নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অব্যক্ত ধ্বনি

আল-শাহ্‌রিয়ার

গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ভেতরের কারণগুলো জানতে এবং বিশ্লেষণ করতে চেষ্টা করি এবং সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। সামাজিক, রাজনৈতিক আর আন্তর্জাতিক বিষয়ে লেখালেখি করতে ভালো লাগে। তাই ব্লগে পদচারনা।

আল-শাহ্‌রিয়ার › বিস্তারিত পোস্টঃ

সিরিয়া যুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহার ও প্রচারণা

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:৩২

২০১২ সাল থেকে সিরিয়ার প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিতে দেশটিতে এক প্রকার বিশ্ব যুদ্ধ চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। ইতিপূর্বে লিবিয়াতেও ন্যাটো বাহিনী যুদ্ধ করে সেদেশের প্রেসিডেন্ট গাদ্দাফিকে ক্ষমতাচূত করে হত্যা করেছে। তবে রাশিয়া আর ইরানের সমর্থনের কারনে সিরিয়ায় সরাসরি যুদ্ধ করে আসাদকে সরানো যায় নাই।
তবে বার বার রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহার ও প্রচারণা করে আসাদকে সরিয়ে দেওয়ায় চক্রান্ত চলছেই। সম্প্রতি আসাদের সেনারা যখন সিরিয়ায় রাজধানীর নিকটবর্তী দুমা নামক এলাকা জায়েশ আল ইসলাম নামক সৌদি পন্থি সন্ত্রাসীদের থেকে মুক্ত করতে অভিযান পরিচালনা করছে তখন আবারও আসাদের বিরুদ্ধে আনা হয়েছে সেই পুরনো অভিযোগ।
সন্ত্রাসীরা এবার দুমা এলাকার তাদের হাতে আটক প্রায় ৯৫০ জন বন্দীর অপর রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগ করেছে এবং এই হামলায় প্রায় ৭০ জন নিহত হয়েছে। ইতিমধ্যে সিরিয়ার সেনারা ওই এলাকা থেকে জার্মানির তৈরি ক্লোরিন গ্যাস উদ্ধার করেছে।
সিরিয়ায় এর আগে ২০১৩ সালে সন্ত্রাসীরা রাসয়নিক অস্ত্র প্রয়োগ করে প্রথম সিরিয়া সরকারকে দোষারোপ করে। তখন ওবামা সিরিয়ান সেনাদের অপর হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছিল। সিরিয়া তখন তাদের হাতে থাকা সব ধরনের রাসায়নিক অস্ত্র ধংস করেছিল। যদিও পরে প্রমান হয়েছিল যে সিরিয়াতে ওই হামলার পিছে জড়িত ছিল কথিত বিদ্রোহী গোষ্ঠী Free Syrian Army।
ট্রাম্প তখন ওবামাকে সিরিয়ায় হামলা চালাতে নিষেধ করেছিল কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট হয়েই গত বছর কথিত রাসায়নিক হামলার অভিযোগে সে সিরিয়ায় একটি বিমানঘাটিতে ৫৯ টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। আর এখন ট্রাম্প সিরিয়া বিষয়ে ওবামাকে হামলা না চালানোর জন্য দায়ী করছে।
কিছুদিন আগে সিরিয়ার পূর্ব ঘোটা এলাকা সন্ত্রাসীদের হাত থেকে উদ্ধারের পর সেনাবাহিনি সন্ত্রাসীদের রাসায়নিক অস্ত্রের গুদাম উদ্ধার করে। সন্ত্রাসীদের হাত থেকে উদ্ধার হওয়া রাসায়নিক গুদাম
এখন দেখার বিষয় আবারো ট্রাম্প সিরিয়ায় হামলা শুরু করবে কিনা। তবে রাশিয়া এর মধ্যে অ্যামেরিকাকে সতর্ক করেছে সিরিয়ায় যেকোন ধরনের হামলার বিরুদ্ধে। তবে ব্যাক্তিটি যখন ট্রাম্প তখন তার নিজের কথার কোন ভরসা করা অসম্ভব।
সর্বশেষ সন্ত্রাসীরা গত রাত্রের সেনা অভিযানের পর এই এলাকা থেকে সরে যেতে সরকারের সাথে চুক্তি করেছে। চুক্তি অনুসারে সন্ত্রাসীরা আটক বন্দীদের মুক্তি দিতে রাজি হয়েছে। বন্দীদের মুক্তির অপেক্ষায় দুমার বাহিরে আত্মীয়রা অপেক্ষা করছে।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:৪৯

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: পুতিন এখন বিশ্বের এক নাম্বার নেতা। আম্রিকার নেতাগিরির দিন শ্যাষ।

আমেরিকা এক নাম্বার অস্ত্র রপ্তানিকারক দেশ। সেগুলো নিশ্চই আলমারিতে তুলে রাখা হয় না। বোমা হামলায় সমস্যা নাই, ৫৯ টি ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলায় সমস্য নাই, যত দোষ রসায়নের উপর:(

যুদ্ধ, সংঘাত মানেই মানবতার পরাজয়।
যুদ্ধ নয় শান্তি চাই।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:১১

আল-শাহ্‌রিয়ার বলেছেন: যুদ্ধ, সংঘাত মানেই মানবতার পরাজয়। আসলেই।

২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: যুদ্ধ চাই না।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:৩৭

আল-শাহ্‌রিয়ার বলেছেন: সহমত। কিন্তু মার্কিন অস্ত্র বিক্রেতারা যুদ্ধ বন্ধ হতে দিবে কি?

৩| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:২৬

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: পোস্ট ভালো লাগলো...+

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.