নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্যদের সেভাবেই দেখি, নিজেকে যেভাবে দেখতে চাই। যারা জীবনকে উপভোগ করতে চান, আমি তাঁদের একজন। সহজ-সরল চিন্তা-ভাবনা করার চেষ্টা করি। আর, খুব ভালো আইডিয়া দিতে পারি।

সত্যপথিক শাইয়্যান

আমি লেখালিখি করি, মনের মাধুরী মিশিয়ে

সত্যপথিক শাইয়্যান › বিস্তারিত পোস্টঃ

এক টিকিটে দুই ছবি দেখার সত্য কাহিনী

০৮ ই জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৭



আমি তখন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সবে মাত্র ভর্তি হয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম দিন ভার্সিটির বাসে চড়ে ক্যাম্পাসে যাচ্ছি। হঠাৎ, দেখি সবাই কানাকানি করে হাসছে। মেয়েরা যারা ডানদিকের জানালার কাছে বসেছিল, তারা প্রায় ছিটকে বাসের যত ভিতরে বসা যায় তার চেষ্টা করছে। কি ব্যাপার!

আমাদের বাস যেখানে থেমেছে, সেখানে বি,ডি,আর সিনেমা হল। আমি বাইরে উঁকি দিলাম। ইয়া মাবুদ! সেখানে বড় একটি ব্যানারে লাল-নীল ছবিতে বিদেশী পুরুষ-মহিলার জড়াজড়ি করা দৃশ্য আঁকা! আমি আরেকটু হলে দাঁড়ানো থেকে হুমড়ি খেয়ে সামনের সিটে বসা মেয়েটির গায়ে গিয়ে পড়তে লেগেছিলাম।

একি! ঢাকা শহরে বড় হওয়া এই আমি জীবনে যেখানে বাজে ছবি দেখিনি, সেখানে সিলেটের মতো 'পবিত্র' ভূমিতে এই কাণ্ড!!! বেহুশ হয়ে পড়ারই কথা! যাহোক, সিদ্ধান্ত নিলাম, পরের ছুটির দিনেই এখানে কি দেখানো হচ্ছে এসে দেখতে হবে।

পরিকল্পনা মতো শনিবার চলে গেলাম আখালিয়া নামক জায়গার বিডিআর-এর সিনেমা হলে। টিকেট কত দিয়ে কিনেছিলাম মনে নেই। তবে, আমার আশেপাশে রিক্সাওয়ালাদের ভিড়ের সাথে সাথে কিছু উঠতি বয়সী চ্যাংড়াকেও দেখতে পেইয়েছিলাম বলে মনে পড়ে।

নির্দিষ্ট সময়ের শুরু হলো সিনেমা! ওয়াক থুঃ! কি দেখেছিলাম তা ব্লগে লেখার মতো না। এখনো মনে আছে, পরের দিন সকালের ঘুম থেকে জেগে উঠে দেখি- পুরো বিছানা ভেজা! লে হালুয়া! তাড়াতাড়ি গিয়ে বাথরুমে গোসল করতে ঢুকেছিলাম। কিন্তু বিধি বাম! হঠাত শুনি আমার নানীমা বাথরুমের দরজায় আঘাত করে বলছেন-

''শাইয়্যান, ও শাইয়্যান! অত্তো সকালে গোসল করছ কেনে! ঠাণ্ডা লাগবো তো!'


মন্তব্য ২০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৯

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:

কত সালের কথা?
এখনকার স্কুল পড়ুয়ারা ১ ফোনেই হাজার ছবি দেখে ; গোসল করে ঠান্ডা লাগায় কিনা জানি না।

০৮ ই জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৩

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:


২০০০ সালের ঘটনা। আমাদের সময়ে তখন এতো স্মার্ট মোবাইল ফোন ছিলো না।

তাই, বিডিআর-ই ভরসা ছিলো!!!

শুভেচ্ছা।

২| ০৮ ই জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
কন্ট্রোল ইউর সেলফ!
ওয়াক থু !!

০৮ ই জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৪

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:


আরে, নুরু ভাই! 'ওয়াক থুঃ' এখন মনে হচ্ছে।

জোয়ান কালে মনে হয়নি!!!

শুভেচ্ছা নিরন্তর।

৩| ০৮ ই জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এ মা!! আপনি এত ডাঙ্গর হইয়াও রাত্রে বিছনা ভিজাইতেন? এ তো শিশু বাচ্চাদের কাজ!!!!


