নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শাকরানের রাফখাতা

ছবিকর

Doctor, Photo-enthusiast, Movie-buff, Music-addict, Pluviophile, Poetry-lover, Cat-Person, Nyctophile, Traveloholic

ছবিকর › বিস্তারিত পোস্টঃ

ক্রমশ আমরা মেডিকেল স্টুডেন্ট থেকে ডাক্তার হয়ে যাচ্ছি..

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩২

সেই ফার্স্ট ইয়ারে থাকাকালে যখন House M.D., Scrubs বা Grey's Anatomy‘র মত মেডিকেল ড্রামা সিরিজ দেখা স্টার্ট করি, তখন খেয়াল করতাম, Dr. House & team কিংবা ম্যারেডিথ, ইয়েং বা অ্যালেক্স কোন নতুন কেস দেখার জন্য হুড়মুড় পড়িমরি করে কম্পিটিশন লাগিয়ে দেয়। তখন ব্যাপারটা খুব অনর্থক ও অবান্তর মনে হত। মনে মনে হাসতাম। কী করে এরা নতুন কেস দেখার জন্য। এত আঁতলামি এরা করে কেন? হাহ! কী মজা পায় ওরা! অদ্ভুত!!



কয়েক বছর পর আজ সন্ধ্যায় ওয়ার্ড করে হঠাৎ বুঝতে পারলাম, কেন নতুন কেস পেলে দেখার জন্য তারা এমন করে, কী সেই নেশা ব্যাপারটাতে।



আসলে, বিষয়টা স্পন্টেনিয়াসলি ডাক্তারদের রক্তের মধ্যেই ছড়িয়ে যায় আস্তে আস্তে।



আজ ছিল আমাদের মেডিসিন ওয়ার্ডে উইকলি অ্যাডমিশনের ডেট। সচরাচর বেশ কয়েকটা কমন ডিজিজ কন্ডিশনই আমরা ঘুরে ফিরে হসপিটালে পেয়ে থাকি। কিন্তু, আজ ব্যতিক্রম ছিল। সৌভাগ্যক্রমে বেশ কিছু ইন্টারেস্টিং রেয়ার কন্ডিশনের কেস দেখে ফেললাম, যেমনঃ



# Hematidrosis or blood sweating : ঘামের সাথে রক্ত বের হওয়া। ‘ব্লাড সোয়েট’ নামে পরিচিত।



# Chilaiditi syndrome: লার্জ ইন্টেস্টাইন বা বৃহদন্ত্রের কিছু অংশ বা একটা লুপ লিভার আর দা ডায়াফ্রাম এর মাঝে চলে আসা, যেটা এক্স-রে তে রাইট সাইডে গ্যাস শ্যাডোর মাধ্যমে বুঝা যাচ্ছিল।



# Seagull Murmur: অ্যাবনর্মাল হার্ট সাউন্ড, যেটা গাংচিল যেভাবে ডাকে, সেভাবে কুউউ কুউউ ডাকের মত শোনাচ্ছিল। লোকটার mitral regurgitation ছিল।



# JIA (Juvenile Idiopathic Arthritis): যদিও এটা বেশ কমন কেস কিন্তু আগে কখনো নিজ চোখে দেখিনি।



# Idiopathic Thrombocytopenic Purpura (ITP): এটাও আগে নিজের চোখে দেখিনি। শরীরের ট্রাঙ্কের বিভিন্ন অংশে ট্রমাজনিত ইনজুরির মত পারপুরা মার্ক ছিল। দেখতে bruise এর মত মনে হলেও তা নয়।



দুই ঘন্টার মাঝে বেশ কয়েকটা আনকমন কন্ডিশন দেখার এই ব্যাপারটি ছিল বেশ সামান্যই। তার উপর নিজেরা ডায়াগনসিস করিনি, যা করার স্যারেরাই করে দিলেন। আমরা জাস্ট পাশে দাঁড়িয়ে দেখলাম মাত্র। কিন্তু, তবুও এই সামান্য ব্যাপারটিতেই কেন জানি নিজেদের আমরা নতুন করে চিনলাম।



মজার ব্যাপার হল, নিজেদের কাছে ব্যাপারটি একটুও এক্সট্রা আঁতলামি মনে হল না। মনে হল, এটাই তো স্বাভাবিক। ডাক্তার হচ্ছি, নতুন নতুন কেস দেখব না তো দেখবটা কী!



বুঝলাম,

আস্তে আস্তে আমরাও ক্রমশ সময়ের সাথে সাথে ম্যাচিউর হয়ে যাচ্ছি।

আস্তে আস্তে আমরাও মেডিকেল টিভি সিরিজে দেখা ক্যারেক্টারদের মত হয়ে যাচ্ছি।

আস্তে আস্তে আমরাও মেডিকেল স্টুডেন্ট থেকে ডাক্তার হয়ে যাচ্ছি।





পুনশ্চঃ কেসগুলো দেখেছি বলেই এসব বিষয়ে সবজান্তা হয়ে গেছি ভেবে নিয়েন না। এজন্য কিছু জিজ্ঞাসা করে লজ্জা দিবেন না। কিছু জানার ইচ্ছে থাকলে Dr. Google তো আছেই।





ফেসবুক লিঙ্কঃ Click This Link

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৩৬

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: শুভকামনা।

২| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৫৮

বায়স বলেছেন: শুভকামনা রইলো

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.