নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রতি যুগে একদল সত্যের অনুসারী থাকে। আমি সে দলে আছি।

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া)

সকল মানুষের মধ্যে কিছু কিছু ভুলত্রুটি আছে যা মানুষ নিজে বুঝতে পারে না, সেই ভুলগুলো ধরিয়ে দেয়া এই অধমের দায়িত্ব

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) › বিস্তারিত পোস্টঃ

সুপার পাওয়ার আমেরিকার থিতু হয়ে যাওয়া এবং রাশিয়া আয়নাবাজিতে ফ্রন্ট লাইনে আসা!!

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৩১



(মন্তব্যের প্রতি উত্তর পোষ্ট আকারে)

বর্তামানে আমেরিকা এক নম্বর সুপার পাওয়ার সেটি বাস্তব ও তাত্ত্বিক দুইভাবে প্রমাণিত। এতে দ্বি-মত করার কোন জো নেই। আবার এ কথা সত্য যে, বর্তমানে আমেরিকা ফর্মহীনতায় ভুগছে। তাদের গ্রাফ এখন স্লো-ভাবে নিম্নমুখী হচ্ছে । আমেরিকা এখন আর সারা বিশ্বে এককভাবে পলিসি মেকার নেই। বর্তমানে কতগুলো আঞ্চলিক শক্তির উদ্ভব হয়েছে।

তাকে অর্থনৈতিকভাবে চীনের সাথে প্রতিযোগিতা করতে হচ্ছে। আরবদের নিয়ে নতুন নতুন গেম প্লান করতে করতে সে এখন ক্লান্ত। পুতিনের নতুন নতুন চালের ডিফেন্স করতে তাকে বেশ বেগ পোহাতে হচ্ছে।

তবে, বর্তমানে রাশিয়াকে সুপার পাওয়ার ভাবার কোন কারণ নেই। কারণ সুপার পাওয়া হতে যে সমস্ত উপাদান থাকতে হয় তা অনেকগুলো রাশিয়াতে অনুপস্থিত।

আর, তুরস্ক কোন অবস্থাতেই অটোম্যান সম্রাজ্যে ফিরে যেতে পারবে না। তারা চাচ্ছে আঞ্চলিক শক্তি হতে। সেদিক দিয়ে এরদোয়ান কিছুটা সফল। এই সফলতা তার স্টান্ডবাজির কারণে সম্ভব হচ্ছে। ভৌগলিক অবস্থানের কারণে তুরস্ক কিছুটা সুবিধা পাচ্ছে।

আবার আমেরিকার জন্য বড় দু:শ্চিন্তা হলো তাদের দীর্ঘ দিনের মিত্র মিশরে গণতন্ত্র নেই। সৌদি নিজের অস্তিত্ব নিয়ে লড়াই করছে। তুরস্ক তাদের জন্য নি:শ্বাস ফেলার জায়গা ছিল কিন্তু সেটিও এক প্রকার হারিয়ে ফেলেছে।
সেদিক দিয়ে রাশিয়া মধ্যপ্রাচ্যে কিছুটা ভালো অবস্থানে আছে। তাদের দীর্ঘদিনের মিত্র ইরান অনেকটা চাপমুক্ত। তুরস্ককে নিজের দলে ভেড়াতে পারছে। বাশারের ক্ষমতা ফিরিয়ে দিয়েছে। হিজবুল্লাহ তাদের রকের মান উন্নয়নে সময় পার করছে।

পুতিন হয়ত আমেরিকার সাথে টেকনোলজি প্রতিযোগিতায় যাবে না আর সেই অবস্থানও পুতিনের নেই। তার প্রকল্প হচ্ছে তাদের অস্ত্র ব্যবসা। সে তাদের ক্রেতাদের কে বুঝাতে চাচ্ছে, তোমরা যে আমাদের থেকে বিলিয়ন বিলিয়ন টাকার অস্ত্র কেন সেগুলো অঁকেজো নয়। সেগুলোও বেশ কাজের।

সে লক্ষে তারা জর্জিয়া, ক্রিমিয়া, ইউক্রেনে মিনি একটা প্রদশর্ণী দেখিয়েছে।

এদিকে দিয়ে চায়না সফল, তারা আমেরিকান দামি টেকনোলজিকে নকল করে দুই নম্বর প্রোডাক্ট উৎপাদন করে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিচ্ছে। তৃতীয় বিশ্বের গরীব লোক সেগুলো লুপে নিচ্ছে। গরীবের এগুলোই দরকার। অল্প টাকাতে আনন্দ ফূর্তি । সাদা চামড়ার মানুষরা তাদের কথা মাথায় রেখে প্রোডাক্ট উৎপাদন করে না। আমেরিকান পণ্য বিলাসিতার জন্য, ইহা উঁচু স্তরের মানুষদের জন্য তৃতীয় শ্রেণিদের জন্য নয়।

