মোড় দিতে চায়। গণহত্যা আড়াল করতে চায়। আর এ হত্যা কান্ড ঘটার সময় একটি স্লোগান শোনা গেছে তাহল, “আলেপ্পোর কথা মনে রেখ, সিরিয়ার কথা মনে রেখ।” এ থেকে কি বুঝা যায়? সিরিয়ায় কারা পরাজিত হয়েছে?
আলেপ্পায় কারা অবরুদ্ধ হয়ে আছে?

উত্তর আমেরিকান সাহায্য প্রাপ্ত বিদ্রোহীরা।
তাই এই হত্যাকান্ড দায় সম্পন্ন বিদ্রোহীদের বা তাদের সমর্থক গোষ্ঠির উপর পড়বে।
এই সুযোগে রাশিয়া চাইবে তুরুস্কে সামরিক শক্তি উপস্থিতি করতে।
আস্কারা এবং তুরুস্ক সামরিক সহযোগিতামূলক চুক্তি করলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।

তবে, সামনে কি হয় আসায় রইলুম।

আশা করি বিষয়টি বুঝতে পারছেন।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:২৮

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: আহলান বলেছেন,

he Daily Star
25 mins ·

President Vladimir Putin says the killing of Russia's ambassador to Turkey was a despicable provocation aimed at spoiling Russia-Turkey ties.

এবার বুঝতে পারছেন কে কাকে দায়ী করছে।

২| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৫৬

পদ্মপুকুর বলেছেন: বাপরে!

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:০৩

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: দিন দিন আমেরিকান সাজানো সংসারে কামড় বসাচ্ছে রাশিয়া। এটা স্বাভাবিক। কারণ কোন সাম্রাজ্যই চিরস্থায়ী হয়নি। আমেরিকার সাম্রাজ্য ব্যতিক্রম হবে না বলে আশা করা যায়।

আর, বিশ্ব চায় পরিবর্তণ। সেটা ঘরের বউ থেকে শুরু করে খালেদা জিয়া কিংবা বারেক ওবামা অথবা আমেরিকান কলোনী যেটাই হউক।

৩| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:০৫

আহলান বলেছেন: আসলেই জটিল হচ্ছে, দেখা যাক পুটিনের রাশিয়া এই ব্যপারে কি বলে ... তবে দূত হত্যার কাজটি হয়তো এমরিকাই করিয়েছে। এর প্রতিশোধ রাশিয়া ঠিকই নেবে, একটু সময় লাগবে, এই যা ....

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৭

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: আমেরিকা বর্তমানে ঘোরের মধ্য থাকলেও রাশিয়ান দূত হত্যার করার মত বিবেক তাদের এখনও লোপ পায়নি। আমার মনে হয়, নিরপেক্ষ তদন্ত হলে কেজিবি’র (রাশিয়ান গোয়েন্দা সংস্থা) নাম উঠে আসতে পারে। তারা এটা চাইছিল কারণ তাদের তুরস্কের উপস্থিতি আরো জোড়ালো করা দরকার। আর এটা তুরস্কের জন্যও আর্শিবাদ, কারণ আমেরিকা সাহায্যপুষ্ট কুর্দিরা এতদিন যে স্বাধীন কুর্দি রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখছিল, রাশিয়ান উপস্থিতির কারণে তা বিঘ্ন ঘটবে। কুর্দিদের দমনে রাশিয়ান জেনারেলরা তুরস্ক কে পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করতে পারবে। ফলে আমেরিকান দয়াপুষ্ট কুর্দিরা মার খাবে।

৪| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:১৪

আহলান বলেছেন: The Daily Star
25 mins ·

President Vladimir Putin says the killing of Russia's ambassador to Turkey was a despicable provocation aimed at spoiling Russia-Turkey ties.

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:২৫

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: যদিও আমি ভালো ইংরেজী বুঝি না তারপরও ইংরেজীটুকুর বাংলা অনুবাদ করলে এরকম দাড়ায়-

“প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, তুরস্কে রাশিয়া এর রাষ্ট্রদূত হত্যা একটি ঘৃণ্য ভক্ষকের কাজ, যা রাশিয়া-তুরস্ক সম্পর্কে ফাঁটল ধরণের উস্কানি ছিল.”