:) :)

০৮ ই জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৬

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:

তখনো হা* মা* শিখিনি যে, আপুনি!!! :)

ধন্যবাদ।

৪| ০৮ ই জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৬

সোনাগাজী বলেছেন:



কিছু কিছু বিষয় আছে, সেগুলো নিয়ে লিখতে হয় না।

০৮ ই জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৮

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:


আমি ঠিক সুশীল না, গাজী ভাই!

ধন্যবাদ নিরন্তর।

৫| ০৮ ই জুন, ২০২২ রাত ৮:১৯

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: আমাদের এলাকার হলগুলোতেও এগুলো করতো পশাসনকে টাকা দিয়ে।

০৮ ই জুন, ২০২২ রাত ৮:৩২

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:


সিলেটে এখন মনে হোয় বন্ধ। আসলে বদ লোকের সংখ্যা বেশি নয়।

ধন্যবাদ নিরন্তর।

৬| ০৮ ই জুন, ২০২২ রাত ৮:৩৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: সত্যপথিক শাইয়্যান,




শিরোনামটি দেখে নষ্টালজিক হয়েছি।
সেই ছেলেবেলায় "এক টিকিটে দু'টি ছবি" কতো দেখেছি মর্ণিং শো'তে। এক টিকিটে দু'টি ছবি দেখাতো। সব ইংরেজী ছবি।
ছবি দেখে আপনি বিছানা ভিজিয়েছেন, আমি ভিজিয়েছি দুই চোখ সত্যিকার অর্থেই। সে কাহিনী বলি-

তখন ক্লাস সেভেন কি এইটে পড়ি । শহরের "জগদীশ থিয়েটারে" মর্ণিং শো'তে এক টিকিটে দু'টি ছবি দেখাচ্ছে। একটি " স্যামসান ও গোলিয়াথ" অন্যটি "ওয়ান পটেটো টু পটেটো"। শেষেরটি সাদা কালো। হলে টানানো পোষ্টারে দেখি কালো নায়ক আর হ্যাংলা পাতলা এক সাদা নায়িকার ছবি। ধ্যাৎতেরী, নামের মতো নায়ক নায়িকাও অচল । আমরা চারবন্ধু মিলে আল্লার কাছে দোয়া করছি, এই ছবিটি যেন আগে না দেখায়। "স্যামসান ও গোলিয়াথ" ছবিটি দেখেই আগে ভাগে বাসায় ফিরতে পারবো তাহলে। হল ভর্তি লোক। আল্লাহ আমাদের কথা শুনেছেন। প্রথমেই শুরু হলো "স্যামসান ও গোলিয়াথ" ছবিটি এবং শেষ ও হলো একসময়। হল থেকে মানুষ বেরিয়ে যাচ্ছে। মানে তারা আর ঐ দু'নম্বরের সাদা কালো ছবিটি দেখবেননা। হল প্রায় ফাঁকা। ২০/২৫ জন দর্শক শুধু সীট ছেড়ে যান নি। পয়সা দিয়ে টিকিট কেনার মায়ায় হয়তো। আমরাও ভাবলুম, পয়সা যখন দিয়েছি, পয়সা উশুল করেই যাই । না হয় দেখলুমই এই পঁচা আলুর ছবিটা! থেকে গেলুম। শুরু হলো ছবি। দর্শক আমরা মাত্র জনা পঁচিশেক। ছবি শুরু হলেও দর্শকদের ফিসফাস চলছে , কেউ শীষ দিচ্ছে , কেউ গান গাইছে, কেউ খিস্তি খেউর দিচ্ছে । মিনিট দশেকও যায়নি সমস্ত হলে পিন পতন নিস্তব্দতা। আরো পরে শুরু হলো ফোঁপানির শব্দ। দর্শকরা সব ফোঁপাচ্ছে। তখন ইংরেজী ভালো না বুঝলেও দৃশ্য তো বোঝা যায়, ফোঁপানি থামাতে পারিনি আমরাও। ছবি দেখে আমরা পুরুষ মানুষ কাঁদছি, এটা আসলেই লজ্জার তাই আমরা বন্ধুরা কেউ কারো দিকে তাকাচ্ছিনা। ফোঁপানির সাথে নাকে চোখে পানি। তখন লুঙ্গি পড়ে সিনেমা দেখতুম , সেই লুঙ্গিতে নাকের পানি চোখের পানি বারবার মুছছি। শেষের দিকে এমন হলো যে প্রায় উচ্চস্বরে কাঁদার শব্দও শোনা গেলো। আমি তখন হেচকি দিয়ে ফোঁপাচ্ছি, আমার বন্ধুদের অবস্থাও একই। তাকাচ্ছিনা কেউ কারো দিকে। তাকালেই তো লজ্জা আর লজ্জা! ছবি শেষ হলো । চোখ নাক লাল করে দর্শকরা বেরুচ্ছেন। যাদের পড়নে লুঙ্গি তারা লুঙ্গির খোঁটে চোখ মুছছেন, কেউ জামার হাতায়।
এ কি ছবি দেখলুম! বাইরে বেরিয়ে ছবির পোষ্টারটাকে ভালো করে দেখতে গিয়ে এক জায়গাতে দেখি লেখা, ৮ অস্কার উইনিং মুভি.................