পুতিন তার অস্ত্রের বাস্তব প্রতিফলন বাশারের সিরিয়াতে ঘটিয়েছে। কারণ সিরিয়ায় বিদ্রোহীরা যে অস্ত্র দিয়ে যুদ্ধ করেছে সেগুলো আমেরিকা সাপ্লাই দিয়েছে। আমেরিকান অস্ত্রের বিরুদ্ধে বাশারের সেনারা রাশিয়ান অস্ত্র দিয়ে ভালো ডিফেন্সও করেছে। যদিও তারা একেবারে কোণঠাসা হয়েছিল। কিন্ত রাশিয়ান সুখোই জঙ্গি বিমানের হামলায় বিদ্রোহীরা দিশেহারা হয়ে রণে ভঙ্গ দিয়েছে।

আবার আমেরিকা তাকফিরি গোষ্ঠী আইএস এর বিরুদ্ধে বিমান হামলা করে তেমন একটা সফলতা না দেখাতে পারলেও রাশিয়ান বিমান হামলায় তাদের কোমড় একে বারে ভেঙ্গে গেছে। এতে রাশিয়া যে অত্যাধুনিক অস্ত্র ও উন্নত মানের ফাইটার ব্যবহার করেছে তেমনটাও নয়। সুখোই বিমান আর টি৮২ ট্যাঙ্ক দিয়েই কাজ সারছে।

এতে সামনের দিতে সুখোই জঙ্গি বিমান ভালো একটা বাজার ধরতে পারবে। যদিও সুখোই বিমানগুলো অনেক আগের এবং পুরাতন মডেলের তারপরও ভালো কাজের যা আমাদের মত তৃতীয় বিশ্ব কিনে নিয়ে নিজের এয়ারফোর্সে যুক্ত করবে।

শেষ কথা হল, রাশিয়া ও আমেরিকা আরবদের নিয়ে গেম প্লান বন্ধ করুক। তা না হলে সভ্যতা আরো পিছিয়ে যাবে। সভ্যতা আরবদের নিকট ঋণী নয়। হয়ত তারা ধর্ম নিয়ে গর্ব, প্রতিযোগিতা ও রাহাজানি করতে পারে। সেটিই ভালো, আরবেরা ধর্ম নিয়ে পড়ে থাকুক। তাদের তেল আছে তা বিক্রি করে আরো ১০০ একশ বছর বিলাসিতা করুক। তাতে আমাদের নাক গলানো উচিত নয়। তারা এমনিতেই শেষ হয়ে যাবে। তারা প্রথমে প্রতিপক্ষের সাথে হানাহানিতে লিপ্ত হয়, সেটি শেষ হলে প্রতিবেশীর সাথে ঝড়িয়ে পরে আর প্রতিবেশী শেষ হলে শেষ পর্যন্ত নিজের ভাইয়ের সাথে হানাহানিতে লিপ্ত হয়।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৪৩

গোফরান চ.বি বলেছেন: রাশিয়া ও আমেরিকা আরবদের নিয়ে গেম প্লান বন্ধ করুক। তা না হলে সভ্যতা আরো পিছিয়ে যাবে। সভ্যতা আরবদের নিকট ঋণী নয়। হয়ত তারা ধর্ম নিয়ে গর্ব, প্রতিযোগিতা ও রাহাজানি করতে পারে। সেটিই ভালো, আরবেরা ধর্ম নিয়ে পড়ে থাকুক। তাদের তেল আছে তা বিক্রি করে আরো ১০০ একশ বছর বিলাসিতা করুক। তাতে আমাদের নাক গলানো উচিত নয়। তারা এমনিতেই শেষ হয়ে যাবে। তারা প্রথমে প্রতিপক্ষের সাথে হানাহানিতে লিপ্ত হয়, সেটি শেষ হলে প্রতিবেশীর সাথে ঝড়িয়ে পরে আর প্রতিবেশী শেষ হলে শেষ পর্যন্ত নিজের ভাইয়ের সাথে হানাহানিতে লিপ্ত হয়।


সহমত।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৫১

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ধন্যবাদ,
মন্তব্য করার জন্য।

আরবদের জন্য সারা পৃথিবীতে অশান্তি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.