এ থেকে বুঝা যায়, রাশিয়া কৌশলে আমেরিকা ও তার সমর্থক গোষ্ঠীকে দায়ি করেছেন। যা এরদুয়ান ও পুতিনের প্রতিপক্ষ ও রাজনৈতিক খেলোয়ার।

আর হামলার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হিসেবে রাশিয়ার সাথে তুরস্কের নব্য গভীর সম্পর্কে চিহ্নিত করেছেন (এটাই গেম প্লান ছিল)।

ফলাফল: যাতে রাশিয়া ও তুরস্ক আরো কাছা কাছি আসতে পারে।

৫| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৫১

সুখী নীলগঞ্জ বলেছেন: আমি কোন সুন্নি আলেম না। আর আমার মাথা মোটা কিনা - এটা অনেক কিছুর ওপর ডিপেন্ড করে। কিন্তু গুপ্তহত্যা যারা ঘটায়, তারা নিজেদের পরিচয় প্রকাশ করেনা। কাজেই খুনি হত্যাকান্ডের সময় কি স্লোগান দিল, তা দিয়েই হত্যাকারির পেছনের কারিগর চিহ্নিত করে ফেলা একদম প্রথম শ্রেণীর বোকামি হবে। তবে আসল ঘটনা যাই হোক - সাদা চোখে এই ঘটনার বেনিফিশিয়ারি হিসেবে আমেরিকা-ইসরাইলকেই বেশি লাভবান বলে মনে হচ্ছে।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:১৩

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: আপনি সুন্নি আলেম এটা আমি বলিলি, আমি বলতে চেয়েছি এ ধরণের চিন্তা ধারা সুন্নি আলেমদের। আমি যদি আপনাকে ব্যক্তিগত আক্রমন করে থাকি তাহলে আমি দু:খিত।
আপনি জানেন রাষ্ট্রদূত যেখানে যায় সেখানে অত্যন্ত সিকিউর থাকে। আর রাশিয়া বা আমেরিকান হলে কথাই না সেটা বাংলাদেশের আমেরিকান কিংবা রাশিয়ান এ্যাম্বাসি দেখতে পারলেই বুঝবেন। আর তুরস্ক বা মধ্য প্রাচ্যের রাষ্ট্রদূত থাকে আরো হাই সিকিউর। সেখানে একজন বন্দুকধারী সহজে ঢুকল আর গুলি করল সাথে সাথে রাষ্ট্রদূত নিহত হলো অথচ তার সিকিউরিটি পারসনরা বসে বসে আঙ্গল চুসল- এ ধরণের যুক্তি হাস্যকর।

“তবে আসল ঘটনা যাই হোক - সাদা চোখে এই ঘটনার বেনিফিশিয়ারি হিসেবে আমেরিকা-ইসরাইলকেই বেশি লাভবান বলে মনে হচ্ছে।””
এটা আপনার চিন্তা ধারা, এখানে আমি আপনাকে ছেদ দিতে পারি না।

তবে, আমার চিন্তধারা হলো- এই ঘটনার বেনিফিশিয়ারি হিসেবে তুরস্ক- রাশিয়াই বেশি লাভবান বলে মনে হচ্ছে।””

মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন দিবানিশি।

৬| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:২২

সুখী নীলগঞ্জ বলেছেন: আপনার চিন্তাধারা সমর্থন যোগ্য। এখন যদি দেখা যায় যে তুরস্ক সরকার এই ঘটনাকে ধামাচাপা দেবার চেষ্টা চালাচ্ছে, খুনিকে বাঁচানোর জন্য তালবাহানা করছে - তাহলে আপনার চিন্তাধারাই ঠিক হবে। তবে যদি এই ঘটনার কারণে তুরস্ক - রাশিয়া সম্পর্কে অবনতি ঘটে, তবে তা আমার চিন্তাধারাকেই সমর্থন করবে।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৫৮

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: না তুরস্ক এই ঘটনাকে ধামাচাপা দেয়ার কোন কারণ নেই, কারণ ঘটনাটি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বেশ আলোচিত হয়েছে। তুরস্ক এক্ষেত্রে কুর্দি কিংবা সিরিয়ান বিদ্রোহীদের দোষারোপ করতে পারে। রাশিয়ার পক্ষ থেকে আকার ইঙ্গিতে সিরিয়ান বিদ্রোহী কিংবা আমেরিকার কথা বলা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে তারা লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এতে তুরস্ক-রাশিয়া আরো কাছাকাছি আসতে পারবে।