০৮ ই জুন, ২০২২ রাত ৮:৪৯

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:

ধন্যবাদ, শ্রদ্ধেয় আহমেদ জী এস ভাই।

সত্যিই দারুণ অভিজ্ঞতা। আমাদের বাবা-চাচাদের সময়ে মুভি লুকিয়ে লুকিয়ে দেখতে হতো! আমাদেরকে সেই ঝক্কি-ঝামেলায় পড়তে হয়নি।

আমি প্রথম ইংরেজি মুভি দেখি ক্লাস টেন থেকে। প্রথম যেটি দেখেছিলাম, সেটার নাম ছিলো- 'ইটি'। এরপরে দেখেছি- র‍্যাম্বো সিরিজ। সত্যিই দারুণ!

ধন্যবাদ নিরন্তর।


৭| ০৮ ই জুন, ২০২২ রাত ৮:৫২

অধীতি বলেছেন: আমার আশেপাশের সবাই যেত শুক্রবার এলেই। লুকিয়ে টিকেট কেটে ঢুকে পড়ত। প্রথম যখন ঢাকা আসি, কাচপুর রোডে ব্যনারগুলো দেখে হা হয়ে তাকিয়ে থাকতাম এগুলোয় দেখায়

০৮ ই জুন, ২০২২ রাত ৯:১৬

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:


হা, হা, হা!!!

আসলেই হা করে তাকিয়ে থাকার মতোই পোস্টারগুলো ছিলো।

শুভেচ্ছা।

৮| ০৮ ই জুন, ২০২২ রাত ৯:৪৩

নতুন বলেছেন: আমার অবশ্য ১ টিকিটে ২ ছবি দেখার সৌভাগ্য হয় নাই।

তবে ম্যাট্রিক পাশের পরে কম্পিউটার কিনে বাসায় আনার পরে একটা ফোল্ডার খুলে তার একটা ফাইলে ক্লিক করে সাথে সাথে মনিটর বন্ধ করে দিয়েছিলাম, কারন পেছনে আমার এক আত্নিয় ঘুমিয়ে ছিলো.... =p~ =p~ =p~ =p~

০৮ ই জুন, ২০২২ রাত ৯:৫৯

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:


আহা! আপনার মতো সুশীল হওতে পারলাম না!!!

বাই দ্যা ওয়ে, পোস্টে লাইকের জন্যে ধন্যবাদ নিরন্তর। :)

৯| ০৮ ই জুন, ২০২২ রাত ১০:৩৩

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ও বস্তু আমিও দেখেছি। ছবি বহির্ভূত কিছু কাট পিস জুড়ে দেয়া হত ওটা ছিল বিরক্তিকর।

০৮ ই জুন, ২০২২ রাত ১০:৩৭

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:


এই খেয়েছে!!! আমি কিন্তু ছবির কাট-পিসের কথা শুনে ঐখানে ঢুকি নাই। পোস্টার দেখে ঢুকেছিলাম।

ধন্যবাদ।

১০| ০৮ ই জুন, ২০২২ রাত ১০:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি তো জাদিদ ভাইয়ের চেয়ে বেশি এগিয়ে।

০৮ ই জুন, ২০২২ রাত ১০:৩৯

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:


আপনি কি ঐসব মুভি দেখার সংখ্যার দিক দিয়ে তুলনা করে বলছেন?

শুভেচ্ছা নিরন্তর।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.