৭| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:২৩

দিমিত্রি বলেছেন: বিশ্বরাজনীতির খেলা খুবই জটিল। :-<
বাট আই ♥ রাশিয়া B-))

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৪৫

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: বিশ্বরাজনীতির খেলা যেমন জটিল এর খেলোয়ারাদের গুঁটিবাজির চালও আরো জটিল যা সাধারণ মানুষের বোধগম্যের বাহিরে।

ধন্যবাদ,
মন্তব্য করার জন্য

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:০২

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: আপনি ব্লগে অনুপস্হিত। যদি আসেন পোষ্ট দিয়ে উপস্হিতি জানান দিবেন।

৮| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৫৬

চাঁদগাজী বলেছেন:




এত সুন্দর লিখেছেন যে, মনে হচ্ছে, বাংগালীরা আমেরিকা, রাশিয়া ও ইউরোপ চালাচ্ছে; আর তুরস্কে আবার অটোম্যানরা মসনদে।

একটু ব্রেক করেন; আমেরিকা মানে আমেরিকা, ওরা বিশ্বের লীডার।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৩০

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: বর্তামানে আমেরিকা এক নম্বর সুপার পাওয়ার সেটি বাস্তব ও তাত্ত্বিক দুইভাবে প্রমাণিত। এতে দ্বি-মত করার কোন জো নেই। আমার পোষ্টে আমি বুঝাতে চেয়েছে বর্তমানে আমেরিকা ফর্ম হীনতায় ভুগছে। তাদের গ্রাফ এখন স্লো ভাবে নিম্নমুখী হচ্ছে এটাও অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। আমেরিকা এখন আর সারা বিশ্বে এককভাবে পলিসি মেকার নেই।
বর্তমানে কতগুলো আঞ্চলিক শক্তির উদ্ভব হয়েছে।
তাকে অর্থনৈতিকভাবে চীনের সাথে প্রতিযোগিতা করতে হচ্ছে। আরবদের নিয়ে নতুন নতুন গেম প্লান করতে করতে সে এখন ক্লান্ত। পুতিনের নতুন নতুন চালের ডিফেন্স করতে তাকে বেশ বেগ পোহাতে হচ্ছে।
তবে, বর্তমানে রাশিয়াকে সুপার পাওয়ার ভাবার কোন কারণ নেই। কারণ সুপার পাওয়া হতে যে সমস্ত উপাদান থাকতে হয় তা অনেকগুলো রাশিয়াতে অনুপস্থিত।

আর, তুরস্ক কোন অবস্থাতেই অটোম্যান সম্রাজ্যে ফিরে যেতে পারবে না। তারা চাচ্ছে আঞ্চলিক শক্তি হতে। সেদিক দিয়ে এরদোয়ান কিছুটা সফল। এই সফলতা তার স্টান্ডবাজির কারণে সম্ভব হচ্ছে। ভৌগলিক অবস্থানের কারণে তুরস্ক কিছুটা সুবিধা পাচ্ছে।
আবার আমেরিকার জন্য বড় দু:শ্চিন্তা হলো তাদের দীর্ঘ দিনের মিত্র মিশরে গণতন্ত্র নেই। সৌদি নিজের অস্তিত্ব নিয়ে লড়াই করছে। তুরস্ক তাদের জন্য নি:শ্বাস ফেলার জায়গা ছিল কিন্তু সেটিও হারাতে বসেছে।
সেদিক দিয়ে রাশিয়া মধ্যপ্রাচ্যে কিছুটা ভালো অবস্থানে আছে। তাদের দীর্ঘদিনের মিত্র ইরান অনেকটা চাপমুক্ত। তুরস্ক কে নিজের দলে টানতে পারছে। বাশারের ক্ষমতা ফিরিয়ে দিয়েছে। হিজবুল্লাহ তাদের রকের মান উন্নয়নে সময় পায়ছে। থাক আর কথা বাড়াতে চাই না।

ভালো থাকবেন।

৯| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৫৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



বিশ্বে যারা শিক্ষায় ও টেকনোলোজীতে পেছনে পড়ছে, পুটিন বা কেহ তাদের সাহায্য করতে পারবে না, করবে না।

আরবদের সমস্যা রক্তের মধ্য দিয়ে সমাধান করবে আরবেরা।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৩৯

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: পুতিন আমেরিকার সাথে টেকনোলজি প্রতিযোগিতায় অবস্থানে নেই। তার প্রকল্প হচ্ছে তাদের অস্ত্র ব্যবসা। সে তাদের ক্রেতাদের কে বুঝাতে চাচ্ছে তোমরা যে আমাদের থেকে বিলিয়ন বিলিয়ন টাকার অস্ত্র কেন সেগুলো অকোজো নয়। সেগুলো বেশ কাজের।
সে লক্ষে তারা জর্জিয়া, ক্রিমিয়া, ইউক্রেন এ একটা প্রদশর্ণী দেখিয়েছে।

বাশারের সিরিয়াতে তার বাস্তব প্রতিফলন ঘটিয়েছে। কারণ সিরিয়ায় বিদ্রোহীরা যে অস্ত্র দিয়ে যুদ্ধ করেছে সেগুলো আমেরিকা সাপ্লাই দিছে। আমেরিকান অস্ত্রের বিরুদ্ধে বাশারের সেনারা রাশিয়ান অস্ত্র দিয়ে ভালো ডিফেন্সও করেছে। যদিও তারা একেবারে কোণঠাসা হয়েছিল। কিন্ত রাশিয়ান সুখোই জঙ্গি বিমানের হামলায় বিদ্রোহীরা দিশেহারা হয়ে রণে ভঙ্গ দিয়েছে।

আবার আমেরিকা তাকফিরি গোষ্ঠী আইএস এর বিরুদ্ধে বিমান হামলা করে তেমন একটা সফলতা না দেখাতে পারলেও রাশিয়ান বিমান হামলায় তাদের কোমড় একে বারে ভেঙ্গে গেছে।

এতে সামনের দিতে সুখোই জঙ্গি বিমান ভালো একটা বাজার ধরতে পারবে। যদিও সুখোই বিমানগুলো অনেক আগের এবং পুরাতন মডেলের তারপরও ভালো কাজের যা আমাদের মত তৃতীয় বিশ্ব কিনে নিয়ে নিজের এয়ারফোর্সে যুক্ত করবে।

১০| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:১৫

আততায়ী আলতাইয়ার বলেছেন: চাঁদগাজী বলেছেন:



বিশ্বে যারা শিক্ষায় ও টেকনোলোজীতে পেছনে পড়ছে, পুটিন বা কেহ তাদের সাহায্য করতে পারবে না, করবে না।


২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৩

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: লেখক বলেছেন: পুতিন আমেরিকার সাথে টেকনোলজি প্রতিযোগিতায় অবস্থানে নেই। তার প্রকল্প হচ্ছে তাদের অস্ত্র ব্যবসা। সে তাদের ক্রেতাদের কে বুঝাতে চাচ্ছে তোমরা যে আমাদের থেকে বিলিয়ন বিলিয়ন টাকার অস্ত্র কেন সেগুলো অকোজো নয়। সেগুলো বেশ কাজের।
সে লক্ষে তারা জর্জিয়া, ক্রিমিয়া, ইউক্রেন এ একটা প্রদশর্ণী দেখিয়েছে।

বাশারের সিরিয়াতে তার বাস্তব প্রতিফলন ঘটিয়েছে। কারণ সিরিয়ায় বিদ্রোহীরা যে অস্ত্র দিয়ে যুদ্ধ করেছে সেগুলো আমেরিকা সাপ্লাই দিছে। আমেরিকান অস্ত্রের বিরুদ্ধে বাশারের সেনারা রাশিয়ান অস্ত্র দিয়ে ভালো ডিফেন্সও করেছে। যদিও তারা একেবারে কোণঠাসা হয়েছিল। কিন্ত রাশিয়ান সুখোই জঙ্গি বিমানের হামলায় বিদ্রোহীরা দিশেহারা হয়ে রণে ভঙ্গ দিয়েছে।

আবার আমেরিকা তাকফিরি গোষ্ঠী আইএস এর বিরুদ্ধে বিমান হামলা করে তেমন একটা সফলতা না দেখাতে পারলেও রাশিয়ান বিমান হামলায় তাদের কোমড় একে বারে ভেঙ্গে গেছে।

এতে সামনের দিতে সুখোই জঙ্গি বিমান ভালো একটা বাজার ধরতে পারবে। যদিও সুখোই বিমানগুলো অনেক আগের এবং পুরাতন মডেলের তারপরও ভালো কাজের যা আমাদের মত তৃতীয় বিশ্ব কিনে নিয়ে নিজের এয়ারফোর্সে যুক্ত করবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.